Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে

$
0
0

রাজনৈতিক চর্চার মূল লক্ষ গণমানুষের সেবা, গণমানুষের কল্যাণকামী মানসিকতায় উজ্জীবিত এক আদর্শিক সংগ্রাম। এ কারণেই যিনি রাজনীতি করেন, ধরে নেয়া হয় তিনি মানুষের সেবার জন্যই নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবেন, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করবেন। প্রয়োজনে জেল খাটবেন, এমনকি জীবনও বিসর্জন দেবেন। একজন খাঁটি রাজনীতিবিদের নিজের বলে কিছু থাকে না। নিজের ঘরে অভাব অনটন রেখেও অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। একজন আদর্শ রাজনীতিবিদের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের পক্ষ হয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া। নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘চল চল চল’ কিংবা ভুপেন হাজারিকার ‘মানুষ মানুষের জন্য’ শীর্ষক বিখ্যাত সঙ্গীতগুলো প্রতিটি রাজনীতিবিদের জন্যই এক অনির্বাণ প্রেরণার অফুরন্ত উৎস। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠির নেতাদের কর্মকান্ডে এ ধরনের আদর্শিক রাজনীতির ছিটে-ফোঁটাও দেখা যায় না। তাদের কার্যক্রমে বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ ভাবতে শুরু করেছে এই মানুষগুলো এ পৃথিবীর কেউ নাকি মহাশূণ্য থেকে উড়ে আসা বিজাতীয় এলিয়েন। তবে বহুরুপী গিরগিটির মতো ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো, আদর্শিক মানদন্ডে জনতার ধিক্কারে মূলধারার রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হওয়া এই নির্লজ্জ মানসিকতার মানুষগুলোর মুখে এখনও শোনা যায়, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই নাকি তারা রাজনীতি করে। নিকট অতীতে দুনীর্তি আর ক্ষমতার অপব্যবহারে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলাতে আজ যখন গণতান্ত্রিক সরকারের উপস্থিতিতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদালতের রায়ে তাদের অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ কেড়ে নেয়া হয়েছে কিংবা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে তখন তাদের ত্রাহি রবে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কি লাভ হবে এসব করে? আইন তার স্বাভাবিক নিয়েমেই চলবে। দীর্ঘ অনাচারে পাপের যে বোঝা তারা ভারি করেছে তার দায়ভার তাদের নিতেই হবে – এটাই বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আসলে তারা তো কখনো দুঃখী মানুষের পক্ষে রাজনীতি করেনি, করেছে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের রাজনীতি। দুঃখী মানুষকে তারা ব্যবহার করেছে ক্ষমতায় আরোহণের সিঁড়ি হিসেবে। দুঃখী মানুষের জন্য তাদের মুখে এতো মায়াকান্না, কিন্তু তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে তারা কখনো কোন পদক্ষেপ নিয়েছিল কি? নেয়নি, কারণ এরা না থাকলে যে তাদের রাজনীতিও থাকে না। কাজেই দেশে যত বেশি দুঃখী মানুষ, তত বেশি তাদের রাজনৈতিক সুবিধা। দুঃখী মানুষ যদি নাই থাকে, তবে তারা রাজনীতি করবে কী দিয়ে? কাজেই তাদের অপ-রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতেই তারা দেশে দুঃখী মানুষকে টিকিয়ে রেখেছে। নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে নিশ্চিত করেছে বস্তি ও উদ্বাস্তু মানুষের মিছিল। তাদের ঐ চানক্য রাজনীতির কারণেই দেশ এতোটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে রাষ্ট্রক্ষমতায় বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের অধিষ্ঠানে ক্রমশঃ বদলে যাচ্ছে এ দেশের রাজনীতির ধারা। রাজনীতিতে ফিরে এসেছে আর্দশিক চেতনা, এদেশে এখন গণমানুষের কল্যাণকামী রাজনীতি বিকশিত হয়েছে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে নানা সময়োপযোগী পরিবর্তনে তাই রাজনীতিতে অর্থনীতি প্রধান হয়ে উঠেছে। উন্নত বিশ্বের আদলে দেশের সার্বিক উন্নতি নিশ্চিত করতে দেশের গণমানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জনরায়ে নির্বাচিত বর্তমান সরকার তাদের পুরো রাজনীতিকে ক্রমশঃ অর্থনীতি কেন্দ্রিক করে তুলছে। তবে দেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ় প্রাতিষ্ঠানিক  রুপ দিতে নির্বাচন কীভাবে হবে, বিরোধী দল রাজনীতি করতে পারছে কিনা, কোথাও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে কিনা এ সকল মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিও সজাগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দল। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির নানা ফিরিস্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকে না। তারা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে। আর সে কারণেই অতীতের দুঃশাসনের সেই ক্রান্তিকালে কানাগলিতে আটকে থাকা সময়কে পেছনে ফেলে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>