Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all 15150 articles
Browse latest View live

চীন আরও বেশি বিদেশী বিনিয়োকারীদের স্বাগতম জানাবে, ন্যায্য আচরণের আহবান

$
0
0

চীন আরও বেশি বিদেশী বিনিয়োকারীদের স্বাগতম জানাবে, ন্যায্য আচরণের আহ্বান!
http://forex-images.mt5.com/prime_news/58d8b27884de3.jpg
চীন দূরের বিনিয়োগকরীদের জন্য আরো অনেক বেশি দরজা খোলা রাখবে কিন্তু দেশ দেশের বাইরে নিরপেক্ষ বিচার লাভ করতে চায়। PBOC প্রতিষ্ঠানটির এর প্রধান ঝু-জিচুয়ান গতকাল রোববার বলেন, তারা বৈদেশিক বিনিয়োগ বন্ধ করার জন্য কিছু অর্থনৈতিক খাতের সংখ্যা কমিয়ে ফেলবে। তিনি আরো বলেন বিনিয়োগ ব্যাংকিং, সিকিউরিটিজ সংস্থা এবং বীমা যোগ করে আরো কিছু খাতে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারন করা হয়েছে।

কারেন্সিগুলোতে এর প্রভাব ও বিস্তারিত দেখুনঃ https://goo.gl/6FYUTg


স্বাধীনতা তোর বুকেই হোক নির্ভয়ে স্বপ্ন আঁকা.....

$
0
0

http://i.imgur.com/Ap31C4P.jpg

©কাজী ফাতেমা ছবি

স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-জঙ্গীর কবলে বাংলাদেশ
স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-সর্বত্র কেবল আতংকের রেশ!
স্বাধীনতা বুঝি- নেতাদের মুখের হড়বড় মিথ্যে বুলি
স্বাধীনতা মানে কি- দেশজুড়ে সন্ত্রাসীরা খেলে রক্তের হুলি!
স্বাধীনতা বলতে কি - সত্যের পথগুলো হয়ে গেলো রুদ্ধ
স্বাধীনতা হায়- দূর্নীতির কবলে পড়ে হলো ফের অশুদ্ধ!
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে-টিভিতে দেখি শংকার লাইভ
স্বাধীনতা কি তবে থাকবে নিভৃত্তে চুপচাপ মনের আর্কাইভ!
স্বাধীনতা এখন যেনো- তিলকে মুহুর্তেই বানানো তাল
স্বাধীনতার আঁচলে মাথা রেখে কারা চালায় দেশ ধ্বংসের কূটচাল?
স্বাধীনতা তুই সাতচল্লিশের মধ্য বয়স্ক এক বুড়ো জুজু
স্বাধীনতা তুই যেনো আজ নত দাঁড়িয়েছিস রুগ্ন কুঁজো!
স্বাধীনতা তোর বুক যেনো আজ অশুভ শক্তির বিচরণক্ষেত্র
স্বাধীনতা, হারানো স্মৃতি বুকে আজো মা বোনদের ভেজা নেত্র!
স্বাধীনতা তোর পিঠে এখনো পতপত ওড়ে লাল সবুজের পতাকা
স্বাধীনতা মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে তোর বুকেই ছিল স্বপ্ন রাখা!
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে কেনো তবে - রক্তে ভাসে দেশ আমার
স্বাধীনতা তুই বুঝি হলি আত্মঘাতি - এ দেশ কি তবে জঙ্গীদের খামার!
স্বাধীনতা তুই তো আজ সাংবাদিকদের মুখের মিছে কথার ফুলঝুড়ি
স্বাধীনতা তুই স্বেচ্চাচারীদের আকাশে ওড়া নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ি।
স্বাধীনতা তুই জঙ্গী জঙ্গী নাটক-আইএস বুঝি তোর নায়ক
স্বাধীনতা তুই টক শো, রিয়েলিটি শো, লাইভে হেঁড়েগলার গায়ক।
স্বাধীনতা এখন তুই প্রশ্নপত্র ফাঁস নামের মেধার কলংক
স্বাধীনতা তুই রাজনীতির প্যাঁচ খেলানো এক জঠিল অংক।
স্বাধীনতা তুই আধাবুড়ো যুবক, পড়েছিস আজ মাটিতে নেতিয়ে
স্বাধীনতা আর ধরবি না দেশের হাল টগবগ রক্তে বুক'টা চেতিয়ে?
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে কেক কাটা হলো জঙ্গীর আতশ ফুটল
স্বাধীনতা তোর জন্মদিনে স্টবেরি রক্ত রঙ কেক কিছু মানুষের জীবনে জুটল।
স্বাধীনতা জানিস আবারো চাই সন্ত্রাসীদের কবল হতে দেশের স্বাধীনতা
স্বাধীনতা চাই সকল অশুভ শক্তি ওড়ে যাক বৈশাখী ঝড়ে, ঘুচে যাক সব দৈন্যতা।
স্বাধীনতা তোর আঁচলেই হোক আবার নির্ভয়ে বেঁচে থাকা
স্বাধীনতা তোর বুকেই হোক আপামর জনতার নির্ভয়ে স্বপ্ন আঁকা!

দৃপ্ত শপথে পালিত হল ৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

$
0
0

৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে  জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেওয়ার দৃপ্ত শপথে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। দেশজুড়ে নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারও উদযাপিত হয়েছে জোরেশোরে। একই সঙ্গে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও রায় কার্যকরের দাবিও উঠে এসেছে। এদিন ভোরের আলো ফোটার মুহুর্তে সেই বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হয়েছিলেন লাখো জনতা। দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পর জনস্রোত ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধ অভিমুখে। পাকিস্তানি ঘাতকদের প্রেতাত্মা ধর্মান্ধ কাপুরুষ জঙ্গিদের আস্ফালন বাঙালির স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন ম্লান করতে পারেনি এতটুকুও। বরং শত সহস্র কন্ঠে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতাবিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বর। পরম শ্রদ্ধায় স্মৃতির বেদি ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে। এবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসা সর্বস্তরের জনতার আরও দাবি ছিল মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার আন্তর্জতিক স্বীকৃতির। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন জাতির বেদনা ও গৌরবের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের সামনে আরও মূর্ত করে তুলবে। দিনটি ছিল সরকারি ছুটি। ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সুসজ্জিত করা হয় জাতীয় পতাকায়। সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী মিশনেও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল, সরকারি শিশুসদন ও এতিমখানা এবং কারাগারে বন্দিদের দেওয়া হয় উন্নত খাবার। সন্ধায় গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়।  ভোরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির পক্ষ থেকে জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজে করুণ সুর। স্মৃতিসৌধের বেদির সামনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকালে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ চত্বর ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা হলে জনতার ঢল নামে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাসংসদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এবং ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের উর্ধ্বতনরা শ্রদ্ধা জানান। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষও দলে দলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাদের কন্ঠে ছিল উদ্দীপনামূলক স্লোগান, সমবেত কন্ঠে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানের সুরও শোনা যায়। সব মিলিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বর পরিণত হয় বাঙালির মিলন মেলায়।

স্ন্যাপ এর শেয়ারগুলি ব্যাংক আইপিও থেকে প্রশংসা পাবার পরপরই উপরের দিকে

$
0
0

স্ন্যাপ এর শেয়ারগুলি ব্যাংক আইপিও থেকে প্রশংসা পাবার পরপরই উপরের দিকে ঝাঁপ দিয়েছে!
http://forex-images.mt5.com/prime_news/58d9deb2ea9c5.jpg
স্ন্যাপ ইনক শেয়ারগুলি প্রায় ৫শতাংশ বেড়ে গেছে ফলে আওতার মধ্যে আইপিও নিচে নেমে Snapchat এর মালিকের "বাই" রেটিং আরো বেশি প্রয়োজনীয় করে তুলেছে। স্ন্যাপ এর আইপিও, এই জাতীয় ট্রেডিং শুরু করে সবচেয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে কিন্তু  প্রথম আত্মপ্রকাশে পর থেকেই অভিজ্ঞ অস্থিতিশীল ট্রেডিং করে চলছে,অধিকাংশ সন্দেহপ্রবণ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির কমছে।
কারেন্সিগুলোতে এর প্রভাব ও বিস্তারিত দেখুনঃ https://goo.gl/3IVu7U

দেশি আম আসার আগেই উপভোগ করুন প্রতিবেশী আমের স্বাদ

$
0
0

ফলের রাজা আম। ফলের মধ্যে আমের সাথে অন্য কোনো ফলের তুলনা চলে না। স্বাদে ও  দামে  সবার ক্রয় ক্ষমতায় মধ্যে এই ফল। সামনেই আসছে আমের সময়। গাছে গাছে আমের গুটি ধরেছে। কিন্তু এখনি আম খেতে চাইলে ছুটে আসুন রাজশাহীতে। দেশি আম বাজারে আসার আগেই স্বাদ উপভোগ করতে চাইলে চলে আসুন এই মহানগরীতে। এই মহানগরীর বাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে প্রতিবেশী ভারত থেকে আসা কয়েক কিসিমের আম।  রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে আগাম আম উঠতে শুরু করেছে। ভারতীয় আমের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফল ব্যবসায়ীরা। এসব আম ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে রাজশাহীর বাজারে আসছে। ভারতীয় আমের রঙ হালকা হলুদ ও লালচে ধরনের। এসব আম আকারে ছোট। প্রতিকেজি আম ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও নতুন ফলের স্বাদ নেয়ার জন্য আগ্রহী ক্রেতারা। তাই আম কিনছেন তারা।  ভারতীয় আমের স্বাদ টকমিষ্টি ধরনের। তবে ভারত থেকে প্রতি বছরই এ সময় আম দেশে প্রবেশ করে। বাজারে যেসব আম পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- পিএম, তোতা পাখি ও গোলাপখাস। গোলাপখাস আম রাজশাহী অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বাংলাদেশে এই গোলাপখাস আম পাকতে শুরু করবে মে মাসের শেষ দিকে।  নগরীর বিভিন্ন ফলের দোকানে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় এসব আম। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থান সাহেববাজার, বাস টার্মিনাল, রেলগেট শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর, লক্ষ্মীপুর, কোর্ট বাজার ও কাদিরগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীরা আম বিক্রি করছেন। আমাদের দেশে কেবল আমের গুটি ধরেছে। এখনো আম বড় হয়নি। তাই প্রত্যেক বছর দেশি আম বাজারে ওঠার আগেই ভারতীয় আম আমদানি হয়। ভারতীয় এসব জাতের আম টকমিষ্টি। ভারতীয় উপমহাদেশে আম কয়েক হাজার বছর ধরে চাষাবাদ চলছে, পূর্ব এশিয়াতে আমের প্রচলন হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫ম-৪র্থ শতাব্দী থেকে এবং চাষাবাদ শুরু হয় আরো পরে, খ্রিস্টাব্দ ১০ম শতাব্দী দিকে। ভারতীয় উপমহাদেশ এবং পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশের পর পৃথিবীর অন্য যেসব দেশে ভারতীয় উপমহাদেশের মত জলবায়ু রয়েছে, যেমন: ব্রাজিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা মেক্সিকোতে আরো অনেক পরে আমের প্রচলন ও উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত উষ্ণ প্রধান জলবায়ুর অঞ্চলে আমের চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে অর্ধেকের কাছাকাছি আম উৎপাদন হয় শুধুমাত্র ভারতেই। এর পর অন্যান্য যেসব দেশ আম উৎপাদন করে তার মধ্যে আছে চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা প্রভৃতি। আম খুব উপকারী ফল। বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত। 'কানসাট আম বাজার' বাংলাদেশ তথা এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ আম বাজার হিসেবে পরিচিত। মকিমপুর, চককির্ত্তী, লসিপুর, জালিবাগান, খানাবাগান সহ বিশেষ কিছু জায়গায় অত্যান্ত সুস্বাদু এবং চাহিদাসম্পন্ন আম পাওয়া যায়।

রঙ্গন

$
0
0

ফুলের নাম : রঙ্গন
অন্যান্য নাম : রুক্মিনী, রক্তক, বন্ধুক, ঈশ্বর।
ইংরেজি নাম : Burning Love, Jungle Flame, Jungle Geranium, Flame of the woods, West Indian Jasmine.
বৈজ্ঞানিক নাম : Ixora coccinea
ছবি তোলার স্থান : সোনারগাঁও, নারায়নগঞ্জ।
তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং

https://c1.staticflickr.com/3/2852/33572550151_f1cee9b3a8_h.jpg

রঙ্গন অতি পরিচিত একটি ফুল। রঙ্গন ফুল চেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। ভারত , বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস এবং থাইল্যান্ডেও এ গাছ প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়।

রঙ্গনের অপর নাম রুক্মিনী হিন্দু দেবীর নামের থেকে এসেছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে রঙ্গন ফুলের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষে বৌদ্ধরা রঙ্গনের থোকা থোকা ফুল, ডাল, পাতা সংগ্রহ করে ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বৌদ্ধরা এই ফুলকে বিযু ফুল বলে জানে। বৌদ্ধ মন্দিরে পুজার থালায় শোভাপায় রঙ্গন।

রঙ্গন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত এরা ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে এরা সর্বচ্চ ১২ ফুটের মত লম্বা হতে পারে। রঙ্গন গাছকে সাধারণত দুইরকম হতে দেখা যায়। এক প্রাকার হয় ঝোপ আকৃতির, এদের কেটে ছেটে সুন্দর সেপে রাখা যায়। আরেক ধরনের রঙ্গন গাছে ডাল পালাগুলি হয় মল্বাটে ছড়ানো।

সাধারণত রঙ্গনের পাতার ঘন বিন্যাসের হয়। পাতা সরল, উপবৃত্তাকার প্রায় ৪ ইঞ্চির মত লম্বা হয়। কচি পাতা বাদামি রঙে আর পরিণত পাতা চকচকে, মসৃণ গাঢ় সবুজ রঙের। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ।

রঙ্গন গাছের সবুজ পাতার ঝোপের ফাকে ফাকে থোকা থোকা লাল রঙ্গের রঙ্গন ফুল ফুটতে দেখে সকলেই চিনতে পারে। রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফোল ফোটলেও সারাবছরই কম বেশী ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে বর্ষায় রঙ্গন ফুল সবচেয়ে বেশী ফোটে। অন্যান্য ঋতুতে কম ফোটে।

আমাদের দেশে রঙ্গন ফুল সাধারণত লাল রঙের বেশি দেখা গেলেও লালের পাশাপাশি, সাদা, হলুদ, গোলাপী, সোনালীসহ আরো নানান রঙের হয়ে থাকে। ফুল ফোটার আগে প্রায় প্রতিটি শাখার অগ্রভাগে থোকা থোকা অসংখ্য ঊর্ধ্বমুখী মঞ্জরী দেখতে পাওয়া যায়। সেইসব মঞ্চুরী থেকে থোকা থোকা ফুল ফোটে। এক একটি থোকায় প্রায় ১৫ – ৫০ টির তম ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। লাল রঙের থোকার মধ্যে হঠাত হঠাত সোনালী বা ঘিয়ে রঙের একটা দুটা ফুল ফুটে থোকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। নলাকৃতি এক একটি রঙ্গন ফুলের দৈর্ঘ্য প্রয় ৫ সেন্টিমিটার। চার দিকে ৪টি চোখা পাপড়ি ছড়িয়ে থাকে। প্রতিটি ফুলে ৪টি করে পুংকেশর থাকে। রঙ্গন ফুল খুব দির্ঘ্যস্থায়ী হয়।
https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/23/Chethi.JPG/800px-Chethi.JPG


https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a1/Pentas_Star_Flower.JPG/800px-Pentas_Star_Flower.JPG


https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b6/Ixora_coccinea_White.JPG/595px-Ixora_coccinea_White.JPG

https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e9/Thechi.jpg/800px-Thechi.jpg


সবুজ রঙের খুব ছোট, প্রায় গোলাকার ফল হয় রঙ্গনের। ফলগুলি পাকলে বেগুনী বা লালচে হয়ে যায়। প্রতি ফলে একটি করে বীজ থাকে। ফল থেকে চারা জন্মানো যায়। আবার পরিণত গাছের ডাল নিচ থেকে কেটে মাটিতে রোপণ করে বা জোড় কলম ও গুটি কলম করেও রঙ্গনের বংশবিস্তার করা যায়।
https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/54/Jungle_geranium_seeds_%40_Kanjirappally%2C_Kerala_02.JPG/400px-Jungle_geranium_seeds_%40_Kanjirappally%2C_Kerala_02.JPG
রঙ্গন ফল

