বইয়ের নাম : অয়োময়
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ বইয়ের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।
==================================================================================
অয়োময় বইটি প্রকাশ করা হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের সাতটি ছোট গল্পের সংকলন হিসেবে। যে সাতটি ছোট গল্প আছে তা হচ্ছে
১। অয়োময়
বদরুল আলম সাহেব তার গ্রামের বাড়ির বাংলাঘরে ইউনুস নামের এক অসুস্থ লোককে থাকতে দেন। ডাক্তার বলেছে ইউনুসের যে পচন রোগ তাতে সে দুই দিনের মধ্যে মারা যাবে। কিন্তু ১৩/১৪ দিনেও ইউনুস মারা যায় না। মাওলানা দিয়ে তওবা পড়ানো হয়, কিন্তু ইউনুস ঠিকমত তওবা পড়ে না, তার আরো বেঁচে থাকার ইচ্ছে। শেষে বদরুল আলমকে ইউনুস বলে সে মরতে চায় না। বদরুল আলম ইউনুসকে ময়মনসিংহ নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।
২। খাদক
মতি মিয়া নামের এক খাদক লোকে গল্প, সে আস্ত এক গরুর সমস্ত মাংস খেয়ে ফেলে।
৩। অচিন বৃক্ষ
লেখক গহিন গ্রামে যান অলস সময় কাটাতে, কিন্তু গ্রামের লোকের জোরাজুরিতে এক দুর্গম পাড়া গায়ে যেতে হয় একটি অচিনবৃক্ষ দেখতে। হাজার বছর আগে নাকি এক ডাইনি এই গাছে চড়ে যাচ্ছিলো। এখানে এসে তার পিপাসা পেলে গ্রামের মিঠাপানি পান করে সন্তুষ্ট হয়ে এই গাছটি দিয়ে যান। গাছের ফুল অনেক বছর পরে ফুটবে বলে যায় ডাইনি। সেই ফুল সর্ব রোগের ঔষধ। গ্রামের হেড মাস্টার সাহেব অপেক্ষা করে আছেন সেই ফুলের জন্য। কারণ কার কিশোরী স্ত্রী মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
৪। পিঁপড়া
মকবুল নামে এক রোগী এসেছে ঢাকার বড় ডাক্তারের কাছে। তার সমস্যা হচ্ছে তাকে পিঁপড়ায় কামরায়। সে যেখানেই যান পিঁপড়া তার পিছু পিছু যায়। এমনকি নদীর মাঝ খানে নৌকাতেও তাকে রেহায় দেয় না।
৫। অপেক্ষা
চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে সেই ছোট বেলা থেকে কাজ করে কেরামত। এখন তার বয়স ৩৫। সে এসে চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে বিয়ে করতে চায়। চেয়ারম্যান সাহেব বলেন তিনি নিজে ওর ঘর তুলে দিয়ে বিয়ে দিবেন। কিন্তু এর মধ্যে চেয়ারম্যানের দিন খারাপ হয়ে যায়। কেরামত ঘরও হয় না আর বিয়েও হয় না। কেরামত অপেক্ষা করতে থাকে।
৬। কৃষ্ণপক্ষ
হানিফ এসেছে রইসুদ্দিন নামের এক লোককে খুন করতে। খুনটা করতে পারলে ৫ হাজার টাকা পাবে। কৃষ্ণপক্ষের রাতে সে অপেক্ষা করে আছে রইসউদ্দিনের আসার।
৭। অংক শ্লোক
গ্রামের এক পাগলা মাস্টার ছাত্রদের অংক ভীতি দূর করার জন্য অংক শ্লোক লিখছেন, সেটি বই আকারে ছাপাতে চান। তার একমাত্র মৃত কন্যার ছিল প্রচণ্ড অংক ভীতি।
(পর্যবেক্ষণ: বইটিতে একটি গল্পে বলা হয়েছে রোজার মাসের মাঝামাঝি এক অমাবস্যার রাতের কথা। কিন্তু রোজার মাস চলাকালীন মাসের মাঝামাঝিতে কখনোই অমাবস্যা হতে পারে না)
এপিগ্রাম সমূহ :
১। টাকা পয়সা, ক্ষমতা, এই সব বেশী থাকলে মানুষের স্বভাব ঠিক থাকে না।
২। মৃত্যুর ভয় নিয়ে বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।
৩। শিক্ষক সম্প্রদায়ের স্বভাবই হচ্ছে যখন তখন উপদেশ দিয়ে বেরানো।
-------------------------------------------------------------- সমাপ্ত --------------------------------------------------------------
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার
তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরীর
মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