Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all 15150 articles
Browse latest View live

SSD মানে কী?

$
0
0

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-77027af411745b47e998d2a39d6c2310-lq


এসএসডি (SSD) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Solid state drive

। SSD হলো কম্পিউটারে ব্যাবহৃত নতুন প্রজন্মের স্টোরেজ ডিভাইস । SSD একই রকম ভাবে হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের মতো কম্পিউটারে ডাটা গুলিকে স্টোর করে রাখে।

কিছু বছর আগে কম্পিউটারগুলোতে হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হত এবং বর্তমানেও ব্যাবহৃত হয় । এই পুরানো প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে কম্পিউটার খুব ধীর গতিতে কাজ করে ।

কিন্তু সেই সময়েও SSD প্রযুক্তি চালু হয়েছিল , তবে তা ব্যায়বহুল ছিল। বর্তমানে SSD র দাম আগের তুলনায় অনেক সস্তা হয়েছে । তাই বেশিরভাগ কম্পিউটারে এখন পুরানো প্রযুক্তির হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের পরিবর্তে নতুন প্রযুক্তির ফ্ল্যাশ ভিত্তিক স্টোরেজ SSD ব্যবহার করা হচ্ছে । এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের গতি আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

কয়েক দশক ধরে ডেটা মূলত যান্ত্রিক হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষণ করা হত । এই হার্ড ডিস্ক ড্রাইভগুলির (HDD) ভিতরে একটি চলমান ডিস্ক থাকে যার নাম হল Platter , যেখানে ডেটা স্টোর হয় । এই Platter এর স্পিড যত হবে read এবং right এর স্পিড তত হবে । ঠিক এই জন্যই HDD তে লেখা থাকে 5201 RPM ( Round per minuit ) , 7200 RPM ইত্যাদি । বিভিন্ন হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের স্পিড বিভিন্ন রকমের হয় ।

অন্যদিকে SSD সুম্পূর্ণ আলাদাভাবে কাজ করে। SSD তে একটি সাধারণ মেমোরি চিপ থাকে যার নাম ন্যানো ফ্ল্যাশ মেমোরি । যেখানে HDD র মত কোনো মুভিং পার্ট নেই ।

SSD প্রযুক্তি 1950 সালে শুরু হয়েছিল এবং 1970 ও 1980 এর দশকে উচ্ছ ক্ষমতা সম্পন্ন সুপার কম্পিউটারে ব্যবহার হত । এছাড়া যেখানে হাই পারফরমেন্স প্রযুক্তির কাজ করা হত সেখানে SSD ব্যবহার করা হত ।

যাই হোক , এই প্রযুক্তি অত্যন্ত ব্যায়বহুল ছিল। দামের তুলনায় স্টোরেজ ছিল অনেক কম। সামরিক ও মহাকাশ ক্ষেত্রগুলিতে মাঝে মাঝে SSD ব্যবহার করা হত , তবে 1990 এর দশক পর্যন্ত কোনো সাধারণ ডিভাইসে ব্যবহৃত হত না।

90 এর দশকের গোড়ার দিকে হার্ডওয়্যার উদ্ভাবনের ফলে SSD র দাম কমতে শুরু করে। তবে ওই সময়ে SSD র আয়ু ও সাইজ নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু 2000 সালের পর থেকে SSD আরো উন্নত হল এবং মানুষের কাছে ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকল।

যেহেতু SSD এখন আগের থেকে সস্তা হয়ে গেছে তাই সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে অফিস-আদালত ব্যবসার ক্ষেত্রে ও কম্পিউটারে SSD ব্যবহার করা হচ্ছে ।

বিপুল পরিমাণে ডেটা ও প্রোগ্রামিং নিয়ে যারা কাজ করেন সেখানে SSD ব্যবহারের ফলে কম্পিউটার খুব দ্রুত কাজ করে এবং ফাইল ট্রান্সফারের স্পিড ও বেশি হয়।

SSD ব্যবহারের সুবিধা হলো হার্ড ডিস্কের তুলনায় এর আয়ু অনেক বেশি। এছাড়া SSD আকারে অনেক ছোট হয় ।

গেমিং কম্পিউটার গুলিতে SSD ব্যবহারের ফলে কম্পিউটার দ্রুত গতিতে কাজ করে এবং বড় বড় গেমিংয়ের ফাইলগুলো তাড়াতাড়ি লোড হয়ে যায় ।

SSD খুব কম পাওয়ারে চলতে পারে। তাই যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে SSD থাকে সেখানে খুব কম পাওয়ার লাগে, এর জন্য ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু বাড়ে ও ব্যাটারির ব্যাকআপ ভালো পাওয়া যায় ।

SSD ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের রিড এবং রাইট এর স্পিড ও বেশি হয় ।

SSD ব্যবহারের ফলে কম্পিউটার বুটিং হতে কম সময় নেয়, এবং অ্যাপ্লিকেশন গুলি খুব ফার্স্ট ওপেন হয় ।

SSD কত প্রকার হয় ও কি কি ?

যখন আমরা কোন দোকানে SSD কিনতে যাই তখন আমাদের SATA SSD, mSATA SSD, M.2 SSD এরকম কিছু নামের সম্মুখীন হতে হয় । এইগুলির মানে কি? সেই জন্য SSD কেনার আগে এইগুলো একটু জেনে নেওয়া দরকার ।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-cbe162f41e553f5add692a841038258c-lq

1 SATA SSD

SATA SSD গুলি দেখতে অনেকটা ল্যাপটপের হার্ড ডিক্সের মতোই। এই ধরনের SSD SATA কানেক্টরে কম্পিউটারের মধ্যে যুক্ত করা থাকে। এই ধরনের SSD গুলি সাধারণত নিম্নমানের হয় , তাই এই ধরনের SSD গুলির দাম তুলনামূলক ভাবে কম। সেইজন্য এই ধরণের SSD গুলি বাজারে বেশি পাওয়া যায় ।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-bc32f6c3503e09cf337e5ec60c88c5f2-lq

2 mSATA SSD

এই ধরনের SSD গুলো SATA SSD র তুলনায় আকারে অনেক ছোট হয় । তাই একে micro-ssd ও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত এই ধরনের SSD সব কম্পিউটারে লাগানো যায় না। তাই এই ধরনের SSD ব্যবহার করতে হলে কম্পিউটারে অবশ্যই m SATA পোর্ট থাকতে হবে।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-f09d823f0f77d9cdd31cb5d80259c65d-lq

3 M.2 SSD

m.2 SSD গুলি mSATA SSD র একটি আপডেটেড ভার্সান । এ ধরনের SSDগুলি অধিক ফাস্ট কাজ করে। m.2 SSD গুলি সাধারণ SSD র তুলনায় বেশি দ্রুত কাজ করে তাই এর দামও অনেকটা বেশি।


https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-149387dbacc3d4a7cb8dd823d25b0ea9-lq

4 SSHD

এই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইসকে পুরোপুরি SSD বলা যায় না । কারণ, এই ধরনের ডিভাইসে SSD ও HDD প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে । তাই এই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইসকে বলা হয় (Solid state hybrid drive) SSHD । SSD ও HDD এই দুটি প্রযুক্তির সংমিশ্রণে যেহেতু এটি তৈরি করা হয়েছে সেহেতু এখানে SSD র মত দ্রুত কাজ এবং HDD র মত অধিক ক্যাপাসিটি স্টোরেজ পাওয়া যায় ।


#সংগৃহীত


মোবাইল ফোন কি ক্যান্সার সৃষ্টি করে?

$
0
0

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-98c97cd2013ee808d12c00c7b255d761-lq

অনেকের ধারণা মোবাইল ফোন এর রেডিয়েশন ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এর উত্তর হচ্ছে- "না"। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেখায় যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে না।

মোবাইল ফোন কীভাবে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে তার কোনো ভালো ব্যাখ্যাও নেই। মোবাইল ফোন বা ফোন মাস্ট যে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন প্রেরণ করে এবং গ্রহণ করে তা অ-আয়নাইজিং এবং খুবই দুর্বল। এই নন-আয়নাইজিং বিকিরণে ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো পর্যাপ্ত শক্তি নেই এবং সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে না।

কিন্তু কোনো সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নেই তা নিশ্চিত করার জন্য গবেষণা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এবং আমরা কোন নতুন প্রমাণ পেলে ভবিষ্যতে অবশ্যই জানতে পারবো।

#সংগৃহীত

মিল-অমিল

ফোল্ডার লুকানোর উপায় কী?

$
0
0

Windows অপারেটিং সিস্টেম:

যে ফোল্ডারটি লুকাতে চাচ্ছেন তার উপর Right Click করুন। এরপর Properties Option এ click করুন।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-e85729623f6b4746cf4329154f7df82d-pjlq

এর ফলে নিচের মত একটি window pop up হবে। সেখানে Hidden অপশনটিতে click করে Ok বাটন চাপ দিলেই আপনার ফোল্ডারটি লুকিয়ে যাবে।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-478d0b7808487ac313aeb26f7a6a0e6c-pjlq

Linux অপারেটিং সিস্টেম:

এখানে ফোল্ডার বা ফাইল লুকানো আরও সহজ। আপনাকে শুধু যে ফোল্ডারটি লুকাতে চাচ্ছেন তাকে Rename করতে হবে। ফোল্ডারের নামের উপর click করলে নাম পরিবর্তনের সুযোগটি চালু হবে। তখন শুধু নামের আগে একটি period (.) বসিয়ে Enter চাপ দিলেই ফোল্ডারটি hide হয়ে যাবে। যেমন- আপনার ফোল্ডারের নাম যদি হয় secret তবে এটিকে লুকাতে চাইলে এর নাম পরিবর্তন করে রাখুন .secret

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-fde7c7c83df6e8a46149a62666cad05c-pjlq

Mac অপারেটিং সিস্টেম:

ম্যাক ওএস এ ফোল্ডার লুকানো তুলনামূলক ভাবে একটু কঠিন। আপনাকে ফোল্ডারের attribute পরিবর্তন করতে হবে Terminal থেকে।

Terminal open করে তাতে টাইপ করুন - chflags hidden

এর পর একটি space দিয়ে যে ফাইলটি লুকাতে চাচ্ছেন তার লোকেশন। যেমন- আমার ডেস্কটপে যদি secret নামে একটি ফোল্ডার লুকাতে চাই তবে আমি টার্মিনালে এটি টাইপ করব:

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-c2ed9a7cc1478739657e7eb0d09e1c7b-pjlq

Android অপারেটিং সিস্টেম:

এখানে ফোল্ডার লুকানোর পদ্ধতি লিনাক্সের মতই। ফোল্ডারের নামের আগে একটি ডট বা পিরিয়ড (.) বসিয়ে দিলেই হবে। এভাবে অন্য কোনো apps যেমন- gallery, music player আপনার ঐ ফোল্ডারটি access করবে না। তবে ফাইল ম্যানেজার এ ঠিকই ঐ ফোল্ডারটি দেখা যাবে।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-b7fd1dc52c9fbc78c4ac0016ec0aa0dd-lq

পাদটিকা:

তথ্য ও চিত্র সহায়তা নেওয়া হয়েছে -
How to Hide Files and Folders on Every Operating System
How to hide files and folders on Android without installing paranoid apps

#সংগৃহীত

'লগ ইন' এবং 'সাইন ইন'-এর মধ্যে পার্থক্য কী?

$
0
0

'লগ ইন' এবং 'সাইন ইন'-এর মধ্যে পার্থক্য নেই।

তথ্য প্রযুক্তি দুনিয়ায় যে কোন অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইটের সুরক্ষার বহু দিক আছে।

তার মধ্যে খুব সহজে বলতে গেলে ব্যবহারকারীর নিজস্ব তথ্য ব্যবহারের এবং তদানুসারে কাজ করার জন্যে দুটি প্রাথমিক অধিকার দেখা হয় - Authentication এবং Authorisation.