রঙ্গনের কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় রঙ্গনের ফুল, পাতা, ডাল, কান্ড ও মূল নানাভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রথমটি বাদে বাকি ছবিগুলি উইকি থেকে নেয়া

লিনাক্স

$
0
0

আমি লিনাক্স নতুন ইউজার। রেডহ্যাট দিছি কিন্তু অভ্র এবং ক্রম ইন্সটল দিতে পারছিনা।  ভিডিও দেখতে পারিনা। প্লিজ হেল্প,,,

নূহ আলাইহিস সালাম এর ইতিহাস

$
0
0

নূহ আলাইহিস সালাম এর সম্প্রদায়ের লোকেরা ইতিপূর্বে ঈমানদার ছিলেন, এক আল্লাহর ইবাদত করত, পরকালে বিশ্বাসী ছিলেন, তারা ভাল কাজ করতেন, সে সব লোক মারা গেলেন। লোকজন তাদের সততা ও আখলাকের কারণে চিন্তিত হলেন। তারা সে সব লোকের মূর্তি বানালো, তারা তাদের নামকরণ করল: ওয়াদ, সুয়া’হ, ইয়াগুছ, ইয়াউক, নসর ইত্যাদি। লোকজন এ সব মূর্তির কথা ভুলে গেল, তারা এগুলোকে সে সব মৃত্যু সৎ লোকের চিহ্ন হিসেবে গণ্য করতে লাগল। শহরের লোকজন ঐ সব মৃত্যু ব্যক্তিদের সম্মানে এসব চিত্রগুলোকে সম্মান করতে লাগল। এভাবে যুগের পর যুগ চলতে লাগল, এক সময় পিতাদের মৃত্যু হলো ও সন্তানেরা বৃদ্ধ হলো, তারা এসব মূর্তিগুলোকে আরো সম্মান করে নিজেদের কাছে নিয়ে এলো, তাদের সামনে রাখল, এভাবে মূর্তিগুলো ঐ সম্প্রদায়ের নিকট অনেক সম্মানের পাত্রে পরিণত হল। এরপর পরবর্তী প্রজন্ম এলো, তারা এসবের ইবাদত করা শুরু করল, বলতে লাগল যে, এসব ইলাহদের সিজদা করতে হয়, তাদের সামনে নতজানু হতে হয়, ফলে তারা সে সবের ইবাদত করত। এভাবেই তাদের অনেকে পথভ্রষ্ট হলো।
এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাদের নিকট হযরত নূহ (আঃ) কে পাঠালেন, তিনি তাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন, মূর্তির পূজাঁ করতে নিষেধ করলেন, তাদেরকে এক আল্লাহর দিকে আহবান করলেন, নূহ(আঃ) জাতির কাছে এসে বললেন: সে বলেছিলঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর বন্দেগী কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন মাবুদ নেই। (মু’মিনুন: ২৩)
লোকেরা তাঁকে মিথ্যারোপ করল, তিনি তাদেরকে আল্লাহর আযব থেকে সতর্ক করলেন, তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি। (শুয়ারা: ১৩৫)
যখন নূহ (আঃ) নিশ্চিত হলেন যে, তার জাতি যুক্তিসংগত দাওয়াত গ্রহণ করেবেনা, তারা হেদায়েতের পথে চলবেনা, তখন তিনি সীমালংঘনকারীদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করতে লাগলেন। নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে। (শুয়ারা: ১১৭) অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন। (শুয়ারা: ১১৮)
তখন আল্লাহ তায়া’লা তাকে কিস্তি তৈরি করতে বললেন। নূহ (আঃ) যখন ঈমানদার ও প্রত্যেক প্রাণী থেকে একজোড়া করে কিস্তিতে আরোহণ করলেন তখন আকাশ থেকে মুশল ধারে বৃষ্টি ঝড়তে শুরু করল, জমিন থেকে পানি নির্গত হতে লাগল। জমিন যখন পানিতে একেবারেই ডুবে গেল, তখন সব কাফির ধ্বংস হলো।
এরপরে জমিন তার পানি শুকিয়ে নিল, নূহ(আঃ) ও ঈমানদারেরা কিস্তি থেকে নামল, তারা শহর গড়ে তুলল, গাছপালা রোপণ করল, যেসব পশুপাখি তাদের সাথে ছিল সেগুলো ছেড়ে দিল, এভাবে জমিন আবাদ করা শুরু করল, লোকজন সন্তান সন্তুতি জন্ম দেয়া শুরু করল।
নূহ আলাইহিস সালাম এর ইতিহাস বিস্তারিত পড়ার জন্য:  ••► bn.islamkingdom.com/s2/47461


ওয়ার্ডপ্রেস কিছু কাজ করাবো বাজেট ১৫০ ডলার ...

$
0
0

আমার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে কিছু কাজ করাবো বাজেট ১৫০ ডলারের মধ্যে , এই ফোরামের বিজ্ঞদের মধ্যে কারো সময় হবে ।

যা করতে হবেঃ
১। আমার টিউব সাইটে ইউজার আপলোড সিস্টেম (বিস্তারিত ফোনে কথা হবে)।
২। পোস্ট রিপোর্ট সিস্টেম ।
২। ভিডিও প্লেয়েরে অটো লিংক জেনারেট যতে অরিজিনাল লিংক কেউ দেখতে না পাই ।


*** আমার বাজেট ১৫০$ । যদি আপনাদের কিছু বলার থাকে তবে বলতে পারেন ।

চলুন অবসরে ঘুরে আসি ঐতিহাসিক নিদর্শন বিথঙ্গল আখড়া

$
0
0

জ্ঞান অর্জনের জন্য যেমন বইয়ের প্রয়োজন তেমনি ভ্রমনের মাধ্যমেও জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। আর সেটা যদি হয় কোন নতুন দর্শনীয় স্থান তাহলে তো কথাই নেই। আজ আমি সে রকম একটা জায়গার নাম বলতে চাই আর সে জায়গাটা হল তাহল বানিয়াচং উপজেলার প্রাচীন বিথঙ্গল আখড়া। নতুন রূপে ঐতিহাসিক নিদর্শন বিথঙ্গল আখড়া এখন পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। আখড়ার প্রাচীন জরাজীর্ণ ভবনগুলো সংস্কার করায় এর জৌলুস বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আখড়ায় আসছেন। বর্ষাকালে জেলা সদর হতে ইঞ্জিন নৌকাযোগে দেড় ঘণ্টায় বিথঙ্গল পৌঁছার সহজ ব্যবস্থা রয়েছে। তবে শুকনো মৌসুমে আখড়ায় যাওয়া অনেকটা কঠিন। আখড়ার বিশাল ইমারতগুলোর নির্মাণশৈলী সহজেই দর্শকদেরকে আকৃষ্ট করে। বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের জন্য এ অঞ্চলের অন্যতম তীর্থ ক্ষেত্র এই আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা রামকৃষ্ণ গোস্বামী হবিগঞ্জের রিচি পরগণার অধিবাসী ছিলেন। তরুণ বয়সে তিনি উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান সফর শেষে বিথঙ্গল এসে এই আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলা ১০৫৯ সালে রামকৃষ্ণ গোস্বামী মারা যান। আখড়ায় রামকৃষ্ণ গোস্বামীর সমাধিস্থলের উপর একটি সুদৃশ্য মঠ রয়েছে। মঠের সামনে একটি নাট মন্দির, পূর্বপাশে একটি ভাণ্ডার ঘর এবং দক্ষিণে একটি ভোগ মন্দির রয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি পুরোনো ইমারত আছে। আখড়ায় দর্শনীয় বস্তুর মধ্যে রয়েছে ২৫ মণ ওজনের শ্বেতপাথরের চৌকি, পিতলের সিংহাসন, রথ, রৌপ্যনির্মিত পাখি, মুকুট ইত্যাদি। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এলাকাবাসী প্রতিদিন রোগবালাই হতে পরিত্রাণের জন্য আখড়ায় এসে মোহন্তের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে যান। ভ্রমণ পিপাসু যারা আছেন তারা শহরের কোলাহলময় পরিবেশ থেকে একটু রেহাই পেতে ভ্রমণ করে আসতে পারেন ঐতিহাসিক নিদর্শন  সম্বলিত এই জায়গাটিতে। এতে একদিকে যেমন আপনার চিত্ত বিনোদন হবে তেমনি আপনার জ্ঞান ভাণ্ডার কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ হবে।

এক্সেল সমস্যা

$
0
0

https://ibb.co/kO5Fov
আমি এক্সেল সেল মারজ করতে চাচ্ছি।কিন্তু এই অপশন টা ডিসেভল হয়ে আছে।কি করতে পারি এখন...

