পেঁপে খাইছেন ভালো কথা কিন্তু বিচি খাওয়ার কি দরকার ছিলো
বিচি খাওয়ার কি দরকার ছিলো !
পুরুষ কি পৃথিবীর সবচাইতে অসহায় প্রাণী?
পরিসংখ্যান বলে পুরুষ মানুষ হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে অসহায় প্রাণী।
.
- পৃথিবীতে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৭৫% ই হলো ছেলে।
.
- গৃহহীন মানুষের মাঝে ৮৫% হচ্ছে পুরুষ।
.
- খুন হওয়া মানুষের মাঝে ৭০% হচ্ছে পুরুষ।
.
- কর্মক্ষেত্রে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯৩% হচ্ছে পুরুষ ।
.
- পুরুষেরা মহিলাদের চাইতে ৩-৬ বছর আগে মারা যায়।
.
- প্রতি বছর মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের চাইতে বেশি পুরুষ প্রোস্টেট ক্যান্সারে মারা যায়।
.
- পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে সমান অপরাধের জন্য একজন পুরুষ একজন মহিলা আসামীর চাইতে বেশি সাজা
ভোগ করে।
- পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জীবন সংসারে সকলের কল্যাণে সব চেয়ে বেশী প্রাণান্ত শারীরিক ও মানুষিক শ্রম দেয় পুরুষ।
- অধিকাংশক্ষেত্রে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলা সংসারে শেষ বয়সে বড় অপাংক্তেয় হয়ে যায় পুরুষ।
.
- পৃথিবীর প্রায় সব দেশে নারী নির্যাতন আইন থাকলেও পুরুষ নির্যাতন আইন নেই।
.
সম্ভবত পুরুষ জাতি পৃথিবীর সবচাইতে অবলা জাতি।
.
ভালো থাকুক সুখে থাকুক আনন্দে থাকুক অপরের জন্য
নিস্বার্থ ভাবে নিবেদিত থাকুক পৃথিবীর সকল পুরুষ।
#সংগ্রহীত
অর্থ চিত্র
ফেসবুকে গতকাল বাংলাদেশের টাকার কয়েকটা ছবি দেখতে পেলাম। আপনারাও অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন। বাংলাদেশের টাকার চিত্রগুলি এই ভাবে ফুটিয়ে তোলাটা আমার কাছে বেশ ইউনিক মনে হয়েছে। বেশ লেগেছে দেখতে। তাই ভাবলাম শেয়ার করি প্রিয় প্রজন্মে। ফেসবুকে যেখানে এই ছবি গুলি দেখতে পেয়েছি সেখানে লেখা ছিলো "সংগৃহীত"। আমি লক্ষ্য করেছি প্রতিটি ছবিতে Rahman Azad লেখা আছে। সম্ভবতো উনিই এই ছবিগুলি তৈরি করেছেন। সকল ক্রেডিট মূল ছবি-কারিগরের রইলো।
দেখুন তাহলে-
মদিরা : (ফর অ্যাডাল্টস ওনলি)
শচীন ভৌমিকের লেখা ফর এডাল্টস ওনলি থেকে কিছু কিছু অংশ যা পড়ে বেশ তৃপ্তি (!!) পেয়েছি। যারা বইটি পড়েননি তাঁরা পড়ে দেখতে পারেন।----
মদিরা
যৌবন আসার আগেই যৌবনের দুই চর চলে আসে।
সেই সময় ফ্যান্টাসীর জগতে নিজেকে মনে হয় ফ্যান্টাসটিক। কখনও কিং মনে হয়, কখনও কিংকং।
সে বয়েসে স্বপ্ন ছিল উত্তমকুমারের বাড়িতে, ক্যাডিলাক গাড়িতে ও সুচিত্রা সেনের শাড়িতে ঢােকার।
স্বপ্ন ছিল হেমন্ত মুখার্জির কণ্ঠ, তারাশঙ্করের চরণ, রবিশঙ্করের অঙ্গুলি, নেহেরুর হস্ত, সােফিয়া লােরেনের স্তন, এলিজাবেথ টেলরের নিতম্ব স্পর্শ করার।
স্বপ্ন ছিল দেখবার প্যারিসের ইফেল টাওয়ার আর ল্যুভর মিউজিয়াম, লণ্ডন শহর, রাশিয়ার ইলিয়া এরেনবুর্গ, মায়কোভস্কী ও টিউব ট্রেনের স্টেশন, আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, মেরিলিন মনরাে, হলিউড, এলভিস প্রেসলি আর ন্যাট কিং কোল, স্পেনের যাঁড়ের লড়াই, মিশরের পিরামিড আর জাপানের গাইসা মেয়ে, আগ্রার তাজমহল, বীরভূমের শান্তিনিকেতন, সিংহগড়ের ভগ্নস্তুপ আর বৈজয়ন্তীমালার নগ্নরূপ—এই সবকিছুই দেখবার ইচ্ছে হত।
সে এক অদ্ভুত বয়েস। সব যৌবনবতী মেয়েই যেন বাসনার সােনা, সব নারীর জানুসন্ধির ক্ষেত্রই যেন তীর্থক্ষেত্র সেই বয়েসে।
যখনই চৌরঙ্গীর গ্র্যাণ্ড হােটেলের সামনে দিয়ে হেঁটে গেছি, ভাবতাম কখনও কি ঢুকতে পারব গ্র্যাণ্ডে?
গ্র্যাণ্ডের পাশে ও পার্ক স্ট্রীটের বিলিতি মদের বার-এর সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে প্রায়ই ভাবতাম কখন সে সময় আসবে যে চট করে বার-এ ঢুকে অর্ডার দেব—এক পেগ হুইস্কি লাও। ভাবতেই কেমন ভয় আনন্দ কৌতূহল মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি হত।
এখন পার্টিতে গেলেই পাকা বিশেষজ্ঞের মত বলি, ড্যাস অফ সােড এণ্ড নাে আইস প্লিজ। দিনের বেলা হলে বলি, বিয়ার মেক্স মি লাউজী, মে আই হ্যাভ এ স্কু ড্রাইভার অর ব্লাডি মেরি? নাে ভডকা? জিন উইলবি ওকে। বাট লিটল মাের বিটার প্লিজ।
বিলেতে পাব ক্রলিং করার সময় বলেছি, মে আই হ্যাভ এ মার্টিনি? মেক ইট ভেরি ড্রাই। ইটালীতে, লেট মি হাভ এ ক্যাম্পারী। নাে, নট উইথ সােড়া। অন দা বক্স প্লিজ। হুইস্কি-টক শুরু হলে ঝগড়া করি ‘জনি ওয়াকার’, ‘ব্ল্যাক লেবেল’ আর ‘সিভাজ রিগ্যালের মধ্যে কোনটা উত্তম, বলি ‘হান্ডেড পাইপার্স’ থেকে ‘কাটি সার্ক’ লাইটার হুইস্কি, বলি ‘কিং অফ কিংস ঠিক আছে, কিন্তু নাথিং লাইক ‘ডিম্পল’, বলি, ‘এন্টিকোয়েরী’ ট্রাই কর, মাচ বেটার দ্যান ‘সামথিং স্পেশাল’। বলি, বেস্ট ইন দা ওয়ার্লড নাে ডাউট হল ‘রয়েল স্যালুট’। রয়েল স্যালুট’ হুইস্কির বটমস আপ এর চাইতে এখনও আমার কোন সুন্দরীর বটমস আপ অনেক বেশী সুস্বাদু, না, স্যরি, অনেক বেশী লােভনীয় মনে হয়।
মদ সভ্যতার আদিমতম আবিষ্কার। মনে হয় আগুন আর মদ একই সময়ে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
আগে ছিল বর্বর যুগ বা বারবারিক এজ। আর এখন হল বার এজ। নাকি বলব বারি এজ। এখন ধনীদের গৃহে গৃহে বার। আমার এক বন্ধুর মতে এ যুগ হল বার আর বারাঙ্গনার। তাকিয়ে দেখুন ধনীপুত্রদের। চুল দেখে মনে হয় ছ'মাস কোন বারবারের কাছে যায় নি, কিন্তু গন্ধে টের পাবেন রােজ বােধহয় দু’বেলাই বারে যাতায়াত আছে।
সাহিত্যজগৎ, নাট্যজগৎ, চিত্রজগৎ, শিল্পীজগৎ, সংগীতজগৎ সর্বত্র মদিরার মত্ততা, সর্বত্র সুরার ফোয়ারা। শিল্পজীবনের গৌরব সুরার সৌরভ ছাড়া যেন হয়ই না। “দেবদাস’ একসময়ে ভগ্নহৃদয়ের জন্য মদ্যপান যেন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এই রকম একটা বিশ্লেষণ প্রচারিত করেছিল।
দেবদাসের সেই প্রভাব অবশ্য এখন কমে গেছে। এখন ভগ্নহৃদয়ে আর বড় কেউ পানপাত্র তুলে নেয় না। বরং দেখা যাচ্ছে যুগ্ম হৃদয়ে আজকাল নারী পুরুষ একসঙ্গেই পানপাত্র তুলে গ্লাসে ঠোকাঠুকি করে বলে, ‘চিয়ার্স, ফর আওয়ার এটার্নেল লাভ’ বা ‘চিয়ার্স, টু আওয়ার ম্যারেজ।
যুগ পাল্টাচ্ছে। অতি উদারতার যুগ এটা। সেক্স এখন শয্যার মশারীতে নেই, সেক্স এখন সজ্জার পসারীতে । আগে ছিল ‘চিয়ার্স টু আওয়ার লাভ’ এখন হয়ে গেছে ‘চিয়ার্স টু আওয়ার—-চার অক্ষরের সেই অতি জৈবিক শব্দ। এখন cocktail আর cock tale-এ কোন তফাত নেই।
ওমর খৈয়াম সম্ভবত প্রথম কবি, যার জীবনদর্শন ছিল সুরা, সাকী আর ভাগ্য নিয়ে। তাঁর রুবাইয়ৎ-এর প্রতি ছত্রে ছত্রে সুরার জয়গান। ওঁরই অনুপ্রেরণায় উদু কবিতার গালিব থেকে শুরু করে অনেক আধুনিক কবির প্রিয় বিষয়বস্তু হল মদিরা। সুরার প্রচারপত্র এইসব কবিতায় অনেক মণিমুক্তা ছড়ানাে আছে। সাহিত্যজগতে সুরার এই অবদান ভােলা যায় না।
শুনুন---
১।
কালাে কালাে সুরার বােতল,
যেন যৌবনের মাতাল রাত্রির দল এখানে বন্দী হয়ে রয়েছে।
২।
দিব্যির চাইতে অনেক ভাল আমার এই বােতল।
দিব্যি যদি ভেঙে ফেলি, কি হয় ? কিছুই না।
কিন্তু বােতল যখন ভেঙে যায়। তখন ভাঙা কাচের টুকরােতে পেয়ালা হয়ে যায়।
তাতে মদিরা কিছু কিছু টলটল অন্তত তো করে। সবটাই তত আর লােকসান নয়।
৩।
আকাঙ্ক্ষার বিক্ষত রক্তে জীবনের প্রানপাত্র আমার কানায় কানায় ভরে গেছে।
এ তাে আমার সহ্যশক্তির ক্ষমতা যে এক বিন্দুও ছলকে পড়ে নি।
৪।
আমার ওপর তোমার যদি অভিমান হয়ে থাকে, ঘেন্না হয়ে থাকে,
সামনে মদিরা গ্লাসে না ঢেলে দিতে চাও দিও না।
মদের পেয়ালা না হয় না-ই দিলে।
অঞ্জলি পেতে দিচ্ছি, সেই হাতের অঞ্জলিতে সুরা ঢেলে দাও।
৫।
ভ্রান্ত পণ্ডিত,
তুমি আমাকে বলছ মসজিদে আসতে। আমাকে তুমি চিনতেই পার নি।
আরে, আমার যদি হুশ থাকত তাহলে এতক্ষণে পানালয়ে চলে না যেতাম ?
৬।
বিদ্যুৎ কেন চমকায়, কোথা থেকে চমকায়?
এই গভীর প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে সাধু মহারাজ, তুমি তােমার শাস্ত্র তুলে নাও,
আমি আমার পানপাত্র তুলে নিচ্ছি।
সব রহস্যের উত্তর তুমি হয়তো শাস্ত্রে পাও,
কিন্তু আমি পাই এই অমৃতের গ্লাসে, এই সুরার বিন্দুতে।
৭।
হে সাধু, হে পণ্ডিত, এটা সুরাবিপনি, তােমার বিদ্যালয় নয়।
এখানে তো সুর দিয়ে মানুষ তৈরি করা হয়।
জ্ঞানের বিদ্যালয় তােমার জ্ঞানদানে মানুষ মানুষ হয়,
আর সুরার শিক্ষালয়ে মানুষ তৈরি হয় সুরাপানে।
৮।
সাকী বার বার মদির চোখে আমাকে দেখেছে।
মদিরার পাত্র হাতে আসার আগেই অনেক মদের নেশা আমার হয়ে গেছে।
সে আঁখির চাহনিতে পানপাত্রের চাইতে অনেক বেশী নেশা, কবির আর কি দোষ বলুন?
৯
আঙুরের মধ্যে ছিল গােবেচারা রসের কয়েকটি বিন্দু,
সে রসকে নিংড়ে নিয়ে যখন সুরার রূপ নিল।
তখন সেই শান্ত রসবিন্দুরাই তরােয়ালের মত ধারালাে অস্ত্র হয়ে দাঁড়ালাে।
১০।
হে প্রেয়সী, তােমার হাতের, পানপাত্রের ছলকে যাওয়ার তুলনা হয় না।
কিন্তু তােমার রক্তিম উষ্ণ ঠোটের স্পর্শ
সে তাে তােমার ছলকানাে হাতের মদিরার চাইতে অরোও অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
সে তাে অন্য এক অনুভব, অন্য এক স্বর্গ ।
বুঝা যাচ্ছে কবিরা প্রচুর মদ্যপদ্য রচনা করেছেন।
উর্দুতে সর মানে ফ্যাসাদ আর আব মানে জল।
তাহলে শরাব-এর মানে দাড়াল যে জল ফ্যাসাদ বাধায়। সত্যি, হাঙ্গামা ফ্যাসাদের উৎসই হল এই শরাব, মদ, সুরা, কারণ, মদিরা। কাব্য সাহিত্য ছাড়া সুরা আরেক সাহিত্য শাখাকে সমৃদ্ধ করেছে। সেটা হল হাস্যরসের কৌতুক সাহিত্য। রম্যরসের অনেক উপাদান যুগিয়েছে এই দ্রাক্ষারস।
তার কিছু নমুনা -
১।
এক ভদ্রলােক বার-এ একসঙ্গে দু গ্লাস মদ নিয়ে বসেছেন। একজন প্রশ্ন করল, একসঙ্গে দু গ্লাস কেন?