Log In, Sign In, Sign up, Registration এগুলি authentication এর অঙ্গ। অর্থাৎ আপনি কে, আপনাকে কিভাবে চিনব এইটা বিচার করা হয় এই পর্যায়ে।

    যখন প্রথমবার কোন ব্যক্তি একটি অ্যাপ্লিকেশনএ বা সাইটে নিজেকে ব্যবহারকারী হিসেবে নথিভুক্ত করেন তখন সেটাকে user registration বা SIGN UP বলে, IN নয়, UP.
    প্রথমবার ব্যবহারকারীর নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে পরের বার থেকে সেই সাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করতে যখন নিজের আইডি/পাসওয়ার্ড (আমরা বলি credentials) দিয়ে প্রবেশ করবেন সেটাকে বলব Login বা Sign In.
    Log In এবং Sign In এর মধ্যে ব্যবহারকারীদের নিরিখে কোন পার্থক্য নেই।

উদাহরণস্বরূপ নিচে Twitter এর ছবি দিয়ে দিলাম এবং অনলাই বিপণিক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি মার্কিন ও একটি ভারতীয় সাইটের ছবি দিলাম- দেখুন log in এবং sign in সমার্থকরূপে ব্যবহৃত হয়েছে।

নতুন ব্যবহারকারীদের Sign Up করতে বলা হয়েছে, Sign In নয়।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-fadeedf0178c3ffb71adb3969040ee52-lq

#সংগৃহীত

রবি বর্মার কয়েকটি চিত্রকর্ম

$
0
0

রাজা রবি বর্মা বিখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী ছিলেন। ১৮৪৮ সালের ২৯শে এপ্রিল রাজা রবি বর্মা ভারতের কেরালা রাজ্যের ‘কিলিমানুর’ রাজপ্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী হিসেবে গণ্য করা হয়।   

https://i.imgur.com/GD8rH2oh.jpg

মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই তার ছবি আঁকার নেশা তাকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলে। তাদের বাড়ির দেয়াল ভরে ওঠতো তার আঁকা পশুপাখির ছবিতে, হাটবাজারে, পথেঘাটে বহমান নিত্যদিনের জীবনযাত্রার দৃশ্যে। ১৪ বছর বয়সে রাজা রবি বর্মা জলরঙ্গে ছবি আঁকতে শেখেন এবং পরে তিনি তেলরঙ্গে ছবি আঁকায় পারদর্শী হয়ে উঠেন।

ভারতীয় ঐতিহ্য ধরে রেখে ইউরোপীয় ধাঁচে ছবি এঁকে ভারতীয় চিত্রশিল্প জগতে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছিলেন রবি বর্মা।

তিনি তার চিত্রকলার বিষয়ের সন্ধানে ভারতজুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি প্রায়ই হিন্দু দেবী বা ভারতীয় মহিলাদের তাঁর ক্যানভাসে তুলে এনেছেন। তিনি ভারতীয় পৌরাণিক মহাকাব্যের চরিত্রগুলিকে তার কল্পনার নতুন জীবন দেন। বিশেষত মহাভারতের দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার কাহিনী এবং দময়ন্তী গল্পের চরিত্র গুলির সৃষ্টিকর্মগুলি তাকে বিখ্যাত করে তোলে।

১৮৭৩ সালে মাদ্রাস চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে প্রথম পুরষ্কার লাভ করেন রাজা রবি বর্মা।
একই বছরে ভিয়েনা প্রদর্শনীতেও প্রথম পুরষ্কার পেয়ে তার খ্যাতি পৌছে যায় বিদেশে।
শিকাগো কলাম্বিয়ান প্রদর্শনীতে তিনটি স্বর্ণপদক পান তিনি।
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন, রাজা রবি বর্মাকে ‘কায়সার-ই-হিন্দ’ স্বর্ণপদকে ভূষিত করেন।

সাধারন মানুষের কাছে নিজের আঁকা ছবি পৌঁছে দিতে তাই ১৮৯৪ সালে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে নিজের ছবিগুলোর প্রতিলিপি তৈরি করে সারা ভারতে সেগুলি ছড়িয়ে দেন। বাংলাসহ পুরো ভারতে জনপ্রিয় হয় তাঁর ছবিগুলো।

৫৮ বছর বয়সে রাজা রবি বর্মা ত্রাভানকোরের কিলিমানুর গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। কেরালা সরকার তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে ‘রাজা রবি বর্মা পুরষ্কারম’ প্রবর্তন করেছে।

রাজা রবি বর্মা ভারতীয় নারীর অনন্য রূপ ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার তুলিতে। রাজা রবি বর্মার আঁকা কিছু পোর্ট্রেট রইলো আজকে।

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, অন্তর্জাল
ছবি সূত্র : গুগলের সাহায্যে বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত।

শখের প্রাপ্তি - সেপ্টেম্বর ২০২১

$
0
0

২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে হঠাত করে নজরে আসে ফেইস বুকে ফটোগ্রাফির কিছু গ্রুপ আছে। অনেকেই সেখানে নিজর তোলা ছবি শেয়ার করে। প্রতিদিনের শেয়ার হওয়া ছবিগুলি থেকে ভালো কিছু ছবিকে দিনের সেরা ছবি হিসেবে এ্যাডমিনরা নির্বাচন করে। আমিও তখন থেকে সেই সব গ্রুপে ছবি দিতে শুরু করি এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার তোলা বেশ কিছু ছবি বিভিন্ন গ্রুপে বেস্ট ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে-হচ্ছে।
সেই সব ছবি গুলি আছে -

শখের প্রাপ্তি - ২০১৮ মোট ১৪৩ বার
শখের প্রাপ্তি - জানুয়ারি ২০১৯ মোট ১০০ বার
শখের প্রাপ্তি - ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মোট ১১৭ বার
শখের প্রাপ্তি - মার্চ ২০১৯ মোট ১৭৯ বার
শখের প্রাপ্তি - এপ্রিল ২০১৯ মোট ৩৫২ বার
শখের প্রাপ্তি - মে ২০১৯ মোট ৩৩০ বার
শখের প্রাপ্তি - জুন ২০১৯ মোট ৩৭৬ বার
শখের প্রাপ্তি - জুলাই ২০১৯ মোট ২৩২ বার
শখের প্রাপ্তি - আগষ্ট ২০১৯ মোট ২৫১ বার
শখের প্রাপ্তি - সেপ্টেম্বর ২০১৯ মোট ৪৬৬ বার
শখের প্রাপ্তি - অক্টোবর ২০১৯ মোট ৫৩৯ বার
শখের প্রাপ্তি - নভেম্বর ২০১৯ মোট ৪৮১ বার
শখের প্রাপ্তি - ডিসেম্বর ২০১৯ মোট ৩৯৯ বার
শখের প্রাপ্তি - জানুয়ারি ২০২০ মোট ৩৬৯ বার
শখের প্রাপ্তি - ফেব্রুয়ারি ২০২০ মোট ৪৪০ বার
শখের প্রাপ্তি - মার্চ ২০২০ মোট ৫৪৮ বার
শখের প্রাপ্তি - এপ্রিল ২০২০ মোট ৫৬২ বার
শখের প্রাপ্তি - মে ২০২০ মোট ৫১৬ বার
শখের প্রাপ্তি - জুন ২০২০ মোট ৬৮৫ বার
শখের প্রাপ্তি - জুলাই ২০২০ মোট ৭৭৪ বার
শখের প্রাপ্তি - আগষ্ট ২০২০ মোট ৫৫৪ বার
শখের প্রাপ্তি - সেপ্টেম্বর ২০২০ মোট ৫২৭ বার
শখের প্রাপ্তি - অক্টোবর ২০২০ মোট ৪৬৫ বার
শখের প্রাপ্তি - নভেম্বর ২০২০ মোট ৫০৪ বার
শখের প্রাপ্তি -ডিসেম্বর ২০২০ মোট ৬২৫ বার
শখের প্রাপ্তি -জানুয়ারি ২০২১ মোট ৫১৫ বার
শখের প্রাপ্তি -ফেব্রুয়ারি ২০২১ মোট ৩৫৮ বার
শখের প্রাপ্তি -মার্চ ২০২১ মোট ৩৯৮ বার
শখের প্রাপ্তি - এপ্রিল ২০২১ মোট ৪৬১ বার
শখের প্রাপ্তি - মে ২০২১ মোট ৪৫১ বার
শখের প্রাপ্তি - জুন ২০২১ মোট ৫৮৭ বার
শখের প্রাপ্তি - জুলাই ২০২১ মোট ৪৩৩ বার
শখের প্রাপ্তি - আগষ্ট ২০২১ মোট ৫৪২ বার

আমার তোলা ছবি ২০২১ ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে বেস্ট ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয় ৪৫০ বার। সেই ছবি গুলি রইলো এখানে।

মানুষের অপছন্দনীয় দোষ!

$
0
0

কোনও মানুষের কোন কোন দোষ থাকলে অন্যেরা তাঁকে অপছন্দ করেন?

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-f47e7b24b95e520a6f0c9a053310672c

১। কথা দিয়ে, কথা না রাখার অভ্যাস,

২। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে অতিরিক্ত কৌতূহল প্রকাশের অভ্যাস,

৩। অন্যের বক্তব্য শোনার মতো ধৈর্য না রাখার অভ্যাস,

৪। কোনো কিছুর ব্যাপারে, না জেনে, না বুঝে, মন্তব্য করার অভ্যাস,

৫। কারো প্রশংসা করতে গিয়ে, অন্যের নিন্দায় মুখর হয়ে উঠার অভ্যাস,

৬। নিজের ঢাক, নিজে পেটানোর অভ্যাস,

৭। কুতর্ক করার অভ্যাস,

৮। নিজের দু:খ, কষ্ট কে অতিরঞ্জিত করে বর্ণনা করে অন্যের সহানুভূতি আদায় করার অভ্যাস,

৯। কুশব্দ, কুকথা বলার অভ্যাস,

১০। পাঁচ জন বসে একসাথে করতে থাকা কথা বার্তার মাঝখানে, হঠাৎ করেই, একজন, আরেকজনের কানে, কানে, ফিসফিস করার অভ্যাস,

১১। অন্যের চুড়ান্ত ব্যস্ততা বুঝে ও, তাঁকে বিরক্ত করার অভ্যাস,

১২। ফোন করে, অপর দিক থেকে চিনতে না পারলে, পরিচয় প্রকাশ না করে, চেনানোর পরীক্ষায় ফেলে দেয়ার অভ্যাস,

"বলেন তো কে ? চিনতে পারছেন না, একদম ভুলে গেছেন ? গলার স্বর ভুলে গেছেন ? ট্রাই করেন, ট্রাই করেন, তাইলে একটা ক্লু দিমু ? বছর দু'য়েক আগে একবার ট্রেনে আপনার সাথে কথা হয়েছিল, ফোন নম্বর একচেঞ্জ হয়েছিল, ইত্যাদি, ইত্যাদি…"।

কেবিসি তে বসে জিতে আসা গেলে ও, এ জাতীয় চেনা-চেনির পরীক্ষায়, নির্ঘাত ফেইল।

১৩। ভুল করে, ভুল স্বীকার না করে, যুক্তিহীন ভাবে, ভুল কে সঠিক বলে প্রতিপন্ন করার অভ্যাস,

১৪। কাউকে নিমন্ত্রণ করে, রান্না করে খাইয়ে,

"কী, রান্না কেমন হয়েছে ? ভালো হয় নাই ? ঝাল বেশী হয়েছে ?" জিজ্ঞেস করার অভ্যাস।

রান্না ভালো হলে, যিনি খেয়েছেন, তিনি নিজে থেকেই সাধুবাদ জানাবেন। গান ভালো গাইতে পারলে, হাততালি বা বিগ হ্যান্ডস এর জন্য মাইকে চেঁচাতে হয় না।

১৫। কারো বাড়ীতে খেতে বসে,

"এটা খাইনা, ওটা বারন, ওটা সরিয়ে নিন, এটা উঠিয়ে রাখুন", বলার অভ্যাস"

যিনি রান্না করেছেন, তিনি কত কষ্ট করে, উৎসাহ নিয়ে রান্না করেছেন। এরকম করলে, তিনি ভীষন কষ্ট পান।

(আমাকে কেউ খাওয়ার কথা বললে, আগে বলেই দিই যে, সবই খাই, সেরকম বিধি, নিষেধ কিছু নেই, কাজেই জম্পেশ করে, পূর্ণোদ্যমে রান্না করুন, ফেলা যাবে না কিছুই.. গ্যারান্টি দিচ্ছি…)

১৬। কেউ হয়তো একটু গান করেন, আবৃত্তি করেন। তিনি বাড়ীতে এলে,

"প্লীজ, প্লীজ, একটা গান করুন" বলে, তাঁকে জোর করিয়ে গান শুরু করিয়ে দিয়ে, তারপর নিজেদের মাঝে কথা বার্তা, হাসাহাসি এসব, এবং গান শেষ হওয়া মাত্রই,

"আরেকটা, আরেকটা, খুব ভালো হইছে" বলার অভ্যাস।

১৭। বাড়ীতে অতিথি এলে, তাঁর সামনে বাচ্চা কে দিয়ে জোর করে গান, রাইমস এসব বলার জন্য বাধ্য করার অভ্যাস। বাচ্চা না বলতে চাইলে, তাকে বকাবকি, ভয় দেখানো, প্রায় মারধোর করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অভ্যাস।

১৮। বাচ্চাদের সাথে শর্ত আরোপনের অভ্যাস।

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে, অংক, ইংরেজিতে এতো মার্কস পেলে,

"মোবাইল কিনে দিবো, ড্রেস কিনে দেবো",

এসব শর্ত আরোপ করার অভ্যাস।

বাচ্চাটি যখন শর্ত পূরণ করতে পারে না, তখন তার মনে কত যে কষ্ট হয়, সেটার কথা ভাবা হয় না।

১৯। ভিখারী কে ভিক্ষা না দিয়ে, জ্ঞান দেয়ার অভ্যাস।

" কাজ করে খেতে পারো না " ?

ভিখারী ভিক্ষা চেয়েছিলো, টাকা-পয়সা, খাবার, কাপড়- চোপড়, এসব। জ্ঞান, ভিক্ষা চায় নি।

২০। নিজের বাড়ীর ময়লা, রাস্তায় ফেলে দেয়া বা অন্যের বাড়ীর সামনে ফেলে দেয়ার অভ্যাস।

২১। দোকানে গিয়ে জিনিষপত্র দেখে, দাম দর করে,

"ঠিক আছে, পরে নিমু" বইল্যা চলে আসার অভ্যাস।

খুব কষ্ট হয় দোকানীর।

২২। মঞ্চে বক্তৃতা করতে উঠে,

"আমি আপনাদের মূল্যবান সময় আর নষ্ট করবো না, খুব সংক্ষেপে দু'চারটি কথা বলে, বক্তব্য শেষ করছি" বলে, বক্তব্যকে অহেতুক দীর্ঘায়িত করার অভ্যাস। মাঝে, মাঝেই চলতে থাকা ভাঙা রেকর্ডের মতোই,

"আমি আপনাদের মূল্যবান সময় আর …" বলার অভ্যাস।

২৩। প্রতিদিনই রাস্তায় দেখা হলে, জেনে শুনে ও,

"কী ?, অফিস যাচ্ছেন ? বলার অভ্যাস। প্রতিদিনই।

২৪। বেকার ছেলে, মেয়েকে,

"কী চাকরীর চেষ্টা করতেছো তো ?" জিজ্ঞেস করার অভ্যাস।

২৫। বাংলায় কথা বলতে, বলতে, কোনো কারণে রেগে গিয়ে, ইংরেজীতে কথা বলার অভ্যাস।

ট্রেনে যাচ্ছি, উপরের বার্থে আমি। উল্টোদিকের উপরের বার্থ, নীচের বার্থ, দুটোতেই বাঙালী ভদ্রলোক, রাতে লাইট নেভানো নিয়ে, দুজনের মাঝে, "এখন না, পরে" নিয়ে শুরু বাংলায় তর্কাতর্কি, চেঁচামেচি, প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে যেতেই, শুরু হলো, ইংরেজিতে বলা, illeterate, non-sense।

শীতের রাত, আমি মুখের উপর থেকে কম্বলটা সরিয়ে, উপর থেকে বললাম,

"ভাই, আপনারা ইংরিজিতে যা কিছুই বলছেন, সব কথাগুলিই বাংলাতে ও বলা যায়। illiterate মানে, অশিক্ষিত, non-sense মানে, কান্ডজ্ঞানহীন, ঝগড়া করুন, কিন্তু, প্লীজ, বাংলায় করুন, হোক না ঝগড়াই, বাংলায় হলে, শুনতেও তো কত ভালো লাগে"।

দুজনই আমার দিকে তাঁকিয়ে আছেন, একজন আমাকে বলে উঠলেন, "আপনার কী অসুবিধে হয়েছে" ?

