Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধিতে পশ্চিমাদের ছাড়িয়ে যাবে

$
0
0

আমি দেশ নিয়ে একটু বাতিক গ্রস্থের মতই আশাবাদী। ক্রিকেট খেলায় দলের অবস্থা যতই খারাপ হক, তারপরও কেন যেন আশা করতে মন চায় বাংলাদেশ জিতবে। দেশকে নিয়ে কোন ভাল খবরে ভীষণ আনন্দ লাগে। আবার কেউ গালি দিলে সেই রকম খারাপ লাগে। যাইহোক নীচের খবরটা খুব ভাল লাগল। আশার পালে নতুন হাওয়া দিল-

দেশগুলো জনসংখ্যায় বড় বড়। আর এই বিপুল জনসংখ্যার বেশির ভাগই তরুণ। দেশগুলো বিনিয়োগ করছে শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে। তাদের প্রবৃদ্ধি যে হারে বাড়ছে, তা ঈর্ষান্বিত করে তুলেছে মন্দা ও খুঁড়িয়ে চলা অর্থনীতির পশ্চিমা দেশগুলোকে।
ওই বড় বড় দেশের প্রথমটি ছোট ভূখণ্ডের অধিকারী বাংলাদেশ। বাকিগুলো হলো: মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও ভিয়েতনাম।
অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, এই দেশগুলোর অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ তাদের প্রবৃদ্ধি পশ্চিমের উন্নত দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গত মঙ্গলবার গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একসময় যে দেশগুলো তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অভিহিত হতো, তারাই উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে প্রবৃদ্ধির হিসাবে এই দেশগুলোই শীর্ষ ২০-এর মধ্যে থাকবে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার টেকসই ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে অভিবাসীদের পাঠানো অর্থ।
এক দশকের বেশি সময় আগে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর ছোট্ট একটি তালিকা তৈরি করেন গোল্ডম্যান স্যসের জিম ও’নেইল। এতে ছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের নাম। ইংরেজিতে নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে তিনি দেশগুলোকে অভিহিত করেন ‘ব্রিক’। পরবর্তী সময় এতে যোগ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। তখন সংক্ষিপ্ত রূপটি দাঁড়ায় ‘ব্রিকস’। ব্রিকসের উত্তরসূরি হিসেবে ১১টি দেশের নতুন তালিকা তৈরি করেছেন ও’নেইল।
গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে আসছে। আর তাদের পিছু ধাওয়া করে ছুটছে এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার একসময়ের ‘তলাবিহীন’ ওই ১১টি দেশ। যার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
প্রাইসওয়াটারহাউস কুপারসের (পিডব্লিউসি) প্রধান অর্থনীতিবিদ জন হকসওয়ার্থসহ অনেক অর্থনীতিবিদের মতে, দেশগুলোর দ্রুত উন্নতির মূলে রয়েছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, মুদ্রাস্ফীতি ও বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ, মানব মূলধন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বিনিয়োগ, পশ্চিমা প্রযুক্তি আমদানি ও উন্নয়নে এর সফল ব্যবহার এবং নবীন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা।

সুত্র: প্রথম আলো 23.12.12


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles