একদিন এক কৃষকের বাড়িতে হানা দিলেন এক গোয়েন্দা। সহজ সরল কৃষককে ধমক দিয়ে গোয়েন্দা বললেন, ‘সরে দাঁড়াও, আজ তোমার বাড়িতে তল্লাশি করব!’
কৃষক বললেন, ‘তল্লাশি করতে চান, করুন স্যার। কিন্তু দয়া করে বাড়ির উত্তর দিকের মাঠটাতে যাবেন না।’
গোয়েন্দা কৃষকের নাকের ডগায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে বললেন, ‘এটা চেন? এখানে আমার নাম লেখা আছে—গোয়েন্দা ছক্কু মিঞা! এটা দেখলে যে কেউ ভয়ে কুঁকড়ে যায়! আর তুমি কিনা আমার কাজে বাধা দিতে চাও?’
ঝাড়ি খেয়ে আর কিছু বললেন না কৃষক।
কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল, উত্তর দিকের মাঠ থেকে গোয়েন্দা ছক্কু মিঞার চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ‘বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও’। কৃষক ছুটে গিয়ে দেখলেন, একটা ষাঁড় ছক্কু মিঞাকে তাড়া করছে। দূর থেকে কৃষক বললেন, ‘স্যার, ওকে আপনার পরিচয়পত্রটা দেখান!’
গোয়েন্দাপ্রধান: চোরাকারবারিদের অনুসরণ করে তুমি কি হোটেল সুপার স্টারে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: অবশ্যই, স্যার!
গোয়েন্দাপ্রধান: ওরা তোমাকে চিনে ফেলেনি তো?
গোয়েন্দা সহকারী: অসম্ভব, স্যার। আমি ছদ্মবেশ নিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢুকে গেছি।
গোয়েন্দাপ্রধান: কিসের ছদ্মবেশে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: স্যার, ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে।
গোয়েন্দাপ্রধান: কী?! হোটেল সুপার স্টারের মতো একটা জায়গায় তুমি ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে গিয়েছ? তোমাকে তো ভেতরে ঢুকতেই দেওয়ার কথা না!
গোয়েন্দা সহকারী: হা হা! স্যার কি আমাকে অত বোকা ভেবেছেন? জানতাম, ঢুকতে দেবে না। সে জন্য আগে থেকেই গলায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম!
বিখ্যাত গোয়েন্দা শার্লক হোমস ও তাঁর সহকারী ওয়াটসন একটা বেলুনে চেপে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন। উড়তে উড়তে চলে যাচ্ছিলেন এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
নিজেদের অবস্থান বুঝতে না পেরে শার্লক বেলুন থেকেই চিৎকার করে এক লোককে ডাকলেন, ‘এই যে শুনছেন, আমরা এখন কোথায় আছি বলতে পারেন?’
লোকটা কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিল, ‘আপনারা একটা বেলুনে আছেন।’
উত্তর শুনে শার্লক তাঁর সহকারীকে বললেন, ‘ওয়াটসন, বলো তো, এই লোকটার পরিচয় কী?’
ওয়াটসন: আমার ধারণা, লোকটা পাগল।
শার্লক হোমস: নাহ্। সে একজন গণিতবিদ।
ওয়াটসন: কী করে বুঝলে?
ওয়াটসন: প্রথমত, লোকটা উত্তর দেওয়ার আগে কিছুক্ষণ ভেবে নিয়েছে। দ্বিতীয়ত, লোকটা আমাদের একদম সঠিক উত্তরটাই দিয়েছে। তৃতীয়ত, তার উত্তরের কোনো ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই!
সরদার তাঁর বন্ধুকে বলছেন, ‘জানিস, আমি গোয়েন্দা উপন্যাস সব সময় মাঝামাঝি থেকে পড়া শুরু করি। তাতে মজাটা বেশি হয়।’
বন্ধু: কীভাবে?
সরদার: তখন শুধু উপন্যাসের শেষ না, শুরুটা জানারও কৌতূহল থাকে!
ছোট্ট মিতু গেছে গোয়েন্দাদের অফিসে। দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় টাঙানো অপরাধীদের ছবি দেখে সে গোয়েন্দা অফিসারকে প্রশ্ন করল, ‘তোমরা কি সত্যিই ওদের গ্রেপ্তার করতে চাও?’
গোয়েন্দা: অবশ্যই।
মিতু: তাহলে ছবি তোলার সময়ই আটকে রাখলে না কেন?!
এক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুসন্ধানের কাজে গেছেন গোয়েন্দা।
গোয়েন্দা: গত রাতে পাশের বাসা থেকে আপনারা কোনো শব্দ শুনতে পেয়েছেন?
প্রতিবেশী: নাহ্ ! গোলাগুলি, চিৎকার আর ওদের কুকুরটার চেঁচামেচির যন্ত্রণায় কিছু শোনাই যাচ্ছিল না!
সংগ্রহ: মো. সাইফুল্লাহ
↧
গোয়েন্দা-রঙ্গ
↧