"এটাই তো চাইছিলাম", বলে,

কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।

২৬। রাতের ট্রেনে ফোনটাকে ভাইব্রেশন এ না রেখে, রাত দুটোর সময় ঘুমে থাকা লোকেদের রিং টোন শোনানো এবং রিংটোন এর চাইতে দশ গুণ জোরে,

"হ্যালো, হ্যালো, কী কইলেন ? আবার কন, ট্রেইনে আছি, কিচ্ছু শুনতা পাইতাছি না, আরেকটু জোরে কন তো। কী ? কী কইলেন ? কোরাবাংলা ছাইড়া দিলেন, এইমাত্র ফাইন্যালি সাইন-অফ কইরা ফেলছেন ? ক্যারে ? ক্যারে ?"

চিৎকার করে কথা বলে,

লোককে বিরক্ত করার অভ্যাস।

@শুভেন্দুপুরকায়স্থ


#সংগৃহীত


প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী?

$
0
0

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-72df0cf35e0761ee80179793e5d55d3e-lq

বংশরক্ষার সহায়ক পুরুষের বীর্য বা সিমেন প্রস্তুতিতে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড মুখ্য ভূমিকা নিলেও উপকারীতার জন্য নয়, একজন পুরুষের জীবনে মুখ্যত উত্পাত সৃষ্টি করার জন্যই প্রস্টেটের পরিচিতি দিন দিন বাড়ছে। ‘প্রস্টেট’ তাই এখন খুব চেনা শব্দ। প্রস্টেট থেকে নানা ধরনের সমস্যা হয়। গ্ল্যান্ডটি আকারে বড় হয়ে যেমন বদনামের ভাগীদার হতে পারে, তেমনি সংক্রমণ ঘটিয়েও অনেকের বিরাগভাজন হয়। সবচেয়ে বড় কথা, এই গ্ল্যান্ড থেকে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। আর সেটা মোটেই হেলাফেলা করার মতো কোনও ব্যাপার নয়। কারণ, গোটা বিশ্বেই প্রস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।

তথ্য যেমন জানাচ্ছে

সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে পুরুষদের ক্ষেত্রে স্কিন ক্যান্সারের পরে প্রস্টেট ক্যান্সার এখন সংখ্যায় দ্বিতীয়। খোদ আমেরিকায় ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত যে প্রস্টেট ক্যান্সারের ৫ বছর সারভাইভিং শতাংশ ছিল ৯৯.২, সেটা কিন্তু এখন অনেকটা কমে গেছে। অর্থাৎ আগের থেকে বেশি মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছেন। এটা ঠিক যে আমেরিকা ও ইউরোপের মতো পাশ্চাত্য দেশগুলিতে প্রস্টেট ক্যান্সারে বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। সংখ্যাটা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় তুলনামূলকভাবে কম। ভারতে নির্দিষ্ট ভাবে প্রস্টেট ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা অজানা হলেও সংখ্যাটা যে ক্রমবর্ধমান এবং সমীহ করার মতো সেটা সত্যি। এ দেশে প্রস্টেট ক্যান্সার অপারেশন এবং চিকিত্সা এখন প্রচুর পরিমানে হচ্ছে। ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সময়কালে ভারতীয় নাগরিকদের গড় আয়ু যেখানে ৬১.৯৭ থেকে বেড়ে ৬৫.৪৮ হয়েছে, সেখানে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্তদের সংখ্যাটা বছরে ১% হারে বাড়ছে। এটা চিন্তা করার মতো।

এক নজরে

· গোটা বিশ্বে প্রতি ২.৫ মিনিট পরপর একটা করে নতুন প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ছে। আর এই রোগ থেকে প্রতি ১৭ মিনিট অন্তর একটি করে মৃত্যু হচ্ছে অধূমপায়ী হওয়া সত্ত্বেও প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে। ধূমপান করেন না এমন একজন পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা লাং, ব্রঙ্কাস, কোলন, রেক্টাল, ব্লাডার, লিম্ফোমা, মেলানোমা, ওরাল ও কিডনি ক্যান্সারের মিলিত সম্ভাবনার চেয়েও বেশি

· প্রস্টেট ক্যান্সারের অগ্রগতি যেহেতু ধীরে ধীরে হয় তাই যে কোনও স্টেজে ধরা পড়া প্রস্টেট ক্যান্সারের ৫, ১০ ও ১৫ বছরের সার্ভাইভ্যাল রেট যথাক্রমে ৯৮%, ৮৪% এবং ৫৬%

বি পি এইচ

প্রস্টেট গ্ল্যান্ড আদতে কোনও যৌনাঙ্গ নয়। তবে পুরুষের যৌনজীবনে এই গ্ল্যান্ডের বিশেষ ভূমিকা আছে তা স্বীকার করতেই হয়। সাধারণত পুরুষদের ১০-১৪ বছর বয়সের মধ্যেই গ্ল্যান্ডটি পরিপূর্ণ আকারের হয়ে যায়। স্বাভাবিক নিয়মে পঞ্চাশোর্ধ পুরুষের শরীরে থাকা প্রস্টেট গ্ল্যান্ড ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এই বৃদ্ধিকে বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া বা বি পি এইচ বলে। এই বৃদ্ধি খুব স্বাভাবিক এবং খুব ধীরে ধীরে এটি বাড়তে থাকে। অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে আগেই এই বৃদ্ধি বোঝা গেলেও ক্লিনিক্যালি ধরা পড়ে পঞ্চাশের বেশি বয়সে। যাই হোক, স্বাভাবিক নিয়মে বাড়তে থাকা প্রস্টেট থেকেও কিন্তু সমস্যা তৈরি হতে পারে। হতে পারে বলা হল এই কারণে যে, বাড়তে বাড়তে যদি এটি কোনও কারণে মূত্রনালি বা ইউরেথ্রার ওপরে চাপ দিতে শুরু করে তখন স্বাভাবিক ভাবে প্রস্রাব করা যায় না, কারণ প্রস্রাবের প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। আর তা থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। এই কারণেই পুরুষ মাত্রেরই প্রস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধিতে সমস্যা হয় না।

স্ফীত প্রস্টেট গ্ল্যান্ড

এখানে অন্য আর একটি প্রশ্ন এসে যাচ্ছে, সেটি হল স্বাভাবিক নিয়মে বাড়া ছাড়াও প্রস্টেট গ্ল্যান্ড কি অন্য কোনও কারণে বেড়ে যেতে পারে এবং এই বৃদ্ধিজনিত কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে? দেখা গেছে বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া বা বি পি এইচ অর্থাৎ, স্বাভাবিক নিয়মে প্রস্টেটের বৃদ্ধি ছাড়াও প্রস্টেটের ক্যান্সারের কারণেও এই গ্ল্যান্ড আয়তনে বেড়ে যেতে পারে।

প্রস্টেট স্ফীতির সমস্যা

প্রস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে এমন পুরষকে বার বার টয়লেটে যেতে হয়, কারণ কোনও বারই ব্লাডার পুরোপুরি খালি হয় না। ব্লাডার খালি হয় না বলে সম্পূর্ণ প্রস্রাব হওয়ার অনুভুতি অধরা থাকে। প্রস্টেট স্ফীতি থেকে ঠিক যে ধরনের সমস্যা হতে পারে তা নিচে জানানো হল।

· বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে সরুধারায় মূত্র বেরয়, ক্রমশ মূত্র বেরনোর বেগ দুর্বল হয়ে পড়ে, মূত্র প্রবাহে সামঞ্জস্য থাকে না। বন্ধ হয়, আবার শুরু হয়। ঘন ঘন ও জরুরি ভিত্তিতে টয়লেটে যেতে হয়।

· অবস্থা খুব খারাপ হলে প্রস্রাব শুরু করতে দেরী হয়

· একেবারে শেষে ফোটায় ফোটায় প্রস্রাব হয়, মনে হয় ব্লাডারে মূত্র রয়ে গেছে ঘন ঘন ও জরুরি ভিত্তিতে টয়লেটে যেতে হয় রাত্রে বারে বারে টয়লেটে যেতে হয়

· স্ফীত প্রস্টেট খুব বেশি মাত্রায় বাধা দান করে ইউরেথ্রার পথটিকে রুদ্ধ করে দিলে অ্যাকিউট রিটেনশন অফ ইউরিন অর্থাৎ, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি অত্যন্ত বিব্রতকর ও যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে দেখা যায় একবিন্দু মূত্রও বেরচ্ছে না। এরকম ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেখানে ক্যাথেটার পরিয়ে মুশকিল আসান করা হয়। তবে একটা কথা ক্যাথেটার কিন্তু একটি সাময়িক সমাধান। তা থেকে ব্লাডার বা কিডনির স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেপ্টিসিমিয়াও হতে পারে। স্থায়ী সমধান পেতে অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক।

· সংক্রমণ জনিত প্রদাহের কারণে সমস্যা হলে প্রস্রাব করার সময় জ্বালা, যন্ত্রণা, জ্বর হতে পারে।

প্রস্টেট ক্যান্সার নয় তো!

স্ফীত প্রস্টেটের উপসর্গ বি পি এইচ অথবা প্রস্টেটের স্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে যেমন হতে পারে, তেমনি ক্যান্সারের কারণেও কিন্তু হতে পারে। ঠিক কি হয়েছে তা বোঝার জন্য সামান্য একটা রক্তপরীক্ষা করলেই চলবে। প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ধারণের মস্ত বড় হাতিয়ার, এই সামান্য রক্তপরীক্ষার নাম পি এস এ বা প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট।

প্রস্টেট ক্যান্সার

স্বাভাবিক অবস্থায় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা পি এস এ মাত্রা ১ থেকে ৪ ন্যানো গ্রাম/মিলিলিটারের মধ্যে থাকে। তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল যে, প্রস্টেট গ্ল্যান্ড যত বড় হবে তা থেকে বেরিয়ে আসা পি এস এ-এর পরিমানও কিন্তু তত বেশি হবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডও বড় হতে থাকে বলে কম বয়সীদের তুলনায় বয়স্কদের রক্তে বেশি পি এস এ পাওয়া যায়। যেমন, স্বাভাবিক অবস্থায় একজন ৫৫ বছরের মানুষের তুলনায় একজন ৭৫ বছর বয়স্ক মানুষের রক্তে বেশি পি এস এ পাওয়া যাবে। সুতরাং, কারও পি এস এ বেশি হওয়ার অর্থ এই নয় যে তাঁর ক্যান্সার হয়েছে। অর্থাৎ পি এস এ অর্গান স্পেসিফিক, ডিজিজ স্পেসিফিক নয়।

বয়স ও পি এস এ-র স্বীকৃত মাত্রা

· ৪০-৪৯ বছর - ২.৫ ন্যানো গ্রাম/মিলিলিটার

· ৫০-৫৯ বছর – ৩.৫ ন্যানো গ্রাম/মিলিলিটার

· ৬০-৬৯ বছর – ৪.৫ ন্যানো গ্রাম/মিলিলিটার

· ৭০ বছরের বেশি - ৬.৫ ন্যানো গ্রাম/মিলিলিটার

ঝুঁকি

প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার পিছনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তের সন্ধান মিলেছে। এরা হল– বয়স, জাতি এবং পারিবারিক ইতিহাস। এছাড়া এন্ড্রোজেন হরমোন এবং খাদ্যেরও কিছু ঝুঁকি আছে বলে মনে করা হয়।

বয়স– ৪০ বছরের কম যাঁদের বয়স, তাঁদের মধ্যে খুব বিরল ক্ষেত্রে এই রোগ হয়। পরবর্তীকালের আনুপাতিক হার এইরকম :

বয়সের সঙ্গে আক্রান্তের আনুপাতিক হার

৪০–৪৯ বছর > ৩০৪ জন পিছু ১ জন

৫০–৫৯ বছর > ৪৪ জন পিছু ১ জন

৬০–৬৯ বছর > ১৬ জন পিছু ১ জন

৭০–৭৯ বছর > ৯ জন পিছু ১ জন

জাতি– প্রস্টেট ক্যান্সারের বিস্তার এবং রোগজনিত মৃত্যু নাটকীয় ভাবে কালো চামড়ার লোকেদের মধ্যে বেশি। আর লক্ষ্যণীয় হল জাপানীদের মধ্যে সংখ্যাটা সবচেয়ে কম।

পারিবারিক ইতিহাস– স্তন ও কোলন ক্যান্সারের মতো এই ক্যান্সারেরও বংশগত ঝুঁকি আছে। মনে করা হচ্ছে, মোট প্রস্টেট ক্যান্সারের ৫-১০% পূর্বপুরুষের কাছে অর্জিত জেনেটিক শর্তের কারণে হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ বা এন আই এইচ পরিসংখ্যানগত যে প্রতিবেদন পেশ করেছে তাতে স্পষ্ট যে, কোনও পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তাঁর রোগাক্রান্ত বাবার তুলনায় রোগাক্রান্ত ভাইয়ের ক্ষেত্রে বেশি।

এন্ডোজেনাস হরমোন– পুরুষদের অ্যান্ড্রোজেন হরমোন প্রস্টেট ক্যান্সারে প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়। এটা লক্ষ্য করা গেছে যে, যাঁরা নপুংসক বা ইউনাক, অর্থাৎ, জন্মগত ভাবে যাঁদের টেস্টিস বা শুক্রাশয় নেই, কিংবা বয়ঃসন্ধির আগে পুরুষত্বহানি হওয়ার কারণে যাঁদের টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ হয় না, তাঁদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ভয় নেই।

খাদ্যসংক্রান্ত ঝুঁকি– চর্বিজাতীয় খাবার ও মাংস প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে সয়াবিন এই ঝুঁকি কমায়।

#সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট আদতে কতটা চিন্তার?