এক গ্লাস আমার জন্য, এক গ্লাস আমার মৃত বন্ধুর স্মরণে খাচ্ছি। সে ড্রিংক্স খুব পছন্দ করত। রােজই আমি ওর আর আমার দুজনের কোটা খাই।
মাস চারেক পরে দেখা গেল। সেই ভদ্রলােক বার-এ বসে মদ খাচ্ছেন, কিন্তু অবাক কাণ্ড -সামনে মাত্র একটিই গ্লাস।
সেই ভদ্রলােক প্রশ্ন করলেন, আজকে একটাই গ্লাস কেন?
ভদ্রলােক : আমি মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। ডাক্তার মানা করেছেন। সেজন্য শুধু মৃত বন্ধুর গ্লাসটাই খাচ্ছি।
২।
স্বামী স্ত্রী বাড়িতে ককটেল পার্টি দিয়েছিল। সারারাত হৈ-হুল্লোড় গেছে।
পরদিন স্বামী স্ত্রীকে ডেকে প্রশ্ন করল, লিলি, একটা কথা জিজ্ঞেস করছি কিছু মনে কর না। ড্রিংক করার পর তাে হুশ থাকে না। লাইব্রেরী ঘরের সোফার পিছনে কাল রাতে যে মেয়েটির সঙ্গে সহবাস করেছি সেটা তুমিই ছিলে তাে?
স্ত্রী চিন্তিত মুখে জবাব দিল, টাইমটা কখন বল তাে? রাতের গোড়ার দিকে, না শেষ রাতে, না মাঝ রাতে?
৩।
এক মাতাল এসে লাইট পােস্টের গােড়ায় চাবি দিয়ে খােলার চেষ্টা করছিল।
একজন পুলিশ এসে বলল, কি করছো কি?
- ঘরের দরজা খুলছি।
- এটা কি তোমার বাড়ি নাকি?
- হ্যা বাবা, তুমি অন্ধ নাকি বাপু? দেখছ না দোতলার আলো জ্বেলে গিয়েছিলাম, এখনও সেটা জ্বলছে।
আরেকটা—দুই মাতাল প্রচুর মাল টেনেছে। তিনতলার ঘর
৪।
একজন পর পর পাঁচ পেগ মদ খেয়ে গেল। এক ভদ্রমহিলা বললেন, আপনি রােজ এরকম ড্রিঙ্ক করেন?
ভদ্রলােক : হ্যাঁ।
ভদ্রমহিলা : আপনি কি জানেন আপনি নিজেকে শ্লো পয়জন করে চলেছেন?
ভদ্রলােক : সে ঠিক আছে। মরবার জন্য আমার তেমন তাড়াহুড়ো নেই।
৫।
ছেলেটি ড্রিঙ্ক ঢালতে ঢালতে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল, Say when?
মেয়েটি লজ্জিত কণ্ঠে বলল, After second peg.
ছেলেটি মদের মাত্রা জানতে চেয়েছিল, মেয়েটি শয্যাযাত্রার সময় ভেবে বসেছিল।
৬।
একজন বার-এ ঢুকে বলল, বারটেণ্ডার, আমার একাউন্টে এখানে সবাইকে একটা করে ড্রিঙ্ক দাও। ম্যানেজার সাহেবকেও দাও।
সবাই খুশি হয়ে ড্রিঙ্কস করল।
এইবার বিল চাইতেই লােকটা বলল, আমার কাছে একটা পয়সাও নেই। ম্যানেজার লােকটাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ছুড়ে মারল। ধুলাে ঝেড়ে রাস্তা থেকে উঠে সে আবার বার-এ ঢুকে পড়ল। ঢুকেই চেঁচিয়ে বলল, বারটেণ্ডার, আমার একাউন্টে সবার জন্য একটা করে ড্রিঙ্ক দাও। কিন্তু ম্যানেজার সাহেবকে দিও না। মদ খেলেই ম্যানেজার বড্ড মিসবিহেভ করে।
কৌতুকের পরে এবার আসুন সিরিয়াস প্রসঙ্গে। মদের পরে কি সিরিয়াস কথা হয়? নিশ্চয়ই হয়। মদ থেকেই তো সিরােসিস হয়। আর সিরােসিসের চাইতে সিরিয়াস আর কিছু নাই।
নেশাটা কি? যখন আমরা মদ খাই সেটা সােজা পাকস্থলীর দেয়াল টেনে নেয় ও সেখান থেকে রক্তস্রোতে গিয়ে মেশে। লিভারের কাজ হল রক্তশুদ্ধি। সুতরাং লিভারের উপর চাপ পড়ে ও লিভার রক্ত থেকে এই বিষ আলাদা করে রক্তকে সুরামুক্ত করতে থাকে। লিভার মদের সারাংশকে ধ্বংস করে দেয়। মাত্র ২% পার্সেন্ট শেষ পর্যন্ত রক্তে ও প্রস্রাবে চলে আসে। মদ রক্তস্রোতে মিশলে স্বভাবতই রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়, সেজন্য শরীরে সাময়িক উষ্ণতা এনে দেয়। কিন্তু স্নায়ুর ওপর অত্যাচারই সুরার বেশী হয়। স্নায়বিক প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়। মস্তিষ্কে সুরাবৃ প্রকোপ আমাদের চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে সাময়িকভাবে বিনষ্ট করে। সেজন্যই ব্যবহার, চলা-বলা থেকে বিচারশক্তি সব হারিয়ে ফেলি আমরা। সেটাকেই স্থূলভাষায় বলা হয় মাতলামী। স্নায়বিক প্রক্রিয়ার সামঞ্জস্য হারিয়ে ফেলার নামই নেশা। মদ কারুর রক্তস্রোতে দ্রুত প্রবেশ করে, কারুর বিলম্বিত লয়ে। সে অনুযায়ী এক একজনের নেশা। কম বেশী হয়। এলকোহলের শক্তির উপর, ব্যক্তিবিশেষের স্বাস্থ্যের উপরও নির্ভর করে পানোন্মক্ততার মাত্রা। ডাক্তারদের মতে এক পেগ হুইস্কি বা অর্ধ বােতল বিয়ার রক্তস্রোত থেকে নির্মূল করতে সুস্থ একটি লিভারের সময় লাগে এক ঘণ্টাটাক। বেশী মদ খেলে লিভার কাজ করতে করতে শ্লথ হয়ে যায়।
মানুষের শরীরে দুটো অঙ্গ সবচেয়ে নামজাদা ও শক্তিশালী। এই দুটি হল হার্ট ও লিভার। ছেলেদের এই দুই অঙ্গের প্রধান শত্রুও হল দুটি।। হার্টের শত্রু নারী, আর লিভারের শত্রু হল মদ-Woman আর Wine.
ইংরেজীতে বলে Rich drinkers are poor lovers.
শুরুতে বােতল আপনার দাস, ক্রমে ক্রমে ফ্রাঙ্কেনস্টাই হয়ে ওঠে সে বােতল, তখন মানুষই বােতলের দাস।
এক-আধটু কখনাে-সখনাে মদ মন্দ নয়। মদ তখন উর্দু কবিতার শরাব। মদ তখন মদিরা। মাত্রজ্ঞান হারালেই মদ হয়ে ওঠে বদ। তখন সে মদরূপী বদ আপনাকে বধ করে ছাড়বে। আমার মতে মদ আর মেয়ে অল্পবিস্তর দুটোই ভাল। দুটোর সঙ্গেই মাঝে-সাঝে ফ্লার্ট করুন, কিন্তু ধরা দেবেন না। নইলে মেয়ে আর মদ নাছােড়বান্দা হয়ে যাবে। শেষে দেখবেন আপনিই এই দুই আলেয়ার বান্দা হয়ে গেছেন। সুরার bottle আর নারীর bottom খুবই লােভনীয়। দু বস্তুই বটম, আপ, মানে খৈয়ামী নন্দনকানন। সমস্যা হচ্ছে আজকে যেটা নন্দনকানন, কাল সেটাই ক্রন্দনকানন, আজকে যেটা স্বর্গ কাল সেটাই বিসর্গ । মদের বিন্দু আর সিনেমার বিন্দু দুটো থেকেই দূরে থাকবেন। কেননা আজকে বিন্দুতে লােভ দিলে, কালকে সে বিন্দুই আপনার নামের আগে চন্দ্রবিন্দু হয়ে যাবে।
উর্দু কবি যতই বলুক - মদের দোকানে পৌঁছিবার পর আমি বুঝতে পেরেছি, সুরাব্যাপারী সুরা নয়, জীবন বিক্রি করছিল।
মিথ্যে কথা। জীবন নয়, মৃত্যু বিক্রি করছিল। বিশ্বাস করুন।
শচীন ভৌমিকের লেখা "ফর অ্যাডাল্টস ওনলি" বইয়ের "মদিরা" নামক অংশ থেকে।
ছবি : গুগলের সাহায্যে বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত।
রাস্তার নামকরণ-এর জায়গায়, সংকেত হিসেবে N, R, Z ব্যবহার করার ক?
হাইওয়ে বা মহাসড়ক হল কোন পাবলিক বা প্রাইভেট রাস্তা বা অন্য কোনও সরকারী রাস্তা বোঝায়। এটি প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে অন্যান্য পাবলিক সড়ক ও জনসাধারণের রাস্তাও এতে অন্তর্ভুক্ত।
1️⃣ জাতীয় মহাসড়ক (ইংরেজী: National highway) :
জাতীয় মহাসড়ক চেনা বা বোঝার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত রুপ হিসাবে সড়কের নামকরণ করা হয় । জাতীয় মহাসড়ক সংক্ষিপ্ত রুপ হল ’N’ যা ইংরেজি শব্দ National এর প্রথম বর্ণ থেকে নেওয়া হয়েছে । জাতীয় মহাসড়ক সংক্ষিপ্ত রুপ হল ’N’ এর পর ১-৩টি ডিজিট নেওয়া হয়। যেমন N1, N2, N3, N4, N5, N505, N707 ইত্যাদি।
2️⃣ আঞ্চলিক মহাসড়ক (ইংরেজী: Regional highway):
আঞ্চলিক মহাসড়ক চেনা বা বোঝার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত রুপ হিসাবে সড়কের নামকরণ করা হয় । আঞ্চলিক মহাসড়ক সংক্ষিপ্ত রুপ হল ’R’ যা ইংরেজি শব্দ Regional এর প্রথম বর্ণ থেকে নেওয়া হয়েছে । আঞ্চলিক মহাসড়ক সংক্ষিপ্ত রুপ হল ’R’ এর পর ৩টি ডিজিট নেওয়া হয়। যেমন R101, R803, R211 ইত্যাদি।
3️⃣ জেলা সড়ক (ইংরেজী: Zilla road):
জেলা সড়ক চেনা বা বোঝার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত রুপ হিসাবে সড়কের নামকরণ করা হয় । জেলা সড়ক সংক্ষিপ্ত রুপ হল ’Z’ যা ইংরেজি শব্দ Zilla এর প্রথম বর্ণ থেকে নেওয়া হয়েছে। জেলা সড়ক সংক্ষিপ্ত রুপ হল ’Z’ এর পর ৪টি ডিজিট নেওয়া হয়। যেমন Z8202, Z3026, Z5027, Z5028 ইত্যাদি।
*️⃣ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে বহু সড়ক ও মহাসড়ক রয়েছে। সরকারী হিসাবমতে বাংলাদেশের
◾জাতীয় মহাসড়কের সংখ্যা ৬৬টি,
◾আঞ্চলিক মহাসড়কের সংখ্যা ১২১টি এবং
◾জেলা সড়কগুলোর সংখ্যা ৬৩৩টি।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সড়ক হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। দেশের সবগুলো সড়কের তালিকা দেখুন
।
*️⃣সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী:
জাতীয় মহাসড়কের সর্বমোট দৈর্ঘ্যঃ- ৩৯০৬.০৩ কিলোমিটার
আঞ্চলিক মহাসড়কের সর্বমোট দৈর্ঘ্যঃ- ৪৪৮২.৫৪০ কিলোমিটার
জেলা সড়কের সর্বমোট দৈর্ঘ্যঃ- ১৩২০৬.৯২৩ কিলোমিটার
সর্বমোট দৈর্ঘ্যঃ- ২১,৫৯৫.৪৯৩ কিলোমিটার।
#সংগৃহীত
অপরাধী মনোবিজ্ঞান কী?
মনোবিজ্ঞান কী? সেটা আমি নিজেও খুব ভালো একটা জানিনা মনে হয়, তবে, যে কেউ জানে, মনোবিজ্ঞান বা মনস্তত্ত্ববিদ্যা হল , মানসিক প্রক্রিয়া ও আচরণ সম্পর্কিত বিদ্যা।
অপরাধী মনোবিজ্ঞান হলো অপরাধীদের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাধারা, উদ্দেশ্য, মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং অপরাধমূলক আচরণ সম্পর্কিত বিশ্লেষণধর্মী বিজ্ঞান।
লেকচার শোনার চেয়ে আজ একটা গল্প হয়ে হয়ে যাক এক মনোবিজ্ঞানীর অধ্যাপককে নিয়ে। যেহেতু আমি গল্প লিখি না সেহেতু এটা আমার লেখা কোন গল্পও নয়। শোনা গল্পই আবার আপনাদের বলছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নতুন অধ্যাপক তাঁর ক্লাস নিতে শুরু করলেন। যে মুহুর্তে তিনি পড়ানোর জন্যে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে ঝুঁকলেন, সেই সময় ছাত্রদের মধ্যে কেউ একজন হঠাৎ করেই সিনেমা হলের মতো জোরে শিস বাজালো।
অধ্যাপক ঘুরে ক্লাসের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কে, কে শিস দিয়েছে? কে সিটি মারলো?
