Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all 15150 articles
Browse latest View live

স্বাধীনতার ৫০ বছর: পাঁচটি সেনা অভ্যুত্থান ও হস্তক্ষেপ

$
0
0

https://ichef.bbci.co.uk/news/624/cpsprodpb/17644/production/_97121859_28c66021-f2bb-4641-9e98-7d90e1060c56.jpg.webp


স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল তার হাতে ধরে পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান এবং পাল্টা-অভ্যুত্থান হয়।

এসব অভ্যুত্থান এবং পাল্টা অভ্যুত্থানের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশ নিমজ্জিত ছিল সামরিক শাসনের মধ্যে।

প্রতিটি ঘটনার প্রভাব রাজনীতি ও সেনাবাহিনীর উপর ছিল বেশ সুদূরপ্রসারী।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ বছরই কেটেছে প্রত্যক্ষ সামরিক শাসন এবং সেনাবাহিনীর প্রভাবে। ।

স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় এক অভ্যুত্থানে মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে সেটি অনেককে বেশ চমকে দিয়েছিল।

পরবর্তীতে আরো কয়েকটি অভ্যুত্থান এবং পাল্টা-অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। এছাড়া বেশ কিছু অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টাও হয়েছে।

যেসব অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনীতির খোল-নলচে বদলে দিয়েছিল সেগুলো কিভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে এসব ঘটনা ঘটেছিল?

১৯৭৫ সালের ১৫ইঅগাস্ট

উনিশ'শ পঁচাত্তর সালের ১৫ই অগাস্ট বিয়োগান্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছিল সেনাবাহিনীর একদল অফিসার। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল।

শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবার জন্য ঢাকা সেনানিবাসে কিছু জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা নানা ফন্দি-ফিকির করছিল। কিন্তু কেউ আঁচ করতে পারেনি যে এতো বড় একটা ঘটনা ঘটে যাবে।

উনিশ'শ পঁচাত্তর সালের সে সময়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন কর্নেল হামিদ। তার লেখা 'তিনটি সেনা অভ্যুত্থান' বইতে সে সময়ের বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে।

কর্নেল হামিদ লিখেছেন, " মুক্তিযোদ্ধা জুনিয়র অফিসারদের মধ্যে বেশ কিছু তরুণ বিক্ষুব্ধ অফিসার প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিল।''

''অনেকই গোপনে কিছু একটা করার পথ খুঁজছিল, তবে এসব অভ্যুত্থান ঘটনার মতো বড় বিপদ হিসেবে ধর্তব্যের মধ্যে আনা হয়নি।"

সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা।

সে সময় ঢাকা সেনানিবাসে লেফট্যানেন্ট কর্নেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন আমিন আহমেদ চৌধুরী, যিনি পরে মেজর জেনারেল হয়েছিলেন। মি: চৌধুরী ২০১৩ সালে মারা যান।

দু'হাজার দশ সালে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট ভোর পাঁচটার দিকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একজন সেনা কর্মকর্তা মেজর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা তার বাড়ি ঘিরে ফেলে।

জিয়াউর রহমানের প্রতিক্রিয়া

আমিন আহমেদ চৌধুরী তখনো জানতেন না যে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।

মেজর রশিদের নেতৃত্বে সৈন্যরা আমিন আহমেদ চৌধুরী এবং তৎকালীন কর্নেল শাফায়াত জামিলকে নিয়ে যায় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাড়িতে। জেনারেল জিয়া তখন সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান।

জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ঢোকার সময় রেডিওর মাধ্যমে আমিন আহমেদ চৌধুরী জানতে পারেন যে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।

"জেনারেল জিয়া একদিকে শেভ করছেন একদিকে শেভ করে নাই। স্লিপিং স্যুটে দৌড়ে আসলেন। শাফায়াতকে জিজ্ঞেস করলেন, 'শাফায়াত কী হয়েছে?' শাফায়াত বললেন, 'অ্যাপারেন্টলি দুই ব্যাটালিয়ন স্টেজড্ এ ক্যু। বাইরে কী হয়েছে এখনো আমরা কিছু জানি না। রেডিওতে অ্যানাউন্সমেন্ট শুনতেছি প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন।''

'' তখন জেনারেল জিয়া বললেন, সো হোয়াট? লেট ভাইস প্রেসিডেন্ট টেক ওভার। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ পলিটিক্স।"

মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন আওয়ামীলীগের একজন সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।

হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অফিসাররা তাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগে থেকেই ভাবছিলেন যে মুজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে তার পরিবর্তে কাকে ক্ষমতায় বসানো হবে।

সেজন্য তারা গোপনে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার মনোভাব জানার চেষ্টা করেছে কিংবা তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার চেষ্টা করেছে।

'পাকিস্তানপন্থী' মোশতাক আহমেদ

শেখ মুজিবকে হত্যার দুই সপ্তাহ আগে খন্দকার মোশতাক আহমদের সাথে যোগাযোগ করেন সেনা কর্মকর্তা রশিদ।

মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর মি. রশিদ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন কর্নেল হামিদের সাথে।

কর্নেল হামিদের বর্ণনা অনুযায়ী, "মোশতাক আহমদ শেখ সাহেবের সর্বশেষ কার্যকলাপে সন্তুষ্ট ছিলেন না। মুক্তির উপায় খুঁজছিলেন। অতএব রশিদ তা সাথে কথাবার্তা বলে সহজেই বুঝতে পারে, প্রয়োজন মুহূর্তে এই বুড়োকে ব্যবহার করা যাবে"

আওয়ামী লীগের ভেতরে অনেকে খন্দকার মোশতাক আহমেদকে 'পাকিস্তানপন্থী' বলে মনে করতেন।

মোশতাক আহমদ ৮৩দিন রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এসময় শেখ মুজিব হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। তিনি ক্ষমতায় থাকার সময় 'জয়বাংলার' পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' শ্লোগান চালু করেন।