$
0
0

ছড়িয়ে পড়ছে অমিক্রন। করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট আদতে কতটা চিন্তার?

https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2021-12%2F07fff070-e39b-42d2-b403-2f70daac6e85%2FOmicron.jpg?auto=format%2Ccompress&format=webp&w=376&dpr=2.6

ভেবে দেখুন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আগে উপমহাদেশে করোনা সংক্রমন প্রায় কমে এসেছিল। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি করোনা হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ।

তারপর শুরু হল ডেল্টার তান্ডব ও ভ্যাক্সিনের ব্যবসা ।

এখন আবার যখন ভ্যাক্সিন নিয়ে মানুষ রোগটিকে প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে, অমনি শুরু হল অমনিক্রন।

অমিকর্ন ঠেকাতে শুরু হল বুস্টার ডোজের ভ্যাক্সিনের প্রচার ।

আমাদের দেশে না আসা পর্যন্ত "আপাতত, এটা চায়ের কাপে ঝড়," ছিল। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ফেরত নারী ক্রিকেটার দুজন ইতিমধ্যে রোগটি দেশে নিয়ে এসেছেন। তবে ইতিমধ্যে বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন উদ্বেগ। যুক্তরাজ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টে। ভারতের অনেক রাজ্যে ছড়িয়ে গেছে।

অথচ খুবই মৃদু উপসর্গ রোগটির। মাংসপেশির ব্যথা, ক্লান্তি এবং খারাপ লাগা ও হালকা কাশি ছাড়া আর কোন লক্ষণ মিলছেনা।

WHO এর মতে এটিতে প্রচুর পরিমাণে মিউটেশন হয় এবং প্রাথমিক প্রমাণগুলি বলছে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছেই। অর্থাৎ আমার মতো যারা ইতিমধ্যে ভয়ানক কোভিড19 এ ভুগেছেন, তাদের পুন:সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশি। দুটি ভ্যাক্সিন গ্রহণকারীরা ও নিরাপদ নয়, ফাইজার বলছে একমাত্র বুস্টার ডোজ ই কিছুটা প্রতিরোধ করতে পারে একে। সুতরাং আরো ভ্যাক্সিন মজুত করো, আরো ব্যবসা।

"দুঃসংবাদ হলেও - এটা শেষ কথা নয়। " কিছুটা স্বাভাবিক জীবনের স্বাদ পাচ্ছিলাম কিন্তু আবার লক ডাউন , ঘরবন্দি জীবন শুরু হতে পারে এই ভয়ে আছি।

আনো ভ্যাক্সিন, মারো বুস্টার। , , ,

#সংগৃহীত

মসজিদ দর্শন : ০৫ : নয় গম্বুজ মসজিদ

$
0
0

https://i.imgur.com/rCqKOVnh.jpg


বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার ঠাকুর দিঘী বা খাঞ্জেলী দিঘীর পশ্চিম পাড়ে নয়গম্বুজ মসজিদটির অবস্থান। এটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। নয় গম্বুজ মসজিদটি ১৫ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত।

https://i.imgur.com/r2ox2ZBh.jpg



https://i.imgur.com/pf3GT5Ch.jpg

মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১৫.২৪ মিটার এবং প্রস্থ ১৫.২৪ মিটার, আর মসজিদের দেয়াল ২.৫৯ মিটার পুরু।
মসজিদের অভ্যন্তরে অষ্টভুজাকৃতির দুই সারি পাথরের পিলার দিয়ে মোট নয়টি চারকোনা খণ্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। এই নয়টি খণ্ডের উপর তিন সারিতে মসজিদের নয়টি গম্বুজ অবস্থিত। গম্বুজ গুলো পরস্পর থেকে সমান দূরত্বে অবস্থিত। এই নয়টি গম্বুজের কারণেই মসজিদের নামকরণ হয়েছে নয় গম্বুজ মসজিদ।

https://i.imgur.com/hkhlOYOh.jpg



https://i.imgur.com/B0rPwpYh.jpg


মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে নির্দিষ্ট দূরত্বে তিনটি মেহরাব রয়েছে। মিহিরাবের চারপাশে ফুলের নকশার টেরাকোটা দেখা যায়। মেহরাবগুলির দেয়াল বাইরের দিকে বর্ধীত।

https://i.imgur.com/bwTuBMVh.jpg

মসজিদটির চার কোণায় চারটি মিনার বা বুরুজ রয়েছে। মিনার বা বুরুজ খান জাহানী রীতিতে গঠিত গোলাকৃতির। এরা মসজিদটির চার কোণকে মজবুত করেছে। মিনার বা বুরুজগুলি ছাদ সমান উঁচু। ছাদের কার্নিশগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সামান্য বাঁকানো। কার্নিশের বক্রতা ভবনটিকে একটি দৃষ্টিনন্দন অভিব্যক্তি এনে দিয়েছে।


https://i.imgur.com/cNs9GrRh.jpg



https://i.imgur.com/NyAl7arh.jpg

মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে পুরো মসজিদের গায়ে ইটের নকশা ও পোড়ামাটির কারুকাজ খচিত রয়েছে।

মসজিদে প্রবেশের জন্য সামনের অংশে একটি প্রধান ও সমদূরত্বে দুটি পার্শ্ব দরজা আছে। মাঝের  প্রধান খিলানযুক্ত দরজাটি একটি আয়তাকার কাঠামোয় সন্নিবেশিত এবং পার্শ্ববর্তী দরজাগুলি অপেক্ষা বড়।

https://i.imgur.com/HFGIAJLh.jpg

স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, খান জাহানের কোন এক কর্মকর্তা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন এবং তার বাসগৃহও ঐ একই এলাকার ঠাকুরদিঘির পাড়ে অবস্থিত ছিল।

https://i.imgur.com/11dibXEh.jpg

ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৪ইং
অবস্থান : বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 22°39'30.6"N 89°45'19.6"E

তথ্য সূত্র : অন্তর্জাল

স্যালুট দেওয়ার ধরণ বা ভঙ্গি ভিন্ন রকম কেন?

$
0
0

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-03f345607b73ff016eb9f8b314cc6a5d-lq

আমরা সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্যদের স্যালুট দিতে দেখেছি।কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন,তাদের সবার স্যালুট দেওয়ার ধরণ বা ভঙ্গি ভিন্ন রকম।অর্থাৎ,তিন বাহিনীর স্যালুট তিন রকম।

তাদের তিন রকমের স্যালুট দেওয়ার কারণ কি জানেন?আসুন,জেনে নিই তাদের এভাবে স্যালুট দেওয়ার কারণ কি।

সেনাবাহিনীর স্যালুট :

সেনাবাহিনীর স্যালুট দেওয়ার ভঙ্গি হলো,তাদের সবগুলো আঙ্গুল একসাথে লাগানো থাকবে,হাতের তালু থাকবে সামনের দিকে যেন সবাই দেখতে পায় এবং মাঝখানের আঙ্গুল তাদের গৌরবোজ্জ্বল ক্যাপকে স্পর্শ করবে এবং তা হবে ভ্রু'র সমান্তরাল।এই ভঙ্গি দ্বারা শুধু একে অপরের মধ্যে বিশ্বাসই স্থাপন করে না বরং এই ভঙ্গি বলে দেয় সৈনিকদের মধ্যে আদর্শের কোনো ঘাটতি নেই।এবং তাদের কাছে কোনো অস্ত্রও লুকানো নেই এবং তারা শান্তি চায়।এছাড়া তারা শত্রুপক্ষের আক্রমণ রুখতেও বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশের অন্যান্য বাহিনীও এই স্যালুট অনুসরণ করে থাকে।

নৌবাহিনীর স্যালুট :

নৌবাহিনীর স্যালুট দেওয়ার ভঙ্গিতে হাতের তালু থাকবে মাটির দিকে মুখ করা এবং কপাল থেকে হাতের কব্জি থাকবে ৯০° এঙ্গেলে।হাতের তালুকে মাটিমুখী রাখার কারণ হলো লুকিয়ে ফেলা।নৌবাহিনীর এভাবে স্যালুট দেওয়ার পেছনের ইতিহাস অনেকটা এই রকম যে,

ব্রিটিশ নেভিতে নাবিকেরা জাহাজে কাজ করলে কোনোভাবে হাতের তালুতে কালি লেগে যেত।যে কারণে ওরা হাতের তালু নিচু করে স্যালুট দেওয়ার প্রচলন শুরু করে।এভাবেই নৌবাহিনীতে এভাবে স্যালুট দেওয়া হয়।

এটি একটি সম্মান প্রদর্শনকারী ভঙ্গি।

বিমানবাহিনী :

বিমানবাহিনীর স্যালুট অপর দুই বাহিনী থেকে ভিন্ন।বিমানবাহিনীর স্যালুট দেওয়া হয় ৪৫° এঙ্গেলে যা দ্বারা বিমানের উড্ডয়ন বুঝানো হয়।এই আধো কাত সালামের মানে হলো আকাশের দিকে উড্ডীয়মান। আর এই স্যালুট সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর মাঝামাঝি কারণ যুদ্ধে এবং দেশ রক্ষায় নৌ বিভাগ এবং স্থল বিভাগের সেনাবাহিনীর সাহায্য স্বরূপ আকাশ পথের নিরাপত্তায় একমাত্র বিমানবাহিনী। তাই তাদের স্যালুট মাঝামাঝি পর্যায়ে।


#সংগৃহীত

মজাদার জ্ঞানমূলক ছবি !

$
0
0

আমার দেখা তিনটে মজাদার ছবি। প্রত্যেকটি ছবির সাথে জুড়ে আছে একটি করে সুন্দর তথ্য। আশা করবো আপনাদের ভালো লাগবে।

    Earth Debris Satellite

আমাদের পৃথিবীর অ্যাটমোসফিয়ারে দিনের পর দিন স্যাটেলাইটে ভোরে যাচ্ছে। আর এর মধ্যে সক্ষমের তুলনায় অক্ষম স্যাটেলাইটের সংখ্যা বেশি - এই ছবিটি তার প্রমাণ।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-83e0a6b392cf456bc4d26cc208662255-lq

এখানে সাদা আর লাল যে ডটগুলো দেখেছেন তা স্যাটেলাইটের। সাদা ডটগুলো অক্ষম আর লালগুলো সক্ষম স্যাটেলাইটের ছবি। এর মধ্যে 3,430 সক্ষম আর 5,570 টা অক্ষম। মানে আমাদের পৃথিবীর অ্যাটমোসফিয়ারে 50% এর বেশি স্যাটেলাইট এমন রয়েছে যা কোনো কাজে আসে না।

    Vitiligo/White pigmentation

বলুন তো এটি কোন মাছ? বলে রাখি এর সাথে আমি আপনি সবাই কিন্তু খুব ভালোভাবেই পরিচিত।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-363a26c1d17e7a42a83e873004f59265-pjlq

আপনি জানলে অবাক হবেন, এখন আপনি যেই ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন তা এক গোল্ডফিশের!! গোল্ডফিশ নিজের রং এরকমই বদলায় যখন তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো না পায়। সূর্যের অথবা কৃত্রিম আলোর অভাবে তাদের ক্রোমাটোফোরের শক্তি কয়েক মুহূর্তের জন্য হারিয়ে এরকম সাদা হয়ে যায়। এটা তাঁদের খুবই সুন্দর এক বৈশিষ্ট্য।

    Chicxulub crater

আজ ডাইনোসর পুরো পৃথিবী থেকে কী করে বিলুপ্ত হয়েছে তা আমরা সবাই জানি। 66 মিলিয়ন বছর আগে, চিকসুলুব নামক এক উল্কাপিণ্ডের সাথে পৃথিবীর ধাক্কা হাওয়ায় তাঁরা আজ বিলুপ্ত প্রজাতির মধ্যে একটি।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-9411c51bcbd71dba4023d344a68d8b23-lq

এখন ওপরে যে ক্রেটারটা দেখতে পাচ্ছেন তা এই উল্কাপিণ্ডের প্রভাবে তৈরি হয়েছে। এটি মোট 25,450 km² এলাকা জুড়ে আছে। মানে ইজরায়েল থেকে ও 4000 sq km বেশি। এক উল্কাপিণ্ড যা কিনা একটা দেশ থেকে ও বড়ো। অসাধারণ!!