বাংলাদেশে মানব-ইতিহাসের নিকৃষ্ট, নির্লজ্জ ও ঘৃণ্যপন্থায় ইয়াবাপাচার

$
0
0

https://encrypted-tbn2.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcSunjYLBScij1eyYCrxOnShBqCNbIPvf_Qje1GfmEGKnrp1QxIK

বাংলাদেশে মানব-ইতিহাসের নিকৃষ্ট, নির্লজ্জ ও ঘৃণ্যপন্থায় ইয়াবাপাচার (ইয়াবাপাচারের ভিডিওলিংকসহ)
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। দিনে-দিনে আরও এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতবিশ্ব। আর সর্বাগ্রে এগিয়ে চলছে তাদের  জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতা। আর তাই, গোটা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে এশিয়ার অনেক দেশই এখন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছে। আর আমাদের দেশের কিছুসংখ্যক অমানুষ আরও বেশি পশু আরও বড় শূয়র হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে খুঁজলে এখন সামান্য মনুষ্যত্বও হয়তো আর পাওয়া যাবে না। এই শূয়রগুলো দেশের যুবসমাজকে (যুবমহিলাসমাজসহ) বিকলাঙ্গ করা থেকে শুরু করে তাদের একেবারে মেরুদণ্ডহীন করার ঘৃণ্যপ্রচেষ্টায় তাদের শয়তানীকর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। এই শয়তানীঅপকর্মের একটি হলো চোরাকারবারি। আর এই তালিকায় রয়েছে যৌনউত্তেজক ভায়েগ্রাবংশের অবৈধসন্তান ‘ইয়াবা’।

দেশের তথাকথিত-শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা এখন নিজেদের ইয়াবাপাচারের মতো জঘন্য অপকর্মে শামিল করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করছে না। আর এক্ষেত্রে সর্বদিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে একশ্রেণীর সুন্দরী। এরা এখন নিজেদের যৌনাঙ্গের মধ্যে ভরে ইয়াবাপাচারের মতো জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত। হ্যাঁ, আমাদের দেশের একশ্রেণীর সুন্দরী ও উঠতি তরুণী-যুবতী এখন লাভের আশায় নিজেদের সর্বনাশের পথে ধাবিত করে যৌনাঙ্গের মধ্যে ভরে ইয়াবাপাচারের মতো নির্লজ্জ ও জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। অতিসম্প্রতি পুলিশের হাতে এই চক্র ধরা পড়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। আগে শোনা যেতো পেঁপে, তরমুজ, নারিকেল, মাছ, সুপারী, গাড়ির টায়ার ও যন্ত্রাংশ, এলপি গ্যাস-সিলিন্ডার, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স-সামগ্রী, বইপত্র, ফলমূল, শাকসবজি শিশুখেলনা, ধর্মীয় উপকরণ, শিক্ষাসামগ্রী, ক্রীড়াসামগ্রী ইত্যাদির মধ্যে করে ইয়াবাপাচার করতো। আর এখন এসব রুট পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা পরিবর্তিত হয়ে সরাসরি নারীর যৌনাঙ্গ পর্যন্ত এসে ঠেকেছে! এদের আদিমশূয়র ছাড়া আর কী বলা যায়? এদেরই আগ্রাসনে আজ দেশের তরুণী-যুবতীসমাজ নিজেদের লজ্জাশরম সামান্য টাকার কাছে বিক্রি করে দেশ, জাতি ও মানবতা ধ্বংসের অপকর্মে নিয়োজিত।

ইতঃপূর্বে আমরা শুনেছি, দেখেছি, পুরুষ-চোরাকারবারিরা তাদের পায়ুপথে (মলদ্বারে) কিংবা পেটের ভিতরে ঢুকিয়ে সোনা থেকে শুরু করে নানারকম মাদকদ্রব্য পাচার করেছে, আর তা এখনও করছে। অবশ্য এই অপকর্মটি নারীপাচারকারীরাও একসময় করেছে। এটিও একটি অতীব ঘৃণ্যপন্থা। আর এইসকল ঘৃণ্যপন্থাকে ছাড়িয়ে বর্তমানে দেশের একশ্রেণীর নারী-মাদকপাচারকারী সরাসরি তাদের যৌনাঙ্গের মধ্যে করে ইয়াবাপাচার শুরু করেছে। এরা একটি কনডমের ভিতরে কমপক্ষে চারশ’-পাঁচশ’ (আর সর্বোচ্চ ৭০০-৮০০) পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে তারপর তা নিজেদের যৌনাঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছিলো। অতিসম্প্রতি এদের কয়েকটি চালান ধরা পড়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর টনক নড়েছে।
যারা নিজদেহের যৌনাঙ্গের মধ্যে ইয়াবা-বহন করছে তারা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর তাদের বেশিরভাগই তরুণী-যুবতী আর সুন্দরী। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের এই অপকর্ম করার যথেষ্ট সাহস রয়েছে। আর মাদকপাচারকারীচক্র বা মাদকসম্রাটরা সেভাবেই এদের গড়ে তুলেছে। এরা এখন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

নারীদেহের-যৌনাঙ্গের মধ্যে ইয়াবাপাচার-বিষয়টি আমাদের দেশে সম্প্রতি ধরা পড়ে। আর এতে নড়েচড়ে বসে দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এই বিষয়ে ইউটিউবে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন এখানে সংযুক্ত করা হলো।
নারীর যৌনাঙ্গের মধ্যে ইয়াবাপাচারের ভিডিওলিংকটি এখানে:

https://youtu.be/jkIxpNe_vIk


দেশের বইবিমুখ-যুবসমাজ এমনিতে আজ রসাতলে যেতে বসেছে। তার উপরে নতুন করে আঘাত হেনেছে জীবনীশক্তিধ্বংসকারী এই ইয়াবা। এর ছোবলে দেশের যুবসমাজ ধীরে-ধীরে অন্ধকারের অতলে তলিয়ে যেতে বসেছে। আমরা দেখতে পাই আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলারক্ষাবাহিনী অনেক ইয়াবা-ব্যবসায়ীকে মাঝে-মাঝে গ্রেফতার করছে। কিন্তু এতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সবসময় সম্পূর্ণ ধরা-ছোঁওয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালীচক্র—গডফাদারগোষ্ঠী। এবার এদের গ্রেফতার করতে হবে।

দেশের প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইয়াবাপাচারের সবচেয়ে নিরাপদ রুট। এখানকার একশ্রেণীর সুন্দরী এখন সরাসরি ইয়াবাসেবনে ও পাচারের মতো জঘন্য অপকর্মে নিয়োজিত। জাতির এই ক্রান্তিকালে দেশবিরোধী একটি চিহ্নিত-শয়তানচক্র জঙ্গিবাদের সঙ্গে দেশের যুবশক্তিবিধ্বংসী-মাদকপাচারের মতো আরও একটি ভয়াবহ অপকাণ্ডকে জোরালো করতে চাইছে। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র কি এব্যাপারে এখনও হাত-পা-গুটিয়ে বসে থাকবে? আর দেশের আইনশৃঙ্খলারক্ষাবাহিনী মাঝে-মাঝে চুনোপুঁটি মাদকসেবী কিংবা মাদকপাচারকারীকে গ্রেফতার করে নিয়মিত নাটক-প্রহসন মঞ্চস্থ করতেই থাকবে?


