প্রথম দিকে ব্যাপক উত্তেজনা হচ্ছিলো। কিন্তু নিচের এই ব্লগটি পড়ে উতসাহে অনেকাংশে ভাটা পড়েছে। বাংলাদেশী হ্যাকাররা পাকিস্তানীদের সাহায্য নিচ্ছে। খুবই দুঃখজনক। মিথ্যাচারও করছে। অ্যানোনিমাস বলে যাদের চালাচ্ছে তারা আসলে ইন্দোনেশিয়ান হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস১৭। ওরিজিনাল অ্যানোনিমাস গ্রুপ নয়।
খুব বেশী কথা না বাড়িয়ে যা বলতে চাই বলে ফেলি। আমার ধারণা এটা খুব জরুরী ভিত্তিতেই বাঙালির বোঝা উচিত। যেটাকে আধুনিক সময়ের "মুক্তিযুদ্ধ" বলে ঘোষণা দিয়ে দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে, সেটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো চোখে দেখতে পারছি না। জেহাদি জোশের সকল দেশপ্রেমিক জনতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েই বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি হ্যাকিং জগতের ইতিহাস থেকে যততুকু বুঝেছি তাতে করে- হ্যাকিং কমিউনিটি ঠিক যেটুকু সময় কোনো সু-শৃংখল এবং নির্দিষ্ট কমান্ড কাঠামোর ভেতরে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত গঠনমূলক। এর বাহিরে গেলেই তা ব্যক্তিগত বুলি আর নাম ফাটানোর অস্ত্রে পরিণত হয়। আমেরিকার সি আই এ, ইজরাইলের মোসাদ বা চীনের ন্যাপস বহু গুরূত্ব দিয়ে হ্যাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা দ্যায়- এদের সুনির্দিষ্ট গাইডোলাইন থাকে, কাজের এইম থাকে- সাফল্যের চেহারাও রীতিমতো হৃষ্টপুষ্ট। আমার গরীব দেশ, ততোধিক গরীব আমাদের সন্মানবোধ আর ততোধিক গরীব আমাদের সততা ও পরিকল্পনা। তাই সরকার এই গোষ্ঠীটাকে গুরূত্ব দেবে সেটা ভাবা অবান্তর। ফলশ্রুতিতে যেটা হবার তাই হচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দেশীয় সাইটের সিকিউরিটি এনশিওরেন্সের ধুয়া তুলে এরা ক্রমশ নিজেদের হিরোইজম নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। যেখানে ভারতীয় আরেক হস্তিমূর্খ হ্যাকার দলের কবলে পড়া বাংলাদেশী সরকারী সাইট গুলোর অধিকাংশই এখোনো উদ্ধার করা যায়নি- সেখানে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি, ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস, 3xp1r3 ইত্যাদি বাহারি নাম নিয়ে তারা হালকা পাতলা ডজ এটাক করে ২-৩ ঘন্টার জন্য ভারতীয় সরকারী সাইটগুলো অকেজো করে রেখে বিরাট বীরশ্রেষ্ট হয়ে গ্যাছে! ছদ্ম-মহতিকরণের চেষ্টাও করা হয়েছে আবার এই প্রক্রিয়ার- বিরাট করে খবর আসছে- "বাংলাদেশী ব্লগারদের হাতে বিশ হাজার ভারতীয় সাইট ধরাশায়ী!!" তবে যেটা উল্লেখ করা হচ্ছেনা তা হচ্ছে যার ৯৮% ভাগই হচ্ছে অতি অগুরূত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত সাইট এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক সাইট! সম্প্রতি দেখলাম গাদা খানেক পার্সোনাল ইমেল এড্রেসও খোলাম্যালাভাবে প্রকাশ করা হয়েছে- আমার কোনো ধারণা নেই ক্যানো। তবে হ্যাঁ ভারতীয় মন্ত্রি-এমপি পর্যায়ের টনক নড়াতে পারে এমন কিছু সাইটও হ্যাক হয়েছে- সেগুলো হচ্ছে প্রায় গোটা বিশেক ভারতীয় পর্ণ সাইট!! যাহোক, এপার্ট ফ্রম দ্যা জোক- যেহেতু জরুরী সাইটগুলোর প্রায় শতভাগই কয়েক ঘন্টার ভেতরে নিজ দায়িত্বে নিজেদের রিকভার করে ফেলেছে, এগুলো নিয়ে ভারতের সরকার পর্যায়ের ন্যুনতম কোনো মাথাব্যাথা