১। দ্রুতগতির কোয়ান্টাম কম্পিউটার......................
কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরীতে সফল হয়েছেন আইবিএম বিজ্ঞানীরা। তারা দাবী করেছেন এই উন্নত প্রযুক্তির পারসোনাল কাম্পউটার বিশ্বের দ্রুততম কম্পিউটার হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা এই আবিস্কারকে কস্পিউটার জগতে `নতুন দীগন্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ প্রযুক্তি কাজে লাগাতে কোয়ন্টাম পদ্ধতিকে আরো উন্নত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইবিএম। এই কম্পিউটারটি মুহূর্তেও মধ্যে লাখো জটিল সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। কোয়ান্টাম কাম্পউটারের প্রধান বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি বিশ্বের যে কোনো কম্পিউটারের ’কোড’ বা গোপনিয়তা উন্মুক্ত করতে পারে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ সিলিকন চিপ। যে চিপকে কোয়ন্টাম চিপসের মাধ্যমে অসাধারন শক্তিশালী হিসেবে রূপান্তর করা হয়।
বর্তমানে যেসব কম্পিউটার বাজারে রয়েছে তাদের ক্ষমতা কোয়ান্টাম কম্পিউটারের চেয়ে অনেক সীমিত। আইবিএম দাবী করেছে এর চাইতে উন্নত কম্পিউটার এর আগে উদ্ভাবন হয়নি। শুধু তাই নয়, মানুষের পক্ষে যে যেসব জটিল অঙ্কের জটিল সমাধান করা সম্ভব নয়, এ কম্পিউটার তাও করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীদেও স্বপ্ন ছিল কোয়ান্টাম ফিজিক্সেও উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার উন্নততর করা। অনেক বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেছিলেন, অদূর ভবিষ্যতে আদৌ এ কাজ সম্ভব হবে কিনা। অনেকে বলেছেন, এ সাফল্য পেতে হয়তো অর্ধশত বছর লেগে যেতে পারে।
২। ইউরোপে সবোর্চ্চ ............ টাওয়ার.........
ফ্রান্স ১০৭৫ ফুট উঁচু টুইন টাওয়ার নির্মাণ করে লন্ডনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। লন্ডনের দ্য সার্ড ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু ভবনের স্থানটি দখল করে সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকলেও এবার তার চেয়ে ৬০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন প্যারিসের হার্মিটেজ টুইন টাওয়ার সে স্থানটি দখল করতে যাচ্ছে। এই যমজ টাওয়ার দুটির ডিজাইন করেছেন ব্রিটিশ স্থপতি নরম্যান ফস্টার ও তার সহকারী। আশা করা হচ্ছে, আগামী চার বছরের মধ্যে ভবন দুটি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। এটি প্যারিসের লা ডিফেন্স জেলায় নির্মাণ করা হবে। ৯৩ তলা উঁচু এ ভবন দুটিতে থাকবে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, একটি শপিং কমপ্লেক্স, একটি হোটেল আর বেশ কিছু অফিস। তবে এখনও বিশ্বে সবচেয়ে উঁচু ভবন ২৭৬০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট বুর্জ আল খলিফা।
৩। সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানী..........
আইপ্যাড ও আইফোনের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের শেয়ারের বাজার মূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এতে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানী হিসাবে স্বীকৃতি পায় এ্যাপল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র পাঁচটি কোম্পানীর মূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশী ছিল। ২০০৭ সালে তেল কোম্পানী এক্সনের মূল্য ৫০০ বিবিলয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০০০ সালে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠানের মূল্য দাড়াঁয় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সিসকো সিস্টেমস, ইনটেল জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানীর বাজার মূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশী।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে এ বছর প্রতিষ্ঠানটি ৪০ বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন করবে। ১৯৯৭ সালে সম্ভাব্য দেউলিয়ার মুখে পড়া এ কোম্পানির শেয়ার মূল্য ছিল ৩.১৯ বিলিয়ন ডলার। বুধবার ন্যাসডাক শেয়ার বাজারে এ কোম্পানির শেয়ার ৫৪২.৪৪ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়।
৩। সবোর্চ্চ টাওয়ার নির্মাণ কাজ শেষ..