ছবিসুত্র : গুগল

#সংগৃহীত

ইহা কি সত্য ?

$
0
0

ইহা কি সত্য ?

প্রা‌ণের ভয় দে‌খাইয়া পাদুকা বি‌ক্রয়!

বঙ্গদে‌শে র‌ঙ্গের কম‌তি ছিল না কোনকা‌লেই।

১৯৪০ সা‌লে জুতা প্রস্তুতকারক কোম্পা‌নি বাটার বিজ্ঞাপন।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-a64e0276f85718443ebe3f5c157cc9f0-lq

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল : রহস্য নাকি গুজব?

$
0
0

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে যেহেতু প্রায় সমস্ত জাহাজ অদৃশ্য হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীর সমস্ত আবর্জনা জাহাজে করে ওখানে পাঠিয়ে দিলেই তো সমস্যা মিটে যাবার কথা। তাই নয় কি?

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল : রহস্য নাকি গুজব?


https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-823d276d143dbbc9e99891f12b694219-lq


ভারতবর্ষ আবিষ্কারের জন্য তিনি অভিযান চালিয়েছিলেন। ভুল করে তাঁর জাহাজ চলে যায় উল্টো দিকে। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সাগর পেরিয়ে যেখানকার মাটিতে নোঙর করেছিল তাঁর জাহাজ, সেটাকেই তিনি মনে করেছিলেন ভারতবর্ষ। পরে ভুল ভাঙে তাঁর। বিশাল ভারতবর্ষ তো দূর অস্ত, তিনি যেখানে পৌঁছান, সে অঞ্চলের আয়তন ভারতবর্ষের ছোটখাটো একটা দ্বীপের সমান। তবে ভুল করে যে দ্বীপ আবিষ্কার করেছিলেন স্প্যানিশ অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস, সেটার নাম তিনি বদলাতে চাননি। তাই পুরো দ্বীপপুঞ্জটার নাম রাখেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ! সাধের ভারত আবিষ্কারের আশা ব্যর্থ হলেও আমেরিকা আবিষ্কারের কৃতিত্ব জুটেছিল তাঁর কপালে।

বড় কোনো অভিযানই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় না। কিছু বাধা থাকেই। আমেরিকা আবিষ্কারের পথে কলম্বাসের নাবিকদের মধ্যে জাঁকিয়ে বসেছিল ভৌতিক আলোর জুজু। সেটা একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আমেরিকা উপকূলের এই এলাকার এক কোনায় বারমুডা দ্বীপ, অন্য দুই কোনা বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সাগরসৈকত মিয়ামি ও পুয়ের্তো রিকো। তিন কোনায় এই তিন স্থানকে রেখে যে বিশাল একটা ত্রিভুজের মতো জলাঞ্চল, এটাই এখন বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত বিশ্বজুড়ে।

১‌২ অক্টোবর ১৪৯২। ক্রিস্টোফার কলম্বাস তাঁর লগবুকে লিখেছেন, এই ত্রিভুজাঞ্চলজুড়েই নাকি তাঁর নাবিকেরা ভুতুড়ে সব কাণ্ডকারখানা দেখেছেন। এ সময় তাঁদের কম্পাস ঠিকমতো কাজ করছিল না, তাঁরা দেখেছেন ভুতুড়ে আলোর নাচন। এই লগবুকই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

পরবর্তীকালে কলম্বাস বিখ্যাত হয়েছিলেন তাঁর দুঃসাহসিক অভিযানের জন্য। তাই তাঁর লগবুকের একটা গুরুত্বও ছিল।

যত রহস্য শয়তানের ত্রিভুজে

৫ ডিসেম্বর ১৯৪৮। মার্কিন নেভির ফ্লাইট নাইন্টিনের পাঁচটি বিমান বেরিয়েছে প্রশিক্ষণে। ছুটছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে। কন্ট্রোল বেসের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন মিশনপ্রধান চার্লস টেইলর। রেডিওতে। হঠাৎ কথা বলতে বলতে থেমে যায় টেইলরের কণ্ঠ। নীরবতা ভর করে রেডিওতে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। কন্ট্রোল রুম থেকে অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সংযোগ স্থাপন আর সম্ভব হয়নি। টেইলর বা তাঁর দলের কেউ আর যোগাযোগ করেননি।

শুরু হয় সার্চ মিশন। সেগুলো উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয় আরও দুটি বিমান আর একদল দক্ষ ক্রুকে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে ফেরে একটি বিমান। কিন্তু ফেরেনি আরেকটি বিমান। দিনদুপুরে গায়েব! রেডিওর সর্বশেষ সিগন্যাল ট্র্যাক করে জানা যায়, মিয়ামি উপকূলের ওই কুখ্যাত ত্রিভুজ এলাকাতেই হারিয়েছে সব কটি বিমানই। এই প্লেন দুর্ঘটনাই ব্যাপক কুখ্যাতি এনে দেয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে। তবে একটু দেরিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৌ দুর্ঘটনাটা ঘটে বারমুডার ট্রায়াঙ্গলে। ১৯১৮ সালের ৪ মার্চ। বার্বাডোজ থেকে ৩০৬ জন যাত্রী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিচ্ছিল মার্কিন জাহাজ ইউএসএস সাইক্লোপস। কিন্তু মাঝপথে ওই ত্রিভুজ এরিয়ায় হারিয়ে যায়। অনেক সন্ধান করেও মেলেনি তার সন্ধান। কী হলো তাহলে? তখন এ নিয়ে উচ্চবাচ্য হয়নি। আর দশটা স্বাভাবিক দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হয়েছিল এটাকে।

আরেকটু পেছনে ফেরা যাক এবার। ৫ ডিসেম্বর ১৮৭২। মারি সেলেস্ত নামের এক মালবাহী জাহাজ নিউইয়র্ক বন্দর থেকে ছেড়ে যায়। তবে গন্তব্যে পৌঁছায়নি। এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে জল্পনাকল্পনা, প্রচার কিছুই তখন হয়নি। তাই বারমুডাই যে জাহাজটাকে গিলেছে, সে কথা কেউ ভাবেনি গুরুত্ব দিয়ে। পরে জাহাজটা পাওয়া যায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকাতেই। অক্ষত আছে জাহাজের সব জিনিস। কিন্তু নেই জাহাজের মানুষগুলো। জলদস্যুরা মেরেছে, এ কথা বলা যায় না, তাহলে মালসামান অক্ষত থাকার কথা নয়? তাহলে? উত্তর জানা ছিল না সে সময়। ৯ বছর পর আরেকটি ঘটনা রহস্যের আগুনে ঘি ঢালে।

দ্য ডেডলি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল

১৮৮১ সাল। এলেন অস্টিন নামের একটা জাহাজ চলছে আটলান্টিকের বুকে। জাহাজের নাবিকদের চোখে পড়ে একটা পরিত্যক্ত খালি জাহাজ। ইতস্তত ভেসে বেড়াচ্ছে সাগরের বুকে। কৌতূহলী অস্টিনের নাবিকেরা জনশূন্য জাহাজটাকে অনুসরণ করে একসময় ধরেও ফেলেন। হইহই করে সেই জাহাজে নেমে পড়েন অস্টিনের একদল নাবিক। জাহাজে যদি মূল্যবান কিছু মেলে! তা ছাড়া জাহাজটাকে ধরে তাঁরা দেশে নিয়ে যেতে চান। জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেন নাবিকেরা। তারপর দুটো জাহাজ পাশাপাশি চলে নিউইয়র্কের দিকে। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ নয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সদ্য পাওয়া জাহাজটা হারিয়ে যায়। অস্টিনের নাবিকদেরসহ। পরে সেটাকে আবার খুঁজে পান অস্টিনের নাবিকেরা। কিন্তু তাঁদের যে দল ওই জাহাজে নেমেছিল, নিয়েছিল এর নিয়ন্ত্রণ, সেই নাবিকের দলটা যেন বেমালুম গায়েব! কী করা উচিত, ভাবেন নাবিকেরা। সাহায্যের মেসেজ পাঠান কন্ট্রোল বেসে। উদ্ধার করতে যায় আরেকটা দল। কিন্তু সেখানে গিয়ে কিছু পায় না রেসকিউ টিমটা। না এল অস্টিন, না অন্য জাহাজটা—একেবারে গায়েব দুটি জাহাজই। এ ঘটনাও ঘটে ওই রহস্যময় ত্রিভুজেই। কিন্তু সেটা নিয়েও সেকালে বেশি আলোড়ন হয়নি।

রহস্যের পর রহস্য। এরপর তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। অনেকগুলো ঘটনা পরপর ঘটে। একটার সঙ্গে আরেকটার যোগসূত্র খুঁজে পেতে তখন আর কষ্ট হয় না। সঙ্গে চলে ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটি। তখনই সামনে চলে আসে কলম্বাসের সেই লগবুক। দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে তখন আর কসরত করতে হয় না। অনেক অনেক দুর্ঘটনার ফিরিস্তি বের করা হয় ইতিহাসের বুক চিরে।

১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ সাল। দ্য মিয়ামি হেরাল্ড পত্রিকায় একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। লেখক এডওয়ার্ড ভ্যান উইনংকল জোনস। সেই লেখাতেই তিনি প্রথম পাঠককুলকে সচেতন করেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্য নিয়ে। তিনি ওই অঞ্চলকে পরিচয় করিয়ে দেন রহস্যময় ‘স্মল ওয়ার্ল্ড’ নামে। তারপর ইতিহাসের আস্তাকুঁড় থেকে তুলে আনেন একের পর এক রহস্যজনক কেস হিস্ট্রি। বলেছেন দ্য সান্দ্রা নামের একটা মালবাহী জাহাজের নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর। সেটাও নাকি হারিয়েছে ওই স্মল ওয়ার্ল্ডে। ১৯৫০ সালের ১৬ জুনের পর সেটা থেকে আর কোনো রেডিও সিগন্যাল পায়নি কন্ট্রোল রুম। এরপর জোনস ফিরেছেন বছর দুয়েক আগে। ফ্লাইট নাইন্টিনের ঘটনা তখনো তরতাজা। ১৯৪৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। ডগলাস ডিসি ৩ নামে একটা জাহাজ দ্বীপরাজ্য পুয়ের্তো রিকো থেকে ৩২ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল মিয়ামি দ্বীপে। কিন্তু মাঝপথে লাপাত্তা!

আরও কিছু কেস হিস্ট্রি তুলে ধরে তিনি সিদ্ধান্তে আসতে চেয়েছেন, ওই স্মল ওয়ার্ল্ডে এমন কোনো রহস্য আছে, যার কারণে সেখানে বিমান, জাহাজ লাপাত্তা হচ্ছে। এরপর ১৯৫২ সালে দ্য ফেট ম্যাগাজিনে ‘সি মিস্ট্রি আওয়ার ব্যাকডোর’ নামে একটা ছোট্ট ফিচার লেখেন। সেখানে তিনি তুলে ধরেন ফ্লাইট নাইন্টিনের নিখোঁজের কাহিনি। জনমানসে জমাট বাঁধতে থাকে বারমুডার ত্রিভুজের রহস্য। এরপর এটাকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে যান মার্কিন লেখক ভিনসেন্ট গ্যাডিস। ১৯৬২ সালে ফ্লাইট নাইন্টিনের ঘটনা তিনি লেখেন রসিয়ে রসিয়ে। তাতে তিনি প্রথম এসব ঘটনার সঙ্গে অতিপ্রাকৃত ঘটনার যোগসাজশ খোঁজার চেষ্টা করেন। আর জোনসের স্মল ওয়ার্ল্ডের নাম পাল্টে লেখার শিরোনাম দেন ‘দ্য ডেডলি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’। ছাপা হয় আমেরিকান লেজিওন ম্যাগাজিনে।

এখানে থামলেও কত দূর গড়াত বারমুডা রহস্যের পানি, কে জানে, দুই বছর পর তিনি লেখেন ইনভিজিবল হরাইজন বা হারানো দিগন্ত নামে একটা বই। সেটিই রহস্যের পালে হাওয়া লাগায়। রহস্য, অলৌকিকতা, ভিনগ্রহী প্রাণীদের কারসাজি ইত্যাদি মিলিয়ে এক ককটেল বই। গ্যাডিসকে অনুসরণ করে আরও অনেক লেখক হুমড়ি খেয়ে পড়েন বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যকে অলৌকিক প্রমাণ করতে। বলার অপেক্ষা রাখে না, কোনো কোনো বই আবার মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। অনূদিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের গুজব দাবানলের মতো করে। নাবিক, বৈমানিকদের মধ্যেও বাড়তি উন্মাদনা তৈরি করে সে রহস্য।

গত শতাব্দীর একের পর এক রহস্যময় ঘটনা ঘটতে থাকে শয়তানের ত্রিভুজ এলাকায়। তৈরি হয় কত গল্পগাথা। অবিশ্বাস্য সেসব কাহিনি, সেগুলোর পেছনের গল্প হরর বা রহস্যকাহিনিকেও হার মানাবে। কিছু কিছু কাহিনি যেন আসিমভ-সি ক্লার্কের কল্পবিজ্ঞান থেকে তুলে আনা।

