স্থানঃ পান্থপথ
সময়ঃ আজ (১৩ নভেম্বর) বিকাল
ঘটনাঃ
ফুরফুরে আবহাওয়া। তাই পান্থপথে বের হলাম একটু রাউন্ড দেবার জন্য। কেউ আবার মনে করেন না যে আমি ললনা দর্শন করতে বের হয়েছি ।
পান্থপথ সিগনালের কাছে গেলে দেখলাম একটা মিছিল আসছে। তেমন বড় না। শ্লোগান দেখে বুঝলাম জামাতের মিছিল। সাথে সাথে ট্রাফিক পুলিশ একটিভ হয়ে গেল। ওয়্যারলেসে চিৎকার শুরু করলো। কিছু বোঝার আগেই রাস্তার সব মানুষ দৌড় শুরু করলো, দেখা দেখি আমিও পাবলিকের পিছে দৌড় । মানুষ সব অফিস ও দোকান গুলোতে ঢুকছে। আমিও তাদের পিছে পিছে দৌড়ে হোপ ফার্মা নামক ওষুধের দোকানে ঢুকলাম।
এক মিনিটে বিশাল দোকান ফুল হয়ে গেল। আমাদের সাথে ইয়াং দুইটা সার্জেন্ট দোকানে ঢুকলো। সাথে সাথে দোকানের শাটার বন্ধ হয়ে গেল। দুই পুলিশ লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। দোকানের ভেতরে দাড়ি-টুপি ওয়ালা এক লোকে সবাই আড়চোখে দেখছে তাই সেও বিব্রত। শাটার বন্ধ তিন মিনিট। বাইরে কি হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। সেই ফাকে বাসার প্রয়োজনিয় কিছু ওষুধ কিনলাম যাতে রাস্তায় পুলিশ ধরলে বলতে পারি যে ওষুধ কিনতে বের হয়েছি । এরপরে শুরু হলো সাইরেনের আওয়াজ। শাটার খুলে পুলিশ বের হলো। দোকানের ভেতরের লোকেরাও দোকানের সিড়িতে বের হলো। তাদের পিছে পিছে আমিও বের হলাম। চার দিকে RAB আর RAB। কিন্তু জামাতের নাম নিশানা নাই। কিছু দূর হতে দেখলাম "জয় বাংলা" "জয় বাংলা" করতে করতে কিছু পোলাপান আসছে।
কিন্তু অফিস ও দোকান হতে সব মানুষ বের হয়ে যার যার কাজে যাচ্ছে না। আবারো জামাতের মিছিল বের হয় কিনা তার অপেক্ষা করছে। মানে সবাই একটু মজা দেখার অপেক্ষা করছে। পাঁচ মিনিটেও কিছু না হওয়াতে সবার সাথে আমিও বাসার দিকে পা বাড়ালাম। একশন দেখা হলো না দেখে সবাই কে হতাশ মনে হলো ।
জামাত ও শিবির কে উদ্দেশেঃ বয়েজ তোমরা পেরেছ । এখন তোমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল দেখলেও আমজনতা ও পুলিশ পালায়। ভোটের সময় ভোট চাইতে গেলেও পাবলিক পালাবে। দেখা হবে ভোটের দিনে।