Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

উইকনেস

$
0
0

অপাঃ হ্যলো।
অমিঃ হমম…কী করো?
অপাঃ এইতো শয়তানি করলাম অনেক, এখনো অনেক পড়া বাকি।
অমিঃ পড় তাহলে। ডিস্টার্ব না করি।
অপাঃ আরে, হয়ে যাবে। তোমার খবর কী বলো। ফেসবুকে আমার আজকের ছবিটা দেখছ?
অমিঃ দেখলাম। স্মার্ট। খুব মজায় আছ না?
অপাঃ মেডিকেলে পড়লে বুঝতে মজা কাকে বলে।
অমিঃ কে পড়তে বলছিল তোমাকে?এনিওয়ে, রিফাতের সাথে দেখা হয়?
অপাঃ হ্যা। আজ আসছিল। ক্যন্টিনে বসে খাওয়াদাওয়া করলাম।
অমিঃ ভালো। কত বয়ফ্রেন্ড তোমার !!
অপাঃ মার খাবা।
চলতে খাকে ওদের কথা। সপ্তাহে এক বার, সপ্তাহে একাধিকবার, দিনে একবার তারপর দিনে একাধিকবার!
কয়েক মাস পরের কথাঃ
অপাঃ ফোন ধরছিলে না কেন?
অমিঃ স্যরি। শরীরটা ভালো ছিল না। ঘুমিয়ে ছিলাম। তুমি অনেকবার ফোন দিয়েছ, তাই না?
অপাঃ হ্য। আচ্ছা, একটা মেসেজতো করতে পারতে?
অমিঃ স্যরি বললামতো।
অপাঃ টেনশনে ছিলাম খুব।
অমিঃ একটা সত্যি কথা বলবে?
অপাঃ কী?
অমিঃ তোমার সাথেতো আমি অনেক ফ্রি। তুমিও। সত্যি করে বলেতো, তুমি কি আমার প্রতি কিছুটা উইক?
অপাঃ একটু।তুমি ?
অমিঃ জানিনা। বাদ দাও, রিফাতের কী খবর?
অপাঃ এইতো। কাল আসছিল, আসলে ও মেডিকেলে পড়েতো, ওর সাথে অনেক কিছুই শেয়ার করতে পারি, যা তোমার সাথে পারি না।
অমিঃ হুম।আমার মনে হয় তুমি রিফাতের প্রতিও বেশ উইক। তাই না?
অপাঃ অস্বীকার করব না। কথা সত্য।
আবার কেটে গেল কিছু দিন। রিফাতের সাথে যোগাযোগটা বেশ ভালোই হয় অপার, বুঝতে পারলো অমি। কিছু করার নেই, রিফাত আর অপা দুজনই থাকে ঢাকায়। আর অমি থাকে দিনাজপুর। তারা দুজনই ডাক্তার হবে। আর সে হবে সাধারন গ্র্যাজুয়েট।
যদিও ধর্মটা তাদের একনা। কিন্তু, অপা আর অমির এক।
অপাঃ রিফাত আর আমার ধর্মটা এক না জন্যই, ওর সাথে আমি এত বেশি মিশি। জানি কোনদিন কিছু হবে না।
অমিঃ ওর প্রতি তুমি একটু বেশি উইক, তাই না?
অপাঃ বলতে পার।
অমিঃ জানতাম। সেতো ডাক্তার।আর……………
একটু ইমোশনাল হয়ে অমি বোধহয় আরো অনেক কিছুই বলে বসল। আর এই তাদের মনমানিল্য শুরু।
অমি নিজেকে বোঝালো, সে আর অপা শুধুই বন্ধু। এছাড়া কিছু না। তাহলে কোন অধিকারে সে অপার উপর রাগ দেখাচ্ছে?
অপাঃ রিফাতের কথাটা বলার পর থেকে তুমি আমাকে অনেক হার্ট করে কথা বলছ, কেন?
অমিঃ স্যরি।
  অপা হঠাত কেমন হয়ে গেল। কয়েকবার ফোন ধরলো না। জানালো সে, রিফাতের সাথে ছিল। তাই ধরেনি। ফেসবুকে একটা ছবি দিয়ে জানালো, তার ঘারে যে হাতটা দেখা যাচ্ছে, সেটা রিফাতের।
  সবদেখেশুনে ভিন্ন ধরনের রিয়্যাকশন দেখালো অমি। খুব স্বভাবিক ব্যবহার করা শুরু করল। তারপর অতি সাবধানে, ইগনোর করতে শুরু করলো। বাস্তবতাতো বুঝতে হবে। অপার শীতল ব্যবহারের জবাব শীতল ব্যবহার দিয়েই দিতে লাগলো। কেটে গেল আরো কিছুদিন।

কিন্তু ঘটনা হলো ভিন্ন। কিছুদিন পর কাঁদতে কাঁদতে ফোন দিল অপা। জানালো, রিফাতের ব্যপারে যা কিছু বলেছে, তা মিথ্যা।
অমিঃ তাই। তুমি মিথ্যা কথা বল, আগেতো জানতাম না।
অপাঃ বিশ্বাস করো এসব আমি করেছি বিশেষ কারনে।
অমিঃ কী সেই কারন। শুনি?
অপাঃ রিফাত আমার ভালো বন্ধু, কিন্তু ওর উপরতো আমি উইক না। তুমি আমার প্রতি উইক কিনা জানতে চাইলাম, বললেনা কিছু। তাই একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলাম। ওসব বলে ।দেখলাম তোমার রিয়্যকাশন।
অমিঃ তা কী দেখলে।
অপাঃ তোমার আর কী দেখব?? আমি নিজের রিয়অ্যাকশন দেখেই অস্থির!!
অমিঃ তাই?
অপাঃ এই অভিনয় করতে যে কম বেগ পেতে হয়নি আমাকে। প্লিজ,বল তুমিও খুব কষ্ট পেয়েছ ।বল
অমিঃ পেয়েছি।
অপাঃ কতো? বল অনেক কষ্ট পেয়েছ?
অমিঃ অনেক কষ্ট পেয়েছি।আমার সাথে থাকলে তোমাকে এভাবে কষ্টই পেতে হবে।
অপাঃ খুব শান্তি পেলাম শুনে।
অমিঃ সারা জীবন এরকম কষ্ট দিতে চাও আমাকে? সারাজীবন?
অপাঃ চাই। তুমি?
অমিঃ আমিও।
অপাঃ সত্যি?
অমিঃ সত্যি।


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>