থাকবার কথা বলে মনে হচ্ছে না। ঠিক য্যামনটি আজকে নাগরিকব্লগ হ্যাকড হলে বাংলাদেশ সরকার ব্যাপারটাকে বদবায়ু নিঃসরণ করে উড়িয়ে দেবে- তেমনি হাজারটা পার্সোনাল ভারতীয় সাইট হ্যাক করে ভারত সরকারের কটা কেশে বাতাস লাগানো যাবে বুঝতে হলে মহাকাশ গবেষক হতে হয়না! দুঃখ হলো- সঠিক চিন্তার অভাবে কী নিদারুনভাবে হ্যাকিং-হ্যাকিং খ্যালায় পরিণত হচ্ছে একটা সম্ভবনাময় প্রতিবাদের মাধ্যম। হুমায়ূন আজাদ স্যারের একটা কথা মনে পড়ছে- "জ্ঞানহীন প্রতিভা কেবল একজন হাসন রাজারই জন্ম দিতে পারে।" হাসন রাজা ভক্তরা মাইন্ড করলে প্লিজ হুমায়ুন আজাদ স্যারের জন্য প্রশ্নটা তুলে রাখুন- আমাকে বিরক্ত করবেন না।
যাহোক- এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এভাবে ভুল প্রতিভার ব্যবহারে আমাদের বহু উদ্দোগই তো জলে গ্যাছে- কৈ তুমি বাঙাল তো এগুলো নিয়ে তখন লিখতে বসোনি, এখন ক্যানো?! সেই ক্যানোর উত্তর আপনাদের হয়তোবা আরেকটু চিন্তিত করে তুলবে- অবশ্য যদি না আপনি একটি বিশেষ গোয়ালের বাসিন্দা না হয়ে থাকেন। আসুন প্রথমে বলি 3xp1r3 গ্রুপটির ব্যাপারে। এদের হাতে চলমান কথিত সাইবার যুদ্ধে ধরাশায়ী হয়েছে বহু ভারতীয় সাইট। তবে এদের রয়েছে গৌরবজ্জ্বল অতীত। এরা রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে আজকে থেকে আড়াই মাস আগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইট হ্যাক করে হাত পাকিয়েছে। তারপর আবার সে দায় আরেক "সংগ্রামী" হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশ সাইবার আর্মি'র ওপর চাপিয়েছে- সেখানেও এক কেলেঙ্কারী কাহিনী। যাহোক সেটাকে আমি গুরূত্ব দিচ্ছি না- আমি গুরূত্ব দিচ্ছি এদের অন্তর্দন্দ্বের চরিত্রটিকে। সাদা চোখে শুধু মাত্র ওপরের একটা লেখা পড়লেই পরিষ্কার হয়ে যায় কী আশ্চর্য জাহির করবার প্রবণতা নিয়ে এই ছেলেগুলো এই পথে চলেছে। তবে তার থেকেও বেশী গুরূত্ব দিচ্ছি গ্রুপগুলোর দিতে চাওয়া ম্যাসেজের ওপর- এই য্যামন আলোচ্য 3xp1r3 গ্রুপটি কর্তৃক হ্যাক হয়েছে এমন একটি কথিত ভারতীয় পর্ণ সাইটে তাদের রেখে আসা ম্যাসেজ আসলে কী বলতে চাচ্ছে দেখি-
সাইটটি এই লেখা চলাকালীন সময়ের মধ্যেই রিকভার করে না ফেলতে পারলে, এই All MuSliMS HaCk3Rs এর আহ্বানসুচক বাণী ছাড়াও আরো হয়তো চোখে পড়বে- স্ক্রীণের প্রথমেই বেশ চমৎকার করে লেখা- May God Curse upon you All ! ' Ameen! ! আমি কিন্তু কথিত সাইবার যুদ্ধের ভেতরে আদি-অকৃত্রিম ধর্মযুদ্ধেরও মুখ উঁকি দিতে দেখছি। অবশ্য আমার মত নিন্দুকের চোখে খারাপটাই পড়বে কেবল- এতো বলাই বাহুল্য!!! গ্রুপ কি আমি এই একটাই চোখে দেখেছি?! আরো যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে বলি না ক্যানো?!
আচ্ছা ঠিক আছে- চলুন বলি। বরং বলা ভালো- দ্যাখাই! দাবীমতে দেশের সবথেকে বড় হ্যাকিং কমিউনিটি হিসেবে "বাংলাদেশ সাইবার আর্মি"র হ্যাক কৃত অপর আরেকটি ভারতীয় পর্ণ সাইটের দেয়ালে তাদের চমৎকার দাবী সম্বলিত বক্তব্যের মধ্যে প্রপাগান্ডিস্ট কিছু ভুল ছবির ব্যবহারকে আমি নাহয় অনিচ্ছাকৃত অজ্ঞতা বলে ধরে নিলাম। কিন্তু "পাকিস্তানী" গ্রুপ পাকিস্তান সাইবার আর্মি কিম্বা রোবট পাইরেট-এর হ্যাক করা সাইটে কাশ্মীরে "মুসলিম ভাই" হত্যার প্রতিবাদের সাথে "বাংলাদেশ সাইবার আর্মি"র নাম দেখলে আমার ভুরু কুচকায় বটে!!!
এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা খুঁজে পাওয়াকে যারা আমার ধর্মবিদ্বেষ বলে ফতোয়া দিয়ে বসতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আবার একদল আরো কয়েককাঠি সরেস বন্ধুও আছেন- তারা দিব্যি THERE IS NO GOD BUT ALLAH শিরোনাম দিয়ে শেষ মেশ পাকিস্তান জিন্দাবাদ না বলে থাকতেই পারলো না!!! আর সেগুলো মহান গর্বের সাথে আমাদের ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার'গণ টাঙিয়ে দিল তাদের দেয়ালে দেয়ালে!
আমার কথা হচ্ছে- বাংলাদেশের নিখোঁজ মেরুদন্ডের পরিচয় দিতে যে লড়াই লড়া হচ্ছে বলে সারা দেশের মানুষ নাওয়া-খাওয়া ভুলে বসে আছে কম্পিউটারের সামনে- তাদের কাছে বন্ধুত্বের খাতিরে এতোবড় একটা কুঁজের পরিচয় আমরা না দিলেও পারতাম। অবশ্য, আত্মসন্মানবোধের এই চমৎকার চেহারা না থাকলে আর চল্লিশ বছর ধরে বন্ধুত্বের ঘানি টানতে হবে ক্যানো?!
আমার পর্যবেক্ষন যদ্দুর বলে, তাতে করে বিসিএ (বাংলাদেশ সাইবার আর্মি) প্রধান সাদমান তানজিম এবং পিসিএ' (পাকিস্তান সাইবার আর্মি) প্রধান ফায়সাল মালিক পয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রক্ষা করলে আমার আপত্তি করবার কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। কিন্তু কেবলমাত্র সমর্থন বাড়াবার অজুহাতে পাকিস্তানীদের সাথে রণকৌশলগত বন্ধুত্বে আমার আপত্তি আছে। ঘোরতর আপত্তি আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি, ফুল হাতে এলেও পাকিস্তানীদের বিশ্বাস করতে রাজি নই- কিন্তু এক্ষেত্রে যুক্তির জায়গাটা বলি। তাহচ্ছে, আমাদের প্রায় মুক ও বধীর জাতীয় অস্তিত্বের জানান দেবার যে যুদ্ধ লড়বার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে দাবী করছে দেশীয় হ্যাকারগ্রুপ গুলো- তাদের সেই আত্মসন্মানের যুদ্ধটি পাকিদের কল্যাণে "ধর্মযুদ্ধে" বদলে যেতে খুব বেশীক্ষণ লাগবে না- তার উদাহরণ ওপরেই সামান্য দিয়েছি। আর আমার দেশের একটা জাত তো আছেই গত চল্লিশ বছরের কলঙ্ক হয়ে। তাদের ব্যাপারেও আসছি তার আগে আরেকটা ব্যাপারে সামান্য আলোকপাত করাটা জরুরী মনে করছি।
চলুন ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম ভাই'দের আমাদের সাইবার ওয়ারে সমর্থন দান নিয়ে কিছু কথা বলি। এখানে মজার একটা তথ্য হচ্ছে- পাকিস্তানী হ্যাকার কমিউনিটির সাথে ইন্দোনেশিয় হ্যাকার গ্রুপগুলোর বড় মধুর এক সম্পর্ক আছে। এই যে বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধের ধুন্ধুমার লেগেছে- ত্যামন একটা সময়েও ইন্দোনেশিয়ান হ্যাকার An0nym0uz17 ভারতীয় সাইট হ্যাক করে দাবী তুলছে কাশ্মীরের "ব্রাদার"দের স্বাধীনতার জন্য। সেখানে বাংলাদেশের নাম গন্ধও পাওয়া যায় না। এটা আমার বলবার বিষয় নয়- যেটা আমার বলবার বিষয় তা হচ্ছে- এই এনোনিমাস১৭ কেই বহুল আলোচিত হ্যাকার গ্রুপ Anonymous বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে কিছু অনলাইন মাধ্যমের ভেতরে। সেটাও নাহয় ধরে নিলাম দেশীয় হ্যাকারদের মনোবল বৃদ্ধিতে করা হয়েছে কিম্বা অজ্ঞতা বশত করা হয়েছে। কিন্ত নিচের লাইনগুলো পড়ে দেখুন তো, অন্য কিছুর গন্ধ পান কিনা?!
