পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে কোনো প্ল্যানিং ছিলোনা আসলে, এদিকে স্প্রিং উইকও শেষের দিকে। সব প্ল্যানিং নষ্ট করছে স্ট্যাটের একটা সার্ভে প্রজেক্ট যাই হোক আফসোসটা একটু কমানোর জন্য ভাবলাম টাউনের বাইরে একটা ট্রিপ দিয়ে আসি। তাই দেরী না করে ১০০ মাইল রেডিয়াই এর মধ্যে চলে আসলাম নিউইয়র্কের কর্নিং শহরে। এসেই একটু পর বের হলাম ছোট্ট একটা ইড়্যন্ডের জন্য। বের হয়েই খেয়াল করলাম আমি যে রোড ধরে হাটছি সেটা হলো পুরাতন ডাউন টাউন: তার প্রমানও পেয়ে গেলাম, বিল্ডিং গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাস্তার একপাশ ধরে সব এন্ট্যিক জিনিশ পত্রের দোকান: আরেক পাশ ধরে সব গ্রীলড চিকেন
প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে দেখলাম আরে কি সুন্দর স্প্রিং, কিন্তু যদিও তখনও ছিলো ৩ লেয়ার কাপড় পড়ে থাকার মতো উইন্ড
এদিকে আমার ভাগিনার এই ট্রেণ থেকে আফসোস শুরু "মাই ট্রেণ" কেমনে দিমু বলেনয যদি ঐটা এমন ডিস্টেন্সে থাকে? -
আমার ভাইগনার আফসোস কমতে না কমতেই আমার আফসোস লাগা শুরু হইলো ইশ এতো সুন্দর কইরা কেন দেয়াল গুলা নষ্ট করতে পারি না
আফসোস কইমা গেলো একটা ইন্ডিয়ান রেস্তোরা দেখে। যাক জমপেশ একটা ডিনার করা যাবে। যদিও পরে জানতে পেরেছিলাম যে রেস্টুরেন্ট খানা আর কারো নয় আমাদের বাংগালীদের (নামটা দেখুন)
বাইর হয়া ফিরার সময় দেখি হায় হায় এই কোন চিপা গলিতে ঢুকছিলাম :প
যাই হোক এই এলাকাতে আসার উদ্দেশ্য বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো গ্লাস মিউজ্যিয়াম দেখা, যদিও সেটা দেখার আগেই আরেকটা ছোটোখাটো আর্ট মিউজিয়্যামের দেখা মিললো ধারে কাছেই:
এটা দেখে দ্বিগুন আগ্রহ এবং উৎসাহ নিয়ে চলেই এলাম গ্লাস মিউজ্যিয়ামে কপাল খারাপ কাকে বলে গিয়ে নামতেই দেখা মিললো বৃষ্টির তাই কোনো মতে কয়েকবারের চেষ্টায় বাহির থেকে পুরো মিউজ্যিয়ামটা এন্ট্রান্স সহ আবদ্ধ করার চেষ্টা করলাম।
আমার মতো কাউচ পটেটো'র জন্য বসার ব্যবস্থা:
ঢুকতেই শ্রেভ্রোলে সিলভ্যরাডো পিছনে দেখি ভরা কাচের ফুল
আরেকটু অগ্রসর হয়াই এমন একটা মেইজ দেখলাম যেটার দিকে তাকাই থাকলেই মনে হয় দিন পার হয়ে যাবে, বল গুলা মুভ করার সময় দারূন সিনকোপেইটেড রিদম তৈরী করে
হিপ্নোটাইজ হবার ভয়েই পাশে ঘুরে নজর পড়লো এই কাচের গাছের উপর, তার একটু সামনেই এডমিশন কাউনআর
ব্যস ঢুকে গেলাম এক অন্য রংগের জগতে, স্বাগতম জানালো এই দুই ভদ্রলোক
তার সাথেই ঘিরে ধরলো:
আরেকটু এগুতেই রং-বেরং এর রিং ঘুরছে, এটাও কি অভর্থ্যনার অংশ?
---------------------------------------- ভিতরের আরো মজার মজার ছবি আর ডেস্ক্রিপশন নিয়ে আবার আসতেছি। স্লো ইন্টারনেট যাদের তাদের অবস্থা আর খারাপ করে লাভ নাই, আমার অবস্থা তো রীতিমত খারাপই কালকে সকালে আবার ক্লাস