জাপানে বিশ্বের সর্বোচ্চ যোগাযোগ টাওয়ার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম ভবন টোকিও স্কাই ট্রি নির্মাণ কাজ বুধবার সম্পন্ন হয়েছে।
গতবছর মার্চে জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামি বিপর্যয়ের কারণে নির্ধারিত মেয়াদের দ্ইু মাস পর এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলো।
দেশটির পর্যটন বিভাগের প্রধানরা আশা করছেন, ৬৩৪ মিটার (২০৮০ ফুট) উচ্চতার ওই টাওয়ারটি বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।
ভূমিকম্প ও সুনামির দুর্যেগ এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপর্যয়ের পরপরই পর্যটকদের আগমন কমে যায়।
অপারেটরদের এক মুখপাত্র জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে ভবন নির্মাণ কাজ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিপর্যয়ের পর সরবরাহের অভাবে ওই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব ঘটে।
অপর এক মুখপাত্র জাপান, ভবনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটি পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর
সম্পন্ন করেছে।
টোকিও’র পূর্বাঞ্চলে জনবহুল অসাকুসা এলাকায় ওই ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালে জুলাইয়ে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার কর্মী নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিল। এতে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৫শ’ কোটি ইয়েন (৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার)
৪। আট মিটার উচ্চতার কেক
আট মিটার উচ্চতার এই কেক বানাতে লেগেছে ৫০০ কেজি ডিম, ২৫০ কেজি ময়দা ও ৮০ কেজি চকোলেট। ওজন দুই টন। চীনের হেনান প্রদেশের লুইয়াংয়ে বিশ্বরেকর্ড করা কেকটি বানাতে ২০ জন শেফের লেগেছে গোটা ২৪ ঘণ্টা। ছবি : কুয়ার্কি চায়না নিউজ
৫। প্রাচীন পোষ্ট অফিস....
স্কটল্যান্ডের সাঙ্কহারের ডাম্ফ্রিস অ্যান্ড গ্যালোওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন পোস্ট অফিস হিসেবে ৩০০ বছর পার করেছে। ডাম্ফ্রিস অ্যান্ড গ্যালোওয়ের দরজা ১৭১২ সালে প্রথম উন্মুক্ত করা হয়। তবে এর মাত্র আট বছরের মধ্যে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিশ্বের দ্বিতীয় পুরনো ডাক অফিস নির্মাণ করা হয়। এর ৬০ বছর পর চিলির সান্টিয়াগোতে বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন ডাক অফিস নির্মাণ করা হয়। তখন ডাকপিয়নরা ঝোলা পিঠে নিয়ে পায়ে হেঁটে বিলি করত চিঠি। তাই সেসময় তাদেরও ডাকা হতো ‘রানার’ নামে। এ ডাক অফিসের পোস্ট মিস্ট্রেস মিসেস মারফি জানান, টানা ২০ বছর বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহে অফিসটির সেই প্রথম দরজাটি আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও ভবনটির মূল স্থাপত্য কাঠামোতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বলে জানান মারফি
৬। বৃহত্তম মসজিদ
আলজেরিয়ায় নির্মিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে আলজেরিয়ার সরকার চীনের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছে। ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যায়ে রাজধানী আলজিয়ার্সের মোহাম্মদিয়া এলাকায় মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। দেশটির ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী বৌবাদাল্লাহ গোলামাল্লা বলেছেন, পূর্ব
আলজিয়ার্সে সমুদ্র তীর থেকে মসজিদটি দেখা যাবে। ধর্মীয়, পর্যটন এবং অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বে এটার মতো আর কোনো মসজিদ হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মসজিদ তৈরি করার জন্য চায়না স্টেট কনসট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (টিএসসিইসি) সাথে আলজেরিয়ায় একটি চুক্তি স্বারিত হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদীয়া এলাকায় ২৭০ মিটার উঁচু মিনারের এ মসজিদটি ৪৯ একর জমিতে নির্মাণ করা হবে। মসজিদটিতে এক লাখ ২০ হাজার লোক নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং এখানে একটি গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘরসহ ১০ লাখ বইয়ের একটি গন্থাগারও থাকবে।
সূত্র : কারেন্ট এফেয়ার্স...........এপ্রিল সংখ্যা আর ছবিগুলো নেট থেকে ।