প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরীর লেখা 'এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য: স্বাধীনতার প্রথম দশক' বইতে উল্লেখ করা হয়েয়ে, খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি হাবার পরে বাংলাদেশ-বিরোধী ও পাকিস্তানপন্থী কিছু ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপদে বহাল করেন।

জেনারেল চৌধুরী লিখেছেন, এ সময় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে বেশ তৎপর হয়ে উঠলো।

১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর

মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি হলেও ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত ঘাতক জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা।

বঙ্গভবন থেকে তারাই সবকিছু পরিচালনা করতেন। এসব কার্যকলাপ সামরিক বাহিনীর অনেক সিনিয়র অফিসার সহ্য করতে পারছিলেন না।

শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সাথে জড়িত জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা তখন এতোটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেন যে তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবার কথা অনেকেই ভাবেনি।

প্রয়াত মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী তার বইতে এ সংক্রান্ত একটি উদাহরণ তুলে ধরেন।

জেনারেল চৌধুরী লিখেছেন, রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাকের সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল এমএজি ওসমানী মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তেমন একটা পছন্দ করতেন না।

মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফকে বেশি পছন্দ করতেন জেনারেল ওসমানী।

জেনারেল চৌধুরীর বর্ণনায়, "মেজর ফারুক-রশিদ এবং তাদের সহযোগীদের চাপে খন্দকার মোশতাক মুজিব হত্যার পর জেনারেল জিয়াকে সেনা প্রধান করেন। সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে জেনারেল ওসমানী হয়তো তখন রাষ্ট্রপতির ওপর কোনরূপ প্রভাব খাটাতে পারেন নি।"

জিয়া আর খালেদ মোশারফের মধ্যে দ্বন্দ্ব

তৎকালীন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ এবং তার অনুগতরা মনে করতেন যে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের সমর্থনে হত্যাকারী অফিসাররা এতোটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এছাড়া মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফের মধ্যে চলছিল চরম দ্বন্দ্ব।

কারণ, মুজিব হত্যার পর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ।

কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যাকাণ্ড

তেসরা নভেম্বর খালেদ মোশারফ তিনটি দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবি ছিল - ট্যাংক ও কামান বঙ্গভবন থেকে ক্যান্টনমেন্টে ফেরত পাঠানো, জিয়াউর রহমানের সেনাপ্রধান না থাকা এবং বঙ্গভবনে ফারুক-রশিদের কর্তৃত্বের অবসান ঘটিয়ে তাদের ক্যান্টনমেন্টে ফেরত পাঠানো।

এসব দাবি নিয়ে বঙ্গভবনের সাথে সারাদিনই তাদের আলাপ-আলোচনা চলে। দরকষাকষির একপর্যায়ে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেবার প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ।

তেসরা নভেম্বর সন্ধ্যার পরে ফারুক-রশিদসহ ১৭জন বাংলাদেশে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন।

এদিকে খালেদ মোশারফের অভ্যুত্থান যখন সংগঠিত হচ্ছিল, তখন রাতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আট থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের চার সিনিয়র নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এজন্য ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠছিলেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ। সেনানিবাসের ভেতরে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা তৈরি হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত ১৯৭৫ সালে ৩রা নভেম্বর রাতে পাল্টা আঘাত করেন জেনারেল খালেদ মোশারফ। সংগঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থান।

শুরুতেই বন্দি করা হয় সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে।

ঢাকায় কখন এক যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলো। বঙ্গভবনের উপর দিয়ে যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে লাগলো।

তখনকার পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন লে. কর্নেল এমএ হামিদ।

তিনি লিখেছেন, " বঙ্গভবন আর ক্যান্টনমেন্ট তখন দুটি পৃথক দেশ। ... যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের প্রবল আশংকা দেখা দিল। বঙ্গভবনে অবস্থিতি ফারুক-রশিদের ট্যাংক ও আর্টিলারি বাহিনী, ক্যান্টনমেন্টে রয়েছে খালেদ-শাফায়াতের পদাতিক বাহিনী।"

১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর

খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান ছিল ক্ষণস্থায়ী। এটি টিকে ছিল মাত্র চারদিন।

তখনকার সেনা কর্মকর্তাদের লেখা বিভিন্ন বই থেকে এ ধারণা পাওয়া যায়, ৩রা নভেম্বর অভ্যুত্থানের পর খালেদ মোশারফ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চাননি।

খালেদ মোশারফের প্রধান লক্ষ্য ছিল, জিয়াউর রহমানকে সরিয়ে সেনাপ্রধান হওয়া।

লে. কর্নেল হামিদ লিখেছেন, "বঙ্গভবনে খালেদ মোশারফ যখন প্রেসিডেন্ট মোশতাকের সাথে দরকষাকষিতে ব্যস্ত, তখন তার অজান্তেই ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে বিভিন্ন ইউনিটের সৈনিকবৃন্দ এবং জাসদের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা আঘাত আনার গোপন প্রস্তুতি শুরু করে। "

ছয়ই নভেম্বর সন্ধ্যার সময় ঢাকা সেনানিবাসে কিছু লিফলেট বিতরণ করা হয়।

ঢাকা সেনানিবাসে তখন মেজর হিসেবে কর্মরত ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, যিনি পরবর্তীতে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছিলেন।

সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ একটি লিফলেট তার হাতে পৗঁছায়। সে লিফলেটে সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যার ইংগিত ছিল পরিষ্কার।

দু'হাজার সতেরো সালে বিবিসি বাংলার কাছে এক সাক্ষাৎকারে মি: ইব্রাহিম সে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেছিলেন এভাবে, " সে লিফলেটে লেখা ছিল , সৈনিক-সৈনিক ভাই-ভাই, অফিসারদের রক্ত চাই। এ থেকে আমি বুঝলাম রাতে কিছু একটা হবেই হবে। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথমত নিজেকে বেঁচে থাকতে হবে, দ্বিতীয়ত: সেনাবাহিনীকে বাঁচাতে হবে। "

