অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।
পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।
==================================================================================
অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৩
এদিকে কয়েকদিন পরে বাবর তার নানীর কাছ থেকে পাওয়া চিঠিতে জানতে পারে তার জন্মভূমি ফারগানা এখন তারই রক্তসম্পকের ভাই তামবাল চক্রান্ত করে বাবরের বাবার জারজ শিশু ছেলে জাহাঙ্গীরকে সিংহাসনে বসিয়ে দখল করে নিয়েছে। বাবরের মা, বোন, নানী আর উজির কাশিমকে বন্দী করে রেখেছে। বাবর তার সেনাপতি ওয়াজির খানকে নির্দেশ দেয় ২,০০০ সৈন্যের একটি দল প্রস্তুত করতে ফারগানায় যাওয়ার জন্য। বাকি সৈন্যদের নিয়ে বাইসানগার থাকবে সমরকন্দের সুরক্ষার জন্য। সমরকন্দে সম্রাটের প্রতিনিধি হিসেবে থাকবে আলি মজিদ বেগ। সাতদিন পরে মূল সৈন্য দল নিয়ে বাইসানগার বাবরের সাথে যোগ দিবে।
বাবর ফারগানার দিকে রওনা হওয়ার কয়েক দিন পরেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫ দিন অচেতন হয়ে পরে থাকে।সেনাপতি ওয়াজির খানের সেবা ও যত্নে সুস্থ হয়ে আবার এগুতে থাকে। ফারগানার দুর্গের কাছাকাছি গিয়ে বাবর অপেক্ষা করে মূল সৈন্যদল আসার। তখন দেখতে পায় বাইসানগার এসে উপস্থিত হয়েছে। সে জানায় বাবর চলে আসার পরে যখন বাইসানগার তার সৈন্যদের নিয়ে রওনা হয় তখন সুযোগ বুঝে মাহমুদ তার সৈন্যদের নিয়ে প্রায় অরক্ষিত সমরকন্দ হামলা করে। খবর পেয়ে বাইসানগার তার সৈন্যদের নিয়ে ফিরে গিয়ে যুদ্ধ করতে যায়। কিন্তু আগের উজিরের মেয়ে শহরের অনেক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ও রাজকর্মচারীদের লোভ দেখিয়ে ঘুষ দিয়ে হাত করে নিয়ে ছিল। ফলে মাহমুদরা ভিতর থেকে সাহায্য পায়। বাবরের বিশ্বস্ত সকলকে হত্যা করা হয়েছে। বাবরের সমস্ত সৈন্যদের হত্যা করেছে। আর কোন সৈন্য আসবেনা বাবরকে সাহায্য করার জন্য। সমরকন্দ দখলের ঠিক ১০০ দিন পরেই বাবর তা আবার হারিয়ে ফেলে। সমরকন্দের সাথে সাথে তার নিজের ফারগানাও এখন অন্যের দখলে।
এদিকে শীতকাল সমাগত। বাবর তার সৈন্যদের ছুটি দিয়ে বাড়িতে অবস্থান করতে বলে তার পরপর্তী নির্দেশের জন্য। মাত্র ২০০জন সৈন্য নিয়ে বাবর আর ওয়াজির খান প্রত্যন্ত এক পাহাড়ি ঢালের মাটির একটি দুর্গ দখল করে নেয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে নানান ছোট ছোট দুর্গ, গ্রাম বাবর দখল করতে থাকে। দেখতে দেখতে ২০ মাস পর হয়ে যায়। বাবর গ্রামের পর গ্রামে আক্রমণ করে বিশ্বাসঘাকতদের শাস্তি দেয়। আর তামবালের কাছে সংবাদ পাঠায় তার পরিবারের সদস্যদের মুক্তি দিলে এক বছর সে কোন আক্রমণ করবে না। শেষে তামবাল ভয় পেয়ে বাবরের ননী, মা আর বোন খানজাদাকে বাবরের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
