[ একটু ঘ্যানর প্যানর ( যারা বিরক্ত বোধ করছেন তারা সরাসরি কবিতা পড়তে পারেন যদিও আদৌ পড়ার মতন হয়েছে কিনা জানি না )
সব লেখক , কবি ,গিতী কবিদের লেখার একটা কমন বিষয় থাকে তার মধ্যে অন্যতম মা । মাকে ঘিরে পৃথিবীতে কত অসংখ্য কত বিখ্যাত কবিতা , গল্প , উপন্যাস লেখা হয়েছে তা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। তার মধ্যে অন্যতম ম্যক্সিম গোর্কি এবং আনিসুল হকের মা উপন্যাস । এই দুইটা উপন্যাস এতটা আবেগ আপ্লুত যে , আমার নিজের মাকেও এই বই দুইটা পড়ে কাঁদতে দেখেছি।
সেখানে আমার মতন মুর্খ মানব মা কে নিয়ে লেখার শুধু একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বা সাধনাও বলতে পারেন । সেই চেষ্টার ছোট্র প্রয়াস এই দুটি কবিতা ।জানি না কতটুকুই বা পেরেছি , তবে আল্লাহ সহায় থাকলে হয়তো একদিন আমার কাঙ্খিত লেখাটা লেখতে সক্ষম হব বলেই আশাবাদী।
আমার এই কবিতা দুইটি আমার মা সহ বিশ্বের সকল মাকে উৎসর্গ করে বলতে চাই
“ মা , আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি ” ]
মা ১
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মা
দেখো চেয়ে তোমার খুব কাছে
চুপটি করে শুয়ে আছি তোমারই ঠিক পাশে
চারপায়া তোমার জাদুর খাটে
শক্ত করে ধরে আঙ্গুলটা তোমার
ছোট্র আমার এই হাতে।
আমি এখন যে খুব ছোট
পারি দিতে তবু হামাগুড়ি
যখন আরো একটু বড় হবো
পাখির মতন আমিও তখন
করব দেখো ঠিক উড়া উড়ি।
আমি এখন খুব ছোট
কথা কিছুই বলতে পারি না
আধো আধো যখন শিখব কথা
তোমায় ডাকব প্রথম মা।
আদর মাখা কোলে তোমার
দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ব যখন
আমার এই ছোট্র গালে
আদরমেখে দিও তখন।
তোমার মতন মাগো আমায়
করে নাতো কেউতো যতন
তোমার আদর, ভালোবাসায়
আলোকিত আমার এই ছোট্র ভূবন।
মা ২
তোমাকে নিয়ে লিখব বলে একটি কবিতা
ঠিক এমনি ভাবে কেটেছে আমার অনেক সকাল
হাতে নিয়ে তোমার অস্পষ্ট ছবিটা
কালের স্রোতে সময় বয়ে চলে গেছে
লিখতে পারি না , লেখা হয় না
বহুবার ভেবেছি এইবার আমি লিখবই লিখব
দৃঢ স্বংকল্পে টেবিল থেকে টেনে নিয়ে চেয়ারটা
কবিতার খাতা খুলে বসে থেকেছি
মস্তিস্কের একটি শব্দ কলম বেয়ে কালি হয়ে
আচড় দেই নি আমার বোবা খাতায়
কোন কৃত্রিমতা বা অকৃত্রিমতার উপমায়
তোমার তুলনা যে হয় না
তোমার স্নেহ , আদর, ভালোবাসা
বুঝানোর মতন কোন ভাষা পাওয়া যায় না
সিমাহীনের মাঝে তুমি যে অসীম
তুমি জান্নাত, সর্গোও যে তুমি
তুমি যে শুধুই একমাত্র তোমারই তুলনা
যে হারায় এ ব্যাথা সেই জানে
মায়ের মতন পৃথিবীতে আপন কেহ হয় না
হারায়ে খুঁজলে হয়তো সব পাওয়া যায়
মা হারালে কখোনই মা পাওয়া যায় না।
ফটোঃ সংগ্রিহীত