গুজব ছড়ায় দিকে দিকে

তিন গোয়েন্দার কিশোর, মুসা ও রবিন মাঝেমধ্যে ব্যবহার করে ‘ভূত থেকে ভূতে,’ পদ্ধতি তথ্য ছড়ানোর জন্য। কোনো একটা তথ্য প্রথমে ১০ জন বন্ধুকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। তথ্যের সঙ্গে এটাও বলে, এই তথ্য সে–ও যেন ফোন করে জানিয়ে দেয় ১০ বন্ধুকে। তাহলে ১ থেকে ১০, ১০ থেকে ১০০, ১০০ থেকে ১ হাজার! এভাবে ১০ মিনিটের মধ্যে গোটা রকি বিচে ছড়িয়ে পড়ে তিন গোয়েন্দার সেই তথ্য। অথচ মাইক বাজিয়েও এত সহজে গোটা শহরে তথ্যটা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হতো না। কোনো গুজব জনসমাজে আসলে এভাবেই ছড়ায়। এক কান থেকে হাজার কান হতে সময় লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় গল্পগুলো এভাবেই সত্তরের দশক থেকে আজ অবধি ছড়িয়ে যাচ্ছে ‘ভূত থেকে ভূতে’ পদ্ধতিতে। আগে বই, সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে ছড়াত, এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক–ইউটিউবের মতো ভার্চ্যুয়াল মিডিয়া।

গুজবের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কিন্তু এত দ্রুত ছড়ায় না। নইলে অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে এসেও একদল লোক মনে করে, চাঁদে মানুষ যায়নি। ওটা ছিল হলিউডি পরিচালকদের বানানো উন্নত মানের চলচ্চিত্র। অথচ যেসব যুক্তির কথা বলে তারা এই গুজব ছড়িয়েছে, তার প্রতিটির ব্যাখ্যা সেকালেই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গুগল ইউটিউবে সার্চ করলেও পাওয়া যায় সেসব ব্যাখ্যা। তবু একদল হুজুগে মানুষ এটুকু কসরতের চেয়ে গুজবে বিশ্বাস করতেই ভালোবাসে। আবার ধরো, ফ্ল্যাট আর্থার সোসাইটির কথা। বিশ্বজুড়ে তাদের রয়েছে কোটি কোটি অনুসারী। তারা বিশ্বাস করে পৃথিবী সমতল। কিন্তু পৃথিবী যে সমতল নয়, সে প্রমাণ আড়াই হাজার বছর আগেই দিয়েছেন গ্রিক পণ্ডিতেরা। জিপিএস, স্যাটেলাইটের এই যুগে পৃথিবীকে সমতল হিসেবে বিশ্বাস করতেও আসলে প্রতিভা লাগে! একই কথা বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ঘটনাগুলো যতটা না রহস্যময়, তার চেয়ে বেশি গুজব! তাই বলে এত দুর্ঘটনার কাহিনিগুলো কি মিথ্যা?

মিথ্যা নয়, তবে সব কটির পেছনে যেমন কারণ আছে, আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও। তবে সে ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে গুজবগুলো একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুতুলনাচের ইতিকথায় বলেছিলেন, মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে। কথাটা সত্যি, মানুষ বৈজ্ঞানিক কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে ভয় পাওয়াটাকেই বেশি রোমাঞ্চকর মনে করে। আর তাই ভয় পাওয়ার জন্য বেছে নেয় বিশেষ বিশেষ স্থানকে। এ দেশের ভয়খোর লোকেরা বুড়ো বট, তেঁতুলগাছ কিংবা বিশেষ কোনো জায়গাকে ভয় পাওয়ার স্থান হিসেবে বেছে নেয়। আন্তর্জাতিকভাবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের অবস্থাটাও এ দেশের ওই বুড়ো বটগাছের মতো। বটগাছেও কিছু আপাত ব্যাখ্যাতীত ও কাকতালীয় ঘটনা ঘটে। সেগুলোকে ঘিরেই গড়ে ওঠে গুজবের ভিত।

বারমুডা ত্রিভুজকে ঘিরে সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্ব হলো অলৌকিক কোনো সত্তা এখানকার জাহাজ ও বিমানগুলো ডুবিয়ে দেয় কিংবা গায়েব করে দেয় ভোজবাজির মতো। অনেকের ধারণা, এটা শয়তান করে। খোদ গ্যাডিসই এমনটা দাবি করেছিলেন। তাই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের অন্য নাম ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল বা শয়তানের ত্রিভুজ।

তবে বারমুডা গুজবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে বিজ্ঞানের হাইপোথিসিসগুলো—সমান্তরাল মহাবিশ্ব, ওয়ার্মহোল, এলিয়েন ইত্যাদি। একশ্রেণির লোক বিশ্বাস করে, ওই ত্রিভুজাঞ্চলে এসে আস্তানা গেড়েছে ভিনগ্রহী প্রাণীরা। নিজেদের মতো করে সাগরের গভীরে বানিয়ে নিয়েছে এলিয়েন জগৎ। সেই জগতের সীমানায় কারও প্রবেশ তারা বরদাশত করবে কেন! তাই কোনো জাহাজ বা বিমান ওই এলাকার ভেতর একবার গিয়ে পড়লে আর রক্ষা নেই। এলিয়েনরা ধরে নিয়ে যায় তাদের জগতে! পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয় জাহাজ বা বিমানের চিহ্ন।

আরেক দলের দাবি, ওই এলাকায় রয়েছে অদৃশ্য জগতের দরজা। সেটাকে কেউ ওয়ার্মহোল বলেন, কেউ বলেন সমান্তরাল মহাবিশ্বের দরজা। ওয়ার্মহোল হলো আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে আসা এক ভবিষ্যদ্বাণী। কাগজে-কলমে কিংবা গণিতের যুক্তিতেই শুধু এর প্রমাণ আছে। কিন্তু ওয়ার্মহোল তৈরি করা বা প্রাকৃতিক কোনো ওয়ার্মহোলের দেখা পাওয়ার মতো পর্যাপ্ত জ্ঞান এখনো মানুষ অর্জন করতে পারেনি। তাই এটা এখনো হাইপোথিসিস, ভবিষ্যতে কবে এই হাইপোথিসিস প্রমাণিত হবে কিংবা আদৌ প্রমাণিত হবে কি না, সে কথা এখনকার কোনো বিজ্ঞানীই জোর দিয়ে বলতে পারেন না। বারমুডা রহস্য নিয়ে যাঁরা অতিমাত্রায় কৌতূহলী, তাঁদের কারও কারও দাবি, শয়তানের ত্রিভুজের এলাকায় রয়েছে একটা ওয়ার্মহোল। সেটা অদৃশ্য। মাঝেমধ্যে দৃশ্যমান হয়, তখন জাহাজ বা বিমানগুলো খেই হারিয়ে ঢুকে পড়ে ওয়ার্মহোল নামের সেই রহস্যময় সুড়ঙ্গে। ওয়ার্মহোলের অন্য প্রান্তে থাকে ভিন্ন একটা সময়। সেটা হতে পারে কোটি কোটি বছর পেছনে কিংবা কোটি কোটি বছর ভবিষ্যতের কোনো সময়। সেই সুড়ঙ্গে কেউ ঢুকে পড়লে সে পৌঁছে যায় হয় অতীতে, না হয় ভবিষ্যতে। বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্বই আর থাকে না। তেমনি সেই সুড়ঙ্গের অন্য প্রান্তে থাকতে পারে ভিন্ন একটা জগৎ। যেটাকে আমরা প্যারালাল ইউনিভার্স বলি। বিমান বা জাহাজ একবার সেই জগতে ঢুকে পড়লে বেরোনোর উপায় নেই।

বারমুডা ও হারানো আটলান্টিস

বারমুডা ত্রিভুজকে ঘিরে ওয়ার্মহোলের যোগসাজশের ঘটনা চাউর হয় মার্কিন বিমানচালক ব্রুস গার্নোনের কাছ থেকে। তাঁর দাবি, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল পার হওয়ার সময় একবার তিনি প্রবল ঝড়ের মুখে পড়েন। ঝড় ও মুহুর্মুহু বজ্রপাতে তাঁর বিমানটি যখন ক্র্যাশ ল্যান্ডিংয়ের মুখে, তখনই ঘন মেঘের মধ্যে একটা সুড়ঙ্গের দেখা পান ব্রুক। বিমান চালিয়ে দেন সেটার ভেতর দিয়ে। তখন নাকি অলৌকিকভাবে বিমানের গতিবেগ বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণ। এ সময় তিনি কন্ট্রোল বেসের রাডারের সঙ্গেও যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, সুড়ঙ্গের ভেতর তিনি মোট ৩ মিনিটে ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। মিনিটে ৫০ কিলোমিটার ২০২১ সালেও কোনো বিমানের জন্য স্বপ্ন। সেখানে ১৯৭০ সালে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি ব্রুসের।

কেউ কেউ আবার আরেক কাঠি সরেস। আড়াই সহস্রাব্দ আগে গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে লুকিয়ে আছে আস্ত এক মহাদেশ। আটলান্টিস। বারমুডা-গুজবপ্রেমীদের অনেকের বিশ্বাস, শয়তানের ত্রিভুজের ঠিক নিচে রয়েছে আটলান্টিস। রহস্যময় আটলান্টিসেই হারিয়ে যায় জাহাজ আর বিমানগুলো।

বারমুডা রহস্য নিয়ে কতশত রিপোর্ট লেখা হয়েছে। ফেনিয়ে-ফাঁপিয়ে। গত শতাব্দীর আশির দশকে ইউরোপ-আমেরিকার ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর খ্যাতি ছিল চটকদার সংবাদ ছাপার জন্য। সত্যি হোক কিংবা মিথ্যা, বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করত চোখ বুজে। শুধু পত্রিকাই–বা বলি কেন, বইয়ের ভূমিকা কি কম? কোনো গুজবকে সত্যি প্রমাণ করার চেষ্টা করলে সে বইয়ের কাটতি বাড়ে বহুগুণ। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে শত শত বই লেখা হয়েছে। সেগুলোর কিছু কিছু বিক্রি হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন কপি। তৈরি হয়েছে সিনেমা, এমনকি টিভি সিরিজও। অর্থাৎ বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে সেকালে রমরমা এক ব্যবসা হয়েছিল। এ যুগেও থেমে নেই, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে খোঁজ করলেই বারমুডা রহস্যকে পুঁজি করে তৈরি হাজার হাজার পোস্ট কিংবা ভিডিওর খোঁজ মিলবে।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই, কেউ কেউ দিয়েছেন আজব সব থিওরি। যেমন কেউ বলেছেন, এখানে শয়তানের আস্তানা, শয়তান টেনে নিয়ে যায় এসব জাহাজ আর বিমান। কেউ বলেন, এখানে আসলে এলিয়েনদের বেসক্যাম্প আছে; এ জন্যই এখানে অদ্ভুত আলো দেখা যায়। এখানে ঢুকলে কম্পাস কখনো কখনো অদ্ভুত আচরণ কেন করে, সেটার পেছনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের।

গুজবের বৈজ্ঞানিক ব্যবচ্ছেদ

বিজ্ঞানে অমীমাংসিত রহস্যের ঠাঁই নেই। যতক্ষণ কোনো তত্ত্ব প্রমাণ না হচ্ছে, ততক্ষণ সেটা তত্ত্ব হিসেবে মর্যাদা পায় না। সেটাকে ধ্রুব সত্যি বলেও কোনো বিজ্ঞানী দাবি করবেন না। ওয়ার্মহোল তাত্ত্বিক বা গাণিতিকভাবে যতই যৌক্তিক হোক না, পৃথিবীর বুকে ওয়ার্মহোল তৈরি হবে, এ কথা স্বয়ং আইনস্টাইনকেও বিশ্বাস করানো যেত না। তিনি বেঁচে থাকলে বিশ্বাসও করতেন না এ যুগের কোনো বিমানের পক্ষে ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব। সুতরাং সবচেয়ে সহজ অঙ্ক এখানে ব্রুস সত্যি বলেননি। অথবা ওই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে।

এত এত মানুষ বলছে রহস্যের কথা, তার কি কোনো মূল্য নেই? আছে, তবে আসলেই যদি রহস্য হয়। গুজব রটনাকারীরা যত গুজব রটিয়েছে, গবেষকেরাও বারমুডা নিয়ে তত গবেষণা করেছেন। বিজ্ঞানীরা দুর্ঘটনার আরেকটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। ট্রায়াঙ্গল এলাকায় প্রচুর মিথেন হাইড্রেড গ্যাসের উৎস আছে। সেসব উৎস থেকে বেরিয়ে আসা বুদ্‌বুদের ঝাঁক। লক্ষ–কোটি বুদ্‌বুদের কারণে কমে যায় পানির ঘনত্ব। পানির ঘনত্ব কমে যাওয়া মানেই জাহাজের জন্য সেটা দুঃসংবাদ। মুহূতের্র মধ্যে ডুবে যাবে অতি আধুনিক জাহাজও। এ কারণেই পানির অতি ঘনত্বের কারণে ডেড সিতে জাহাজ কেন, সাঁতার না জানা মানুষও অনায়াসে ভেসে থাকতে পারে।

তবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের সবচেয়ে নিয়ামক মিডিয়া হিপোক্রেসি। আর পেছনে রয়েছে ব্যবসায়িক কারণ। আর্নেস্ট ট্যাভেস ও ব্যারি সিংগার দীর্ঘদিন পাখির চোখ রেখেছেন ওই অঞ্চলের ওপর। সঙ্গে শয়তানের ত্রিভুজ নিয়ে লেখা ট্যাবলয়েডের প্রবন্ধ ও বইপত্রের দিকেও রেখেছেন সতর্ক দৃষ্টি। বারমুডা ত্রিভুজ নিয়ে একশ্রেণির কলম ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত কৌশলে মিথ তৈরি করেছেন। তারপর কিছু দুর্ঘটনার সঙ্গে মিথগুলো মিশিয়ে, তাতে রং চড়িয়ে করেছেন বাণিজ্য। এসব কাহিনি পাঠক খায়, তাই ট্যাবলয়েডের সম্পাদক ও বইয়ের প্রকাশকদের পোয়াবারো!