রাত ১২টা বাজতেই গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ঢাকা সেনানিবাস। ব্যারাক ছেড়ে সৈন্যরা দলে-দলে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে রাস্তায় নেমে আসে।

সাতই নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনা করেছিলেন সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া কর্নেল মো: আবু তাহের। সাথে ছিল বামপন্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ।

সে সময় কর্নেল তাহেরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন, যিনি পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন।

উনিশ'শ পঁচাত্তর সালের সে সময়টিতে আনোয়ার হোসেন ঢাকায় জাসদের গণবাহিনীর প্রধান ছিলেন।

মি: হোসেনের বর্ণনায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চিন্তা ছিল তাদের।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মি: হোসেন জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর থেকে ৬ই নভেম্বর রাত পর্যন্ত অসংখ্য সভা হয়েছে। মূলত; সেনাবাহিনীর সৈনিকদের সাথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সেসব সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর মাধ্যমে সৈন্যরা একটি ১২ দফা দাবী প্রস্তুত করে। তাদের লক্ষ্য ছিল খালেদ মোশারফকে পদচ্যুত করা।

সাতই নভেম্বর প্রথম প্রহরে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হলেও বেলা ১১টার দিকে মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফকে তার দুই সহযোগী কর্নেল নাজমুল হুদা এবং লে. কর্নেল এটিএম হায়দারসহ হত্যা করা হয়।

কিন্তু জিয়াউর রহমান মুক্ত হবার পর পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

দৃশ্যপটের সামনে চলে আসেন জিয়াউর রহমান এবং আড়ালে যেতে থাকেন কর্নেল তাহের।

জিয়াউর রহমানের সে আচরণকে 'বিশ্বাসঘাতকতা' হিসেবে মনে করে জাসদ।

সাতই নভেম্বরকে বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল ভিন্ন-ভিন্ন নামে পালন করে।

বিএনপি'র মতে এটি 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস' আওয়ামী লীগ মনে করে এটি 'মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস'।

এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণ

উনিশ'শ একাশি সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর উপরাষ্ট্রপতি আব্দুর সাত্তার রাষ্ট্রপতি হন। তখনো বিএনপি সরকারই ক্ষমতায় ছিল।

সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের উপর রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের কোন প্রভাব ছিলনা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তখন থেকে বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখল এবং রাজনীতিতে আসার বাসনা প্রকাশ পেতে থাকে।

কিন্তু এরশাদ এই কাজটি একেবারে তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করেন নি। তিনি সময় নিয়ে ধাপে-ধাপে এগিয়েছেন।

জেনারেল এরশাদের জন্য ভালো সুযোগ

রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে নানা দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ পেতে থাকে বিভিন্ন সংবাদপত্রে।

প্রেসিডেন্ট সাত্তার সরকারের এই দুর্নীতির খবর জেনারেল এরশাদের জন্য আরো ভালো সুযোগ তৈরি করে দেয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাপ্রধান জেনারেল এইচএম এরশাদ দেখা করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের সাথে।

সে বৈঠকে মন্ত্রীসভার আকার ছোট করা এবং 'দুর্নীতিবাজ' মন্ত্রীদের বাদ দেবার দাবি করেন সেনাপ্রধান।

তখনই সবাই বুঝেতে পারেন যে জেনারেল এরশাদ যে কোন সময় ক্ষমতা দখল করতে পারেন।

উনিশ'শ বিরাশি সালের ২৪শে মার্চ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনা প্রধান ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

এ সময় তিনি সামরিক আইন জারি করেন। তিনি নিজেকে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করেন।

সাতাশে মার্চ বিচারপতি আহসানউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন।

প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক

কিন্তু প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে সব ক্ষমতা ছিল জেনারেল এরশাদের হাতে।

কারণ সামরিক আইন অনুযায়ী প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়া রাষ্ট্রপতি কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারতেন না।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরীর মতে, জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণ অপ্রত্যাশিত ছিলনা।

"জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া বস্তুতপক্ষে শুরু হয় জেনারেল জিয়া হত্যার পর এবং এর ধারাবাহিকতা চূড়ান্ত রূপ পায় ২৪শে মার্চ," লিখেছেন জেনারেল চৌধুরী।

তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী এটা প্রতীয়মান হয় যে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখলের পেছনে আমেরিকার নীরব সমর্থন ছিল।

তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রোনাল্ড রেগান।

জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখলের এক সপ্তাহ পরে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের নিয়ে রেগান প্রশাসন কোন সমস্যা দেখছে না।

এছাড়া রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

ক্ষমতা দখল করে জেনারেল এরশাদ নয় বছর টিকে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি জাতীয় পার্টি গঠন করেন।

এই রাজনৈতিক দল পরবর্তীতে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোতে ভোটের হিসেব-নিকেশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।


২০০৭ সালের সেনা হস্তক্ষেপ

জেনারেল এরশাদের পতনের পরে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে একটি অবাধ সাধারণ নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় চালু হয়।

এরপর বাংলাদেশে আরো তিনটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অবশ্য ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মুখে বিতর্কিত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ওয়ান-ইলেভেন

সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করার পর অনেকে ভেবেছিলেন যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ হয়তো আর থাকবে না। কিন্তু বেশি সময় গড়ায়নি।

দু'হাজার চার সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় সংবিধান সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স সীমা বাড়িয়ে দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগ অভিযোগ তুলেছিল যে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তি বিচারপতি কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে পাবার জন্য এই সংশোধনী করা হয়েছিল।

এনিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক সংকট ও সংঘাত। প্রধান বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মুখে একতরফা একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তৎকালীন বিএনপি সরকার। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে যায়।

এক পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। স্থগিত করা হয় বিএনপির সরকারের আয়োজন করা সে নির্বাচন।

তবে সেনাবাহিনীর এই হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছিল বেশ অভিনব।

সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা দখল না করেও তাদের পছন্দসই বেসামরিক ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে।

মইন আহমদ-এর 'শান্তির স্বপ্নে'

তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমদ সে সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছেন।

'শান্তির স্বপ্নে' বইতে জেনারেল আহমেদ লিখেছেন, রাজনীতিতে কোনভাবেই সেনাবাহিনীকে জড়াতে চাননি।

কিন্তু দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেনা কর্মকর্তারা তার উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে জেনারেল আহমেদ উল্লেখ করেন।

দু'হাজার সাত সালের ১১ই জানুয়ারি জেনারেল মইন ইউ আহমেদ এবং সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য প্রধান ও ডিজিএফআইয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্তা সেদিন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন।

তারা আড়াইটার সময় বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। ভেতরে গিয়ে শোনেন, প্রেসিডেন্ট মধ্যাহ্নভোজন করছেন।

জেনারেল আহমেদ লিখেছেন, তাদের একটি কামরায় অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষা করবার পর প্রেসিডেন্টের দেখা মেলে। প্রেসিডেন্টকে তারা 'মহা-সংকটময় পরিস্থিতি' থেকে দেশকে উদ্ধার করার অণুরোধ জানান। প্রেসিডেন্ট বিষয়টি ভেবে দেখার সময় নেন।

জরুরী অবস্থা জারি

দীর্ঘ নীরবতার পর প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা জারির পক্ষে মত দেন।

সেই সাথে তিনি নিজে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে উপদেষ্টা পরিষদ ভেঙে দেবেন বলে জানান।

প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদ সরে দাঁড়ান এবং জারী করা হয় জরুরী অবস্থা।

এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে আরেকটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।

দুই বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসে।

https://ichef.bbci.co.uk/news/800/cpsprodpb/7B79/production/_117090613_0f829b1e-f7cb-491a-936e-3028e7d9af12.jpg.webp


সুত্রঃ বি বি সি


বাংলা ভাষায় কখন "এবং", "ও" ব্যবহার করা হয়?

$
0
0

ও আর এবং

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-9a21332f894ee21561d213e8e8742413-lq


'ও', 'আর' আর 'এবং' বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত তিনটি সংযোজক অব্যয়। সাধারণত একাধিক শব্দ, বাক্যাংশ আর বাক্যের সংযোজনে এই অব্যয় তিনটি ব্যবহৃত হয়। সাধারণ লেখায় এই অব্যয় তিনটির ব্যবহারে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা না-হলেও কোনো লেখা ব্যাকরণের দিক থেকে যথাযথ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে নিম্নরূপ নিয়ম অনুসরণ করতে হবে:

১. ও: সাধারণত 'ও' অব্যয়টি দুই বা ততোধিক শব্দের যোজনে ব্যবহৃত হয়। তবে 'ও' অব্যয়টি তখনই ব্যবহার করতে হবে, যখন একই শ্রেণিভুক্ত শব্দগুলো একই ভাব প্রকাশ করে। অর্থাৎ, যদি কোনো বাক্যে যোজিত শব্দসমূহের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে 'ও' অব্যয়টি জুড়ে দিয়ে আলাদা আলাদা বাক্য তৈরি করলেও মূল বাক্যের অর্থ অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে বাক্যটিতে শব্দযোজনের জন্য 'ও' ব্যবহার করতে হবে। নিচের উদাহরণগুলো লক্ষ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে—

ক. "টম ও ছাফিয়া স্কুলে যাবে।" এই বাক্যটি বাংলা বাক্য লেখার রীতি অনুযায়ী ভেঙে লিখলে লিখতে হবে— টমও স্কুলে যাবে, ছাফিয়াও স্কুলে যাবে। এখানে 'টম' ও 'ছাফিয়া'-কে আলাদা করে দিয়ে তাদের সঙ্গে 'ও' যুক্ত করে লেখাতে মূল বাক্যের ভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বাক্যটিতে 'টম' আর 'ছাফিয়া' শব্দ দুটি সংযোজনের জন্য 'ও' অব্যয়টি ব্যবহার করা হয়েছে।

খ. "দোকান থেকে মাছ, মাংস ও সবজি আনবে।" এই বাক্যটিও পূর্বের মতো বাংলা বাক্য লেখার রীতি অনুযায়ী ভেঙে লিখলে লিখতে হবে— দোকান থেকে মাছও আনবে, মাংসও আনবে, সবজিও আনবে। এখানে 'মাছ', 'মাংস' ও 'সবজি'-কে আলাদা করে দিয়ে তাদের সঙ্গে 'ও' যুক্ত করে লেখাতে মূল বাক্যের ভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বাক্যটিতে 'মাছ', 'মাংস' আর 'সবজি' শব্দ তিনটি সংযোজনের জন্য 'ও' অব্যয়টি ব্যবহার করা হয়েছে।

২. আর: 'আর' অব্যয়টিও শব্দের সংযোজনে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত একই শ্রেণিভুক্ত শব্দের যোজনের জন্য এই অব্যয় পদটি ব্যবহার করা হয়। যেমন:

ক. তাহাসিন আর ঐশী হচ্ছে একই ব্যক্তির নাম।

খ. গোটা দিন পড়েছি আর পড়েছি।

৩. এবং: 'এবং'-এর ব্যবহার একেবারেই সহজ। সাধারণত একই ভাবের দুটি বাক্যাংশ বা বাক্যের সংযোজনের ক্ষেত্রে 'এবং' অব্যয়টি ব্যবহার করতে হয়। যেমন:

ক. জনাব মোরশেদ স্যার আজ বিকেলে আসবেন এবং আমাদের অনেক কিছু শেখাবেন।

খ. আমি সবটাই খেয়েছি এবং আসার সময় বিল চুকিয়ে এসেছি।

গ. আমি বইটি বাতিঘর থেকে কিনেছিলাম এবং ছাফিয়াকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দিয়েছিলাম।