কেউ উত্তর দিলোনা। সবাই চুপ। সবাই এমন ভাব করেছে যেন কেউ কিছু শুনেনি বা দেখেনি।
অধ্যাপক শান্তভাবে চকটি টেবিলে রেখে বললেন, আজ আর লেকচার দেবোনা। তবে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি গল্প শোনাব তেমাদের।
সবাই আগ্রহী হয়ে নড়ে চড়ে বসলো। অধ্যাপক গল্প শুরু করলেন।
গতকাল রাতে আমি ঘুমানোর জন্য খুব চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ঘুম আমার চোখ থেকে কয়েক মাইল দূরে আছে মনে হলো। ভাবলাম, ঘুম যখন আসছেনা আমার গাড়িতে রাতে পেট্রোল ভরে রাখি। যা কাল সকালের ভিড়ে আমার সময় বাঁচাবে এবং তারপর নির্বিঘ্নে আমি ঘুমাতেও পারবো।
গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ট্যাংকটি পরিপূর্ণ করে নেয়ার পরে দেখি পুরো রাস্তা খালি। চারিদিকে ঠান্ডা বাতাস, আকাশে হালকা মেঘের আড়ালে আধো চাঁদ। তাই ভাবলাম একটু আশেপাশে ঘুরেই আসি।
একটু সামনে অগ্রসর হতেই হঠাৎ রাস্তার পাশের এক কোণে আমি একজন ভদ্রবেশী তরুণী মেয়েকে দেখলাম। আলো আঁধারিতে দাঁড়িয়ে আছেন অসহায় ভাবে। যেই রকম সুন্দরী সেই রকম সুন্দর পোশাক তাঁর! পোশাকটি দেখে মনে হচ্ছিলো তাঁর রূপের সঙ্গে ম্যাচ করে কোন নিপুণ শিল্পী এটি বানিয়েছেন! নিশ্চয়ই কোনও পার্টি থেকে ফিরছেন তিনি। আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না! প্রথম নজরেই প্রেমে পড়ে গেলাম।
সৌজন্যতা বোধ হারিয়ে আমি আমার গাড়িটি ঘুরিয়ে তাঁর পাশে থামাই। গাড়ির কাচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'আমি কি কোনো সহায়তা করতে পারি আপনাকে? যদি কোন সাহায্য করতে পারি তবে বলুন।'
তরুণীটি হেসে উঠলো সলজ্জভাবে। তাঁর শুভ্র দন্তরাজীর ঝিলিক দেখে মনে হলো, যেন সন্ধ্যাতারা রাস্তার কোণ জুড়ে নেমে এসেছে।
তিনি মৃদু হেসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'আমি কি তাকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারি? তাঁর গাড়িটি আসবেনা কারণ স্টার্ট নিচ্ছেনা বলে জানিয়েছে তাঁর ড্রাইভার। আর সে কোন ট্যাক্সিও পাচ্ছেনা অনেক্ষণ ধরে।
আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাকে আমার সামনের দরজা খুলে দিলাম। তিনি আমার সাথে সামনের সিটেই বসলেন সানন্দে।
অতঃপর আমি তাকে নিজের পরিচয় জানিয়ে বললাম, আমি আপনাদের এলাকারই পাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
উনি উনার পরিচয় জানালেন। আমরা কথা বলতে শুরু করলাম এবং অবাক হয়ে দেখলাম তিনি খুবই বুদ্ধিমতী! বিভিন্ন ধরণের টপিক নিয়ে আলোচনা করার পর বুঝলাম; সবগুলো বিষয়ের উপরই তাঁর প্রভুত জ্ঞান আছে। যা আজকালকার অনেক যুবকেরই নেই।
অনেক দূরে তাঁর ঠিকানায় যখন পৌঁছলাম, তিনি আমার বিনয় প্রকৃতি ও সুন্দর আচরণের প্রশংসা করে বললেন, আমরা দুজনেই মুক্ত মনের মানুষ। আমাদের আবার দেখা হতে পারে। এবং লজ্জাবতী পাতার মতো গুটিয়ে না গিয়ে বলেই ফেললেন, আমার মতো একজন যুবক ছিল তাঁর কল্পনায়। রাখঢাক না করেই জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বিবাহিত? আমি বুঝে ফেললাম, তিনিও প্রথম দর্শনেই আমার প্রেমে পড়েছেন।
আমি বললাম, আপনার অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে প্রথমেই আমি গাড়ি ঘুরিয়েছিলাম। এই রকম একজন রাজকন্যার স্বপ্ন আমি দেখতাম, যে দেখতে ঠিক আপনার মতো হবে এবং আমি ভাবতাম তাকেই আমি বিয়ে করবো। তারপর আপনার জ্ঞান, বুদ্ধি ও কথার গভীরতা শুনে আমি খোলাখুলি বলছি, ইতিমধ্যে আমিও আপনার গভীর প্রেমে পড়ে গেছি।
মেয়েটি বললো, আসুন আমাদের এপার্টমেন্টে। চা খাবেন ও আরো কিছুক্ষন গল্প করা যাবে।
প্রেম যখন প্রকাশিত হয়েই গেছে দুই তরফে, তাহলে আর দ্বিধা রেখে লাভ কি। ওর বাসার ভেতরে চলে গেলাম।
আরো কিছুক্ষণ গল্প করে বিদায় নেয়ার সময় সে আমাকে বললো, শুনুন, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, আমার ভাই সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মানে আপনারই ছাত্র হবে। যদিও সে এখন বাসায় নেই। আপনি ওর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন যেন ঠিকমতো পড়াশুনা করে। এখন থেকে আমাদের মধ্যে যেহেতু একটি সুন্দর সম্পর্ক হয়ে গেছে সেহেতু এটি আপনার দায়িত্ব হয়ে গেল।
আমি বললাম, তোমার ভাইয়ের নাম কি?
আমার নব্য প্রেমিকা বললো, আপনি আর আমি পরস্পরকে আমাদের প্রখর বুদ্ধিমত্তার কারণে স্বল্প সময়ে ভালোবেসে ফেলেছি। আপনি আপনার বুদ্ধি দিয়ে খুঁজে বের করবেন তাকে। তাই আমি তাঁর নাম বলছি না। তবে আমার ভাইয়ের একটা বৈশিষ্ট আছে যা দিয়ে আপনি তাকে চিনতে পারবে।
বললাম, আচ্ছা। তাহলে বলো কি সেই বৈশিষ্ট?
আমার প্রেমিকা বললো, সে প্রায়ই হঠাৎ জোরে শিস দেয়!
পুরো ক্লাসের সমস্ত চোখ তৎক্ষণাৎ যে ছেলেটি শিস দিয়েছিল তাঁর দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে রইলো।
অধ্যাপক ধীরে ধীরে চকটি আবার হাতে উঠিয়ে নিয়ে গম্ভীর স্বরে বললেন: "মনোবিজ্ঞানে আমার পিএইচডি ডিগ্রিটি এমনি এমনি আসেনি, আমি এটি অর্জন করেছি।
শেখ যাহিদ ফুয়াদ
বাংলাদেশ পুলিশ এ এ্যাডিশনাল এসপি
#সংগৃহীত
লেপ সাধারণত লাল রঙের হয় কেন?
লেপ সাধারণত তৈরি হয় কার্পাস তুলায়। তুলা গুলো সাধারণত লম্বা থাকে। লেপের কথা মনে হতেই মনে হয় লাল কাপড় মোড়ানো নরম তুলতুলে কোন বস্তু।
একসময় এই কার্পাস তুলা কে বিজ ছাড়িয়ে লাল রঙের চুবিয়ে শুকিয়ে লাল মখমলের কাপড়ের ভিতরে ঢুকানো হত। মূলত এটি মুর্শিদাবাদের একটা নিজস্ব শিল্প। নবাব বাদশারা সেই লাল তুলার মধ্যে আতরের সুগন্ধ পছন্দ করতেন। এখন অবশ্য সেই যুগ নাই। অনেক উচ্চ মূল্যের কারণে মখমলের কাপড় ব্যবহার বাদ হয়ে গিয়েছে ।
পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য সাধারণ কাপড় ব্যবহার শুরু হয়। যাতে জনসাধারণ সবার হাতের নাগালে হয় মূল্যটা।
এদিকে যায় মূলত নবাবদের অনুসরণ করেই এ লাল কাপড়ে লেপ বানানো শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আরেকটা কারণ আছে লাল কাপড় ময়লা কম হয় কারণ লেপ ধোয়া যায় না।
#সংগৃহীত
ল্যাপটপ-এর বয়স কত হয়েছে কিভাবে বের করব?
ল্যাপটপ বা পিসি এর বয়স বের করার প্রয়োজনীয়তা যে কোন সময়ই হতে পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক ল্যাপটপ এর বয়স কত হয়েছে তা বের করা যায় যেভাবে।
প্রথমে আপনার ল্যাপটপের Start Menu তে Click করুন। এখানে CMD লিখে সার্চ দেন। এবার এরকম আসবে।
Smart> লিখুন SYSTEMINFO এবার এন্টার দিয়ে একটু অপেক্ষা করুন। দেখবেন সিস্টেমের সব তথ্য চলে এসেছে।
BIOS Version এর ডানে দেখুন আপনার ল্যাপটপ Start date.
এভাবে পেয়ে গেলেন আপনার ল্যাপটপের বয়স।
#সংগৃহীত
জায়গা-জমি দলিলে ব্যবহৃত গুরুত্বপুর্ণ শব্দের অর্থ
জেল নং কী?
জমি সংক্রান্ত ও দলিলে ব্যবহৃত গুরুত্বপুর্ণ শব্দের অর্থ জেনে নিন।
কোর্ফাঃ জমির নিম্নতম, মালিকানা, স্বত্ব বা অধিকারকে কোর্ফা বলে; যে প্রজা তার উর্ধ্বতন প্রজার কাছ থেকে জমি নিয়ে চাষ করে তাকে কোর্ফা প্রজা বলে।
বর্গা চাষী: বর্গা বলতে ভূমিতে উৎপন্ন ফসলের ভাগ বুঝায়। কোন ব্যক্তি ভূমিতে উৎপন্ন ফসলের কোন নির্দিষ্ট অংশ ভূমি মালিককে দেয়ার শর্তে যদি চাষাবাদ করেন, তবে উক্ত চাষীকে বর্গাচাষী বলা হবে।
এজমালী সম্পত্তি: কোন প্লট বা জমি খন্ড একাধিক শরিক একত্রে ভোগ-দখলে রাখলে তাকে এজমালী সম্পত্তি বলে।
চাকরান ভূমি: জমিদারগণ তাদের চাকরদেরকে বেতনের পরিবর্তে যে ভূমি ভোগ-দখলের সুবিধা প্রদান করতেন, তাকে চাকরান ভূমি বলে।
ভূমি অধিগ্রহণ: জনস্বার্থে কোন উন্নয়নমুলক কাজের জন্য স্থাবর সম্পত্তির প্রয়োজনে কালেক্টরেট বা জেলা প্রশাসক জনসাধারণের নিকট হতে বাধ্যতামূলকভাবে যে ভূমি গ্রহন করে, তাকে ভূমি অধিগ্রহণ বলে।
জে,এল, নম্বর (Jurisdiction List No) : থানা বা উপজেলাধীন প্রত্যেকটি মৌজাকে পর্যায়ক্রমে ক্রমিক নম্বর দ্বারা চিন্থিত করা হয়। মৌজার এ নম্বরকে জে,এল, নম্বর বলে।
এখানে প্রায় সকল ক্যাটাগরির তথ্য দেয়া আছে। আপনার যে বিষয়ক তথ্য দরকার, নিচে সেই বিষয়ক লেখায় ক্লিক করে তথ্য জেনে নিন।
দাগ নম্বর: জরিপের সময় ভূমির নকশায় প্রতিটি জমিকে বা প্লটকে এক একটি নম্বর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, এই নম্বরকে দাগ নম্বর বলে।
ছুট বা ছুটা দাগ (Omitted or dropped plot): নকশায় সংখ্যায়নের মাধ্যমে ভূমির দাগ নম্বর দেয়ার সময় প্রায়শই ভুলক্রমে কোন সংখ্যা বাদ পরে অথবা কোন কারণে পরবর্তী সময় কোন সংখ্যা নকশায় বাদ দিতে হয়। নকশায় প্রকৃত অনুপস্থিত ঐ নম্বরকে ছুট দাগ বলে। ছুট দাগ নম্বর সীটের পার্শ্বে নোট করা থাকে।
নকশা: কাগজে অংকিত ভূমির প্রতিচ্ছবিকে নকশা বলে।
বাটা দাগ (Divided plot): নকশা প্রস্তুতের সময় প্রত্যেক ভূমি খণ্ডকে চিহ্নিত করার জন্য দাগ নম্বর দেয়া হয়। পবর্তীকালে কোন দাগ বাস্তব প্রয়োজনে বিভক্ত করা আবশ্যক হতে পারে। যদি কোন দাগকে বিভক্ত করে আলাদাভাবে নতুনদাগ সৃষ্টি করে নম্বর দেয়া হয়, তাহলে বিশেষ পদ্ধতিতে দাগ নম্বর দিতে হয়। পরবর্তী সময় এ নতুন সৃষ্ট নম্বরকে বাটা দাগ নম্বর বলে। এ নতুন সৃষ্ট দাগে বাটা দাগ নম্বর দেয়ার সময় বিভক্ত দাগের মুল নম্বর এর নীচে (বাই নম্বর) সীটের শেষ নম্বরে পরের নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। বাটা দাগ নম্বরে সীটের পার্শ্বে নোট করে প্রর্দশন করতে হয়।
সম্পত্তির ওয়াশিলাতঃ দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ২(১২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘ওয়াশিলাত’ বলতে বে-আইনী দখলকার ব্যক্তি সম্পত্তি হতে প্রকৃতপক্ষে যে মুনাফা লাভ করেছে বা সাধারণ বুদ্ধিমত্তায় যে মুনাফা লাভ করতে পারত সুদসহ সেই মুনাফা বুঝায়, কিন্তু বে-আইনী দখলকার ব্যক্তি সম্পত্তির কোন উন্নতি সাধন করে থাকলে ইহার ফলে সৃষ্ট মুনাফা অন্তর্ভুক্ত হবে না।
বারবরদারী খরচ: দলিলের দাতা রেজিস্ট্রি অফিসে বা কোন স্বাক্ষী আদালতে উপস্থিত হতে অপারগ হলে, সাব-রেজিস্ট্রার বা কমিশনার উক্ত ব্যক্তিবর্গের বাড়িতে গমনাগমনের জন্য যে খরচ হয়, তাকে বারবরদারী খরচ বলে।
চালা (Highland): আবাদী উঁচু জমি যেখানে সাধারনত শাক-সবব্জির চাষ করা হয়, তাকে চালা বলে। কোন কোন এলাকায় চালা শ্রেনীর জমিকে ভিটিও বলা হয়।
মৌজাঃ সি,এস, জরিপের সময় প্রতিটি থানা এলাকাকে অনেকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একককে ক্রমিক নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরূপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাধিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়।
খতিয়ান: সাধারণত স্বত্ব সংরক্ষণ ও রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে জরীপ বিভাগ কর্তৃক প্রত্যেক মৌজার ভূমির মালিক বা মালিকগণের নাম, পিতা অথবা স্বামীর নাম, ঠিকানা, জমির হিস্যা বা অংশ এবং তাদের স্বত্বাধীন দাগসমূহের নম্বরসহ ভূমির পরিমাণ, শ্রেণী ইত্যাদি বিবরণসহ যে স্বত্ব তালিকা বা স্বত্বের রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়, তাকে খতিয়ান বলা হয় এবং উক্ত রেকর্ডকে স্বত্ত্বের রেকর্ড বা রেকর্ড অব রাইটস (ROR) বলা হয়। খতিয়ানগুলো ১,২,৩,৪ ইত্যাদি ক্রমিক সংখ্যা দ্বারা সাজানো হয়। এই নম্বরকে খতিয়ান নম্বর বলে। প্রত্যেক মৌজার খতিয়ান নম্বর ১ হতে শুরু হয়। কোন কোন মৌজায় কয়েক হাজারে খতিয়ান থাকতে পারে। কোন মৌজায় কতটি খতিয়ান রয়েছে তা উক্ত মৌজার স্বত্বের রেকর্ডে (ROR) পাওয়া যায়।
পর্চা (Draft copy of Khatian) : জরীপ চলাকালে খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভূমির মালিককে দেয়া হয় তাকে পর্চা বলে।
তসদিক: কাগজপত্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা সত্যতা যাচাই করার নাম তসদিক। যেমন, তসদিককৃত পর্চা।
বয়নামাঃ ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ প্রদান করেন তাকে বয়নামা বলে।
বয়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বয়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।
দখলনামাঃ দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে, সরকার-পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন, তাকে দখলনামা বলে। সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন।
এছাড়া কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন, তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।
জমাবন্দিঃ জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করা হত, যা জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয়।
