Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

জার্মানীর কিছু চিত্তাকর্ষক তথ্য/দিক

$
0
0

জার্মানী নামটা শুনলেই চোখের সামনে যুদ্ধ-বিগ্রহের ছবি ভেসে উঠে। সেটা ভুলও নয় কারণ সেই প্রাচীন রোমান সামাজ্র্যকে পর্যদুস্ত করা গথিক জনগোষ্ঠী কিংবা মহাযুদ্ধকালীন নাৎসি বাহিনীর কর্মকান্ড এখন অব্দি আমাদের কাপিয়ে দেয়। জার্মানীর অতীতটা খুব সুবিধার না হলেও এর ভবিষ্যত বেশ উজ্জল যার পিছনে রয়েছে এর সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক কাঠামো ও রপ্তানী বানিজ্য। এছাড়াও অটোমোটিভ, কেমিক্যাল এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতেও এরা প্রথম সারির যাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা চোখ ধাধিয়ে দেয়ার মতই। তো চলুন এর বাইরেও জার্মানীর আরো কিছু তথ্য জেনে নেই।

http://i0.wp.com/listverse.com/wp-content/uploads/2013/07/youth-e1373951101960.jpg?resize=632%2C505

জার্মানীর আধিপত্যবাদী কর্মকান্ডের জন্য খেসারত দিতে হয়েছে প্রচুর। ১৯১৯ সালের ভার্সাই চুক্তির ফলে ১৩২ বিলিয়ন গোল্ড মার্ক সমমূল্যের ক্ষতিপূরন দিতে হয়।. যা শেষ পর্যন্ত ৫০ বিলিয়নে নেমে আসে এবং এর বেশীর ভাগ অংশটুকুই পরিশোধিত হয় নিউইয়র্ক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে। বাকীটা কয়লা এবং কাঠের মত সম্পদের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। ২০১০ সালের ৩ অক্টোবর জার্মানী তার শেষ কিস্তিটাশেষ কিস্তিটা পরিশোধ করে।
অনেকেই ধারণা করেছিল এই বিশাল অর্থের বোঝা জার্মানীর অথনীতির চাকাকে রুদ্ধ করবে, বাড়বে মূল্যস্ফিতি ও নতুন করে নাৎসীবাদের উত্থান ঘটবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানী বড় আকারে ঋনগ্রস্থ হয়ে যায় সেটা যে শুধু টাকাতে তা নয় একই সাথে বিভিন্ন কারখানা থেকে নেয়া ইন্ডা্স্ট্রিয়াল যন্ত্রও এর মধ্যে ছিল। ফলশ্রুতিতে নেদারল্যান্ডের কাছে দেশের বিশাল একটা অংশ চলে যায়  যা ১৯৫৭ সালে পশ্চিম জার্মানী কিনে ফেরত আনে। ইজরায়েল এবং বিশ্ব ইহুদী সংস্থাকে বিশাল পরিমান ক্ষতিপূরণ তারা দিয়েছিল জোরপূ্র্বক শ্রম ও পারসিকিউশনের মত কর্মকান্ডের বিপরীতে। কিন্তু একজন ইহুদীর মৃত্যুর জন্যও তারা কোন ক্ষতিপূরন দেয় নি।

অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন এই ক্ষতিপূরন আদায় করেছিল জোরপূ্র্বক শ্রমের মাধ্যমে। রেড আর্মির হাতে অসংখ্য সাধারণ মানুষ ও সৈন্য ধরা পড়েছিল যারা বাধ্য হয়েছিল জোরপূ্র্বক শ্রম দিতে।
এবং ইউএসএসআরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। বন্দী শিবিরগুলাতে মৃত্য হার ৫০ শতাংশে পৌছে গিয়েছিল যার ফলে প্রায় লাখ খানেক সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছিল।

অনেক কিছুই লেখা হল না। সময় সল্পতা এবং ক্লান্তি সেই সাথে এর চেয়ে বড় হলে আদৌ কেউ পড়বেন নাকি সেই চিন্তা থেকে এখানেই থামলাম তবে এটাকে সিরিজ করার ইচ্ছা আছে।

চলবে...


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>