৪. 'ও', 'আর' আর 'এবং-এর ভিন্নতার কারণে বাক্যের অর্থের পরিবর্তন: আমাদের সাধারণ লেখায় 'ও'-এর স্থলে 'আর' এবং 'আর'-এর স্থলে 'ও'-এর ব্যবহার একেবারেই স্বাভাবিক। তাছাড়া সাধারণ বাক্যে এদের একটির স্থলে অন্যটি ব্যবহার করলে ভুলও বলা চলে না। তবে কিছু বাক্যে অব্যয় দুটির ভিন্নতার কারণে অর্থের পরিবর্তন ঘটে এবং সেক্ষেত্রে 'ও'-এর স্থলে 'ও' এবং 'আর'-এর স্থলে 'আর' লেখা আবশ্যিক। নিচের প্রয়োগটি লক্ষ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস—

"আজ সকালে ইশমাম ও সাবিতের বাবা এসেছিলেন।" এই বাক্যটির অর্থ হচ্ছে— আজ সকালে ইশমামের বাবাও এসেছিলেন, সাবিতের বাবাও এসেছিলেন। অর্থাৎ, যে দুই জন এসেছেন, তাঁরা দুজনই হচ্ছে 'বাবা'(পিতা); একজন ইশমামের বাবা এবং অন্যজন সাবিতের বাবা। একই বাক্য 'ও'-এর পরিবর্তে 'আর'-যোগে 'আজ সকালে ইশমাম আর সাবিতের বাবা এসেছিলেন' লিখলে বাক্যটির অর্থ দাঁড়াবে— আজ সকালে একজন বাবা এসেছিলেন, যার দুই সন্তানের নাম হচ্ছে 'ইশমাম' আর 'সাবিত'। অর্থাৎ, বাক্যটিতে কেবল এক জন ব্যক্তির ব্যাপারে বলা হয়েছে এবং তিনি হচ্ছেন 'ইশমাম আর সাবিতের বাবা'।

একই বাক্যে অনেকে 'ও' কিংবা 'আর'-এর স্থলে 'এবং' ব্যবহার করে 'আজ সকালে ইশমাম এবং সাবিতের বাবা এসেছিলেন' লেখেন। এইভাবে লিখলে বাক্যটির অর্থ দাঁড়াবে— আজ সকালে ইশমাম নামের কোনো ব্যক্তি এসেছিলেন এবং সাবিত নামের কোনো ব্যক্তির বাবা এসেছিলেন। অর্থাৎ, বাক্যটিতে দুই জন ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে একজন হচ্ছেন 'ইশমাম' এবং অন্যজন হচ্ছেন 'সাবিতের বাবা'।

এই ধরনের বাক্যগুলোতে 'ও' 'আর' আর 'এবং'-এর ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে 'ও' আর 'আর' অব্যয় দুটি একটির স্থলে অন্যটি ব্যবহার করা হলে কোনো ভুল ধরা হবে না। তবে হ্যাঁ, কেবল শব্দের সংযোজনে 'এবং' অব্যয়টি ব্যবহার করা অসংগত। যেমন—

অসংগত রূপ: আমি এবং টম বেশ ভালো বন্ধু।

সংগত রূপ: আমি আর টম বেশ ভালো বন্ধু।

#সংগৃহীত

মজাদার কোনো স্ক্রিনশট দেখাতে পারবেন কি?

অবহেলার শিকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্থান

$
0
0

যখন কোনও মুক্তিযোদ্ধা আর বেঁচে থাকবে না, তখন কি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত হবে?

অবশ্যই বিলুপ্তি ঘটবে না কারণ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখন যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভবিষ্যতও তা করতে হবে যেমন ধরুন

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-b52a9ebf6bbb6e6c81419244a0218c22-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-bede15b37280b0f532072caaf75bc4d8-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-34ed599883b916e38812703318dc1243-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-e4a37fd12b125d5244eef61e1a31417e-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-3d9735c6bb8a076e3d197e161f0ef40f-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-a51a9d01009eab6b41c13805fa94849d-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-50de5ea39336c885ddc30eb6b4e6e811-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-2e941991fb08d01310923a8e0bc92d6e-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-c5cfbcc35be249a88ed7fe80f56e70d5-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-d7aa412f8cf9f7e23eed5254c912f8cc-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-b20f08599f5f42a5661cad61bb2652ab-lq

মুক্তিযুদ্ধের এই সকল স্থান সহ আরো অনেক অনেক স্মৃতি বিজড়িত স্থান সুন্দর করে দেখে রাখবে , মুক্তিযুদ্ধাদের নাতি নাতনি দের টাকা পয়সা দিতে হবে । আবার ধরুন যদি সরকার পরিবর্তন হয় তাহলে আবার নতুন করে ১০/১৫ বয়সী মুক্তিযুদ্ধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর প্রোজেক্ট তো শেষ নেই একটার পর একটা প্রজেক্ট করতে হবে।

শেষ হওয়ার তো প্রশ্ন উঠে না প্রচুর কাজ…….


#সংগৃহীত

আপনার দেখা সেরা ছবি কোনটি?

$
0
0

ল্যান্ড অফ জায়েন্ট নামে পরিচিত এই জায়গাটি আইসল্যান্ডে অবস্থিত , বিদ্যুৎ পরিবাহী ইলেকট্রিক পোল গুলি মানুষের আকারে যা দেখতে অসাধারণ লাগে।


https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-6ae4a645d71f7cfbe2fe84cde36de66a-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-e36ebd70b96a9da6ba0bbd096993b3a9-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-ce391228a6f88d6eb9bb6ab9e01232e8-lq


ফেসবুক স্ক্রোল করতে করতে নিউজফিডে ছবিটি ভেসে আসল । এটা আজ দেখা আমার সেরা ছবি ।

#সংগৃহীত

O অথবা A level দ্বারা মূলত কী বোঝানো হয়?

