“দাদা, আপনার গল্পগুলো খুবই সুন্দর। আমার ইচ্ছে করছে, আপনার প্রতিটা গল্প নিয়ে একটা করে ফিল্ম বানাই।” মহা উচ্ছাস নিয়ে কথাগুলো বললো প্রীতি। আমি শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম। গল্প লেখার স্বভাব বেশ অনেকদিন ধরেই। তবে সেগুলো নিয়ে ফিল্ম বাণানো যেতে পারে, এরকরম চিন্তা কখনও আসেনি মাথায়। এদিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হওয়া এই মেয়েটার ছোটবেলা থেকে নেশাই হলো শর্ট ফিল্ম তৈরি করা। মাত্র কিছুদিন আগে তার তৈরি “ঝরা পাতার গল্প” মিনা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। মেয়েটা মহা উতসাহে আমাকে বললো আমি যেন একটা শর্ট ফিল্ম বানাই। তখনও ব্যপারটা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাইনি। যদিও আমাদের একটা প্রোডাকশন হাউজ আছে আমাদের, নাম “এলোমেলো ১১”!! আমরা সবকিছুতেই খুব এলোমেলো কি না!
যাইহোক, আমার এক ছোট ভাই সিফাতের সাথে ব্যপারটা শেয়ার করলাম। সিফাতও উতসাহ দিল। বললো, “দাদা, কাজটা করো। একটা ভাল থিম চিন্তা করো। তারপর কাজে নেমে যাও। আমি আছি!”
আমি যখন বেশ দ্বিধান্বিত ঠিক এরকম সময়েই প্রীতি আমাকে জানালো, “দাদা, মোবাইল অপারেটর রবি একটা শর্ট ফিল্ম কম্পিটিশন আয়োজন করেছে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে শর্ট ফিল্ম হতে হবে। আপনি প্লিজ একটা করেন।” প্রথমে রাজি ছিলাম না (আসলে ভয় পাচ্ছিলাম !) পরে সে কথা দিল, ক্যামেরায় সে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে। শুনে কিছুটা ভরসা পেলাম। ও নিজেও একটা করতে চেয়েছিল। কিন্তু, কিছু ঝামেলায় পরে সেটা আর ও করে উঠতে পারেনি।
যাইহোক, আমি ভাবতে শুরু করলাম গল্প। মাত্র পাঁচ মিনিটে কি দেখানো সম্ভব? মাথায় কিছুই আসে না। যাইহোক, পড়ালেখার চাপ সামলিয়ে যেটুকু অবসর পেলাম সেটুকু সময় কাজে লাগিয়ে চিন্তা করলাম গল্প। গল্পটা একজন রিকশাওয়ালাকে নিয়ে।
এদিকে হাতে সময় খুব কম। মাত্র দুই দিন সময় দিলাম শুটিং করার জন্য। পাগলের মত খাঁটলো সিফাত। মাত্র ৫ মিনিটের এই ফিল্মের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী দরকার প্রায় সতেরো আঠারো জন। সবাইকে ম্যানেজ করার জন্য সিফাত কষ্ট করলো অনেক। সেইসাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল অনেকেই। তবুও শুটিং এর দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের অভিনেতারা অনুপস্থিত! ঐ মুহূর্তেই বিকল্প ভাবতে হলো এবং কাজ চালিয়ে নিতে হলো অন্যদের দিয়ে!
শুটিং শেষে গেলাম আরেক প্রতিভাবন ছোট ভাই অসীমের বাসায়। ভিডিও এডিটিং আর সাউন্ড এডিটিং এর কাজের জন্য। কাজও করলাম।
শেষ পর্যন্ত জিনিষটা যা হলো তাই দেখে বেশ আশাবাদী হয়েছিলাম। সাউন্ডের আইডিয়া আমার দেয়া ঠিকই, কিন্তু অসীমের পাকা হাতের কাজ ছাড়া এটা অসম্ভব ছিল!
কিন্তু, সব শেষ মনটা আবারও খারাপ হয়ে গেলো। কম্পিটিশনের নিয়ম অনুসারে টোটাল সাইজ ৫০ মেগাবাইটের মধ্যে রাখার জন্য ভিডিও কনভার্ট করতে হলো। আর তাই করতে যেয়ে ভিডিও কোয়ালিটি গেল একেবারেই খারাপ হয়ে
যাইহোক, এই কাজের সাথে আবেগটা খুব বেশি জড়িত!! এলোমেলো ১১ এর প্রথম শর্ট ফিল্মের এই হলো লিংকঃ
https://www.facebook.com/RobiFanz?sk=ap … p_data=106
যদি ভাল লাগে তাহলে একটা লাইক দিয়েন ! আর ফেসবুকে শেয়ার করলেতো কথাই নেই! খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাব! আসলে কম্পিটিশনের নিয়মে একটা অপশন হলো ফেসবুক লাইক। যদিও ঐটা নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না আমরা। কারন, আমরা আরেকটা অপশন “জাজেস চয়েজ অ্যোয়ার্ড” পেতেই বেশি আগ্রহী।
তবে এসব কিছুর থেকেও যেটা সব চেয়ে বেশি দরকার সেটা হলো আপনাদের মূল্যবাণ মতামত। এই শর্ট ফিল্ম সম্পর্কে আপনাদের মতামত প্লিজ জানাবেন। আপনাদের মতামতের কথা মনে রেখে আমরা পরবর্তী কাজগুলো করবো