Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০২

$
0
0

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
http://i.imgur.com/uY2bhBD.jpg
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।

পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।

==================================================================================

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০২

বাবর বুঝতে পারে সুলতানহীন সমরকন্দ দখলে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ। কিন্তু ফারগানার নিজস্ব সৈন্য কম থাকায় সমরকন্দ দখলে সমস্যা হবে ভেবে প্রধান সেনাপতির পরামর্শে বাবর পাহাড়ি গোত্রগুলি থেকে ভাড়াটে সৈন্য যোগার করে। বাবর যখন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে সমরকন্দের দিকে রওনা হয় তখন তার বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। মূল বাহিনীকে পিছনে ফেলে অল্প কিছু সৈন্য নিয়ে বাবর যখন সমরকন্দ শহরের কাছে চলে আসে তখন দেখে সেখানে শহরের বাইরে আগেই বাবরের চেয়ে কয়েক বছরের বড় চাচাতো ভাই কুন্দুজের শাহজাদা মাহমুদ এসে তাঁবু গেড়েছে। বাবরের সাথে মাহমুদের খুবই ভালো সম্পর্ক। মাহমুদ ভালোবাসে সমরকন্দের উজিরের মেয়েকে। সে এসেছিলো উজিরের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে। কিন্তু সুলতান মারা যাওয়ার পরে উজির নিজেকেই সুলতান বলে ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। মাহমুদ শহরেই ঢুকতে পারে নি। এবার দুই ভাই সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি উদ্দেশে একসাথে কাজে নামে। কিন্তু সমরকন্দের প্রাচীর ভেঙ্গে তারা শহরে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে শিগ্রই শীত এসে পরায় বাবর ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে নিজের রাজ্যে।


পরের বছর কিশোর বাবর প্রায় যৌবনের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত। এবার ভাড়াটে সৈন্যের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় ৮ হাজার সৈন্য নিয়ে আবার সমরকন্দ উপস্থিত হয়। নিজের রাজ্যের ভার দিয়ে আসেন নতুন বিশ্বাসী উজির কাশেমের হাতে। কিন্তু এবারও বাবর শহরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়। সে যেখান দিয়ে প্রাচীর টপকাতে চেষ্টা করে সেখানে সমরকন্দের সৈন্য উপস্থিত থাকে, যেখান দিয়ে সুরঙ্গ করে সেখানেই শত্রু সৈন্য হাজির হয়ে যায়। বাবর বুঝতে পারে তার দলে সমরকন্দের গুপ্তচর লুকিয়ে আছে। তবে বাবরের গুপ্তচরও আছে সমরকন্দের ভিতরে। এতো দিন অবরোধ করে রাখার কারণে ভিতরে খাদ্য ও পানীয়ের অভাব দেখা দিলে যখন গুপ্ত পথে সমরকন্দের লোক শহর থেকে বের হবে তখন তারা সেই গুপ্তপথ চিনে নিতে পারবে। তাহলে বাবরের সৈন্যরা সেই পথে ভিতরে ঢুকতে পারবে।


একদিন ভোরে বাবর তাবুতে ফিরে দেখে দুজন সৈন্য পাশের গ্রাম থেকে এক কৃষকের কিছু মালামাল লুট করে এনেছে। কৃষকটি তাবুতে এসেছে বিচারের আশায়, কিন্তু তখন লুটেরা দু’জন সৈন্য তাকে নির্যাতন করতে শুরু করে। বাবর সাথে সাথে সৈন্য দু’জনকে হত্যার আদেশ দেন, কারণ তিনি আগেই আইন জারি করেছেন কোন গ্রামে বা কোন লোকের সম্পত্তি লুট করা যাবে না। কৃষকটি খুশী হয়ে বাবরকে জানায় সে একটি গোপন সুরঙ্গের কথা জানে। সেই সুরঙ্গ দিয়ে খুব সহজেই শহরের ভিতরে ঢুকা সম্ভব। বাবর খুশী হয়ে কৃষককে উপহার দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন। সেদিন রাতেই বাবর তার সেনাপতির পরামর্শ অগ্রাহ্য করে কৃষকের বলা সেই গোপন পথে এক দরিদ্র কৃষক সন্তানের বেশে শহরের ভিতরে ঢুকে পরে। সকালে বাবর দেখে শহরে খুবই অভাব চলছে খাবারের। অনাহারে সবাই দুর্বল, শুধু সৈন্যরা পর্যাপ্ত খাবারের গুনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।  লোকেরা অপেক্ষায় আছে শীত এলে গত বছরের মত এবারও শত্রুরা চলে যাবে, তখন তারা আবার খাদ্য মজুদ করতে পারবে।


শহরে ঘুরতে ঘুরতে বাবর পৌছায় উজিরের দুর্গ প্রাসাদের কাছে। তখন পিছন থেকে হাজির হয় ডানহাত বিহীন এক সৈন্য সরদার “বাইসানগার”। এই সর্দারই মৃত সুলতানের আদেশে বাবরের কাছে তৈমুরের আংটি পৌঁছে দিয়ে ছিল। সেই অপরাধে উজির তার একটি হাত কেটে দেয়। সে বাবরকে প্রস্তাব দেয় সমরকন্দ বাবরকে দখল করিয়ে দিতে সে বাবরকে সাহায্য করবে, কিন্তু বিনিময়ে উজিরকে তার হাতে ছেড়ে দিতে হবে। বাইসানগারের প্রস্তাবে বাবর রাজি হন। বাইসানগার জানায় সে দূর্গের একটি প্রবেশদারের পাহারায় আছে। নির্দিষ্ট সময়ে সেই দরজা সে খুলে দিয়ে বাবরের সৈন্যদের শহরের ভিতরে প্রবেশের সুযোগ করে দিবে।


কথামত সময়ে বাবর তার সৈন্যদল নিয়ে যথা স্থানে উপস্থিত হয়ে সংকেত দেয়। আরো ৪০০ সৈন্য বাবরের ব্যবহার করা সেই গোপন সুরঙ্গ দিয়ে শহরের দিকে এগিয়ে যায়। যথা সময়ে বাইসানগার গেইট খুলে দেয়। কিন্তু বাবরের এই গোপন আক্রমণের কথা গুপ্তচরদের কারণে প্রচার হয়ে যায়। তবুও বাইসানগারের দেখানো পথে যুদ্ধ করতে করতে বাবর তার দল নিয়ে শেষ পর্যন্ত লুকিয়ে থাকা উজিরের সামনে হাজির হয়। সমরকন্দ বিজয় নিশ্চিত করে বাবর তার কথা অনুযায়ী পরাজিত উজিরকে তুলে দেয় বাইসানগারের হাতে। উজিরের যে কন্যার জন্য বাবরের চাচাতো ভাই মাহমুদ দিওয়ানা হয়ে ছিলো সেই কন্যাকে ভেট হিসেবে পাঠিয়ে দেয় চাচাত  ভাই মাহমুদের কাছে। আর উজিরের মৃত দেহ দূর্গের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।


অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) : পর্ব - ০১,
-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------


আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার

তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি

কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরীর

মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>