$
0
0

O অথবা A level দ্বারা মূলত কী বোঝানো হয়? এর ব্যবহার কোন ক্ষেত্রে বেশি করা হয়?

https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQ4sDS4N5UX1TDUy-TGNXYFvR9LhpDFYy36Hg&usqp=CAU

O লেভেল A লেভেল হচ্ছে আন্তর্জাতিক এক্সাম (International Exam) ধাপ বা পর্যায় এখানে কোনটা কম কোনটা বেশি ব্যবহার হওয়ার প্রশ্ন নেই। আপনি এই পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্যে পড়তে যেতে পারবেন।

ছবির উৎস : Google

O লেভেল হচ্ছে আমাদের দেশে এসএসসি (SSC) এর সমপর্যায়ে আর A লেভেল হচ্ছে এইচএসসি (HSC) এর সমপর্যায়ে। O লেভেলের পরীক্ষা ক্লাস ৮ এর পর দিতে হয় যেখানে ২ টা পার্ট থাকে যা শেষ করতে ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে A লেভেলের পরীক্ষা O লেভেল শেষ করার পর দিতে হয় সেখানেও ২ টা পার্ট থাকে যা শেষ করতে ২ বছর সময় লাগে।

আমাদের দেশের SSC HSC পরীক্ষাগুলো আমাদের দেশের যে ৮ টা বোর্ড আছে তাদের অধীনে নেওয়া হয়। O লেভেল A লেভেল পরীক্ষাগুলো আমাদের দেশেই নেওয়া হয়ে থাকে কিন্তু পরীক্ষাগুলো হয় একটা আন্তর্জাতিক বোর্ডের অধীনে। তেমন ২ টা আন্তর্জাতিক বোর্ড হচ্ছে Cambridge International Exam এবং University of London বা (Pearson Edexcel)।

আমাদের দেশে যেমন এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে ওঠার জন্য বিভিন্ন নিয়মকানুন আছে ওদেরও তেমন কিছু রুলস রেগুলেশন আছে।

    প্রথমে O লেভেল নিয়ে কথা বলি

আপনি O লেভেলের পরীক্ষা দিতে চাইলে আপনাকে প্রথমে একটা Pre-Cambridge এক্সাম দিতে হবে। এই পরীক্ষাটা ২ ভাবে হতে পারে। এক আপনি যে স্কুলে পড়েন সেখানে যদি বাইরে পড়তে পাঠানোর মত নিয়ম বা সুযোগ থাকে তাহলে আপনার স্কুলই একটা পরীক্ষা নিবে যার মাধ্যমে আপনি O লেভেলের পরীক্ষা দিতে পারবেন কিনা সেটা ঠিক করা হবে। আর অন্যটি হচ্ছে প্রাইভেট, প্রাইভেট মানে হচ্ছে আপনি কোনো স্কুলের অধীনে পরীক্ষা যদি দিতে না চান বা আপনার স্কুলে যদি ঐরকম কোনো সুযোগ না থাকে তাহলে আপনি অন্য একটা কোম্পানির সাহায্যে পরীক্ষা দিতে পারেন। আমাদের দেশে সেরকম জনপ্রিয় কোম্পানি হচ্ছে British Council. আগেই বলেছি O লেভেল হচ্ছে এসএসসি এর সমপর্যায়ে মানে ক্লাস ৯, ১০ এর মতই। আমাদের দেশে যেমন ধরাবাঁধা নিয়ম আছে যে আপনি সাইন্স নিলে শুধুমাত্র সায়েন্সের সব সাবজেক্ট গুলোই নিতে পারবেন অন্য কোনো সাবজেক্ট নিতে পারবেন না। O লেভেলে তেমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই আপনি চাইলে সাইন্স কমার্স আর্টস এর সাবজেক্ট গুলো মিলিয়ে ঝিলিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু এখানে মাথায় রাখতে হবে আপনি কোন ইউনিভার্সিটি তে পড়তে চান। যেমন আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ম্যাথ ফিজিক্স রাখতেই হবে আবার যদি ডাক্তার হতে চান তাহলে বায়োলজি কেমিস্ট্রি অবশ্যই রাখতে হবে। এছাড়া আপনার যদি কোনো ইউনিভার্সিটি টার্গেট থাকে তাহলে ওই ইউনিভার্সিটি কি কি নিয়মকানুন রেখেছে সেটাও আপনাকে দেখতে হবে। O লেভেলে আপনাকে অন্তত 5 টা সাবজেক্ট নিতেই হবে এছাড়া আপনি ৮ টা ১০টা ১২ টাও নিতে পারেন। কিন্তু শর্ত হচ্ছে O লেভেল পাশ করতে হলে আপনাকে অন্তত ৫ টা বিষয়ে পাশ করতে হবে। এজন্য অনেকে ৮টা ৯টা সাবজেক্ট নিয়ে থাকে তাহলে কি হয় ফেইল করার সম্ভাবনা টা কমে যায়। O লেভেলের এক্সামগুলো সাধারণত January, May - June এবং October এই ৩ সেশনে (Session) হয়ে থাকে। আপনি যদি O লেভেলে ৮ টা সাবজেক্ট নেন তাহলে আপনি ১ম বছর ৪ টা সাবজেক্ট পড়ে ওই ৩ সেশনের (Session) যেকোনো এক সেশনে (Session) এক্সাম দিতে পারবেন আর বাকি ৪ টা সাবজেক্ট পরের বছর পড়ে আবার এক্সাম দিতে পারবেন। এভাবে ২ বছরেই O লেভেলের এক্সাম দিতে হয়। কিন্তু আপনি যদি চান ১ বছরেই O লেভেল কমপ্লিট করতে পারবেন। কিভাবে? আপনি ১ম সেশন (Session) মানে জানুয়ারিতে (January) প্রথম ৪ টা সাবজেক্ট এক্সাম দিলেন আবার ২য় সেশন অর্থাৎ মে জুন (May - June) বাকি ৪ টা সাবজেক্ট এক্সাম দিলেন। তাহলে ১ বছরেই আপনার O লেভেল শেষ হয়ে গেলো।