নানীর কাছে বাবর জানতে পারে বাবর সমরকন্দ দখলের পরে তামবাল ও বাবরের চাচাতো ভাই মাহমুদ তার স্ত্রী উজিরের মেয়ের চাপাচাপিতেই চক্রান্ত করে। তামবাল ফারগান দখল করেছে শুনে যখন বাবর তার সৈন্যদের নিয়ে বেরিয়ে গেছে তখন মাহমুদ সমরকন্দ দখল করে নেয়। নানী আর মা বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৭ বছরের বাবরের বিয়ের জন্য সংবাদ পাঠায় পছন্দের পরিবারগুলিতে। একটি গোত্রপ্রধানের পরিবার থেকে সুসংবাদ আসে। জামমিনের মঙ্গলীয় শাসক সরদার ইব্রাহীম সারুর বড় মেয়ে আয়শার সাথে বাবরের বিয়ে ঠিক হয়। আয়শা বাবরের চেয়ে বয়সে দুই বছরের বড়, তাছাড়া আয়শা দেখতে কেমন তা কেউ জানেনা পর্যন্ত। কিন্তু ইব্রাহীমের দক্ষ সৈন্যদল আর চৌকশ তীরন্দাজ বাহিনীর কথা সবাই জানে। আয়শাকে বিয়ে করলে বাবর সেই সব সৈন্যদের নিয়ে সহজেই চারপাশ থেকে দখল করে নেয়া ফারগানার দুর্গে আক্রমণ করে জাহাঙ্গীর ও তামবালকে পরাজিত করে নিজের রাজ্য আবার দখল করে নিতে পারবে। আর আয়শাকে পছন্দ নাহলে পরে আরো বিয়ে করতে বা উপপত্নী রাখতে কোন সমস্যা হবে না।
মোটামুটি ধুমধামের সাথেই বিয়ে হয়ে যায় বাবর আর আয়শার। কিন্তু বাসর রাতেই বাবর আবিষ্কার করে তার নবপত্নী আয়শা সঙ্গমের সময় খুবই নির্লিপ্ত। শুধু সঙ্গম নয় বরং পরবর্তীতে বাবর লক্ষ্য করে বাবর সামনে আসলেই এক উদাসীন নির্লিপ্ততা আয়শার মাঝে ঝাপিয়ে আসে। বাবরের সাথে আয়শার সম্পর্ক কোন ভাবেই সামনে গড়ায় না। বাবরও দূরে দূরে থাকতে থাকে। অন্য দিকে আয়শার বাবা ইব্রাহীমের কাছে যখনই তীরন্দাজ বাহিনীর জন্য সংবাদ পাঠানো জয় তখনই সে উত্তর দেয় শীঘ্রই তীরন্দাজ বাহিনী আসবে, কিন্তু তা আর আসেনা। তাই বাবর ঠিক করে তীরন্দাজ বাহিনী ছাড়াই সে ফারগানার তামবালের দখলকৃত দুর্গ আক্রমণ করবে।
এর মধ্যে ঘটনা চক্রে বাবরের সাথে পরিচয় হয় এক ভবঘুরে যুবক বাবুরীর। বাবরের আদেশে বাবরীকে অশ্বারোহী সৈন্য হিসেবে ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করা হয়। বাবরীর সাথে বাবরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। রাতে দু’জনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ঘোড়া নিয়ে বের হয় কৃষকের বেশে। এভাবে পত্নীর সোহাগ বঞ্চিত বাবর একসময় পৌঁছে যায় একটি গণিকালয়ে। সেখানে বাবরের ভাব হয় “ইয়াদগার” নামের এক মেয়ের সাথে। মাঝে মাঝে বাবর চলে যায় ইয়াদগারের কাছে। সমস্ত পরিপাশিকতা ভুলে কিছুটা সময় রঙ্গীন হয়ে উঠে বারবের ইয়াদগারের সাহচার্যে।
অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) : পর্ব - ০১, পর্ব - ০২,
-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার
তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি
মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