স্ক্রিনে দেখি নিহা লেখা। একদম শেষ
মুহূর্তে মানে যখন কেটে যাবে কলটা তখন রিসিভ
করি।
-হুম বল
-কোথায় অাছিস?
-টি.এস.সি মোড়ে।
-ওখানেই দাড়া অাসতেছি।
-ওকে।
-বাই।
-বাই।
নিহা অাসতে অাসতেই অামরা একটু পরিচিত
হয়ে নেই।
অামি তনুপ, তনুপ অাহম্মেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
সি.এস.ই পড়তেছি। সাদামাটা জীবন-যাপন। কিন্তু
সাদামাটা হলেও মনে হালকা বিলাসিতা ভাব জাগে।
অার নিহা যার সাথে ফোনে কথা বললাম,,সে অামার
বান্ধবী। নিহা জান্নাত নিহি নাম মেয়েটার। সেও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে সাইকোলোজি তে।
মেয়েটা খুবই রুপবতি। গত বছর ভার্সিটির এনুয়াল
ফাংশনে মেয়েটার সাথে পরিচয়। সেদিন
অামি নিজের লেখা গান গিটারের
তালে তালে গেয়েছিলাম। অামার গানে সবাই মুগ্ধ
হয়েছিল অার খুব প্রশংসাও করেছিলো। সেইদিনই
প্রথম দেখি তাকে।
গান শেষে স্টেজ থেকে নেমে যখন বাসার দিকে হাটছিলাম তখন
মেয়েটি পেছন থেকে অামাকে ডাক দেয়। সেদিনই
হালকা কথা হয় মানে পরিচয় দেওয়া নেওয়া হয়।
সেদিন অামার নাম্বারটাও তার মোবাইলে টুকে নেয়। সেই
থেকে মাঝে মাঝে ফোনে কথা। বাইরে ঘুরতে যাওয়া। কোন ক্যাফে তে বসে অাড্ডা দেওয়া সবই হয়।
তবে সে অামাকে তার খুব ভালো বন্ধু ভাবতো।
কিন্তু অামি তাকে অামার বন্ধুর চেয়ে একটু বেশিই
ভাবি প্রথম দিনের পরিচয় থেকেই। কিন্তু
কখনো মুখ ফুটে বলিনি। যদি সে কষ্ট পায়।
-(নিহা) কিরে একা একা বসে কার সাথে কথা বলিস।
-তুই এসেছিস,,না কারও সাথে না। নতুন একটা গান
লিখলাম তো সেটাই সুর দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
-ও তাই। চল হাটতে হাটতে তোর গানটা শোনা যাক।
-চল তাহলে,,,
-হুম শুরু কর তাহলে,,
- "অামি তোমাকে ভেবে,,
ভাবি একা বসে,,
অাকিঁ রঙ্গিন স্বপ্ন,,
ছবি,,
তোমায় ঘিরে ছুটে চলে যাই,,
সেই পিছুটান,,
তুমি কোথায় হারিয়ে,,
বলোনা,,,"
চলছে তো অামাদের বন্ধুত্ত্ব। চলুক
না এভাবেই,,,কেন মিছে মিছে অাবেগ বৃদ্ধি করবো।
অামাদের এই বন্ধুত্ত্বের
মাঝে কখনো যদি সে অামার ভালোবাসাকে অনুভব
করতে পারে তবে সে নিজে থেকেই
চলে অাসবে অামার বুকে মাথা রাখতে। অার
যদি নাই বোঝে তাহলে তার অন্যের
বুকে মাথা রেখে হাসিমাখা চেহারা দেখেই নাহয় নিজের ভালোবাসাকে অনুভব করে নিব। চলুক এভাবেই,,,চলুক,,
(ডায়েরির পাতায় ২রা জানুয়ারি, ২০১৫)