ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
বুধবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এক পর্যায়ে সংবাদ ব্রিফিঙে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
একই দাবিতে বিএনপি দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিও দিয়েছে। ২ ডিসেম্বর বিকেলে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ৩ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর সব ওয়ার্ড ও থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ঢাকা বিভক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার দেশবাসীর হৃদপিণ্ডে আঘাত করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারি,তোঘলোকি ও অগণতান্ত্রিক।”
ঢাকা বিভক্তির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হতে জনগণের প্রতি আহবান জানান তিনি।
বিএনপির প্রবল আপত্তির মধ্যেই মঙ্গলবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুই ভাগ করার বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। সংশোধিত এ আইন অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ নামে আলাদা দুটি সিটি কর্পোরেশন হবে। প্রশাসক নিয়োগ করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে দুই কর্পোরশনে।
ব্রিফিঙে মির্জা ফখরুল জানান, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে সিলেটে স্থানীয় বিএনপি বৃহস্পতিবার ১ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। ওই হরতালকে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে সমর্থন দিচ্ছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে ঢাকা ভাগের বিরুদ্ধে কর্মসূচি নির্ধারণে দরটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আর এ গনি, মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, জমিরউদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
মঙ্গলবার সংসদে পাস হওয়া ঢাকা বিভক্তির বিল অবৈধ ঘোষণা করতে বুধবার হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন সাদেক হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
বুধবার রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক চলছিল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও সাদেক হোসেন খোকা উপস্থিত ছিলেন।
http://www.bdnews24.com/bangla/details. amp;hb=top
হরতাল দিয়ে লাভ নাই। এখন দেখার বিষয় হাইকোটে কি বলে