হেলিকপ্টারের সাথে আমরা সবাই পরিচীত কিন্ত আমাদের মাঝে কত জন হেলিকপ্টার এর গঠন এবং এর বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে জনেন বলুনতো , আজকে আসুন একে একে জেনে নিই হেলিকপ্তারের গঠন এবং এর বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে-
এই পোষ্টে একটি সাধারন হেলিকপ্টার এর বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে আসুন জেনে নেই একটি হেলিকপ্টার এর মূল অংশগুলো কি কিঃ
১.মেইন রোটর।
২.টেইল রোটর।
৩.টেইল ফিনস।
৪.টেইল বুম।
৫.স্কীডস।
৬.ক্যানোপি।
৭.মাফলার
৮.ককপিট।
৯.ইঞ্জিন।
১০কেবিন।
১১.ফুয়েল ট্যাংক
১.মেইন রোটর:
হেলিকপ্টার এর উপরে দুটি ব্লেড এর সমন্বয়ে গঠিত যে রোটরটি(ঘুর্ণন পাখা) এটিকেই মেইন রোটর বলা হয়। মেইন রোটরে মূলত দুটি ব্লেড দেখা গেলেও এতে আরো রয়েছে স্পাইডার, স্লাইডার, ড্যাম্পার, পিচ কন্ট্রোল রোড, মাস্ট, এক্সটেনশন রোড, স্কিসরস আসি, সোয়াশ প্লেট, ফাইবার এবং প্যাডেল।
কাজঃ
■এটি হেলিকপ্টার এর ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে।
■এছাড়াও এটি হেলিকপ্টারকে উপরে উঠা ও নিচে নামায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
২.টেইল রোটর:
হেলিকপ্টার এর পেছন দিকে যে ছোট আরেকটি রোটর থাকে এটিকে বলা হয় টেইল রোটর। মূলত হেলিকপ্টার এর লেজের দিকের রোটর বলে এটিকে বলা হয় টেইল রোটর।
কাজঃ
■এর মূল কাজ হলো পাশ থেকে কোন বাতাস এসে যেন হেলিকপ্টার এর ভারসাম্য নষ্ট না করে এবং মেইন রোটর এর কাজে বিঘ্ন না ঘটায়।
■এছাড়া এটি হেলিকপ্টার এর মোড় নিতেও সহায়তা করে।
৩.টেইল ফিনস:
আমার জানামতে এই অংশটি সব হেলিকপ্টার এ থাকে না। পেছনে স্থির ব্লেড যা অনেকটা বিমানের ব্লেড এর মত তবে অনেক ছোট এটাই হল টেইল ফিনস। এটা ভারসাম্য রক্ষার জন্য তৈরী।
৪.টেইল বুম:
হেলিকপ্টার এর পেছন দিকে যে লম্বা লেজটি থাকে এটিকেই বলা হয় টেইল বুম। এটি মূলত ভারসাম্য রক্ষা এবং টেইল রোটর অথবা টেইল ফিনস এর কাঠামো তৈরীর জন্য তৈরী।
৫.স্কীডস:
হেলিকপ্টার এর নিচে ল্যান্ডিং এর জন্য যে পাতটি থাকে তাই হল স্কীড।
কাজঃ
■এটি ল্যান্ডিং এর জন্য ব্যাবহৃত। মূলত মাটিতে হেলিকপ্টারকে দাড়াতে অনেকটা পায়ের মত ব্যাবহৃত হয়।
৬.ক্যানোপি:
হেলিকপ্টার এর সম্মুখভাগে মুখের মত যে অংশ এটাকেই বলা হয় বলা হয় ক্যানোপি
৭.মাফলার:
হেলিকপ্টার এর গ্যাস জমা থাকার জন্য যে ট্যাংকটি থাকে স্কীড এর উপরে এটাকেই বলা হয় মাফলার।
৮.ককপিট:
হেলিকপ্টার এর পাইলট যেখানে বসে এটিকে নিয়ন্ত্রন করে তাকে বলা হয় ককপিট অন্যভাবে বললে এটি হেলিকপ্টারে পাইলটের বসার স্থান।
৯.ইঞ্জিন:
এটাতো মনে হয় আর বলার দরকার নেই তারপরও বলি এর মাধ্যমেই হেলিকপ্টার এবং তার সকল যান্ত্রিক অংশ নিয়ন্ত্রিত হয়। এখানে আর আছে মাফলার, গিয়ার, ক্ল্যাচ মাফলার।
কাজঃ
■হেলিকপ্টারকে পরিচালনা করা।
■সকল যান্ত্রিক অংশকে নিয়ন্ত্রন করা।
১০.কেবিন:
ককপিট এর পেছনে অন্যান্য আরোহী এবং মাল রাখার যে স্থানটি তাকেই বলা হয় কেবিন।
কাজঃ
■আরোহী এবং মাল রাখা হয় এখানে
১১.ফুয়েল ট্যাংক:
এখানে হেলিকপ্টারের চালনার জন্য ফুয়েল জমা থাকে।
ফটোসূত্রঃ ইন্টারনেট
তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া