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৩/০৩/২০১৭

ডেনিম উৎপাদনে বিশ্বে সর্ববৃহৎ বাংলাদেশ

$
0
0

তৈরি পোশাকের বিশ্ব বাজারে রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাকের বিশ্ব বাজারের ৬ শতাংশ শেয়ার দখল করে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে এই অবস্থান আরও বাড়বে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ব্যবসাভিত্তিক গণমাধ্যম ‘বিজনেস ওয়্যার’ এর এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৮ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে তার আগের বছরগুলোর চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে প্রায় ১০ দশমিক ২১ শতাংশ। মূলত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উৎপাদন বৃদ্ধি, উদ্যোক্তাদের নিরলস চেষ্টা, কারখানা শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের মান উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি ইতিবাচক কারণে পোশাক খাতে রফতানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। বর্তমান বিশ্বের বস্ত্র বাজারের প্রায় ৬ শতাংশ পোশাকই সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে পৌঁছে। ভবিষ্যতেও পোশাক রফতানির এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ডেনিম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করবে বলে উল্লেখ করে ‘বিজনেস ওয়্যার’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডেনিম (জিন্স) উৎপাদনকারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, কারণ প্রতিবছর এদেশে যে পরিমাণ ডেনিম উৎপাদন হয় তার রফতানি মূল্য প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে দিন দিন ডেনিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব বাজারে শীর্ষ স্থান দখল করাই হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য। ধারণা করা যায়, ২০২১ সালের মধ্যে ডেনিমের বিশ্ব বাজারের ১০ দশমিক ০৮ শতাংশ শেয়ার বাংলাদেশের দখলে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) ডেনিম বাজারের ২৩ শতাংশ সরবরাহ করে সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ হিসেবে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মেক্সিকো ও চীনের পর ১১ দশমিক ৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করে রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। বিনিয়োগও বাড়ানো হচ্ছে এ খাতে। বর্তমানে ডেনিম খাতের বিনিয়োগ ২০১৫ সালের ৯০০ মিলিয়ন ডলারকে অতিক্রম করেছে। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পোশাক রফতানি করে বিশ্বে শীর্ষ উৎপাদনকারীর তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষ দশ উৎপাদনকারীর তালিকায় রয়েছে হা-মীম গ্রুপ, বেক্সিমকো ফ্যাশন ও স্কয়ার ফ্যাশন। তারা পণ্যে বিভিন্ন বৈচিত্র্য এনে প্রতিযোগিতার মার্কেটে শীর্ষে অবস্থান করেছে। সাবাস বাংলাদেশ, এগিয়ে যাও বাংলাদেশ।

এই অভিনেতা ও অভিনেত্রীর নাম জানতে চাই

সোলায়মান চেয়ারম্যান

$
0
0

[একটা উপন্যাস লিখছি। নাম ঠিক করিনি। সেটার একটা অংশ সোলায়মান চেয়ারম্যান।]

নবীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও অফিসে খানিকটা জড়সড় ভঙ্গিতে বসে আছে সোলায়মান। পুরা নাম মোহাম্মোদ সোলায়মান। পরিপাটি করে আচড়ানো চুলের তামাটে চেহারার দীর্ঘদেহী সোলায়মানের এরকমভাবে বসে থাকার কোন কারণ নাই। কারণ সে নিজে এই উপজেলার চেয়ারম্যান। কিন্তু তারপরেও সে অস্বস্তিতে আছে। অস্বস্তির কারণ অফিসের ইউএনও সালমা খাতুন। সুন্দরী নারীর প্রেমে পড়লে খানিকটা অস্বস্তি হবেই। আর সেই সাথে সুন্দরী নারীটি যদি মারাত্বক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং রাগী হয়, তাহলে সেই অস্বস্তি রূপান্তরিত হয় আতঙ্কে। এটাই স্বাভাবিক।

সচারচর উপজেলা চেয়ারম্যানরা যেরকম হয়, সোলায়মান সেরকম না। সে প্রাথমিক শিক্ষার জন্যে দেয়া ফ্রি বই একেবারে ঠিকমতন বিতরণ করে, রিলিফের মাল চুরি করেনা, আবার উন্নোয়ন তহবীল থেকে আসা সরকারী বরাদ্দের টাকাও এদিকওদিক করেনা। ধনাঢ্য পরিবারের একমাত্র সন্তান হওয়ায় তার টাকাপয়সার অভাব নেই, প্রয়োজনও নেই।  তবে সতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তার রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটও নাই। কিন্তু তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। মানুষ তাকে মারাত্বক পছন্দ করে। তার নির্বাচনে আসার ঘটনাটাও কাকতালীয়। তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রধান, একদিন জনসমক্ষে সেই স্কুলের হেডমাস্টারকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কান ধরে উঠবস করায়। এটা দেখে মাথায় রক্ত উঠে যায় সোলায়মানের। ছাত্র হিসেবে সে ছিলো মোটামুটি মানের। কিন্তু শিক্ষকদের অত্যন্ত সন্মান করতো। এখনও করে। শিক্ষকরাও তার এই গুনটির জন্যে ভালো ছাত্রদের পাশাপাশি তাকেও অত্যন্ত স্নেহ করেন। সেই মুহূর্তে তার প্রয়াত পিতার কথা মনে পড়ে যায়। “শিক্ষকর মনো কষ্ট দিলাইলি তো কবিরা গুনাহ করলি।” হাতের কাছে পড়ে থাকা চেলা কাঠ নিয়ে চেয়ারম্যান আর সাঙ্গোপাঙ্গোদের বেদম প্রহার করে সোলায়মান। তার এরকম রুদ্রমুর্তি  দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় চেয়ারম্যান গং। ভয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারা দাঁড়িয়ে থাকা জনগণও এগিয়ে আসে সোলায়মানকে সাহায্য করতে। এই ঘটনাটাই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সোলায়মানের। কয়েকদিন পরেই হওয়া নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সে।     

ঘড়ির কাটা ধরে ঠিক দশটার সময় অফিসে ঢোকে সালমা। সব মানুষেরই কর্মক্ষেত্রে সময় মেনে চলা উচিত। আর মানুষটা যদি নারী হয়, তাহলে তাকে আরও বেশি সময় মেনে চলতে হয়। বলতে খারাপ শোনালেও, আজও পুরুষশাসিত এই সমাজে নারীদের ভুল্ভ্রান্তি ধরার জন্যে মানুষ মুখিয়ে থাকে। আর তার মতন এরকম সরকারী পদে চাকুরি করা কর্মকর্তা যদি নারী হয় তাহলে তো কথাই নেই। অফিসে ঢুকেই তার জন্যে অপেক্ষারত সোলায়মানকে দেখতে পায় সালমা। সোলায়মানকে ছোটবেলা থেকে খুব ভালোমতন চেনে সালমা। ও যখন ছোট ছিলো তখন ওর বাবা শিক্ষা অফিসার হিসেবে আসেন এ উপজেলায়। তখন বেশ কয়েক বছর তাদের এ এলাকায় থাকতে হয়। তখন প্রায় সময় সোলায়মান ওর স্কুল আর কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতো। কখনও কোন অসভ্যতা করেনি ওর সাথে। কিন্তু সালমা একদমই পাত্তা দেয়নি। ছেলেরা হচ্ছে বাঁদরের মতন। পাত্তা দিলে মাথায় চড়ে বসে। নিজের ক্যারিয়ার ওর কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেতো। লুতুপুতু প্রেম করে ক্যারিয়ারের বারোটা বাজানোর মতন মেয়ে ও কখনোই ছিলো না।

আমাদের সমাজের কিছু অলিখিত নিয়ম আছে। যেমন শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক হবে, ব্যবসায়ীর সন্তান ব্যবসায়ী, নেতার সন্তান নেতা আর সরকারী চাকুরের সন্তান সরকারী চাকুরে। সেই নিয়ম মেনে সালমাও তার বাবার মতন সরকারী কর্মকর্তা। এতো বছর পরে চাকরীসূত্রে এই এলাকায় আসার পরে সোলায়মানকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পেয়ে যারপরণাই অবাক হয়েছে সালমা। কারণ সোলায়মানের বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। বাবার মতন ব্যবসায় না গিয়ে সে হয়েছে রাজনীতিবিদ। তাও দল ছাড়া। দল ছাড়া নেতা হওয়া, আর ঢাল-তলোয়ার ছাড়া নিধুরামসর্দার হওয়া একই কথা। আবার তথাকথিত অন্যান্য চেয়ারম্যানেদের মতন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও নেই। সবদিক দিয়েই সোলায়মান ব্যতিক্রম। তবে আজকাল আমরা প্রথা ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় নেমেছি। তাই এই অলিখিত নিয়ম ভেঙ্গে ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন রাজনীতিবিদ, আর রাজনীতিবিদরা নামছেন ব্যবসায়।