বাংলাদেশী এবং ভারতীয় হ্যাকারদের মধ্যে সাইবার যুদ্ধ ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করছে। এটি এখন আর কেবল এ দু'দেশের সাইবার যুদ্ধই নয়, ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি দেশের হ্যাকাররা একেক পক্ষাবলম্বন করে যুদ্ধে নেমেছে। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং রাশিয়ার সাইবার যোদ্ধারা একেক দেশের পক্ষ নিয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সাইবার যোদ্ধারা বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে কাজ করলেও ইসরায়েল এবং রাশিয়ার সাইবার যোদ্ধারা রয়েছে ভারতের পক্ষে।
"পাকিস্তান+সৌদি+সিরিয়া+ইন্দোনেশিয়া+বাংলাদেশ" Vs. "ভারত+রাশিয়া+ইজরায়েল"!!! এবং একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে, পুরো রিপোর্টে সেই সূত্রের কোনো দ্যাখা পাওয়া গ্যালো না। এমনকি আন্তর্জাতিক হ্যাকিং সংবাদ পরিবেশক, সাইট, বা গণমাধ্যম- কোনোটাতেই এই সাইবার মহাযুদ্ধের আয়োজনে রাশিয়া-ইজরায়েল এর ভারতপক্ষ সমর্থনের প্রমাণ পাওয়া গ্যালো না। যারা এই লেখাটি পড়বেন তাদের ভেতরে কেউ যদি আগেই বলেছি- বিশেষ গোয়াল থেকে আগত না হন- তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারবেন ওপরের এই পারমুটেশান-কম্বিনেশানের অর্থ কিভাবে অনুদিত হচ্ছে!? খিলাফতের মহান সৈনিকদের সাথে ইহুদি-নাসারা'র কল্পিত মহাযুদ্ধের রূপে এই প্রতিবাদ আসুক সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একদল ফ্যানাটিক মানুষ হ্যাকার দলগুলোর বোকামী এবং অপরিপক্ক রাজনৈতিক চেতনার সুযোগ নিয়ে এটাকে ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে সাম্প্রদায়িক পথে, ৪০ বছরের বোতলবন্দি দৈত্যটাকে উষ্কে দিতে চাইছে। সেটাকে ঠ্যাকাবার দায়িত্ব আপনার।
আমি বিশাস করতে চাই না- এই সাইবার যুদ্ধ কোনো দয়ার দান, কোনো বন্ধুত্বের ফসল। পাকিস্তানীদের বন্ধুত্বের ফসল তো আরো নয়। নয় কোনো সাম্প্রদায়িক আবেগের দাস। এটা বাঙালির প্রতিবাদ, এটা সে একাই লড়বে--- যতুটুকু পারবে- ততটুকু লড়বে। কিন্তু পাকিস্তানীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে...... নেভার!!! বাঙালিকে বাঙালিত্বের উর্ধ্বে গিয়ে এক টুকরো চামড়ার খন্ডে বাঁধার চেষ্টা সফল হবে না। আমার মায়ের ধর্ষণকারীকে আমি আমার বোনের হত্যাকারীর বিচারের ভার দেবো না। আমার কি মেরুদন্ড নেই। আমার মা কি আমার মুখে তুলে দ্যায়নি তার বুকের দুধ, আমার পিতা কি এতোই অথর্ব আমায় নিজের জন্য নিজের শক্তিতে লড়তে শেখায় নি?! যদি শিখিয়েই থাকে- কোনো কুত্তারবাচ্চাকে আমার দরকার নেই ওদের সাথে লড়তে... এটাই চেতনা, এটাই নিজস্বতা। এটাকেই বলে জাত চেনানো!!!
যারা আমার চিন্তার সূতাটা ধরতে পেরেছেন- তাদের বলি- নিজের এই বোধটুকু জানিয়ে আসুন হ্যাকার গ্রুপ গুলোকে। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন কোনো সাম্প্রদায়িক জানোয়ারকে চান না আপনি সাহায্যকারী হিসেবে, কোনো পাকিস্তানীকে চান না আপনি বন্ধু হিসেবে। সাফল্য সত্যিকার অর্থেই কিছু আসুন আর না আসুক- তা যেনো ক্ষতির কারণ নাহয়!
আর পারলে অন্য দেশী দলগুলোকেও বলুন নিজেদের বাংলাদেশের সাথে না মেশাতে। বাঙালি তার দাবী তার প্রতিবাদ নিজেই জানাবে। আমরা আর কোনো বন্ধুত্বের ভার আরো চল্লিশ বছর বইতে পারবো না।