আমলনামাঃ আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব ও দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।
জমা খারিজঃ জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়।
ভিটি (Highland): এমন অনেক উঁচু জমি আছে যেখানে বসবাসের জন্য বাড়ীঘর নির্মাণ না করে চাষাবাদ করা হয়। বাড়ীঘর করার যোগ্য এমন উঁচু ভূমিকে ভিটি জমি বলে।
ছড়া (Downward strip land): পাহাড় বা টিলার যে সকল এলাকা সমতল ভূমির দিকে ঢালু হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাকে ছড়া বা ছড়ি বলা হয়।
নয়নজুলি (Roadside Drain): রাস্তা নির্মানের সময় দুধার থেকে মাটি তোলার কারণে নালা সৃষ্টি হয়। রাস্তার দুধারে সৃষ্ট এমন নালাকে নয়নজুলি বলা হয়।
বাওড়: প্রাকৃতিক বা অন্য কারনে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে পুর্বের গতিপথের স্রোত প্রাকৃতিক কারণে বন্ধ হয়ে যে বিস্তীর্ণ জলাভূমি সৃষ্টি করে তাকে বাওড় বলে।
হাওড়: প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট বিস্তীর্ণ জলমগ্ন নিম্ন জলাভূমি হাওড় নামে পরিচিত। হাওড় এলাকা বিলের চেয়ে বড়।
বিল: বিস্তীর্ণ আবদ্ধ স্বাদু পানির জলাভূমি, যেখানে অতিরিক্ত পানি এসে জমা হয়।
ঝিল: লম্বাকৃতি জলাভূমি, ছোট আকারের বিল।
হালট: চাষিদের জমি চাষের জন্য হাল-বলদ নিয়ে জমিতে চলাচলের জন্য এবং শ্রমিকদের ভূমিতে কাজে যাওয়ার জন্য, ভূমির পাশ দিয়ে যে পথ বা রাস্তা রাখা হয়, তাকে হালট বলে।
আইল: প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা করার জন্য সীমানানির্দেশক উঁচু ধরনের চিহ্নকে আইল বলা হয়। জমিতে পানি আটকানোর জন্য নির্মিত অনুচ্চ বাঁধকেও আইল বলা হয়।
সিকস্তি: কোন ভূমি যখন নদী বা সাগরে ভেঙ্গে যায়, তখন তাকে সিকস্তি বলে।
পয়স্তি: পুর্বে যে ভূমি নদী বা সাগরে বিলুপ্ত হয়েছিল তা যদি পুনরায় চর রূপে জেগে উঠে, তাকে পয়স্তি বলে।
গোপাট, গোচর, গোবাম (Pasture Land): যে পতিত জমিতে গবাদি পশু ঘাস খাওয়ার জন্য চড়ে বেড়ায় ।
গান্টার চেইন (Gunter chain): ভূমির দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য একশত লিংক বিশিষ্ট যে চেইন ব্যবহার করা হয়, তাকে গান্টার চেইন বলে। এ চেইনের দৈর্ঘ্য ৬৬ ফিট। চেইনের উদ্ভাবকের নাম অনুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে।
দাখিলা (Rent Receipt): ভূমি মালিকের নিকট হতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) যে রশিদ ভূমি মালিককে প্রদান করে, তাকে দাখিল বলা হয়। দাখিলা ভূমির মালিকানা স্বত্বের অন্যতম প্রমান।
ডি,সি,আর, (Duplicate Carbon Receipt): ভূমি কর ব্যতীত অন্যান্য সরকারী পাওনা আদায় করার পর নির্ধারিত ফর্মে যে রশিদ দেয়া হয়; তাকে ডি,সি,আর, বলে।
সায়রত মহল (Sairat Mahal): সায়রত অর্থ ভূমি কর ব্যতিত অন্যান্য করের মাধ্যম সরকারের আয়। যে সমস্ত সাধারণ ব্যবহার্য স্থান সমুহ সাময়িক ব্যবহারের জন্য সরকার কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বা কোন প্রতিষ্টানকে বার্ষিক লিজ দিয়ে অথবা স্বল্প মেয়াদি লিজ দিয়ে রাজস্ব আদায় করেন, তাকে সায়রত মহল বলে। এ লীজ দ্বারা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরিত হয় না।
কোর্ট অব ওয়ার্ডস (Court of Wards): চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পরবর্তীকালে কোন জমিদার নি:সন্তান অথবা নাবালক সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করলে উক্ত জমিদারি, সরকার কর্তৃক তত্ত্বাবধান করার জন্য ১৮৭৯ সনে কোর্ট অব ওয়ার্ডস আইন করা হয়। এ আইন মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট কালেক্টর একজন ম্যানেজার নিয়োগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জমিদারী তত্বাবধান করতেন।
শত্রু সম্পত্তি: ১৯৬৫ সালে পাকিস্থান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এ যুদ্ধের কারনে কিছু পাকিস্থানী (হিন্দু) ভারতে চলে যায়। এরূপ পাকিস্তানী নাগরিকের ফেলে যাওয়া সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি বলে।
অর্পিত সম্পত্তি: ১৯৬৫ সালে পাকিস্থান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এ যুদ্ধের কারনে কিছু পাকিস্থানী (হিন্দু) ভারতে চলে যায়। এরূপ পাকিস্তানী নাগরিকের ফেলে যাওয়া সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি বলে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর উক্ত সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি নামে নামকরণ করা হয়।
বিনিময় সম্পত্তি (Exchange property): ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত বিভক্তির পর তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ হতে কিছু হিন্দু নাগরিক ভারতে চলে যায় এবং ভারত হতে কিছু মুসলমান নাগরিক পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে আসে। এভাবে চলে যাওয়া ও আগত ব্যক্তিদের মধ্যে বিধি মোতাবেক যে সম্পত্তি বিনিময় হয়, তাকে বিনিময় সম্পত্তি বলে।
পরিত্যক্ত সম্পত্তি (Abandoned Property): ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে বা স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে যে সকল পাকিস্তানি নাগরিক স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করে চলে যায়, বাংলাদেশে ফেলে যাওয়া তাদের সম্পত্তিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি বলে।
ওয়াকফ সম্পত্তি (Wakf property): কোন মুসলমান তার সম্পত্তি ধর্মীয় বা সমাজ কল্যাণমুলক কাজের জন্য দান করতে পারে। ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমুলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে উৎসর্গ করলে সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে। যিনি সম্পত্তি উৎসর্গ করেন তাকে ওয়াকিফ বলে। ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না।
মোতোওয়াল্লী (Manager): যিনি ওয়াকফফ সম্পত্তি তত্বাবধান বা পরিচালনা করেন, কাকে মোতোওয়াল্লী বলে। ওয়াকিফ নিজেও মোতোওয়াল্লী হতে পারেন। মোতোওয়াল্লী ওয়াকফ প্রশাসক বা সরকারের অনুমতি ছাড়া ওয়াকফ্কৃত সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না।
কবুলিয়ত: মালিকের বরাবরে প্রাপ্তি স্বীকারোক্তিমূলক দলিলকে কবুলিয়ত (Counterpart of Lease) বলে। সাধারনত ভূমিহীনদের বরাবর কবুলিয়ত দলিলের মাধ্যমে সরকারি খাস জমি হস্তান্তর হয়ে থাকে। কবুলিয়ত দলিলে জমি ভোগ-দখল করার নির্দিষ্ট কিছু শর্ত ও প্রজা কর্তৃক খাজনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি লেখা থাকে। শর্ত ভঙ্গ করলে কবুলিয়ত বাতিল হতে পারে।
নজরানা: এর অর্থ সেলামী বা উপঢৌকন। জমিদারদের নিকট হতে ভূমি পত্তন নেয়ার জন্য পূর্বে প্রজাগণ জমিদারদের কে যে অর্থ প্রদান করত, তাকে নজরানা বলা হত।
জলকর: জলকর অর্থ জল ব্যবহারের উপর কর। কোন জলমগ্ন স্থানকে ইজারা দিয়ে যে কর আদায় করা হয়, তাকে জলকর বলে।
জলমহাল: বিল, হাওর, বাওর, নিম্ন জলাভূমি ও নদ-নদীতে মৎস্য আহরণের এলাকাকে জলমহাল বলা হয়।
ডাঙ্গা জমি: দলিলে ব্যবহৃত জমির শ্রেণী। সাধারণত চাষযোগ্য উচু শ্রেনীর জমিকে ডাঙ্গা বলা হয়।
ভিটি জমি: সমভূমি হতে সামান্য উচু ভূমিকে ভিটি জমি বলে।
নাল জমি: সাধারনত নিচুঁ সমতল কৃষি জমি জমিকে নাল জমি বলে।
কোলা জমি: বসতবাড়ী সংলগ্ন নাল জমিকে কোলা জমি বলে।
চিরাগী: মসজিদ বা কবরস্থান আলোকিত করার উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত নিষ্কর ভূমি।
পালাম ভূমি: বসতবাড়ি সংলগ্ন সবজি চাষের জন্য উচুঁ ভিটি জমিকে পালাম ভূমি বলে।
তলববাকী: মৌজার হোল্ডিং ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) এর হাল ও বকেয়া দাবির বিবরণকে তলববাকী বলে। ভূমি অফিসে তলব বাকীর রেজিস্টারকে ২ নং রেজিস্টার বলা হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তি: হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি আয়োজন, ব্যবস্থাপনা ও সুসম্পন্ন করার ব্যয়-ভার নির্বাহের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলা হয়। যিনি দেবোত্তর সম্পত্তি তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করেন তাকে সেবায়েত বলে।
সালামি: কোন হস্তান্তরের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রিমিয়াম বা স্থায়ী ইজারা প্রদানের নিমিত্ত আর্থিক উপঢৌকন।
মিনাহ (Abatment): মিনাহ অর্থ হ্রাসকরণ বা আদায় স্থগিত করা। নদী ভাঙ্গনের ফলে জমি সিকস্তি হলে অথবা অন্য কোন কারণে জমি মালিকের জমির পরিমান হ্রাস পেলে আবশ্যক ক্ষেত্রে খাজনা হ্রাস করা বা খাজনা আদায় স্থগিত করাকে মিনাহ বলে।
হাসিল: গবাদি পশুর হাটে ক্রেতা বা বিক্রোতার নিকট থেকে আদায়কৃত টোলকে হাসিল বলা হয়।
তহশিলদার: সরকার বা জমিদারের অধনস্ত রাজস্ব বা খাজনা আদায়কারীকে তহশিলদার বলা হত। বর্তমানে তহশিলদার পদ বিলুপ্ত করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়কারীকে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলা হয়।
লায়েক পতিত ভূমি : আরবি ‘লায়েক’ অর্থ যোগ্য বা উপযুক্ত। লায়েক পতিত ভূমি বলতে আবাদযোগ্য পতিত ভূমিকে বুঝায়।
হারাহারি : মালিকানার পরিমান অর্থাৎ একাধিক ক্রেতা বা বিক্রেতার ক্ষেত্রে কে কতটুকু সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয় করল, তার পরিমান।
কস্য : কস্য শব্দের অর্থ ‘কাহার’। অনেক পুরাতন দলিলে এই শব্দের ব্যবহার প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে অমুকস্য তথা ‘অমুকের’ বা ‘যাহার দলিল তাহার নাম’ এর স্থলে কস্য শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানের দলিলে এইসব শব্দ পরিহার করাই শ্রেয়।
কায়েমী স্বত্ব (permanent interest): চিরস্থায়ী ভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমিকে কায়েমী স্বত্ব বলে।
মৌরশী ভূমি: পৈত্রিক সম্পত্তি; পুরুষানুক্রমে কোন ভূমি ভোগদখল করাকে মৌরশী ভূমি (Heritable Land) বলে।
মুদাফৎ : যার নামে প্রথম কোন জোতের সৃষ্টি হয়।
বায়া দলিল: ‘বায়া দলিল’ অর্থ সংশ্লিষ্ট ভূমির পূর্ব মালিকের দলিল। কোন ভূমি বা ভূমি খণ্ড যে যে দলিল মূলে যতবার হস্তান্তর হয়েছে, তার প্রত্যেকটি দলিলই এক একটি বায়া দলিল।
রায়ত : জমিদারের অধীন জমির দখল-স্বত্ব বিশিষ্ট প্রজা। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ফলে রায়তরা জমির প্রকৃত মালিকে পরিণত হয়।
পত্তন: সাময়িক বন্দোবস্ত। জমিদারের নিকট হতে নির্দিষ্ট মেয়াদ ও খাজনাদির শর্তে গৃহীত জমির মালিকানা বা স্বত্ব।
পত্তনি ভূমি: সাময়িকভাবে বন্দোবস্তকৃত ভূমি। নির্দিষ্ট পরিমান কর বা খাজনার পরিশোধের শর্তে জমিদারের নিকট হতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গৃহীত জমি।
জোত : জমিদারের অধীনস্ত প্রজার মালিকানাধীন আবাদি বা চাষযোগ্য জমি।
প্রজাবিলি : জমিদারী আমলে অধীনস্ত প্রজা বরাবর যথাযথ ভাবে বন্দোবস্তকৃত জমি।
চটান: কোন বাড়ির নিকটস্থ উচুঁ অনাবাদি পতিত জমি, যা চাষাবাদ না করে ফেলে রাখা হয়।
চিটা: যে কাগজে ভূমির পরিমাণ লিপিবদ্ধ থাকে।
মৌয়াজি : মোট ভূমির পরিমাণ।
স্থিতিবান : যে রায়তের স্বত্ব স্থায়ী।
মহাল : রাজস্ব আদায়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা।
ইজা : চলমান। পূর্বের হিসাব থেকে স্থিত টেনে আনা।
কান্দা: চাষাবাদযোগ্য উঁচু জমি।
হেবা : আরবি শব্দ, যার অর্থ দান (Gift)।
গির্বি: এর অর্থ বন্ধক (Mortgage)।
খারাজ: এর অর্থ কৃষি জমির উপর কর বা খাজনা।
কিত্তা: এর অর্থ জমি খন্ড, জমির অংশ বা প্লট।
বিতং : এর অর্থ বিস্তারিত (Detailed)।
লাখেরাজ : এর অর্থ নিষ্কর অর্থাৎ যে জমিতে কর বা খাজনা নাই।
দোং : এর পূর্ণরূপ “দোপ্তরে” যার অর্থ পিতা (Father)।
জং : এর পূর্ণরূপ “জওজিয়তে” যার অর্থ স্বামী (Husband)।
আং : এর পূর্ণরূপ “আহলিয়ে” যার অর্থ স্বামী।
মং : এর পূর্ণরূপ “মবলগে” যার অর্থ মোট বা একত্রে (Total)।
সাং : এর পুর্ণরূপ “সাকিন” যার অর্থ ঠিকানা (Address)।
(দলিল গুলো সাধারণত সাধারণ মানুষ পড়ে বোঝার মত হয় না। কারণ এখানে বিভিন্ন ধরনের জটিল শব্দ যুক্ত করা থাকে, যা সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই অস্পষ্ট। একটি দলিল অনেক কথা একসাথে লিখতে হয় তাই সময় এবং কার্টিজ পেপার এর সীমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে এমনটা করা হয়, আশা করি এই সমস্ত শব্দগুলো পড়লে একটি দলিল মর্মার্থ আপনারা সহজেই নিরূপণ করতে পারবেন। ধন্যবাদ)
#সংগৃহীত
বাংলাদেশে লাভজনক দশটি ব্যবসা!