প্রথম যেদিন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তার সাথে সালমার পরিচয় হয়, তখন সোলায়মান খুব পরিচিতজনের মতন ওর সাথে কথা বলতে আসলেও সালমা ভালোমতন বুঝিয়ে দেয় যে, ওকে তার মনে নেই। কারণ চোখ দেখেই বোঝা যায় যে, সে সালমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে এবং এখনও সে সালমার মতনই অকৃতদার। এর আগে যে কয় জায়গায় সালমার পোস্টিং হয়েছে, সবখানে একইরকম সমস্যা পোহাতে হয়েছে তাকে। সবাই তার প্রেমে হাবুডুবু খায়। এই সমাজে নারী হওয়া যেন একটা অপরাধ। তারচেয়ে বড় অপরাধ চেহারাসুরত ভালো হওয়া আর অবিবাহিত থাকা। এইতো কয়েকদিন আগেও খবরের কাগজে এলো, পুলিশের এক মহিলা এ.এস.আই কে উক্তোক্তকারী বখাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। কত বড় সাহস! সমাজের নিরাপত্তারক্ষী অস্ত্রবহনকারীরাও এই নর্দমার কীটগুলোর হাত থেকে রেহাই পায়না শুধুমাত্র নারী হবার কারণে! এই নরকের কীটগুলোর যোগ্যতা একটাই যে তারা পুরুষ। সমাজের এসব ফালতু ধরনের নিয়মনীতি ভাঙতে আর সস্তা মানসিকতা পাল্টাতে বদ্ধপরিকর সালমা। এসব ব্যাপারে তার মা-বাবা যথেষ্ট সাহায্য করে ওকে। এজন্যে মনে মনে আরও একবার তাদের ধন্যবাদ দেয় সে।

সালমাকে দেখেই উঠে দাঁড়ায় সোলায়মান। প্রতি মানুষেরই কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। যেমন সোলায়মান। কোন এক অজানা কারণে স্থানীয় মানুষজন তার নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করে সোলেমান। ওর নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করলেই সে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। ইচ্ছে করে ওকে একটু ক্ষেপিয়ে দেয়ার জন্যে সালমা বলে ওঠে,
-    কি ব্যাপার সোলেমান সাহেব, একেবারে সাতসকালে অফিসে হাজির। জরুরী কিছু?

অন্য কেউ হলে এতোক্ষণে একটা হুলুস্থুল করে ফেলতো সোলায়মান। নাম বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে এমন করাও উচিত। বিকৃত উচ্চারণকারীদের বিরুদ্ধে সরব না হলে বড় ধরনের ক্রাইসিস  তৈরী হতে পারে। যেমন, তাদেরই ইউনিয়নের এক লোকের নাম ভত্তা। প্রকৃতিপক্ষে লোকটার নাম ছিলো আবুল ফাত্তাহ। সেখান থেকে সংক্ষিপ্ত হয়ে হলো ফাত্তা। সেটা আরও বিকৃত হয়ে হলো ভত্তা! লোকজন বাসায় এসে জিজ্ঞেস করে, “বাসাত ভত্তা আছেনি?” কি বিচ্ছিরি ব্যাপার! আবার আরেকজনের নাম ছিলো সাইফুল্লাহ। কিন্তু কাবিল লোকজনের বিকৃত উচ্চারণের বদৌলতে সে এখন ছয়পাল্লা। এখানে শেষ হলে ভালোই ছিলো। ছয়পাল্লার নামে অনুপ্রাণিত হয়ে কয়েকদিন আগে এক নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে নয়পাল্লা! তাও আবার আকিকা করে! এতো কিছুর পরেও সালমার উপর ক্ষিপ্ত হতে পারে না সোলায়মান। পুরো জিনিসটা বরাবরের মতন হজম করে। প্রেমে পড়া মানুষদের এরকম অক্ষমতা মাঝে মাঝে বড়ই পীড়াদায়ক।
-    জ্বী। আসলে আফনার কাছে এখটা আবদার খরতাম।
-     এখটা, খরতাম, এগুলো আবার কি? এটা একটা অফিস। আঞ্চলিক ভাষা বাদ দিয়ে চলিত ভাষা বলুন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটাতো অন্তত জানা উচিত আপনার। আর আবদার আবার কি? আমি কি আপনার মা নাকি?
কথার শুরুতেই এমন জবাব পেয়ে খানিকটা চুপসে যায় সোলায়মান। তবে সালমার কথা ঠিক। নারী জাতির মধ্যে পুরুষরা আবদার করতে পারে শুধু মা-খালাদের কাছে। প্রেমিকা বা স্ত্রীর কাছে আবদার করা যায়না। সমস্ত আবদার শুধু তারাই করতে পারবে। পুরুষদের সে অধিকার নেই। জগতের কিছু নিয়ম বড়ই কঠিন।
-    জ্বী না। আসলে ভুল অই গেছে... থুক্কু... হয়ে গিয়েছে। আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে, কালিয়ারভাঙা ইউনিয়নে বিলের কাছে একজন বাবা এসেছে। লোকজন বলছে সে নাকি “হাঁটা বাবা”। সারাদিন সারারাত হেঁটে বেড়ায়। খানাখাদ্য গ্রহণ করেনা। আবার মানুষকে ছুঁয়ে দিয়ে তাদের রোগবালাই সারিয়ে দিচ্ছে। আসলে এইগুলো তো বেশিরভাগ ভন্ড হয়। গ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলোকে ধোঁকা দিয়ে টাকাপয়সা কামায়। সেজন্যে ব্যাপারটা দেখতে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম আপনাকে সাথী করি। আপনিতো এসব ব্যাপারে অনেক কড়া।

প্রকৃতপক্ষে এসব ভন্ডকে শায়েস্তা করতে সোলায়মান একাই যথেষ্ট। শুধুমাত্র কিছু সময়ের জন্যে সালমার সংগ পাবার আশায় ও এখানে এসেছে। এখন সালমা রাজি হলেই হয়, মনে মনে ভাবে সোলায়মান।
সালমার শক্ত হয়ে যাওয়া চোয়াল থেকে বুঝতে অসুবিধা হয়না যে, সে সোলায়মানের কথাগুলো বেশ গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।
-    আপনি কিসের ঘোড়ার ডিমের চেয়ারম্যান হয়েছেন আমি বুঝিনা। এই ভন্ডগুলো ঢোকার সাহস পায় কিভাবে? 
-    জ্বী, আমিতো জানতাম না। আজকে খবর পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই আপনার কাছে ছুটে এসেছি। 
সোলায়মানের আত্মসমর্পনের ভঙ্গিতে সাহায্য চাওয়া দেখে ভালো লাগে সালমার। সুন্দরী নারীরা আত্মগরিমায় টইটুম্বুর পুরুষদের পছন্দ করেনা। পছন্দ করে আত্মসমর্পনকারী বিনয়ী পুরুষদের। সালমাও তার ব্যতিক্রম নয়।
-    নো। নেভার। আমার উপজেলায় এসব ভন্ডামি চলবেনা। এখুনি গিয়ে ব্যাটাকে ঘাড় ধাক্কা দিতে হবে।
সালমা তার পিএস এর দিকে তাকিয়ে গাড়ি বের করার নির্দেশ দেয়। এটা শুনে মুখটা পাংশু করে ফেলে সোলায়মান। ভেবেছিলো সালমাকে নিয়ে তার নিজের গাড়িতে করে যাবে। সে আশা পন্ডো হয়ে যাচ্ছে দেখে খুবই সতর্কতার সাথে বলে ওঠে,
-    জ্বী, আমি সাথে গাড়ি এনেছি।
-    সেটা আমি জানি সোলায়মান সাহেব। সরকার যে উপজেলা চেয়ারম্যানদের গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে তা সবাই জানে। ঢোল পেটাতে হবেনা।
সালমার কথা শুনে খানিকটা বিব্রতবোধ করে সোলায়মান। কিন্তু একই সাথে আশাবাদী হয়, কারণ সালমা সঠিকভাবে তার নামটা উচ্চারণ করেছে।
-    জ্বী আসলে, একই জায়গায় যাওয়ার জন্যে দুটো গাড়ি ব্যবহারের তো কোন দরকার নাই। সরকারী তেলের অপচয়। সেজন্যে বলছিলাম আরকি।
-    জ্বী। সে কথা আমিও জানি। এজন্যেই একটা গাড়ি ব্যবহার করবো। আপনি আমার সাথে আমার গাড়িতে যাবেন। আবার

