চোখে জড়ানো ঘুমের আবেশ
সূয্যি মামার কিরণে নাই কোনো তেজ।
পুব আকাশে হঠাৎ রবির কিরণ করে উঠে ঝলমল
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু করে টলমল ।
গাছ হতে সদ্য নামানো খেজুরের রস
পাশে কল-কাকলীদের চোখে মুখে হরষ।
ঝলমলে রোদে বিছিয়ে পাটি
নিচে চাপা দিয়ে কুয়াশায় ভেজা মাটি।
মিঠা রোদে ভাইবোনেরা গল্প গুজবে মশগুল
চারদিকে কর্ম ব্যস্ত মানুষগুলোর কাজে যাওয়ার পড়ে হুলস্থুল।
কোনো সকালে ভাপা, আবার কোনো সকালে পাটি সাপটা
আবার কখনো পুলি, কখনো বা তেলের পিঠা।
ক্ষেত হতে সদ্য তোলা সবজি দিয়ে গরম ভাত
আজো যেন জিভে লেগে আছে সেই স্বাদ।
মাঠের পর মাঠ চোখ জুড়ানো সোনালী ধান
ঝিরঝির হাওয়ায় দুলানো ক্ষেত দেখে জুড়ায় প্রান।
শহরের কৃত্তিমতার নিদারুণ চাপে
শীতের সকাল প্রকাশ পায় না তার নিজস্ব রূপে।
গ্রামের মত নেই এখানে কুয়াশার স্নিগ্ধ জৌলুস
ছদ্মবেশী মানুষের ভীড়ে শীতও যেন পড়ে আছে খোলস।
এখানে কুয়াশার বুক ছিঁড়ে ভেসে আসে ভোরের বাস
বাদুড় ঝুলা হয়ে মানুষ ছুটে কর্মের সন্ধানে, এভাবেই চলে যায় শীতের মাস।