তরুণ ছাত্রসমাজ দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। দেশের আশা ভরসার স্থল। দেশ ও জাতিকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য যথার্থ শিক্ষার মাধ্যমে জনগোষ্ঠিকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে ছাত্রসমাজই ভরসা। বাঙালি জাতির গৌরবময় ইতিহাস ও সোনালী অর্জনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে বাঙালিদের অধিকার আদায় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যেসব আন্দোলন সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছে, উদাহারণ স্বরূপ ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভুত্থান, ৭০ এর সাধারন নির্বাচন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচারি বিরোধী আন্দোলন এবং ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার হঠাতে মূল চালিকা শক্তি ছিল ছাত্রসমাজ। বর্তমান সময়ের অন্যতম সমস্যা জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এই লক্ষ্য অর্জনে ছাত্র সমাজের করণীয়গুলো নিম্মে আলোকপাত করা হলোঃ
* ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা ও পালনের মাধ্যমে ধর্মান্ধতা ও ধর্মের অপব্যাখ্যা দূরীকরণ।
* নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকায় জঙ্গিবাদের কুফলগুলো তুলে ধরে এবং গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সভা, সেমিনার ও মানববন্ধন ইত্যাদির আয়োজন করা।
* গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
* আমাদের নিজস্ব বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
* শরীরচর্চা সহ দেশি ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করা।
* নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসনকে জঙ্গিবাদ নির্মূলে সহায়তা করা।
* মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপসনালয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী মতামত এবং সঠিক ধর্মীয় অনুশাসন সম্পর্কে জ্ঞাত করা।
সুন্দর, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় আধুনিক রাষ্ট্রের জন্য জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আমাদের নৈতিক ও নাগরিক দায়িত্ব। সবুজ শ্যামল বাংলায় জঙ্গিবাদের কলঙ্ক মুছে দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এই প্রত্যাশায় এখন থেকেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে দূর্বার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।