ফেরত আসার সময় ফেরত আসবেন। তারপর এখান থেকে আপনার গাড়ি নিয়ে যেখানে যাবার যাবেন।
সোলায়মানের মনে খুশির হিল্লোল বয়ে যায়। চেহারায় খুশির ঝিলিকটা চাপা দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। আজ কার মুখ দেখে ঘুম ভেঙ্গেছে তা মনে করার চেষ্টা করতে থাকে সে। বাসায় গিয়ে তাকে চারটা ভালোমন্দ খাওয়াতে হবে। সালমার সংগ লাভের আনন্দে পুলকিত হয়ে গাড়িতে ওঠার জন্যে পা বাড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান।


অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট, রাজধানীবাসীর স্বস্তি

$
0
0

পাবলিক টয়লেট বললেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ময়লা, অপরিষ্কার, দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশ। তবে এই চিত্রটা রাজধানী ঢাকায় এক বছর আগে সত্য হলেও এখন আর নয়। এই শহরের সবকিছুর মতো পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে পাবলিক টয়লেটেও। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা এবং ওয়াটার এইডের সহযোগিতায় ঢাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট। এগুলোর তুলনা চলে অত্যাধুনিক বাসা কিংবা পাঁচতারকা হোটেলের টয়লেটের সঙ্গে। শুধু উন্নতমানের পাবলিক টয়লেট করেই ক্ষান্ত হয়নি কর্তৃপক্ষ, এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করেছে। ফলে বেশ কয়েক মাস চলে গেলেও পাবলিক টয়লেটগুলোর পরিবেশ এখনো সন্তোষজনক আছে। এভাবে কর্তৃপক্ষ সক্রিয় থাকলে পরিবেশ কখনো নষ্ট হবে না। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় নতুন গড়ে ওঠা পাবলিক টয়লেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি পাবলিক টয়লেটই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সেখানে আছে পুরুষ-নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। টয়লেটের ভেতরে হাত ধোয়া, নিরাপদ পানি সংগ্রহ, ওজু করার ব্যবস্থাও আছে। ব্যবহার করে বের হওয়ার সঙ্গে পরিষ্কার করা হচ্ছে পাবলিক টয়লেট। এর জন্য নির্দিষ্ট আছে পরিচ্ছন্নতা কর্মী। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা খুবই সচেতনতার প্রমাণ দিচ্ছেন। পাবলিক টয়লেটগুলো ব্যবহারকারীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে নেই কোনো অভিযোগ। টয়লেটগুলোতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আছে বিকল্প সোলার ব্যবস্থা। প্রতিটি টয়লেটে আছে গোসলের সুব্যবস্থাও। এমনকি ব্যবহারকারীদের মালামাল রাখার জন্য রয়েছে লকারের ব্যবস্থা। প্রতিটি টয়লেটের নিরাপত্তার জন্য সামনে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন ও পান্থকুঞ্জ পাবলিক টয়লেটে প্রতিদিন গড়ে তিনশ বা এরচেয়ে বেশি লোক তাদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ।রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে মোট ৩৬টি পাবলিক টয়লেট করা হবে। এরমধ্যে ইতোমধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ১০টির। আরও ১০টি অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণাধীন রয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে টয়লেট হবে মোট ৪৭টি। সেগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১৭টি টয়লেটের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে হবে। রাজধানীর পাবলিক টয়লেটগুলো ইজারা দিয়েছে সিটি করপোরেশন। এসব পাবলিক টয়লেট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড নিয়োগ করেছে পেশাদার ক্লিনিং প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। চুক্তি অনুযায়ী সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ওয়াটার এইডের প্রতিনিধিসহ এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি ও গ্রহণযোগ্য সমাজসেবক ব্যক্তিদের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নিয়মিত টয়লেটের ব্যবস্থাপনা তদারকি করে। টয়েলেটের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ। সেই অর্থ কমিটির মাধ্যমে টয়লেট পরিচালনা, কর্মীদের বেতন, ইউটিলিটির ভাড়া পরিশোধ ও মেরামতকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাবলিকের কাছ থেকে পাওয়া অর্থেই ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে টয়লেটগুলো। এর জন্য সরকারকে কোনো ভর্তুকি দিতে হয় না। ২০১৬ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট করার উদ্যোগ নেয়। পর্যায়ক্রমে নগরীর বিভিন্ন স্থানে এই পাবলিক টয়লেটগুলোর উদ্বোধন করেন ঢাকার দুই মেয়র।

ঐ রিকসা যাবি? ও উচ্চশিক্ষিতের মানসিকতা।

$
0
0

অামাদের অাশেপাশে চলতে ফিরতে কতইনা রিকসা দেখতে পাই।রং বে রং-এর রিকসা।ইঞ্জিনচলিত,ব্যাটারিচালিত,ঘামে ভেজা পাচলিত।এই রিকসা নিয়ে অাজ একটি ছোট্ট গল্প বলব-