১. অনলাইন স্টোর ব্যবসা আইডিয়া
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ব্যবসাগুলোর মধ্যে অনলাইন স্টোর অন্যতম একটা ব্যবসা। অল্প পুঁজি নিয়ে কেউ যদি ব্যবসা শুরু করতে চায় তাইলে, এর চেয়ে ভালো অপশন আর হবে নাহ। এর জন্য সবার প্রথমে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একটা অনলাইন স্টোর বিল্ড করতে হবে।
যেটাকে আমরা ফেসবুক পেজ বা অন্য স্যোশাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে নাম ভিন্ন হতে পারে। পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট টার্গেট কাস্টমারের নিকট কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে পারবেন।
২. অর্গানিক ফার্মিং ব্যবসা আইডিয়া
স্বাস্থ্য সচেতনতার এই যুগে জৈব ফার্মে উৎপাদিত খাবারে চাহিদা আকাশচুম্বী। সবাই এখন কেমিক্যাল বিহীন খাবার খেতে চায়। বাড়ির উপর ছাদ বাগান, বাড়ির সামনে সামান্য জায়গায়, এটা শুরু করা যায়।
আপনি চাইলে বানিজ্যিকভাবে খামারের মাধ্যমে এটা শুরু করতে পারে। অতি সামান্য পরিমাণ মূলধন নিয়ে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কেননা আজকাল মানুষেরা শুধু খাবারই অর্গানিক খুঁজে নাহ কাপড়চোপড়, খেলনা, কসমেটিকস, বাচ্চাদের প্রোডাক্ট ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই আজ কাল মানুষ অর্গানিক খুঁজে।
৩. কাপড়ের ব্যবসা আইডিয়া
সেই খ্রিস্টপূর্ব থেকে চালু আছে কাপড়ের ব্যবসা। যদিও এইটা একটা কমন বিজনেস আইডিয়া। তথাপি, এটি লাভজনক ব্যবসাও বটে। বলা হয়ে থাকে, এটি একটা সুন্নতি ব্যবসা। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মত সা: এই ব্যবসা করতেন। তাই, এই ব্যবসায় বরকত আছে। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম আর সৎভাবে এই ব্যবসা করতে পারেন। আপনি সফলতা অবশ্যই পাবেন।
এর জন্য একটা ভালো পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের যেসব জায়গায় কম টাকায় ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায় সেসব জায়গা থেকে পাইকারি দামে কাপড় কিনে আপনি আপনার নিজের শহরে অথবা এলাকায় বিক্রি করতে পারেন।
খুচরা ব্যবসায় লাভের উপায়।খুচরা থ্রি পিস এবং কাপড়ের ব্যবসায় লাভের কৌশল।(R.S Zone বাংলা)
থ্রি পিস এবং যেকোন খুচরা ব্যবসায় লাভবান হওয়ার কৌশলঃ নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন? তাহলে কিছু ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। এর মধ্যে আছে লোকবল নিয়োগ, কীভাবে লাভ করা যায় এর উপায় শনাক্ত ইত্যাদি। সেইসঙ্গে প্রাথমিক ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। নিচে ব্যবসার ঝুঁকি কমিয়ে সফল হওয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো : সঠিক মানুষ বেছে নিন : সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না। যে মানুষ যে কাজে দক্ষ তাকে সেই কাজই দিতে হয়। অদক্ষ মানুষ নিয়োগ করলে আপনার ব্যবসার সুনাম এমনভাবে নষ্ট হতে পারে, যার ফিরিয়ে আনা দুরূহ। আর তাই ব্যবসায় উন্নতির জন্য দক্ষ কর্মীর বিকল্প নেই। আয়ের প্রতিষ্ঠিত উপায় ব্যবহার করুন : আগে থেকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত উপায় ব্যবহার করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাতে আপনার ঝুঁকি কম হবে। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বিজনেস আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে যেতে হলে সে জন্য যথেষ্ট চিন্তাভাবনা ও সময় যেমন ব্যয় করতে হবে তেমন তাতে ঝুঁকিও থাকবে। তাই সুপরিচিত বিষয়ে ব্যবসা করা সুবিধাজনক। ঝুঁকি কমান : ব্যবসা শুরু করার সময়ই ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর এ কারণে ঝুঁকি কমানোর জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। ভালোভাবে চেষ্টা করলে এ বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মানিয়ে নিন : ব্যবসাক্ষেত্রে সব সময় গ্রহণযোগ্য হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবসা করতে গেলে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আর এ পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সব সময় মানিয়ে নিতে পারে তারা ব্যবসায় সফলতা পায়। ক্রেতার দিকে মনোযোগী হোন : গ্রাহক কিংবা ক্রেতা সব ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু। তাই তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য যেকোনো উদ্যোক্তার নজর দেওয়া উচিত। অন্যথায় তা ব্যবসাক্ষেত্রে ব্যর্থতা ডেকে আনতে পারে। বৃদ্ধির চেষ্টা : ব্যবসার শুরুতে যদি উপার্জনের সম্পূর্ণ অর্থই ব্যয় করে ফেলা হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধি সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে তাই সব লাভ উঠিয়ে না নিয়ে বরং কিছু অর্থ ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা উচিত। আগে থেকে চিন্তাভাবনা : যেকোনো ব্যবসা শুরুর আগেই এ সম্পর্কে নানা সুবিধা-অসুবিধা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বীদের অবস্থা সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা উচিত। অনেকেই ব্যবসায় নামার পর নানা প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানতে পেরে ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হন। কিন্তু আগে থেকে বিষয়টি জানা থাকলে ব্যবসায় সফল হওয়া সহজ হয়। বিস্তারিত রেকর্ড রাখুনঃ সমস্ত সফল ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসার বিশদ রেকর্ড রাখে। এটি করার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ব্যবসায়টি আর্থিকভাবে কোথায় দাঁড়িয়েছে এবং কী কী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হতে পারে। কেবল এটি জানার ফলে আপনি সেই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে কৌশল তৈরি করতে সময় পান। কেন্দ্রীভূত থাকুনঃ “রোম একদিনে নির্মিত হয়নি” এই প্রবাদটি প্রযোজ্য। আপনি ব্যবসা খোলার অর্থ এই নয় যে আপনি অবিলম্বে অর্থোপার্জন শুরু করবেন লোকেদের আপনি কে তা জানাতে সময় লাগবে।আপনার ব্যবসার পরিচিতির জন্যও সময়ের প্রয়োজন হবে। তাই আপনার স্বল্প-মেয়াদী লক্ষ্য অর্জনে মনোনিবেশ করুন।অল্পতেই হাল ছেড়ে দিবেন না। খুচরা থ্রি পিস ব্যবসায় লাভবান হওয়ার কিছু টিপসঃ ১.প্রথমেই বেশি দামের থ্রি পিস দিয়ে শুরু করবেন না।অল্প পুঁজি এবং অল্প দাম দিয়ে শুরু করবেন।তারপর চাহিদা অনুযায়ী পন্যের ধরন পরিবর্তন করবেন এবং পরিমান বাড়াবেন। ২.ব্যবসার শুরুতে বেশি লাভ করতে যাবেন না।প্রথমে লাভ সীমিত রাখুন।এতে ভালো এবং রেগুলার কাস্টমার পেতে সুবিধা হবে।এখন কিন্তু প্রতিযোগিতা অনেক তাই কাস্টমাররা যেখানে কমে ভালো পণ্য পাবে সেখানে যাবে। ৩.যদি
https://rsbengalanews.blogspot.com/2021 … piece.html
৪. ওয়ান টাইম গ্লাস, প্লেট এবং কাপ
বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় ওয়ান টাইম গ্লাস, কাগজের কাপ, ওয়ান টাইম প্লেটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এটি যেহেতু পরিবেশ-বান্ধব তাই, এর ব্যবহারও লক্ষণীয়।
দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলছে। প্রতিটি ইভেন্ট, পিকনিক, জন্মদিন, বিয়ে, স্কুল,কলেজ, ভার্সিটি ফাংশনে এই কাগজের তৈরি থালা, কাপের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে, ওয়ান টাইম বা একবার ব্যবহারের জন্য এইসব কাগজের থালা বাসনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
৫.ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা
আমাদের তালিকায় যতগুলো বিজনেস আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা। আমাদের দেশের জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ট্রান্সপোর্ট এর সংখ্যা তেমন হারে বাড়ে নি। আরও নিদিষ্ট করে বলতে গেলে ভালো মানের ট্রান্সপোর্ট এর সংখ্যা খুবই কম। ঈদ,পূজা সহ বিভিন্ন ছুটিতে এর অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়।
এনা, হানিফ পরিবহন, ইউনিক, গ্রিন লাইন সহ হাতে গোনা কয়েকটা পরিবহন তাদের বেস্ট সার্ভিসের জন্যে সবার কাছে পরিচিত। এর বাহিরে তেমন একটা ভালো পরিবহন দেখা যায় না। এই ট্রান্সপোর্ট খাতে আপনাকে সফল হইতে হলে, আগে সবার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জণ করতে হবে। আর সেটি হবে আপনার চমৎকার সার্ভিসের মাধ্যমে।
৬.আচারের ব্যবসা আইডিয়া
আচার বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা প্রচলিত এবং বহুল জনপ্রিয় খাবার। আমরা মুখরোচক জাতি হিসাবে পরিচিত। এইটা সবাই জানে। আমাদের সবার বাড়ির রান্নাঘর অথবা ফ্রিজে খুঁজলে কয়েক প্রকারের আচার পাওয়া যাবে।
আপনি যদি ছোট কিছু শুরু করতে চান তাহলে এই আচারের ব্যবসা আপনার জন্য। এর জন্য আপনার কাছে ২০/৩০ হাজার টাকা পুঁজি হলেই যথেষ্ট। বিভিন্ন মৌসুমে যে ফলগুলো সহজলভ্য থাকে সেগুলো দিয়েই আপনি খুব সহজেই এই বিজনেসটা শুরু করতে পারেন।
৭.অনলাইন কোর্স
করোনাভাইরাস মহামারিতে সমস্ত শিক্ষাকে একরকম ইন্টারনেটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এটি অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গুলোকে এক বিশাল উৎসাহ দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কোর্সের কথা বিবেচনা করুন, মার্চ এবং এপ্রিলের সময় নিবন্ধন গত বছরের তুলনায় ৬৪০% বেশি বেড়েছে। বর্তমানে অনলাইন কোর্সে অংশ নিয়েছে এমন গ্রাহকের সংখ্যা ৮.৭ মিলিয়ন।
আপনি যদি একটি অনলাইন কোর্স চালানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে, একটি দ্বিতীয় ভাষা যেমন: ইংরেজি শেখানো (বিশেষত অভিবাসীদের জন্য), নিউজ রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এসইও কোর্সগুলো চালু করতে পারেন।
৮.রেস্টুরেন্টের ব্যবসা
বলা হয়ে থাকে রেস্টুরেন্টের বিজনেস হচ্ছে এভার গ্রিন বিজনেস। যুগের পর যুগ এর চাহিদা ছিলও, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। করোনা মহামারিতে যদিও এই ব্যবসাটা কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে কিন্তু সেটা কিছু সময়ের জন্যে। মহামারী শেষ হবার পর পরই আবার ব্যবসাটি সেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে এবং সেরা লাভজনক বিজনেসে উন্নীত হবে আবার।
সেজন্য আপনি যদি লাভজনক কিছু আশা করে থাকেন তাহলে, সেটা রেস্টুরেন্টের ব্যবসা হতে পারে।এককালীন কিছু ব্যয় করতে হয় কিন্তু খাদ্যের মান যদি ভালো হয় এবং সেটা কাস্টমারের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয় তাহলে খুব সহজেই লাভের মুখ দেখা যাবে। এই বিজনেস এ কোয়ান্টাটির চেয়ে কোয়ালিটিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হয়ে কারণ কাস্টমারের আত্মতৃপ্তিই এখানে মুখ্য বিষয়।
৯.ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ব্যবসা।
বিভিন্ন কোম্পানি হতে শুরু করে মানুষ নিজেদের ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দিয়ে থাকে।কারণ, বর্তমান সময়ের মতো ব্যস্ত যুগে এসে কোন অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য ৭-১০ দিন ব্যয় করা সম্ভব নয়। তাই যেকোন অনুষ্ঠানের সকল দায়িত্ব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দিয়ে দেয়। এই ব্যবসা করতে মূলধন বেশি না লাগলেও, মুনাফা বেশি পাওয়া যায়।তবে, এই ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হল বিশ্বাস এবং সততা। গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করতে পারলেই গ্রাহক অনুষ্টানের দায়িত্ব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দিবে।
১০.ফিটনেস সেন্টার।
স্বাস্থ্য সকল সম্পদের মূল। যার কারণে অনেক আগে থেকে মানুষ নিজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন রয়েছে।স্বাস্থ্য এমন একটি বিষয় যা নিয়ে কখনো আপোষ করা উচিত নয়। জিম, ফিটনেস ক্লাব গুলোতে মানুষের যাওয়ার পরিমান বেড়ে চলছে। ফিটনেস সেন্টার করতে প্রথমে কিছু টাকা মূলধন হিসেবে প্রয়োজন রয়েছে।তবে মানুষকে ভাল সেবা দিতে পারলে ব্যবসাটি লাভজনক অবস্থায় পৌছে যাবে।
#সংগৃহীত
উপদেশ !
একজন বাংলাদেশি হিসেবে আরেকজন বাংলাদেশিকে আপনি কী বলতে চান?
