চোখ জুড়িয়ে যাওয়া কৃষ্ণচূড়া চারদিকে। যানজটের রাজধানীতে এমন দৃশ্য এখন চোখে পড়ার মতো। একটু এগিয়ে গিয়ে গাছের দিকে তাকালে চোখ ভেসে যায় সোনালুর মায়াবী হলুদ মায়ায়। রাস্তা পার হয়ে পরের গলিতে মোড় ঘুরতেই চোখে আগুন লাগায় রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। পাশের জারুলের বেগুনি আভা, হাসনাহেনা, বকুল, বেলির মন মাতানো গন্ধ আকুল করে পথচারীদের। চিরচেনা কর্কশ ভঙ্গি পাল্টে বাহারি ফুলের রং, রস আর গন্ধে সেজেছে ঢাকা। সংসদ ভবন, গণভবন, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা পার্ক, শ্যামলী, মিরপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাহারি ফুলের এই আনাগোনা পথচারীদের মন ভরায়। শুধু উদ্যান নয় রাস্তায় মাঝের আইল্যান্ডে ফুটেছে লাল, গোলাপি আর সাদা রঙ্গন। মিরপুর-১ গোল চত্বর ভরে গেছে ফুলেল শোভায়। কাঠ গোলাপের সাদা মায়া মনকে করে তোলে আবেগি, জন্ম দেয় অনুভূতির। কালশী মোড় পার হয়ে এসে চোখ আটকায় সদ্য স্নাত কদম ফুলের দিকে। বর্ষাকাল না পড়লেও রাজধানীর অবিরত বৃষ্টির ছোঁয়ায় হয়তো সময়ের আগেই জেগে উঠেছে সে। আর বাড়ির গেটে বাগান বিলাসের ঝলমলে আনাগোনা রঙিন করে তোলে চারপাশের পরিবেশ। চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, কৃষ্ণচূড়ার বৃন্ত থেকে দল ছাড়ছে নতুন শাখা। ফুলের ভাড়ে তাই পানিতে ভেসে উঠছে রক্তাভ প্রতিচ্ছবি। পাশের টগর গাছেও চোখ মেলেছে অসংখ্য ফুল। গাছের সর্বকনিষ্ঠ থেকে বৃদ্ধ শাখাও ডগমগিয়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের গৌরবে। বাহারি ফুলে বর্ণিল এখন রাজধানী ঢাকা।
↧