ঐ রিকসা যাবি?
বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর ডাক! অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম! রিকসাওয়ালা ছিল বাবার বয়সী কী তার চেয়ে বড়!বিশ্বের মক্তমনা জ্ঞান অাহরন করতে এসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এটা উনার শিক্ষা।এই ঘামে ভেজা দিনমজুর-কৃষক-শ্রমিকদের কষ্টার্জিত অর্থে এই সবুজ অরন্য ঘেরা ক্যাম্পাস চলে সেটা হয়ত অামরা ভুলে যায় অথবা জানিনা, জানতে চাইও না।অাচ্ছা যদি অাপনার বাবাকে কেউ এভাবে ডাকত!হতে পারে অাপনি ধনীর দুলাল কিন্তু অাপনার অধিকাংশ ক্লাসমেটের বাবা ই দেখেন কৃষক অথবা দিনমজুর।
কোন একটি বিভাগে গেছিলাম।একটি ক্লাসরুম ও একটি নামমাত্র অফিস দিয়েই বিভাগটি চালু হয়েছে।নেই পর্যাপ্ত সুবিধা।এখানকারই এক নামকরা অধ্যাপককে প্রশ্ন রেখেছিলাম এই সম্পর্কে।উনি উত্তর দিলেন"শোন বাবা একটি ক্যাম্পাসে হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রয়োজন নেই,প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত দুটি ছাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যথেষ্ট"।এটি গবেষনার জাইগা যদি একটি বিভাগের পর্যাপ্ত সুবিধাই না দেয়া যায় তবে কি লাভ গন্ডায় গন্ডায় বিভাগ খুলে?কারনাটা অবশ্য অথই জলের মত গভীর।
এক ভাইকে প্রশ্ন করেছিলাম,মার্কেটিং -এ পড়ে অাপনি কি শিখলেন?
→সাধারন জ্ঞান,ইংরেজি,বাংলা, ম্যাথ ইত্যাদি।
বিভাগীয় জ্ঞানটা প্রস্ফুটিত করবারই যেখানে স্কোপ থাকে না সেখানে এরুপ উত্তর কাম্য।
কিছুদিন অাগে Wi-Fi উদ্ভোধন হল।অবশ্যই এটা ভাল জিনিষ।তবে শিক্ষার্থীদদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না করে নয়।এক ভাইকে বললাম, এত্ত Wi-Fi স্পিড দিয়ে কি করবেন?
→ফেইসবুক,ইউটিউব অার এক্সভিডিওস ডট কম -এ সময় দিয়ে।
অথছ এটার অনেক ভাল দিকও রয়েছে।তবে অধিকাংশই অামরা এডাল্ট।চিন্তাধারাগুলোও এডাল্ট।নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ঠিকই এক্সভিডিওস অথবা অন্য কোন পর্ন সাইটে ভিজিট করে নিজের মনোরঞ্জন করি(ছেলে-মেয়ে উভয়ই)।সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় ফেইসবুকে।
অথছ রিকসাচালক বা দিনমজুর বাবাটি ক্যামন অাছে খোঁজ নিতে ভুলে যায়;ধিক্কার মারি।অথছ উনার ঘাম ঝরানো অর্থেই অাজ এখানে পড়ছি।এই বিলাসিতার ফলও উনার পরিশ্রমেই স্বার্থক।
এক রিকসাওয়ালা উনি ক্যাম্পাসের বাইরে রিকসা চালান না। অামি জিজ্ঞাস করলাম কেন কাকা?
উনি বললেন"অাপনারা বড় হয়ে অফিসার,পুলিশ,জর্জ,ম্যাজিস্ট্রেট হবেন।মাইনসেরে বলতে পারব অামার এই রিকসায় চড়ে কত জর্জ, ম্যাজিস্ট্রেট হল।" মনটা কত বড়  হলে এই কথাটা বলা যায় অথছ প্রায়শই তাকেই গালাগালি, তুইতুকারি ইত্যাদি বলতে পিছপা হই না।
রিপন(কল্পনাম) নামের ছোটভায়ের সাথে দেখা হয়েছিল একটু অাগে।উদাস মনে কে ডার্বির ধোঁয়া ফুকছিল।দেখে মনে হল হয়ত ছেলেটা ছ্যাকা-ট্যাকা খেয়ে খুব কষ্টে অাছে।বিড়ি টানতে টানতে তার মনের দুঃখগুলো শেয়ার করল।সে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন সে যে কোন তিনবেলা না খেয়ে থাকে।মাঝে মধ্যেই এমন করে।প্রতিদিন সকালের খাবার দুপুরের সাথে খায়।যা একটু সেভ হয়!হলে থাকে, একটা টিউশুনি করায়।ওখান থেকে যা অাসে তাই দিয়ে চলে।অনেক কথা খরচ করতে হয়েছিল কথাগুলো বের করতে।ছেলেটির বাবাও রিকসা চালক।সেও মাঝে মধ্যে রিকসা চালাত।ওর সামনেই ওরই বন্ধু ওভাবে ("এই রিকসা যাবি?") ডাকদিয়েছে।ওখানে বুক চেপে কষ্টটা সয়ে একপাশে এসে কাদছিল।কথাগুলো বলতে বলতে গলাটা জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেদে দিল।শান্তনা ছাড়া দেয়ার মত কিছুই ছিল না অামার ওর এই চাপা কষ্টের কাছে।
রাতে খায়নি।অামি অনেক বুঝিয়ে বললাম চল অাজ অামার সাথে খাবি।কোনমতে রাজি হল না।বলল "অাপনি কদিন খাওয়াবেন? একদিন,দুদিন,তিনদিন এর বেশি ত নয়।কিন্তু অামি একবেলা না খেয়ে দিব্যি চলে যাব।চলতে চলতে অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।যেমন অাপনি প্রতিকাপ চায়ের সাথে একটি করে বিড়ি খেতে অভ্যস্ত।কারো কাছ থেকে খাওয়া অভ্যাস না করায় শ্রেয়।" উত্তর শুনে হতবাক হয়ে নির্বোধের মত তাকিয়ে রইলাম! ও হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল ;শুধু তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে!

দ্বিখণ্ডিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে দু’জন #সচিব

$
0
0

দ্বিখণ্ডিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে দু’জন সচিব নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব মো. সিরাজুল ইসলামকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সিরাজুল হক খানকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর ৩-এর সাব রুল (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে এ দুটি বিভাগ গঠন করেছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতায় থাকবে পরিবার পরিকল্পনা, মেডিকেল শিক্ষা ও #ডেন্টাল শিক্ষা (ম্যাটস্ ও আইএসটি), নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, হোমিওপ্যাথি ও দেশজ চিকিৎসা এবং বিসিএস পরিকল্পনা ইত্যাদি।

মেরা পর্বত শিখরে উড়ল বাংলাদেশের পতাকা

$
0
0

হিমালয়ের মেরা পর্বত শিখর জয় করলেন বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য শায়লা পারভীন। ১৫ অক্টোবর নেপাল সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এ তরুণী ২১ হাজার ২২৭ ফুট উচ্চতার এ পর্বতের শীর্ষে আরোহণ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুইবারের এভারেস্ট বিজয়ী বাংলাদেশি এম এ মুহিত ও কাজী বাহলুল মজনু। তবে এ অভিযানে থেকেও মেরা পর্বতের শিখরে পৌঁছতে পারেননি দলের আরেক সদস্য সাদিয়া সুলতানা। চার সদস্যের এ দলের নেতৃত্ব দেন এম এ মুহিত। ২০১৫ সালে বিএমটিসিরই এক অভিযানে মাউন্ট কায়াজো রি বেইজ ক্যাম্পে গিয়েছিলেন শায়লা পারভীন। এবছর ‘নেহরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেইনিয়ারিং’ হতে বেসিক মাউন্টেইনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে আসেন তিনি।
অভিযানপূর্ব অভিজ্ঞতার উল্লেখে শায়লা পারভীন বলেন ‘গত বছর এই সময়ই কায়াজো রি বেইজ ক্যাম্প যাই; ১৫,৫০০ ফুট পর্যন্ত উঠি। এর আগে দেশের পাহাড়গুলোতে যাওয়া হয়েছে। মাউন্ট কায়াজো রি বেইজ ক্যাম্প থেকে আসার পরে আমি বেসিক ট্রেনিং করি। সেখানেও মোটামুটি আরেকটু উপরে উঠি; ১৫,৮০০ ফিট। এটা ছিল এ বছরের মে মাসে। তখনও ভাবিনি যে এ বছরই আমার আবার এতো উচ্চতায় যাওয়ার সুযোগ হবে। পারিবারিক অনুমতিরও একটা ব্যাপার ছিল। যখন আমি আমার বাবাকে বলি, সে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। এরপরও মোটামুটি আম্মু-আব্বুর কথা উপেক্ষা করেই আমি যাই।’
অভিযানের অপর নারী সদস্য সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘এইবারের অভিযানটি আমার জন্য বিশেষ একটি অভিযান ছিল। কারণ ২০০৫ সালে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব হতে প্রথম যে অভিযানটিতে আমি যাই, সেটি ছিল এই মেরাতেই। আবার ২০১৬-তে এই অভিযানে যাওয়াটা তাই বিশেষ কিছু।’
৭ অক্টোবর লুকলা হতে অভিযাত্রী দলটি তাদের ট্রেকিং শুরু করে এবং ১২ অক্টোবর মেরা বেইজ ক্যাম্পে পৌঁছান। ‘সাধারণত পর্বতে বলা হয় একই দিনে ৫০০ মিটারের উপরে হাইট গেইন না করতে। একটা পর্যায়ে ছাত্রা লা পাসে আমাদের ১২০০ মিটার ক্রস করতে হয়। ঐ দিন আমি একটু উদ্বিগ্ন ছিলাম যে বিথী(শায়লা পারভীন) কি ঐ দিন অসুস্থ হয় কিনা। এই উচ্চতায় অনেকেই অসুস্থ হয়। কিন্তু সে একবারেই অসুস্থ হয়নি’ উল্লেখ করেন অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত। তাদেরকে স্বাগত জানাই আমরা এই বাংলার জনতা।

বাংলাদেশ- শ্রীলংকা সিরিজ ২০১৭

$
0
0

বাংলাদেশ- শ্রীলংকা সিরিজ ২০১৭

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো খেলে জয়লাভ করে,
দ্বিতীয় ম্যাচ বৃস্টির কারনে পরিত্যাক্ত হয়
তৃতীয় ম্যাচ আচ শুরু হয়েছে
শ্রীলংকার করা ২৮০ রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথমেই হোচট খায় বাংলাদেশ
১-৪ তামিম: ৪,
২-১০ সাব্বির: ০,
৩-১১ মুশফিক: ০,
৪- ৮৮ সুন্ময়: ৩৮

Viewing all 15150 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>