একদিন গাধা বাঘকে বলল — "ঘাসের রং নীল। " বাঘ উত্তর দিল — "না, ঘাসের রং সবুজ। কিছুক্ষনের মধ্যেই দু'জনের আলোচনা তুমুল তর্কে পরিণত হলে,
তারা জঙ্গলের রাজা সিংহের কাছে বিচারের জন্য উপস্থিত হল। রাজদরবারে সিংহের কাছে পৌঁছানোর আগেই গাধা ডাক ছাড়তে শুরু করে দিল — " মহারাজ, আপনিই বলুন ঘাসের রং নীল কি না?"
সিংহ উত্তর দিল -- " হ্যাঁ, ঘাসের রং নীল।"
গাধা তাড়াতাড়ি সিংহের কাছে পৌঁছালো এবং বলতে থাকল —" বাঘ আমার কথা মানছে না, তর্ক করছে এবং আমাকে বিরক্ত করছে। ওকে শাস্তি দিন।"
সিংহ তখন ঘোষণা করল --" বাঘকে ৫ বছরের জন্য মৌন থাকার শাস্তি দেওয়া হল।"গাধা খুশিতে লাফাতে লাগল এবং বলতে বলতে চলে গেল — " ঘাসের রং নীল, ঘাসের রং নীল।"
বাঘ শাস্তি মেনে নিল, কিন্তু সিংহকে জিজ্ঞাসা করল —" মহারাজ, আপনি আমায় শাস্তি দিলেন কেন যখন ঘাসের রং সত্যিই সবুজ।" সিংহ বলল —" ঠিক, ঘাসের রং সবুজ।" বাঘ জিজ্ঞাসা করল —" তাহলে আপনি আমায় শাস্তি দিলেন কেন?"
সিংহ উত্তর দিল —" তোমাকে শাস্তি দেওয়ার সাথে ঘাসের রং সবুজ না নীল, সেই প্রশ্নের কোনো সম্পর্ক নেই। তোমাকে শাস্তি দিয়েছি কারণ তোমার মত সাহসী, বুদ্ধিমান প্রাণী একটা গাধার সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট করেছ এবং এইরকম একটা বাজে কারণে আমার কাছে এসে আমার সময় নষ্ট করেছ।"
#সংগৃহীত
স্বৈরাচার পতন দিবস আজ ৬ ডিসেম্বর
বুকে ‘স্বৈরাচার নীপাত যাক’ এবং পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান নিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন নূর হোসেন। (বাঁয়ের ছবি সংগৃহীত, ডানের ছবিটি তুলেছেন পাভেল রহমান)
স্বৈরাচার পতন দিবস আজ ৬ ডিসেম্বর। গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। এই দিনে তিনি অস্থায়ী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়, মুক্তি পায় গণতন্ত্র।
সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা আন্দোলনের মুখে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ডা. শামসুল আলম খান মিলন, নূর হোসেনসহ অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে।
#সংগৃহীত
যামিনী রায়ের আঁকা কিছু নারীচিত্র
যামিনী রায় উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের মধ্যভাগে বাংলার আধুনিক চিত্রকলা ইতিহাসের একজন শিল্পী। তিনি ছিলেন একজন বাঙ্গালী চিত্রশিল্পী। তিনি বাংলার বিখ্যাত লোকচিত্র কালীঘাট পটচিত্র শিল্পকে বিশ্বনন্দিত করে তোলেন। যামিনী রায় ১৮৮৭ সালের ১১ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রামতরণ রায়, মাতার নাম নগেন্দ্রবালা দেবী।
১৯০৬ সালে ১৬ বছর বয়সেই কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ১৯১৪ সালে ফাইন আর্টে ডিপ্লোমা করেন। বিদেশি ভাবধারায় প্রথম দিকে ছবি আঁকলেও পরবর্তীতে সম্পূর্ণ দেশীয় তথা গ্রামবাংলার প্রতিরূপ তার ছবিতে ফুটে উঠেছে। নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তার লক্ষ্যে তিনি লোক ও নৃগোষ্ঠীদের সংস্কৃতি বেছে নেন। তাঁর শৌখিন শিল্পী পিতা অবসর জীবন গ্রামে কাটান, যেখানে বেশ কয়েক ঘর কুমারের বাস ছিল। শিল্পীমনা পিতা এবং স্বীয় গ্রামের কুমোর পাড়ার প্রভাব যামিনী রায়ের শিল্পী জীবন অন্বেষায় পরোক্ষ ভূমিকা রাখে। বাংলার লোকজ পুতুল, শিশু, গ্রাম বাংলার সরল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখর চিত্র, ধর্মাশ্রয়ী কাহিনী যেমন- রামায়ণ, শ্রীচৈতন্য, রাধা-কৃষ্ণ ও যীশু। এছাড়া বেলিয়াতোড় গ্রামের আশেপাশের গ্রামগুলির সাঁওতালদের জীবনের চিত্ররূপ ‘সাঁওতাল জননী ও শিশু’,‘মাদলবাদনরত সাঁওতাল’, ‘নৃত্যরত সাঁওতাল’ ইত্যাদি। বর্ণাঢ্য রঙ ওছন্দোময় রেখার ঐকতানের মাধ্যমে তিনি তাঁর চিত্রে এক নিজস্ব ভাবের উন্মেষ ঘটান।
ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক পান ১৯৫৪ সালে।
ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার পান ১৯৫৫ সালে। এটি চারু শিল্পের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরুস্কার।
১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি মারা যান।
যামিনী রায়ের আঁকা কিছু নারীচিত্র রইলো এখানে। ছবিগুলি গুগল ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
DDR3 ও DDR4 এর মধ্যে কী পার্থক্য?
DDR3 কি?
DDR3 হল একটি অপরিহার্য প্রকার 3rd প্রজন্মের SDRAM যা সিস্টেম মেমরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের র্যাম উচ্চ গতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম। DDR3 RAM এর পূর্ণরূপ হল ডাবল ডেটা রেট।
DDR4 কি?
DDR4 RAM হল RAM এর সর্বশেষ রূপ, যা পরবর্তী প্রজন্মের কম্পিউটিংয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। হ্রাসকৃত ভোল্টেজ এবং DDR4 এর বর্ধিত স্থানান্তর হারের সৌজন্যে সর্বোত্তম দক্ষতা এবং উচ্চ গতি প্রদান করতে পারে। DDR4 SDRAM এর পূর্ণরূপ হল ডাবল ডেটা রেট ফোর্থ জেনারেশন সিঙ্ক্রোনাস ডায়নামিক র্যান্ডম-অ্যাক্সেস মেমরি।
DDR3 এর বৈশিষ্ট্য:
•ডেটা স্থানান্তর হার: 800 থেকে 1600 MT/s (প্রতি সেকেন্ডে মেগা স্থানান্তর)
•অপারেটিং ভোল্টেজ: 1.8 ভি
•নিম্ন সিগন্যালিং স্ট্যান্ডার্ড হ্রাস পাওয়ার x8 প্রিফেচ
•উন্নত লেখা সংকেত জন্য গতিশীল ODT
• ফ্লাই-বাই আর্কিটেকচার
•লেভেলিং পড়ুন/লিখুন
• ড্রাইভার ক্রমাঙ্কন
•ডিভাইস রিসেট
• DIMM ঠিকানা মিররিং
•উন্নত ডিভাইস পিনআউট
DDR4 এর বৈশিষ্ট্য:
•নিম্ন সংকেত মান
•হ্রাস পাওয়ার x8 প্রিফেচ
•উন্নত লেখা সংকেত জন্য গতিশীল ODT
•ফ্লাই-বাই আর্কিটেকচার
•লেভেলিং পড়ুন/লিখুন
•ড্রাইভার ক্রমাঙ্কন
• ডিভাইস রিসেট
•DIMM ঠিকানা মিররিং
•উন্নত ডিভাইস পিনআউট
•ডেটা স্থানান্তর হার 2133 থেকে 3200 MT/s
DDR3 VS DDR4
DDR3
•DR3 RAM এর অর্থ হল ডাবল ডেটা রেট সংস্করণ 3।
•DDR3 RAM 2007 সালে চালু করা হয়েছিল।
•DDR3 এর খরচ DDR4 এর থেকে কম।
•DDR3 DDR2 এর চেয়ে কম শক্তি খরচ করে কিন্তু DDR4 এর চেয়ে বেশি।
•DDR4 এর তুলনায় DDR3 এর গতি ধীর।
• DDR3 সর্বাধিক মেমরি আকার 16 GB।
•DDR3 এর ঘড়ির গতি 400 MHz থেকে 1066 MHz পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
• DDR3 এর DDR4 এর চেয়ে কম লেটেন্সি আছে।
•স্বয়ংক্রিয়-রিফ্রেশ এবং স্ব-রিফ্রেশ সামগ্রীর জন্য সঞ্চালিত হয়।
• DDR3 RAM-তে ECC মেমরি রয়েছে, যা অতিরিক্ত ডেটা বাইট লেনকে সংকুচিত করে।
• DDR3 RAM 1.50 V ভোল্টেজে কাজ করে
•DDR3 RAM এর একটি 240-পিন ইন্টারফেস রয়েছে।
• এই ধরনের ডিডিআর র্যাম পুরানো র্যাম জেনারেশনের সাথে পশ্চাদপদ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
•ডিডিআর 3 র্যামের দশকের পুরনো চাহিদা কমে যাচ্ছে।
DDR4
•DDR4 RAM এর অর্থ হল ডাবল ডেটা রেট সংস্করণ 4।
•DDR4 রিডিং 2014 সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
• DDR4 খরচ DDR3 থেকে বেশি বা বেশি।
•DDR4 DDR3 থেকে কম শক্তি খরচ করে।
•DDR4 গতি DDR3 থেকে দ্রুত।
• DDR4 এর কোন সর্বোচ্চ সীমা বা ক্ষমতা নেই।
•DDR4 এর ঘড়ির গতি 1066 থেকে 2133 MHz পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়েছে।
•DDR4 এর DDR3 এর চেয়ে বেশি লেটেন্সি আছে।
•একটি বিষয়বস্তুর জন্য শুধুমাত্র স্ব-রিফ্রেশ করা হয়।
•DDR4 RAM স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, পিসি, ল্যাপটপ ইত্যাদির মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কম্পিউটিং ক্ষমতা প্রদান করে।
•DDR3 RAM 1.20 V ভোল্টেজে কাজ করে।
•DDR4 RAM এর একটি 288-পিন ইন্টারফেস রয়েছে।
•এই ধরনের ডিডিআর র্যাম পুরানো প্রজন্মের র্যামের সাথে পিছিয়ে যায় না।
DDR3 এর সুবিধা:
•DDR3 উচ্চ হারে ডেটা স্থানান্তর করে, যতটা 6400MBps
•এটি উচ্চতর ব্যান্ডউইথ বা সর্বোচ্চ ডেটা রেট সক্ষম করে।
•DDR3 কম শক্তি খরচ ব্যবহার করে।
•DDR3 অফার করে ব্যাটার লেটেন্সি DDR2 এর সাথে তুলনা করে।
DDR4 এর সুবিধা:
•DDR4 উচ্চ মডিউল ঘনত্ব অফার করে এবং খুব কম শক্তি খরচ করে।
•DDR4 উচ্চ-গতির গেমগুলির জন্য উপযুক্ত।
•DDR4 বৃহত্তর DIMM ক্ষমতা প্রদান করে।
•এর আগের সংস্করণগুলির সাথে তুলনা করলে ডেটা রেট স্থানান্তর দ্রুত হয়৷
•DDR4 কোনো শীতল করার প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই খুব কম ভোল্টেজে উচ্চ গতিতে স্থানান্তর করতে পারে।
•DDR4 এর লেটেন্সি অন্য যেকোনো DDR সংস্করণের চেয়ে ভালো।
• DDR4 শুধুমাত্র স্ব-রিফ্রেশ করে এর বিষয়বস্তু রিফ্রেশ করে, তাই এটি কম শক্তিও খরচ করে।
#সংগৃহীত
ভালো থাকার উপায় !
