গাঁয়ের মাঝে মাটির কুটির
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের মাটি গাঁয়ের ছায়া গাঁয়ের মানুষ আপন,
গাঁয়ের মাঝে মাটির কুটির, আমার বাস ভবন।
দিঘির জলে মরাল ভাসে, বধূরা করে সিনান,
দিঘির পাড়ে আমেরগাছে কোকিল গাহে গান।
গাঁয়ের মাঠে চরায় গরু আমার গাঁয়ের রাখাল,
মধুর স্বরে বাজায় বাঁশি সাথে নিয়ে গরু পাল।
গাঁয়ের মাঝি নৌকা চালায়, অজয় নদীর ঘাটে,
ভোর হতে সন্ধে অবধি সেথা তার দিন কাটে।
গাঁয়ের পথে উড়িয়ে ধূলো গোরুর গাড়িটি চলে,
পান্থ-পথিক অলস দুপুরে বসে তরু ছায়া তলে।
বিকেল হলে বনটিয়া এসে লুকায় মাঠের আলে,
শিকারী শকুনি বসে থাকে উঁচু গাছের মগডালে।
পাহাড় ঘেঁষে সূর্য ডোবে অজয় নদীর ঐ পারে,
আমার গাঁয়ে আঁধার নামে নির্জন পথের ধারে।