তাই বলে সব লেখকই মিথ নিয়ে বাণিজ্য করেননি, কেউ কেউ রীতিমতো গবেষণা করে কলম দেগেছেন মিথ ব্যবসায়ীদের তথ্য-প্রমাণের অসারতা প্রমাণ করতে। মার্কিন লেখক ল্যারি কুশে তাঁদেরই একজন। ১৯৭৫ সালে তিনি বারমুডা রহস্যের মিথকে নাকচ করে দিয়ে লেখেন একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণাত্মক বই দ্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মিস্ট্রি: সলভড। বইয়ে তিনি তোপ দেগেছেন গ্যাডিসের বিরুদ্ধে, যিনি প্রথম বারমুডা ট্রায়াঙ্গল শব্দবন্ধের সঙ্গে এর মিথকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শুধু গ্যাডিস নন, মিথের অন্য প্রচারকদের বিরুদ্ধেও একহাত নিয়েছিলেন কুশে। বলেছিলেন এসব লেখক সস্তা জনপ্রিয়তা আর টাকার লোভে অনেক ঘটনার অতিরঞ্জন করেছেন। কখনো ঘটেনি, এমন কাল্পনিক দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন বারমুডা ত্রিভুজের ওপর। আবার ত্রিভুজের বাইরে ঘটা অনেক ঘটনাকেই ত্রিভুজের নামে চাপিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

কুশে একটা হিসাব কষে দেখেছেন, আসলেই কতটা ভয়াবহ ওই ত্রিভুজ। তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সাগর-মহাসাগরের দুর্ঘটনার খতিয়ান ঘেঁটে দেখেছেন। সারা বিশ্বের গড় দুর্ঘটনার চেয়ে বারমুডা অঞ্চলে গড় দুর্ঘটনার পরিমাণ মোটেও বেশি নয়। বারমুডা নিয়ে হইচই বেশি হয় বলেই, ঘটনাগুলো রহস্যময় হয়ে ওঠে। আরেকটা ব্যাপারও কিন্তু অতিপ্রাকৃতিক রহস্যের ব্যাপারটাকে খারিজ করে দেয়। জাহাজ আর বিমান দুর্ঘটনার কথাই শোনা গেছে। ওখানে যদি সত্যিই রহস্যময় কিছু থাকে, সেগুলো হাপিস করে দেয় নৌযান আর বিমানকে, তাহলে অন্য যানবাহনগুলো কেন নয়। মজার ব্যাপার হলো, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল অঞ্চলে অনেক ছোট–বড় দ্বীপ আছে। সেসব দ্বীপে দিব্যি মানুষ আর পশুপাখিরা বাস করছে। শয়তানের রোষ তাদের ওপর কেন পড়ছে না? অভিশাপ নিয়েও সেসব অঞ্চলে মানুষ দিনের পর দিন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে! ওসব এলাকায় স্থলভাগের যেসব গণপরিবহন রয়েছে, সেগুলো কেন হাপিস হচ্ছে না! তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াচ্ছে, আদৌ রহস্যময় কিছু ওখানে নেই।

কুশের অভিযোগ ও বিশ্লেষণ যে ভিত্তিহীন নয়, তার প্রমাণ মেলে ফ্লাইট নাইন্টিনের ক্ষেত্রে। দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত হয়েছিল। তদন্ত রিপোর্টে লেখা হয়েছিল, পাইলটদের ভুলের কারণেই ক্র্যাশ ল্যান্ডিং হয়েছিল। কিন্তু পাইলটের পরিবার এটা নিয়ে আপত্তি জানায়। মৃত স্বজনদের যেন ভিলেন না বানানো হয়, তার জন্য অনুরোধ করে। তদন্ত কমিশন তাঁদের অনুরোধ রক্ষা করে। রিপোর্ট সংশোধন করে দুর্ঘটনার কারণ ‘অজ্ঞাত’ লিখে দেয়। সে সংশোধিত রিপোর্ট পরে ছড়িয়ে পড়ে রহস্য হিসেবে।

তখন জিপিএস সিস্টেম ছিল না। একবার পথ হারালে, দিক ভুল করলে, সেটা সংশোধনের উপায় থাকত না। রাডার কম্পাসই তখন মূল হাতিয়ার। কোনো কারণে রাডার কম্পাস কাজ না করলে দিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। তা ছাড়া ঝড়ের কবলে দিশা হারানোর পর পাইলট যদি মনে করেন তাঁর কম্পাস ঠিক দিক নির্দেশ করছে না, তাহলে বিপদ আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। সেটাই হয়েছিল ফ্লাইট নাইন্টিনের ক্ষেত্রে। সবচেয়ে বড় সমস্যা, দিক ভুল করে বহু পথ উড়াল দিলে জ্বালানি ফুরিয়ে আসবে। তখন সঠিক দিক খুঁজে পেলেও কি রেহাই আছে? স্থল বা জলযানকে হয়তো থামিয়ে ফেলা যায় কিন্তু জ্বালানিহীন বিমানের ক্র্যাশ ল্যান্ডিং ছাড়া কোনো উপায় আছে? এখানে ত্রিভুজ এরিয়ার কী দোষ! তদন্ত কমিটির প্রথম রিপোর্টে জ্বালানি শেষ হওয়াকেই বড় কারণ বলা হয়। কিন্তু ওই রিপোর্ট তো আলোর মুখ দেখেনি।

গুজব ব্যবসার শেষ কোথায়?

এবার আসা যাক সার্চ মিশনের কথায়। বলা হয়, সার্চ মিশনে যে বিমানগুলো পাঠানো হয়েছিল, সেগুলোর কোনোটাই আর ফিরে আসেনি। আসল সত্যি হলো, সার্চ মিশনে পাঠানো হয় দুটি বিমান। এর একটি মিশন শুরুর পরপরই ক্র্যাশ করে। কারণ, এর ফুয়েল ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বিমানটিতে ২২ জন ক্রু ছিলেন। তাঁদের কেউ একজন ভুলবশত সিগারেট ধরিয়েছিলেন, এ কারণেই ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়।

তাই যদি হয়, তাহলে ফিরিয়ে আনা হলো না কেন ধ্বংসাবশেষকে? সার্চ মিশনের অন্য বিমানটি ফিরে আসে। তাঁরা ফ্লাইট নাইন্টিন ও আর সার্চ বিমানের ধ্বংসাবশেষ ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়। কারণ, সেদিনকার আবহাওয়া মোটেও ভালো ছিল না। মাঝসমুদ্রে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কোনো বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সার্চ টিমের অন্য বিমানটিও তাই ব্যর্থ হয়েছিল মিশনে। কিন্তু নিজেরা ফিরে এসেছিল নিরাপদে। ফ্লাইট নাইন্টিনকে ঘিরে অতিপ্রাকৃতিক কোনো ঘটনার যোগসাজশ খোঁজা তাই বোকামি।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেছে বিখ্যাত টিভি চ্যানেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকও। ২০১৬ সালে তারা একটা বিশ্লেষণী লেখা প্রকাশ করে। চলে পরিসাংখ্যিক বিশ্লেষণও। মার্কিন কোস্টগার্ডদের মতামত নিয়েছে তারা। সাধারণ হুজুগে লোকদের মতো মার্কিন এই বাহিনীর সদস্যরা মনে করেন না ওই অঞ্চলে কোনো অতিপ্রাকৃতিক রহস্য আছে। কিছু কিছু ঘটনা যেভাবে রং চড়িয়েছিল, আসল ঘটনা তেমন নয়। কারণ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ২০১৬ সালে প্রকাশিত তাদের একটি আর্টিকেলে একজন মার্কিন কোস্টগার্ডের বক্তব্য নেয়। সেই কোস্টগার্ডের দাবি, এমন অনেক দুর্ঘটনার গুজব পাওয়া গেছে, যেগুলোতে নাকি সার্চ টিম গিয়ে কিছুই পায়নি। আসলে যেসব ঘটনায় লাশ কিংবা ধ্বংসাবশেষ পেয়েছে, সেগুলোর খবর কেউ রাখেনি। ওসব জিনিসের ছবিও তোলার দাবি করেছেন ওই কোস্টগার্ড।

বিখ্যাত একটা রসাল কাহিনি ছড়ায় ষাটের দশকে। মেরিন সালফার কুইন নামের একটি জাহাজ গায়েব হয়। ১৯৬৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। ১৫ হাজার টন গলিত সালফার। সঙ্গে ৪০ জন ক্রু। গায়েব হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও সব ঠিকঠাক ছিল। কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া যাচ্ছিল। ৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই রেডিও সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যায়। ভোজবাজির মতো গায়েব হয়ে যায় সালফার কুইন।

মেরিন সালফার কুইন নিয়ে মাতামাতি কম হয়নি। অলৌকিকতার মিশেলে মুখরোচক গল্প ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। কিন্তু পরে দেখা যায়, এর ভবিতব্যে দুর্ঘটনাই লেখা ছিল। সাগরে চলার মতো ফিটনেসই ছিল না জাহাজটির। কোস্টগার্ড আটকে দিয়েছিল। পরে এটা প্রমাণিতও হয়। কিন্তু দোষ চাপে বারমুডা ত্রিভুজের ঘাড়ে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের হিসাবমতে, মোট ৭৫টির মতো বিমান নিখোঁজ হয়েছে ‘শয়তানের ত্রিভুজ’-এ। কেন নিখোঁজ হলো এসব বিমান? মিথেন গ্যাসের কারণে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমনটা নয় কিন্তু। কারণ, মিথেন বাবল বিমান চলাচলে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারে না।

এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী স্টিভ মিলার। তিনি পেশায় একজন উল্কা গবেষক ও স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞ। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকার ছবি নিয়ে তিনি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। তারপর জানান, ওই এলাকায় বিশেষ এক মেঘের দেখা পাওয়া যায়। সেগুলোর আকৃতি অনেকটা ষড়ভুজের মতো। এই মেঘের কারণে ওই এলাকায় সমুদ্রঝড় নিয়মিত ঘটনা। সমুদ্রে এসব এলাকার গালভরা একটা নাম আছে—ট্রপিক্যাল সাইক্লোন জোন। এই জোনে ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটারের বেশি। এসব মেঘের কবলে পড়ে হারিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানগুলো।

একটা কথা ঠিক, বারমুডা ত্রিভুজ এলাকার বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষই হারিয়ে যায়। এর মূল কারণ গালফ স্ট্রিম বা উষ্ণ স্রোত। ম্রেক্সিকো উপসাগর থেকে উষ্ণ স্রোত প্রবাহিত হয় ফ্লোরিডার দিকে। এই স্রোতের তোড় মাঝে মাঝে এমন থাকে যে দ্রুত জাহাজের ধ্বংসাবশেষকে ভাসিয়ে নেওয়া কোনো ব্যাপারই নয়।

হারানো আটলান্টিস নিয়ে তত্ত্ব প্লেটো দাঁড় করিয়েছিলেন, আধুনিক বিজ্ঞানের বাস্তবতায়, তার অস্তিত্বের প্রশ্নই ওঠে না। তেমনি কলম্বাসের কাহিনিরও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। কলম্বাস ছিলেন আমেরিকায় দূরদেশ থেকে আগন্তুক এক নাবিক। সেখানকার সমুদ্র, স্থলভাগ হাতের তালুর মতো চিনতেন না। তাই তাঁর ভুল করার অনেক কারণই আছে। তাঁর নাবিকদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কম্পাস কাজ না করার কারণ, আগেই বলেছি। নিজেরাই দিকভ্রান্ত হয়ে ভুল দিককে ঠিক মনে করলে কম্পাসকে ভুল মনে হবেই। আর ভুতুড়ে আলোর নাচন নানা কারণে হতে পারে। সবচেয়ে বড় কারণ হয়তো গভীর সমুদ্রে মাঝধরা জেলেনৌকাগুলো। জেলেনৌকায় যদি আলো থাকে, সেসব আলো দূর থেকে দেখে মধ্যযুগের নাবিকদের ভুল করা অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া ছোট–বড় দ্বীপ রয়েছে। সেসব দ্বীপের বাসিন্দাদের জ্বালানো আগুন দেখেও নাবিকদের ভুল হতে পারে।

সব কথার শেষ কথা হলো, গুজব ব্যবসা। অসাধু লেখক আর ব্যবসায়ীরা গুজবকে পুঁজি করে, কল্পনার ফানুস উড়িয়ে ভয়-তরাসে সব গল্প ফেঁদে বাস্তব দুর্ঘটনাকে নিয়ে গেছে অতিলৌকিক রহস্যের জগতে। আর এসব গল্পের কাটতি যে সব যুগেই ছিল, এ যুগেও আছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইউটিউব আর টিকটকের যুগে সেই গুজব আরও ডালপালা মেলেছে।

(শেষ)

সূত্র:

১. বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল/ব্রিটানিকা ডট কম

২. ইনভিজিবল হরাইজন/ভিনসেন্ট গ্যাডিজ

৩. দ্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মিস্ট্রি: সলভড/ ল্যারি কুশে

৪. বারমুডা ট্রায়াঙ্গল: হোয়ার ফ্যাক্টস ডিস্যাপায়ার/ বেঞ্জামিন র্যাডফোর্ড- লাইভ সায়েন্স ডট কম- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০

৫. উইকিপিডিয়া


#সংগৃহীত


পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ফলের নাম কী?

$
0
0

পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ফলের নাম কী?

পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ফলের নাম ডুমুর

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-3cd13e713bc01f961cff8af9c7790ee6-lq

সত্যি কথা বলতে কি পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ফলের নাম আমিও জানতাম না। প্রশ্নটা তাই মনে ধরেছিল। এই নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে দেখলাম অনেকেই আম-কে বিশ্বের মিষ্টিতম ফল বলছে। তবে আমাদের ইংরেজি ‘কোরা’য় কিন্তু অন্য তথ্য পাওয়া গেল। সেখানে বলা হয়েছে, আম নয়, সবচেয়ে মিষ্টি ফলের তকমা পেতে পারে ডুমুর (ফিগস)।

আমি বরং সেটাই একটু শোনাই। ৫,১০০ ভিউ হয়েছে এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে ‘কোরা’ ইংরেজি-তে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে আসলে সবচেয়ে মিষ্টি ফল বলে কিছু হয় না। মিষ্টতা ব্যাপারটি যেহেতু স্বাদঘটিত একটি অনুভুতি, তাই সব মানুষ মিষ্টির স্বাদ একই ভাবে গ্রহণ করেন না। সুতরাং, স্বাদে মিষ্টি লাগা আর তাতে থাকা সুগারের পরিমান, সমতুল্য নাও হতে পারে।

কতটা সুগার আছে এই বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে সুগার-সমৃদ্ধ ফলের নাম ডুমুর। একটা মাঝারি আকারের ডুমুরে ৮ গ্রাম পরিমান সুগার থাকে।

এবারে তুলনামূলক আলোচনায় আসা যাক। একটি গোটা আমে আনুমানিক ৪৬ গ্রাম সুগার থাকে, এক কাপ আমে থাকে ২৩ গ্রাম। কোন ধরনের ডুমুর তার বিচারে এক কাপে ৩-৪টি ডুমুর ধরে যায়। সেই হিসেবে এক কাপ ডুমুরে প্রায় ৩২ গ্রাম সুগার পাওয়া যাবে।

তথ্যসূত্র: ১) What are the sweetest fruits? ২) ছবির জন্য গুগল

#সংগৃহীত

ছেলেরা কেন এতো নিজের স্ত্রীকে ভয় পায়?

$
0
0

ছেলেরা কেন এতো নিজের স্ত্রীকে ভয় পায়?

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-088f45539ef4e366b085ca9aba3e01d8

সম্পূর্ণ অচেনা একটা নারী ও একটি পুরুষ যখন পরস্পরকে দেখে, তখন তাদের মনে দুই ধরণের চিন্তা কাজ করে।

    1. পুরুষ চিন্তা করে সৌন্দর্য
    2. নারী চিন্তা করে বিপদ

পুরুষ কেন সৌন্দর্য চিন্তা করে, সে ব্যাপারে কোন ব্যখ্যা দরকার নেই। তবে নারী কেন বিপদ চিন্তা করে, সেটার সামান্য ব্যখ্যা দরকার।

মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মৃত্যু। নারীদের জন্য এর চেয়ে একটু ছোট বিপদ হলো - ইজ্জত হারানো। নারীর ইজ্জত হরণ করার মতন অস্ত্র (!) সকল পুরুষের সাথেই থাকে। তাছাড়া পুরুষ শারীরিকভাবে বেশী শক্তিশালী। এ কারণেই নারীরা পুরুষকে বিপজ্জনক মনে করে, পুরুষকে ভয় করে।

এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গ। আপনি সুপারম্যান এর সাথে মারামারি করছেন। ছুরি দিয়ে আঘাত করলেন, কিছু হয় না। বন্দুক দিয়ে গুলি করলেন, কিছু হয় না। কামান, মেশিন গান, মিসাইল, সবই চেষ্টা করলেন । কোন কিছুই সুপারম্যানকে আহত করতে পারে না। অবশেষে আপনি পারমাণবিক বোমা হামলা করলেন। অবাক ব্যাপার, তাতেও সুপারম্যান আহত হলো না। এবার আপনি চিন্তা করুন, সেই সুপারম্যান আপনার কাছে কতটা ভয়ঙ্কর। সবচেয়ে বড় অস্ত্র পারমাণবিক বোমাতেও সে আহত হয় না। আপনি তার কাছে দুর্বল। আপনি সেই সুপারম্যানকে ভয় করেন।

এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। নারীরা যে কারণে পুরুষকে সবচেয়ে বেশী ভয়ে করে, সেটা হলো ইজ্জত হারানোর ভয়। মজার ব্যাপার, স্বামীর কাছে তো ইজ্জত হারানোর ভয় থাকে না। অর্থাৎ, নারী জাতিকে বিপদে ফেলার জন্য পুরুষের সবচেয়ে শক্তিশালী যে অস্ত্র আছে, সেটা নিজের স্ত্রীর উপরে কাজ করে না।

সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যাকে কাবু করতে পারেনা, সে খুবই ভয়ঙ্কর। এজন্যই সবাই স্ত্রীকে এত ভয় করে।

#সংগৃহীত

দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক নির্মিত জামে মসজিদ

$
0
0

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-861f408805b1758be817f1ad46df43e4-lq


দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক নির্মিত ফিরোজ শাহ কোটলার জামে মসজিদে সালাত আদায় করছে মুসল্লিরা।

১৪শ শতাব্দীতে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়।অতীতে এটি দিল্লীর সবচেয়ে বড় মসজিদ ছিল।এখনও মসজিদের কিছু অংশ টিকে আছে। এটি ইন্ডিয়ার অন্যতম ঐতিহাসিক একটা মসজিদ যেখানে এখনো সালাত আদায় করা হয়।

তৈমুর লং ১৩৯৮ সালে এই মসজিদে ইবাদাত ও পরিদর্শনের জন্য আসেন।মসজিদের স্থাপত্যশৈলি তাকে এতটাই মুগ্ধ করে যে তিনি সমরকন্দে এরকম ডিজাইনে একটা মসজিদ নির্মাণ করেন।

#সংগৃহীত

মানচিত্রে প্রাচীন বাংলার জনপদ

$
0
0

প্রশ্ন ছিলঃ প্রাচীন বাংলার মানচিত্র অঙ্কনকরে জনপদগুলো নামসহ বর্তমান অবস্থান চিহ্নিত কর?

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-fb626691f0a4b4ce628b7f22558eba10-lq

উত্তরঃ * মানচিত্রে প্রাচীন বাংলার জনপদ **

* বঙ্গ- কুষ্টিয়া, যশোর, নদীয়া, ঢাকা, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ।
* সমতট- কুমিল্লা ও নোয়াখালী।
* হরিকেল- পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা ও সিলেট।
* গৌড়- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, মালদহ ও পশ্চিম দিনাজপুর।
* বরেন্দ্র- বগুড়া, পাবনা ও রাজশাহীর অংশবিশেষ।
* পুণ্ড্র- বগুড়া, রাজশাহী ও রংপুর-দিনাজপুর জেলার অংশ।
* চন্দ্রদ্বীপ- বরিশাল (বাকলা, ইসলামপুর)।

এটা কি আসলেই সত্য ??
যে জানেন জানাতে পারেন বিস্তারিত

#সংগৃহীত

স্বাধীনতার ৫০ বছর: সরকার প্রধানেরা যেভাবে ক্ষমতায় এলেন ও গেলেন

$
0
0

https://ichef.bbci.co.uk/news/800/cpsprodpb/17FAC/production/_117302289_4b580586-69b2-4b7c-b148-a7440003bb0d.jpg.webp

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে গত পঞ্চাশ বছরে যারা সরকার প্রধান ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ রাষ্ট্রপতি, কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ প্রধান উপদেষ্টা আবার কেউ সামরিক শাসন জারি করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেছেন।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার করে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। আবার ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পুন:প্রবর্তন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।

তবে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ এবং দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো প্রায় তের বছর আর প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রথমে সামরিক আইন প্রশাসক ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রায় নয় বছর দেশ শাসন করেছেন।
বিজ্ঞাপন

কিন্তু গত পঞ্চাশ বছরে সরকার প্রধানরা কিভাবে ক্ষমতায় এলেন আর কিভাবে বিদায় নিলেন?

শেখ মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনিই ছিলেন তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি হিসেবেই শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরেন ১০ই জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।

কিন্তু ১২ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ।

কারণ এগারই জানুয়ারি তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্তের পর শেখ মুজিবুর রহমান কিছু সাংবিধানিক নির্দেশ জারি করেন এবং সে অনুযায়ী সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

আর নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। বিচারপতি চৌধুরীর পর তখনকার স্পীকার মুহম্মদুল্লাহ্ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে বাকশাল গঠনের পর আবারো রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন শেখ মুজিবুর রহমান।

কিন্তু এর কয়েক মাস পর অগাস্টের ১৫ তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।

খন্দকার মোশতাক আহমাদ

পনেরোই অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা, খন্দকার মোশতাক আহমাদকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করেন। একই দিন মি. আহমাদ দেশে সামরিক আইন জারী করেন।

তবে বাংলাদেশের রাজনীতির সেই ভয়ংকর অস্থির সময়ে সামরিক অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের জের ধরে পঁচাত্তরের ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

তেসরা নভেম্বর এক সামরিক অভ্যুত্থান মি. আহমাদের পতন ডেকে আনে। সেদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক একজন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি ও দু'জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ চারজন শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করে সেনা বাহিনীর কয়েকজন অফিসার।

তিন দিন পর খন্দকার মোশতাক আহমাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন।

আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম

তেসরা নভেম্বরের অভ্যুত্থানে সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান পদচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের নেতা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজেকে সেনা প্রধান ঘোষণা করেন এবং ছয়ই নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন।

পরের দিন বদলে যায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। সিপাহী বিদ্রোহতে নিহত হন তেসরা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের নায়ক খালেদ মোশাররফ, সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আবার চলে যায় জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।

তবে বিচারপতি সায়েম ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে বহাল ছিলেন, যদিও ক্ষমতার চাবি-কাঠি ছিল জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।

জিয়াউর রহমান

সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের জের ধরে ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বর রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়াউর রহমান।

তাকে চিফ অফ আর্মি স্টাফ এবং উপ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম।

এরপর ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সায়েমকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ।

এক বছর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করেন জেনারেল রহমান, এবং ১৯৭৮ সালের তেসরা জুন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। একই বছর পহেলা সেপ্টেম্বরে নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান, যার নামকরণ হয় বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি।

উনিশ'শএকাশি সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান।

আব্দুস সাত্তার ও আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্সান উদ্দীন চৌধুরী

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

উনিশ'শ বিরাশি সালের ২৪শে মার্চ তৎকালীন সেনা প্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান তিনি ও রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্সান উদ্দীন চৌধুরী।

কিন্তু ২৭শে মার্চ ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব শুরু করে ১৯৮৩ সালের এগারই ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে সরে যান তিনি।

জেনারেল এরশাদ

উনিশ'শ বিরাশি সালের ২৪শে মার্চ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক শাসন জারি করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রেডিও টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে সেদিন তিনি বলেছিলেন, "জনগণের ডাকে সাড়া দিতে হইয়াছে, ইহা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিলোনা"।

এরপর ১৯৮৬ সালে নির্বাচনের আয়োজন করে আবারো রাষ্ট্রপতি হন তিনি এবং শেষে প্রবল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর।

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। সকল বিরোধী দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ একটি 'নিরপেক্ষ নির্দলীয় কেয়ারটেকার' সরকার গঠন করেন, যার একমাত্র দায়িত্ব ছিল তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।

তার শাসনামলে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি।

খালেদা জিয়া

উনিশ'শ একানব্বই সালের অগাস্টে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী পাশ হলে সতের বছর পর আবার সংসদীয় সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ওই বছরের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার প্রধান হন।

একই বছর অক্টোবরে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ বিদায় নেয়ার পরে রাষ্ট্রপতি হন আব্দুর রহমান বিশ্বাস।

খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ দিকে বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে।

ওই আন্দোলনের মধ্যেই ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন হলেও তা বর্জন করে আওয়ামী লীগসহ তখন অধিকাংশ বিরোধী দল।

ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিরোধ আরও জটিল হয়ে ওঠে।

নির্বাচনে জিতলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সংবিধান সংশোধনের পর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি।

ত্রিশে মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেন খালেদা জিয়া।
১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা

বিচারপতি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তার শাসনামলে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদের পর রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ।

পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।

মিস্টার রহমানের অধীনে ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

দু'হাজার ছয় সালের ২৯শে অক্টোবর প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনের জন্য শপথ নেন প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।

আবার খালেদা জিয়া

দু'হাজার এক সালের অক্টোবরে দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তার এই মেয়াদের শেষ দিকে এসে সংবিধানের একটি সংশোধনীকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো আবারো আন্দোলন গড়ে তোলে।

এ মেয়াদে নতুন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন অধ্যাপক ড: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ।

শেষ পর্যন্ত তীব্র আন্দোলনের মুখেও পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করে মিস্টার আহম্মেদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন খালেদা জিয়া।

কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপক সহিংসতা রূপ নিলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।

ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ।

দু'হাজার সাত সালের ১২ই জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক একজন গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।

সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রায় দু বছর সরকার প্রধান ক্ষমতায় ছিলেন তিনি, যদিও তার পদবী ছিলো প্রধান উপদেষ্টা।

তার সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের উনত্রিশে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়ে আবারো ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তার হাতেই ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন মিস্টার আহমদ।

আবারো শেখ হাসিনা

মূলত শেখ হাসিনাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের সরকার প্রধান। দু'হাজার নয় সালের ৬ই জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি তৃতীয় বার এবং ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এখনো সরকার প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করছেন তিনি।

তবে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও এর পরের নির্বাচনগুলো শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হয়েছে।

এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নিলেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

আবার ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মেয়াদ শেষে ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মোঃ জিল্লুর রহমান।

দু'হাজার তের সালের ২০শে মার্চ তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ।


সুত্র ঃ বি বি সি

Viewing all 15150 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>