    এবার আসি A লেভেলে

আপনি O লেভেল পাস না করে A লেভেলে এক্সাম দিতে পারবেন না। O লেভেল পাস করার পর A লেভেলের পড়াশুনা করতে হয়। A লেভেল কে ২ ইয়ারে (Year) ভাগ করা থাকে। ১ম ইয়ার (Year) কে বলে As এবং ২য় ইয়ার (Year) কে বলে A2। আর A লেভেল সাধারণত সবাই ২ বছর সময় নিয়েই দিয়ে থাকে। আগেই বলেছি A লেভেল হচ্ছে আমাদের দেশের HSC এর সমপর্যায়ে। আমাদের যেমন HSC তে ফিজিক্স ১ম পত্র 2য় পত্র, কেমিস্ট্রি ১ম পত্র 2য় পত্র থাকে ওদেরও তেমন সাবজেক্ট গুলো বিভিন্ন পেপারে বিভক্ত থাকে। A লেভেলের সাবজেক্ট গুলোতে ৪ টা বা ৬ টা করে পাপার থাকে। বেশিরভাগ সাবজেক্টে ৬ টা করেই পেপার থাকে। যদি ৬ টা পেপার থাকে তাহলে প্রথম ৩ টা As বাকি ৩ টা A2। যেমন ধরুন আপনি যদি A লেভেলে ৩ টা সাবজেক্ট নেন (Math, Physics, Chemistry) তাহলে আপনার সাবজেক্টের পেপার গুলোর As আপনি শেষ করবেন ১ম বছরে আর A2 শেষ করবেন ২য় বছরে। কিন্তু আপনি যতগুলো সাবজেক্টই নেন না কেনো আপনাকে অন্তত 2 টা সাবজেক্টের সবগুলো পেপারে পাশ করতে হবে তাহলেই আপনি A লেভেলে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলা হবে। A লেভেলের এক্সামগুলোও O লেভেলের মত ৩ টা সেশনে নেওয়া হয়। আপনি যে সেশনে এক্সাম দেন আপনার ব্যাপার।

O লেভেল A লেভেল এর এক্সাম গুলোতে আপনি ইচ্ছা মত রিটেক (Retake) নিতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি যদি O লেভেলের কোনো সাবজেক্টে পাশ করতে না পারেন বা ভালো নাম্বার না পান তাহলে আপনি শুধু ওই সাবজেক্টটাই এক্সাম দিতে পারবেন। আপনাকে আবার সবগুলো সাবজেক্ট দিতে হবে না। A লেভেলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

O লেভেলের পূর্ণরূপ হলো Ordinary Level. আপনি 5 টি O লেভেলের সাবজেক্ট পাশ করলে তাকে SSC এর সমমান ধরা হয়। আর A লেভেলের পূর্ণরূপ হলো Advanced Level. আপনি 2 টি A লেভেলের সাবজেক্টে পাশ করলে তাকে HSC এর সমমান ধরা হয়। এই পরীক্ষা গুলো সাধারণত বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক স্টুডেন্টরাই দিয়ে থাকে।

#সংগৃহীত

পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যগুলো কী কী? শেয়ার করুন

$
0
0

সারা বিশ্বের মানুষ পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্যের কথাই জেনে এসেছে। অষ্টম আশ্চর্য এতো দিন পর্যন্ত সকলের অগোচরে ছিল। নতুন করে নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত সেই অষ্টম আশ্চর্যের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা।এককালে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমাতেন নিউজিল্যান্ডের লেক রোটোমোহনার সিলিকা উপত্যকার সৌন্দর্য দেখতে। কিন্তু ১৮৮৬ সালের তারাওয়েরা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সেই উপত্যকা ছারখার হয়ে গিয়েছিল। হ্রদের নিচে তলিয়ে যায় এটি। তবে গোলাপি-সাদা সিঁড়ির মতো সুন্দর উপত্যকাটির কিছু অংশ বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করতে পেরেছেন।

দীর্ঘ দিনের গবেষণা ও প্রচেষ্টার পর অত্যাশ্চর্য সিলিকা টেরিসটি খুঁজে বের করতে সফল হয়েছেন গবেষকরা। ২০১১ সালে ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রথম এই গোলাপি সোপানের একাংশ আবিষ্কার করেন।

গবেষক রেক্স বান সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, 'এক সময় পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানের একটি ছিল এই সিলিকা টেরিস। এর সৌন্দর্যের আকর্ষণে ব্রিটিশ রাজা-রাজরা থেকে আমেরিকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এখানে পাড়ি জমাতেন। তবে সেই সময় এই উপত্যকা নিয়ে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি বলে এর সঠিক দৈর্ঘ্য-প্রস্থ জানা যায়নি।'

তিনি জানান, ১৩০ বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংসপ্রায় সেই বিস্তৃত অঞ্চলের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে এটিকে নতুন রূপে তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন তারা

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-8778b50d742a78bce05a815b6f4b7dbc-lq

সোর্সঃ
https://www.bangla.24livenewspaper.com/ … orld-found

#সংগৃহীত

'গরিব' এবং 'ফকিন্নি' দুইটি শব্দের ভিতর পার্থক্য কী?

$
0
0

আপনারা বেশ কয়েকবার এমন ছবি দেখেছেন। একটি পরিবার রেস্টুরেন্ট এ খাবার খাচ্ছে, আর তাদের পাশে কাজের মেয়েটি বসে আছে। তারা মেয়েটিরকে কোন খাবার দেয়নি।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-87c7f2177c3c3aba1509975a1890314a-lq

    এই ছবিতে - কাজের মেয়েটি গরীব, আর এই পরিবারটি হলো ফকিন্নি

টাকা না থাকলে একজন গরীব হয়। ফকিন্নি হলো এক ধরণের মানসিকতা। টাকা থাকা, বা না থাকার সাথে, এর কোন সম্পর্ক নেই।

   
চেষ্টা করে ভালো বা খারাপ হওয়া যায়। তবে, চেষ্টা করে ফকিন্নি হওয়া যায় না। ফকিন্নি বংশে জন্মাতে হয়, পারিবারিক শিক্ষা লাগে
   
বাংলাদেশে দরিদ্র বেশী, তবে ফকিন্নির সংখ্যা কম
   
যত ফকিন্নি সবই টাকা ওয়ালাদের মাঝে খুঁজে পাবেন। গরীবের ঘরে ফকিন্নি জন্মায় না।
   
গরীব তার চাহিদা মেটাতে পারে। ফকিন্নির চাহিদা কখনো মিটে না। তার সবসময় আরো চাই, আরো চাই।
   
কে গরীব আর কে ধনী, এই জিনিসটা ফকিন্নিরা খুব গুরুত্বর সাথে দেখে।

#সংগৃহীত


সেরা স্ক্রিনশট শেয়ার করুন !

