ফেশবুক ভাল না খারাপ এটা আমি জানি না।তবে সবাই বলে খারাপ।কোন ভবিষৎ নেই।যত্তসব রাবিশ কাজ।আমার মহান বাবার মতে,আগে শয়তান মানুষদের জাহান্নামে নেওয়ার জন্য খুবই খাটাখাটনি করতো।এখন সে পুলের পাশে বসে ওরেন্জস জুস খায় আর সান বাথ করে।কারণ মার্ক জুকারবার্ক এর বানানো ফেশবুক তার কাজ সহজ করে দিয়েছে।শয়তানের খাটাখাটনি কমেছে।আর তাই আমি শয়তানের কাজটাকে একটু কঠিন করতে ফেশবুক চালাই না।তবে ইমো,হোয়াটস অ্যাপ,ইন্সটাগ্রাম,স্কাইপি,ভাইবার চালাই। বর্তমানে আমি প্রজন্ম ফোরামের একজন সদস্য।অনেক অনেক পোস্ট করিনি।কম ও করিনি।২ ১ জন বাদে কেউ তেমন কমেন্ট টমেন্ট করেনি।যারা করেছেন তাদের ধন্যবাদ।আর যারা করেননি তাদের ও ধন্যবাদ।
আমার বাবা তার দু চোখের এক চোখে ও ফেশবুক সহ্য করতে পারেন না।তাই বলিহারি আমি নীল রং এর জামা কিনতে গেলেই তিনি কটমট চোখে তাকান।
আমার বাসায় ওয়াই ফাই কানেকশন আছে।এই কানেকশন নিতে আমাকে শিবের মুনী ঋষিদের ন্যায় সাধনা করতে হয়েছে।আমার স্মাট ফোনের সাথে সাথে একটা ট্যাব ও আছে।যা নিয়মিত আমাকে ফ্রি বকা খাওয়ায়।এজন্য আমি রাতে না খেয়েই থাকি।রোজ রাতে বকা খেলে আর কি লাগে বলুন?
আমার বাবা যে সেক্টরে কাজ করে তার অধিকাংশ কাজই সোসাল মিডিয়া ভিক্তিক।প্রযুক্তিগত।কিন্তু তিনি সেই মান্ধাতা আমলেই আছেন।আমার তাাতে আপত্তি নেই।কিন্তু তিনি যখন পুরো পরিবারকে মান্ধাতার আমলে নিয়ে যেতে চান,আমি বিশাল আপত্তি করায় আমার প্রযুক্তি ছিনিয়ে আলমারিতে তালাবদ্ধ করা হয়।
আমার বড় বোন,যার বিখ্যাত ফোন ডাইনিং ছাড়া কোথাও ওয়াই ফাই কানেকশন পায় না,সে যখন ফেশবুকিং সহ নানান কিছ করে,তখন আমার বাবার সামনেই করতে হয়,যার বকা আমাকে খেতে হয়।কারণ ছোটদের সবাই বকে।বড়দের কেউ বকে না।
প্রতিদিন রাতে আমাদের ফোন সিজ করা হয়।তাই আমার কোন বফ টিকে না।কারণ সকলেই রাতে কথা বলতে চায়
আমি বফ ছাড়া জীবন কাটাচ্ছি।আনন্দময় এবং বিষাদময়।কারন কোন প্যারা যেমন নেই,তেমই কোন প্রেম নেই।
আমি হলাম অস্থির একজন মানুষ।কলেজে আমার নাম ছিলো " কথিলা"
শিথিলা=কথিলা,বাংলা ভাষার এক বিশাল পরিবর্তন আমাকে মর্মাহত করেছে,কারণ আমি সকল বিষয়ের মধ্যে বাংলাতেই ভালো আর অর্নাস এ বাংলা পড়ার ইচ্ছায় আছি যদিও আমার মহান বাবা চান আমি ইংরেজিতে পড়ি
আমার অস্থিরতার জন্য কেউ আমার পাশে থাকে না।সাবেক বফরা আমাকে " পাগলী" খ্যাতি দিয়ে চলে গেছে,যা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই।
আমার জীবন অতি প্যারময়।লাইক "হযবরল"। তাও আমি সুখি।অনেক অনেক সুখী নিজেকে নিয়ে।
( আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমি "হযবরল" এর আরো পর্ব বের করতে চাই)