মন খুলে হাসুন। হাসলে, আমাদের ব্রেন থেকে ডোপামিন হরমোন নির্গত হয়। যেটা আমাদের ভাল অনুভব করায়।
নিজের সাথে অন্যকে তুলনা করা বন্ধ করুন৷
কারোর কাছ থেকে কোনো কিছু প্রত্যাশা করবেন না। প্রত্যাশা, হতাশা এনে দেয়। যত কম প্রত্যাশা করবেন, তত সুখী হবেন।
আপনি যে অবস্থানেে আছেন তার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
নেতিবাচক লোকদেরকে ইগনোর করুন।
বর্তমানে মনোযোগ দেন। অতীত কখনো পরিবর্তন করতে পারবেন না।
ব্যর্থতা মেনে নিয়ে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান।
প্রকৃতির সাথে সময় কাটান, এটা আপনার মনে প্রশান্তি এনে দিবে।
আপনার সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছু আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। সুতরাং অপ্রত্যাশিত ঘটনা গুলো মেনে নিন। জীবনের কোন কিছু নিশ্চিত না।
নিজেকে যদি ভাল রাখতে চান অন্যের উপর নির্ভরশীল হবেন না।
আঞ্চলিক একটা কথা আছে, চাওয়া দুধে ছেলে বাঁচে না। নিজেকে ভাল রাখার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। নইলে, ভাল থাকা আর হয়ে উঠবে না।
বৃষ্টি ভেজা ফুল, আরও কিছু স্নিগ্ধতা (মোবাইলগ্রাফী)
০১।
©কাজী ফাতেমা ছবি
=প্রকৃতির গায়ে স্নিগ্ধতার ছায়া=
বৃষ্টি ঝরে গেলেই প্রকৃতির গায়ে যেন স্নিগ্ধতা ঝুলে থাকে,
বৃষ্টি ঝরে গেলেই প্রকৃতি আমায় মন বাড়িয়ে ডাকে,
বলি আলহামদুলিল্লাহ্, আঙ্গুলে তুলে নিয়ে জল বিন্দু,
বুক হয়ে যায় সুখে প্রশস্ত, মুগ্ধতারা চোখে ভর করে এক সিন্ধু।
======================================================
অনেকদিন যাবত ছবি পোস্ট করতে পারছি না ব্যস্ততার কারণ। কত ছবি জমে আছে মোবাইলে পিসিতে । দিন দিন যেন সময় কেবল হাতছাড়াই হয়ে যাচ্ছে। একটা পোস্ট দিতে অনেকটা সময় লাগে। তা না হলে পোস্ট সুন্দর হয় না। কিন্তু সুন্দর আর বুন্দর এসব ভাবার সময়ই আর নাই আমার। এগুলো আগের ছবি পিসি থেকে বের করছি। ভালো লাগলে খুশি হবো ইংশাআল্লাহ।
০২। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=একটি মিষ্টি প্রহর দেবে আমায়?=
তোমায় মিষ্টি গোলাপের ঘ্রাণ দেবো, তুমি দেবে সময় অল্প,
এই শোন, মনের খাতায় জমা হয়েছে যে কত গল্প;
দেবে একটি ঝাঁঝা রোদ দুপুর, আমি দেবো মিহি প্রেম,
আরে বাবা! খানিকটা সময়ই তো চেয়েছি, চাইনি রূপা হেম।
০৩। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=মনের মুগ্ধতাগুলো ঝরে যায় অবেলায়=
জারুল রঙা স্বপ্ন ছিলো চোখের কোণে,
কত রঙবাহারী স্বপ্ন যেতাম বুকে বোনে,
ইচ্ছেগুলো ছিলো পাপড়ি মেলা জারুল ফুল যেমন,
ইচ্ছের পাপড়ি ঝরে গেলো, মন বেলা অবেলায় রয় উন্মন।
০৪। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=শিউলীর মালা ভাসিয়ে দেবো জলে=
তুমি বসো ঘাটে ও মনের মাঝি,
যদি থাকো রাজি,
একশত দুই শিউলীর মালা গেঁথে ভাসাবো জলে,
তুমি আলগোছে নিয়ো তুলে।
বুক পকেটে শিউলীর মালা রেখো ভরে,
নিয়ো যতন, দিয়ো জল, চুপসে যাবে ফুল, নতুবা যাবে ঝরে,
মনদানিতে রেখে দিয়ো, আমি এসে দেবো ভালোবাসার জল
একটু প্রেম চাই, তোমার ভালোবাসা পেতে হয়ে আছি কপিঞ্জল।
০৫। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=গোলাপী আভায় ছেয়ে থাকুক সময়=
কখনো ক্লান্তি এসে ধরলে ঘিরে,
আমি খোলা ছাদে ফের যাই ফিরে,
কিছু গোলাপী আভায় চোখ রাখি,
সবুজের স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে দিয়ে সুখ গালে মাখি।
০৬। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=জারুল রঙা ফুলে সাজিয়েছি মন বাগান=
বুক জমিনে ফলাও ধুতুরা ফুল, বুক আকাশ রাখো কালো মেঘে পূর্ণ,
এই শুনো না, দেখে যাও কত রঙবাহারী সুখ আমার চারপাশে ঘূর্ণ,
আমার বুকের ক্ষেতে ফলিয়েছি জারুল রঙা ফুল, দেখবে এসো,
যদি মন করতে চাও উচ্ছল পরিচ্ছন্ন, খানিকটা সময় বসো।
০৭। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=শুভ্র স্বপ্নগুলোও একদা যায় চুপসে=
সন্তান'রা বড় হয়, মা বাবা'র বুড়োবুড়ি
মা বাবারাও একদা সতেজ ছিলেন, বয়স কুড়ি,
শুভ্র স্বপ্নগুলো চোখের পাতায়, কিছু স্বপ্ন ভেঙ্গে পড়ে
কিছু স্বপ্ন হয় পূর্ণ,
মা বাবা'রা তরুণ ছিলেন, নতুন প্রজন্মের মতই
কত দুষ্টুমি হতো ঘূর্ণ।
০৮। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=হলাম অভিমানি=
কটু কথার মারলে যে তীর, হলাম অভিমানি,
ভাঙ্গাবে না এ অভিমান জানি বন্ধু জানি,
মান ভাঙ্গালে হয়ে যাবো রাঙাবতি কন্যা,
মনে তোমার দেবো বইয়ে ভালোবাসার বন্যা।
০৯। =আমার ঘ্রাণ মাখানো বেলা=
একটি ঘ্রাণ মাখানো বিকেল দিলাম তোমায় নেবে?
তোমার সময় হতে আমায় এক কণা সময় দেবে?
একটি শুভ্র প্রহর বুক পকেটে দিলাম তোমার তুলে,
ঘ্রাণ মাখানো বেলা তুমি হারাবে সুখে ভুল বেভোলে।
১০। =গোলাপী রঙ প্রহর ছুঁয়ে আছি=
বড্ড প্রিয় আমার নয়নতারা ফুল,
তুমি বুঝো ভুল, ফুল বুঝে না ভুল
বৃষ্টিস্নাত নয়নতারায় স্নিগ্ধতা আছে ছুঁয়ে
আর তোমার মুখে আগুল রাখো রুয়ে।
১১। =ভেজা গোলাপের স্নিগ্ধতা মাখানো প্রহর=
ভালো লাগে গোলাপের পাপড়িতে বৃষ্টির বিন্দু বসে থাকলে,
ভালো লাগে মন ক্যানভাসে আনমনে মুগ্ধতার ছবি আঁকলে,
ভালো লাগে সবুজ পাতায় পাতায় লেগে থাকলে শিশির কণা,
প্রকৃতির রূপ দেখলে মনে যে কী সুখ, কাউকে বলবো না।
১২। =তুই কি আমার হিমু হবি?
তুই কি আমার হিমু হবি, আমি হবো রূপা,
একগুচ্ছ ফুল হলুদ রঙা, দেবো তোকে তোফা;
সাদা রঙের শাড়ী দিবি, চাঁদ দেখবি কী সঙ্গে?
প্রেম শিহরণ জাগাবি কি আমার সারা অঙ্গে।
১৩। =ব্যাঙের ছাতা=
ব্যাঙের ছাতা মাথায় দিয়ে, বৃষ্টির বাড়ী যাবো,
চিড়ে মুড়ি, চাল ভাজা আর খিঁচুড়িও খাবো;
ব্যাঙের ছাতা মাথায় থাকুক, ছেলেবেলার স্মৃতি,
মনের তারে উঠুক বেজে, মিহি সুখের গীতি।
১৪। =সময় যেন বিষ পিঁপড়ে=
আমাদের হিমু সময় চলে গেলো কালের ডহরে,
প্রেম ভালোবাসায় মনের ভিত নড়বড়ে,
আমি রূপা সাজলেও হিমু হতে পারো না তুমি,
চৈত্রের খরা ছুঁয়েছে তোমার মনের জমি।
১৫। =এডিস ছেড়ে দেবো বুক পকেটে=
এই ভালোবাসি বললেই বলে দিয়ো ভালোবাসি,
এই চোখে তাকালেই মুগ্ধতায়, দিয়ো মিহি হাসি,
যদি বাঁকা চোখে তাকাও, ভালো হবে না বলে দিচ্ছি,
বুক পকেটে রেখে দেবো এডিস, শপথ নিচ্ছি!
রবি বর্মার কয়েকটি চিত্রের রিক্রিয়েশন
রাজা রবি বর্মা বিখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী ছিলেন। ১৮৪৮ সালের ২৯শে এপ্রিল রাজা রবি বর্মা ভারতের কেরালা রাজ্যের ‘কিলিমানুর’ রাজপ্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী হিসেবে গণ্য করা হয়।
মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই তার ছবি আঁকার নেশা তাকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলে। তাদের বাড়ির দেয়াল ভরে ওঠতো তার আঁকা পশুপাখির ছবিতে, হাটবাজারে, পথেঘাটে বহমান নিত্যদিনের জীবনযাত্রার দৃশ্যে। ১৪ বছর বয়সে রাজা রবি বর্মা জলরঙ্গে ছবি আঁকতে শেখেন এবং পরে তিনি তেলরঙ্গে ছবি আঁকায় পারদর্শী হয়ে উঠেন।
ভারতীয় ঐতিহ্য ধরে রেখে ইউরোপীয় ধাঁচে ছবি এঁকে ভারতীয় চিত্রশিল্প জগতে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছিলেন রবি বর্মা।
তিনি তার চিত্রকলার বিষয়ের সন্ধানে ভারতজুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি প্রায়ই হিন্দু দেবী বা ভারতীয় মহিলাদের তাঁর ক্যানভাসে তুলে এনেছেন। তিনি ভারতীয় পৌরাণিক মহাকাব্যের চরিত্রগুলিকে তার কল্পনার নতুন জীবন দেন। বিশেষত মহাভারতের দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার কাহিনী এবং দময়ন্তী গল্পের চরিত্র গুলির সৃষ্টিকর্মগুলি তাকে বিখ্যাত করে তোলে।
১৮৭৩ সালে মাদ্রাস চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে প্রথম পুরষ্কার লাভ করেন রাজা রবি বর্মা।
একই বছরে ভিয়েনা প্রদর্শনীতেও প্রথম পুরষ্কার পেয়ে তার খ্যাতি পৌছে যায় বিদেশে।
শিকাগো কলাম্বিয়ান প্রদর্শনীতে তিনটি স্বর্ণপদক পান তিনি।
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন, রাজা রবি বর্মাকে ‘কায়সার-ই-হিন্দ’ স্বর্ণপদকে ভূষিত করেন।
সাধারন মানুষের কাছে নিজের আঁকা ছবি পৌঁছে দিতে তাই ১৮৯৪ সালে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে নিজের ছবিগুলোর প্রতিলিপি তৈরি করে সারা ভারতে সেগুলি ছড়িয়ে দেন। বাংলাসহ পুরো ভারতে জনপ্রিয় হয় তাঁর ছবিগুলো।
৫৮ বছর বয়সে রাজা রবি বর্মা ত্রাভানকোরের কিলিমানুর গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। কেরালা সরকার তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে ‘রাজা রবি বর্মা পুরষ্কারম’ প্রবর্তন করেছে।
রাজা রবি বর্মা ভারতীয় নারীর অনন্য রূপ ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার তুলিতে। রাজা রবি বর্মার আঁকা কিছু পোর্ট্রেটকে নতুন রূপ দিয়েছেন ভারতীয় ফ্যাশন ফটোগ্রাফার ভেংকেট রাম। মডেল হিসেবে ছিলেন শ্রুতি হাসান, সামান্থা আক্কিনেনি, রামইয়া কৃষ্ণানের মতো দক্ষিণের জনপ্রিয় নায়িকা ও মডেলরা। এরাছাড়াও গ্ল্যামারজগতের বাইরের নারীরাও মডেল হিসেবে আছেন। নতুন রূপে পুরনো ছবিগুলো থাকছে আজ।
নগ্নতা : (ফর অ্যাডাল্টস ওনলি)
শচীন ভৌমিকের লেখা ফর এডাল্টস ওনলি থেকে কিছু কিছু অংশ যা পড়ে বেশ তৃপ্তি (!!) পেয়েছি। যারা বইটি পড়েননি তাঁরা পড়ে দেখতে পারেন।----
ষাটের দশকে আমেরিকায় Mooning বলে একটা জিনিস চালু হয়েছিল।
হঠাৎ জনসমক্ষে প্যান্ট খুলে পাছা দেখানাে হচ্ছে এই Mooning বা "নিতম্ব প্রদর্শন"। নিতম্ব যেহেতু পূর্ণচন্দ্রের মতো গােলাকৃতি তাই এই পাগলামীর নাম দেওয়া হয়েছিল Mooning। Mooning-এর ঢেউ শেষ হতেই শুরু হয়েছিল স্ট্রিকিং (Streaking)-এর ঝড়।
স্ট্রিকিং-এর অর্থ বলা চলে ‘বিদ্যুৎগতি'। অবশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা যেমন কাঞ্চনবাবুর জঙ্ঘা নয়, তেমনি বলা বাহুল্য বিদ্যুৎগতিও বিদ্যুত্ববাবুর গতি নয়। স্ট্রিকিং হল সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দৌড় লাগানাে। বার্থ-ডে সুটে ভাগম-ভাগ। উদোম উদ্যম বলা যায় আর কি। শুরু হয়ে ছিলো ১৯৭২ সালে আমেরিকার (Yale University) ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে দুজন ছাত্র ন্যাংটো হয়ে দৌড় লাগিয়েছিল। দুজনেই পড়ল পুলিশের কবলে। ওদের কয়েক মাস কারাবাস হয়েছিল। এর কিছুদিন পর দুটি সুশ্রী মেয়ে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্রিকিং করল। তপ্ত ইতিহাসের নগ্ন পাতায়, না স্যরি, নগ্ন ইতিহাসের তপ্ত পাতায় এ দুজনের নাম উল্লেখ থাকবে। এরা মেয়ে স্বাধীনতার অগ্রদূতী বা বলা যায় নগ্নদূতী। এরপর সাউথ ক্যারােলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০৮ জন ছাত্র-ছাত্রী স্ট্রিকিং-এর রেকর্ড স্থাপন করলো। কিছুদিন পর কলােরাডাে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নগ্নতার রেকর্ড ভঙ্গ করল একসঙ্গে ১২০০ ছাত্র-ছাত্রী উদোম নৃত্য করে। শুরু হয়ে গেল প্রতিযােগিতা। কে কত বেশি এই নগ্নতার প্রদর্শনী করতে পারে বা কত উদ্ভট ন্যাংটো স্টান্ট দেখাতে পারে। শুরু হল তার নব নব আবিষ্কার। ওয়েস্ট জর্জিয়ার পাঁচজন পুরুষ ছাত্র প্লেন থেকে ন্যাংটো অবস্থায় প্যারাসুট নিয়ে ঝাপ দিল। কানাডায় একজন প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ( ফ্রিজিং পয়েন্টের বিশ ডিগ্রী নিচে) স্ট্রিকিং করে দুঃসাহসের পরিচয় দিলো। নিউজিল্যাণ্ড ও ইংলণ্ডের টেস্ট ম্যাচের সময় ত্রিশ হাজার দর্শকদের সামনে নিউজিল্যাণ্ডের একজন ছাত্র ন্যাংটো হয়ে দৌড় লাগালো মাঠে।
মনােবৈজ্ঞানিকরা এই অভূতপূর্ব পাগলামীর নানারকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তাঁরা বলেছেন-
এটা হল জীবনে অসফলতার করুণ প্রতিবাদ, frustration-এর এক নতুন বিজ্ঞাপন।
টা জনসমক্ষে আত্মপরিচয় প্রকাশ করার এক বৃথা চেষ্টা।
Shock দিয়ে জনমনকে আকর্ষণ করার জন্যই এই নগ্নতার ছড়াছড়ি।
Streaking করে সামাজিক কানুনকে ভাঙাতে রয়েছে অন্যায় করে গােপন এক আত্মপ্রত্যয় লাভ।
পাপ, অন্যান্য অপরাধ চিরকালই সামাজিক নাগপাশ বন্ধন থেকে মুক্তির উপায়। সুতরাং লােভনীয়। অস্কার ওয়াইল্ড এজন্যই লিখেছিলেন, আমি যা ভালবাসি তা হয় অসামাজিক, অনৈতিক বা বেআইনী।
নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করা এ যুগের কোন নব্য আবিষ্কার নয়।
৯০০ বৎসর আগে লর্ড অফ কভেনট্রির স্ত্রী লেডী গােডিভা নগ্ন হয়ে ঘােড়ার পিঠে চড়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ওয়াকউইকশায়ারের প্রজাদের উপর অত্যধিক শুল্ক ধার্যের প্রতিবাদ জানাতে এই Streaking করেছিলেন। স্বামীর বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে স্বামী বাধ্য হয়ে শুল্ক তুলে নিয়েছিলেন। Sex দেখিয়ে Tax তুলে নেওয়ার দৃষ্টান্ত বোধ হয় এই প্রথম।
ইংলণ্ডের লেডী গােডিভার আগে এই নগ্ন প্রতিবাদ গ্রীসেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সালামীস দ্বীপ যুদ্ধে অধিকৃত হওয়ার পর নাট্যকার সফোক্লেস এথেন্সের রাজপথে এক নগ্ন শােভাযাত্রার অধিনায়কত্ব করেছিলেন। শােভাযাত্রার শােভা নিশ্চয়ই নগ্নতায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছিল।
বিংশ শতাব্দীর গােড়াতে জার্মানীতে এই নগ্নতার নব্য সংস্কৃতির জন্ম হয়। জার্মান ভাষায় Nacktbultur মানে Naked culture অর্থাৎ Nudist শুরু হয় কয়েকজন নগ্নতাবাদীর নেত্রিত্বে। তাঁরা নগ্নতার সপক্ষে বহু সামাজিক বৈজ্ঞানিক যুক্তি উত্থাপন করে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে নগ্নতা খুবই স্বাস্থ্যকর আন্দোলন। এই আন্দোলন ক্রমে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে জার্মান, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, যুগােশ্লাভিয়া, স্পেন, চেকোস্লোভাকিয়া ও অন্যান্য দেশে Nudist কলােনী গড়ে ওঠে। প্রচুর জায়গা নিয়ে এই নগ্নতাবাদীরা ক্লাব, বাসস্থান, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ বানিয়ে রীতিমত আধুনিক শহর বানিয়ে নিয়েছে। Streaking আসলে Nudist আন্দোলনেরই একটা নতুন শাখা।
কিন্তু না, আমেরিকা বা জার্মান না। লেডী গোডিভা বা সফোক্লেস এই নগ্ন আন্দোলনের পুরােধা নয়। এই আন্দোলনের জন্মস্থান হল প্রাচীন ভারতবর্ষ। এই নগ্নতার উগ্রতা পশ্চিমের দান নয়। এটা ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাসে অনেক আগেই ছিল। আজ থেকে চার হাজার বৎসর আগে মহারাজা জনক তৎকালীন বিখ্যাত ঋষি, মুনি ও মহাজ্ঞানীদের এক সম্মেলন আহ্বান করেছিলেন। সে জ্ঞানভারতীর সভায় মহাজ্ঞানেশ্বরী গার্গী এসেছিলেন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে। বিদ্যার, জ্ঞানের এত বড় বিদগ্ধ নারী নগ্ন হয়ে আসায় অন্যান্য মুনি ঋষির অবাক ।
কয়েকজন গার্গীর এই নির্লজ্জতার সমালােচনা করায় গার্গী জবাব দিয়েছিলেন- [si]আপনারা সত্যিকারের বেদান্তের অর্থ বােঝেন না। সত্যিকারের বৈদান্তিক কখনও নগ্নদেহে শুধু দেহের নগ্নতা দেখতেন না, দেখতে পেতেন দেহাতীত সে মহাসত্যকে, সে মহাজ্ঞানকে, সে মহাবিদ্যাকে—যে শক্তির অন্য নাম হল ঈশ্বর। দেহ তত অনিত্য অসত্য, যা সত্য তা অমর, তা দেহাতীত।[/si]
এছাড়া শ্রীকৃষ্ণ গােপীদের বস্ত্র হরণ করে বৃন্দাবনে নুডিষ্ট কলােনী স্থাপন করেছিলেন।
জার্মানদের এই নগ্নতাবাদের দর্শনের অনেক আগে মহাজ্ঞানী মহাবীর জৈনধর্মের দিগম্বর সাধু সম্প্রদায় দিগম্বরপ সৃষ্টি হয়েছিলো।
খজুরাহাে
কোণারক
কোপেনহেগেনে যৌন স্বাধীনতার জোয়ারে নারী পুরুষের নানাবিধ যৌন সঙ্গমের ছবির বই বাজারে বেরিয়েছে। কত বিভিন্ন আসন, কত বিচিত্র বিকারগ্রস্ত ভঙ্গী! কিন্তু আমাদের খজুরাহাে আর কোণারকের মিথুনভঙ্গী ও প্রক্রিয়ার বিভিন্নতার কাছে এসব তাে পান্তাভাত। ইউরােপ আমেরিকায় টপলেস রেস্তোরাঁর অনেক আগে অজন্তা ইলােরার টপলেস মেয়েরা নগ্ন বক্ষ কক্ষ দেখিয়েছেন। কোণারকে যা বহুকাল আগে জনসমক্ষে প্রকট ছিল, সেটা মাত্র কাল কোপেনহেগেনে প্রচারিত হচ্ছে! সামাজিক দুঃসাহসিক বিবর্তন যা পশ্চিমে নতুন, তা ভারতবর্ষের অনেক পুরােনাে কালের ইতিহাস। ফ্রয়েড য়ুঙ্গ মাস্টার ও জনসনের অনেক আগেই বাৎস্যায়ণ কামশাস্ত্র লিখে ছিলেন। বিদেশীদের কাছ থেকে আমাদেরই শেখানাে জিনিস নতুন করে বার করছি আমরা।
ইদানীং ভারতবর্ষের প্রায় ৫০% ভাগ নরনারী এক না এক ধরনের streaking করছে। সেটা দারিদ্র্যের জন্য, বস্ত্র বা চরিত্র কোনটাই নেই গরীবদের। অন্ন না পেলে বস্ত্রও জোটে না, চরিত্রও থাকে না। বাধ্যতামূলক নগ্নতা বাদ দিলে থাকে শখের নগ্নতা। সেটা অবশ্য চোখের পক্ষে খুবই উপাদেয়। তাছাড়া নুডিজমের গুণ অনেক।
বয়ঃসন্ধির ছেলেদের পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে দুর্ভাবনায় মুখ ব্রনে ভরে যায়, মেয়েদের দুর্ভাবনা হল স্তনের উচ্চতা নিয়ে। দেহমুখী সাহিত্য ও দেহধর্মী বিজ্ঞাপন দেখে এই অর্থহীন মনােবিকার । নগ্নতার স্বাধীনতা থাকলে ওই সব বিকার লােপ পাবে। দর্শনকাম বা প্রদর্শনকাতরতারও উপশম হবে। আজেবাজে যৌন কাগজ কেউ পড়তে চাইবে না। ছবির বই কিনবে না লুকিয়ে লুকিয়ে।
শ্রেণীযুদ্ধের এক বিরাট অস্ত্র হল বস্ত্র । পােশাক দিয়েই চেনা যায় কে ধনী কন্যা আর কে গরীবের মেয়ে, কে মন্ত্রী আর কে সামান্য যন্ত্রী, কে অভিনেত্রী ও কে দেশনেত্রী, কে রাজা আর কে প্রজা, কে পুলিশ আর কে নকসাল, কে শিক্ষক আর কে কৃষক, কে ছাত্রী আর কে ধাত্রী, কে মহারানী আর কে ডাক্তারনী, কে মহীয়সী আর কে পাপীয়সী, কে নায়ক আর কে গায়ক, কে গৃহবধূ আর কে বারবধূ। সকলের পােশাক খুলে নিন, দেখবেন শুধু দুটোই শ্রেণী— নারী ও পুরুষ। সাম্যবাদের প্রথম সিড়ি চড়তে হলে বস্ত্র ত্যাগ হল প্রধান উপায় । ধনীদের কাপড় ধরে টান দিন আগে। এতে মেয়েদের শাড়ি কাপড়ের চাহিদার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। স্বামীরা, বাবারা বেঁচে যাবেন। বিয়ের কনেকে চেলি পরতে হবে না, মন্ত্র পড়লেই চলবে, বাসরঘরে কনেকে দেখতে ঘােমটা তুলতে হবে না, চোখ তুললেই হবে। কাপড় কেনার খরচই শুধু বাঁচবে না, কাপড় ধােওয়ার যাবতীয় খরচও বাঁচবে, সেলাইয়ের খরচও বাঁচবে ।
আজকে যদি সকলে কাপড় খুলে এক হতে পারে, কালকে তাহলে হৃদয় খুলে এক হতে পারবে।
শচীন ভৌমিকের লেখা "ফর অ্যাডাল্টস ওনলি" বইয়ের "স্ট্রিকিং" নামক অংশ থেকে।
ছবি : গুগলের সাহায্যে বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত।
সুইজারল্যান্ডে আইনি বৈধতা পেয়েছে ‘সারকো’
অনুমোদিত চিকিৎসাকর্মীর সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশেই বৈধ। সেসব দেশের মধ্যে সামনের সারিতেই রয়েছে সুইজারল্যান্ড। গত বছরও দেশটিতে অন্তত ১,৩০০ মানুষ 'সহায়তাকৃত আত্মহত্যা'-র পথ বেছে নিয়েছে।
মাত্র এক মিনিটেই ব্যবহারকারীকে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দেবে সারকো। ছবি: এগজিট ইন্টারন্যাশনাল
মৃত্যু তো সবসময়ই যন্ত্রণার। তা সে মৃত্যু আকস্মিকভাবে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়েই আসুক, কিংবা দীর্ঘদিন রোগে ভুগে শয্যাশায়ী অবস্থায়। এমনকি স্বেচ্ছা মৃত্যুও কখনোই পুরোপুরি কষ্টহীন নয়।
তারপরও যারা স্বেচ্ছায় তুলনামূলক ব্যথা-বেদনাহীন, অনায়াস মৃত্যু কামনা করে, তাদের জন্য এসেছে 'সারকো' নামের এক বিশেষ যন্ত্র। মাত্র এক মিনিটেই ব্যবহারকারীকে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া এই যন্ত্র সুইজারল্যান্ডে আইনি স্বীকৃতিও পেয়ে গেছে!
অনেকেই হয়তো শুনে অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন, স্বেচ্ছা মৃত্যু বা আত্মহত্যাই যেখানে বেআইনি, সেখানে সেই কাজে সাহায্যকারী কোনো যন্ত্র কীভাবে আইনি স্বীকৃতি পায়!
তবে বাস্তবতা হলো, অনুমোদিত চিকিৎসাকর্মীর সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশেই বৈধ। সেসব দেশের মধ্যে সামনের সারিতেই রয়েছে সুইজারল্যান্ড। গত বছরও দেশটিতে অন্তত ১,৩০০ মানুষ 'সহায়তাকৃত আত্মহত্যা'-র পথ বেছে নিয়েছে। আর এবার 'সারকো' আইনি বৈধতা পাওয়ায় নতুন মরণেচ্ছুদের জন্য কাজটা আরো অনেকটাই সহজ হয়ে গেল বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
এবার চলুন জানা যাক, 'সারকো' আসলে কী ও কেমন।
যন্ত্রটি মূলত কফিন আকৃতির। এতে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এর ভেতরে শায়িত ব্যক্তির মৃত্যু ঘনিয়ে আসতে সময় লাগে এক মিনিটেরও কম।
আগামী বছরের মধ্যে 'সারকো' ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে সুইজারল্যান্ডে। ছবি: এগজিট ইন্টারন্যাশনাল
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগজিট ইন্টারন্যাশনাল 'সারকো'-র প্রস্তুতকারক। সংস্থাটির পরিচালক ফিলিপ নিৎসে পরিচিত 'ডক্টর ডেথ' নামে। এই যন্ত্রের উদ্ভাবনের নেপথ্যের ব্যক্তিও তিনিই।
কীভাবে কাজ করবে যন্ত্রটি, সে সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি। তাদের দাবি, শুধু বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণই নয়, ভেতর থেকেও চালু করা যাবে 'সারকো'-কে। অর্থাৎ স্বেচ্ছায় নিজের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করতে আগ্রহী ব্যক্তি যন্ত্রের ভেতর ঢুকে নিজে নিজেই যন্ত্রটিকে চালাতে পারবেন।
এখানেই দেখা দিতে পারে একটি বড় ধরনের সমস্যা। কারণ অতীতেও বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, মরণেচ্ছু ব্যক্তিরা এমন পরিস্থিতিতে অচেতন হয়ে পড়ে। ফলে পেশিশক্তি ব্যবহার করে কোনো কাজ করার মতো সক্ষমতা অধিকাংশ সময়ই তাদের আর থাকে না।
অবশ্য এগজিট ইন্টারন্যাশনালের দাবি, তারা তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রে এই সমস্যারও কার্যকরী সমাধান বের করেছেন। তারা বলছে, ওই বিশেষ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেবল চোখের পাতার নড়াচড়া থেকে আঁচ করেই নাকি যন্ত্রটি সঙ্কেত গ্রহণ করতে পারবে।
'ডক্টর ডেথ' ফিলিপ নিৎসে জানিয়েছেন, "আগামী বছরের মধ্যে সারকো ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে সুইৎজারল্যান্ডে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে বহু অর্থব্যয় হয়েছে। কিন্তু আমাদের আশা, আমরা প্রয়োগের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি।"
তবে সূত্রের খবর, ইতোমধ্যেই দুটি 'সারকো' তৈরি হয়ে রয়েছে। ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরো একটি যন্ত্রের থ্রি-ডি প্রিন্টিং শুরু করেছে এগজিট ইন্টারন্যাশনাল। আগামী বছর থেকেই সুইজারল্যান্ডে এই পরিষেবা চালুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে তারা।
তবে 'সারকো' যতই স্বেচ্ছামৃত্যুতে আগ্রহীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিক না কেন, এর বিরুদ্ধে অবস্থানকারী সমালোচকরাও কিন্তু কম সরব নয়। তাদের মতে, এই যন্ত্রটি আসলে গ্যাস চেম্বারকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনটিও অনেকেই বলছে, এই যন্ত্রের মাধ্যমে আত্মহত্যাকে সব ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়ারই চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
#সংগৃহীত
মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন?
"মোবাইল" অর্থ "ভ্রাম্যমাণ" বা "স্থানান্তরযোগ্য" আর "ফোন" শব্দের অর্থ "দূরালাপনি যন্ত্র"।
তাহলে আমরা দেখছি, মোবাইল ফোন শব্দের অর্থ দাঁড়াচ্ছে "ভ্রাম্যমাণ দূরালাপনি যন্ত্র"।
★আর যেহেতু আমরা বাঙালী এবং আরামপ্রিয় জাতি, শটকার্ট খুব পছন্দ করি, তাই মোবাইল ফোনটাকে একটু শটকার্ট করে "মোবাইল" বানিয়ে নিলাম। অবশ্য কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয় !!
চলুন এবার একটু পিছনে ফিরে যাই, এই মোবাইল ফোন নামক যন্ত্রটা আবার কে আবিষ্কার করল ? যার জন্য আপনার আমার প্রতিনিয়ত রাতের আরামের ঘুম কাযা হচ্ছে?
★মোবাইল আবিষ্কারঃ- মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কারক হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তারা ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ২ কেজি ওজনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।মোবাইল ফোন প্রথম বানিজ্যিক ভাবে বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে। ফোনটি ছিল মটোরোলা কোম্পানির।
সুত্রঃ ইন্টারনেট, ছবিঃ গুগল।
#সংগৃহীত