ডাবে পানি কোথা থেকে আসে?

$
0
0

কোষ যে বিভাজিত হয় তা তো সবাই জানেন। এই কোষ বিভাজনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-155b01099060a9264d81ef827af4d308-lq

১। নিউক্লিয়াসের বিভাজন ( ক্যারিওকাইনেসিস)

২। সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ( সাইটোকাইনেসিস)

ডাবের ক্ষেত্রে আসলে হয় কি, ক্যারিওকাইনেসিস চলতে থাকে কিন্তু সাইটোকাইনেসিস হয় না। মানে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে নতুন নিউক্লিয়াস তৈরী হয় ঠিকই কিন্তু কোষের সাইটোপ্লাজমটা বিভাজিত হয় না।

ফলে কি হবে? বহু নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হবে। আর একে বলে "মুক্ত নিউক্লিয়ার বিভাজন"।

যেহেতু ডাবের কোষে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হতেই থাকে হতেই থাকে সেজন্য বেচারা কোষটা নিউক্লিয়াসকে জায়গা দিতে গিয়ে তার ভেতরে থাকা পানি কে বের করে দেয়। এটাই ডাবের পানি!

আর এ পানিটাই আমরা খাই , পান করি !

#সংগৃহীত

নতুন শহর, নতুন সব কিছু!

$
0
0

দেখতে দেখতে সময় পার হয়ে যাচ্ছে! ২০২১ পার করে ২০২২ এ দিকে!

সকালে ঘুম থেক উঠে দেখি সুর্য্য উঠে ৭ টায়, বিকাল হতে না হতেই দেখি ঘুটঘুটা অন্ধকার! মন টা মাঝে মাঝে খুব খারাপ হয়ে যায়!  এর থেকে কি আমার শহরটাই বেশ ভাল ছিল না! সকালে উঠে অনন্ত পাখির আওয়াজ শুনতে পেতাম! খোলা বাতাসের ঘ্রান টাই অন্য রকম ছিল! শীতের সকালের সুর্য্য এর নরম আলোটা  ভীষণ মিস করছি আর মিস করছি আমার খোলা বারান্দার আসা চড়ই পাখিগুলোর কিছির মিছির! মশার যন্ত্রনায় ফ্লাটের সব বারান্দা- কাঁচের জানালা দিয়ে আটকে দিয়েছিল আম্মা! শুধু আমার শোবার ঘরের বারান্দার অংশটাই খোলা। শুধু এই পাখি আনার-গোনার জন্য অনেক ঝগড়া ঝাটি করে খোলা রাখা! মনের শান্তি বলে কথা !  dream

চোখ বন্ধ করলেই আমার চেনাজানা শহর  ছাড়া কিছু চোখে ভাসে না এখন! সেই শহরে আমার কিছু পরিচিত মুখ ছাড়া কারো কথা মনেও পড়ে না! কিছু বান্ধবি আছে যাদের সাথে এক রকম জোর করেই বন্ধুত্ব রাখা ছিল- সেটা এখন মনে হচ্ছে! কিন্তু এরা ছাড়া আর কেই বা ছিল!  কাজিন  বলতে যারা তারাও এখন এক রকম  দুরত্ব বজায় আছে! আগেও যে খুব কথা হত তা না, কিন্তু ইচ্ছা হলে গিয়ে দেখা করা যেত; যেটা হয়তো এখন সম্ভব না!

এক এক শহরের এক এক নিয়ম। বলার সুযোগ নাই আমার শহর থেকে ওমুখ শহর ভাল। ওমুখ শহর থেকে তুমুখ শহর ভাল!  সেটা হোক ঢাক, হোক দিল্লি, হোক নিউ ইয়্যার্র হোক টরেন্টো অথবা লন্ডন আর সেটা হোক আজারবাইজান আর কায়রো অথবা মক্কা বা মদিনা বা জেরুজালেম; স্যতি বলার সুযোগ নাই।

এক এক দেশ এক এক শহর; এক এক রকম আনন্দ, এক এক বেদনা নিয়ে গড়া! নিজের প্রয়োজনে মানুশ নিজেই একদেশ থেকে অন্যদেশ, এক  শহর থেকে অন্য শহরে ঘুরে বেড়ায়! তখন নিজের দেশ-নিজের শহর এর কমতি গুলোকে অনেক তুচ্ছই মনে হয়! যেমন এখন আমার মনে হচ্ছে! খালি তুচ্ছ না "নিজের দেশের নিজেই রাজা; অন্য দেশের আমি প্রজা!" রোজ রাতে এই কথাটা আমি নিজেকে বলি আর ঘুমাতে যাই!

বেশ কয়েকটা দেশ ঘুরে কখনও  নিজের দেশটা মিস করি নাই যতটা আজকে করছি!! এখন তো আর চাইলে যেতে পারছি না! আর যেতে পারব কিনা তাও জানি না! অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ !!!
এমন একটা সময় আমাদের সবার যাচ্ছে স্বপ্ন দেখা আর বোনা দুটাই দুষ্কর।

ধুলামাখা বালি উড়া শহরটাকে স্যতি অনেক মিস করছি! কতটা করছি বলে বোঝানো যাবে না!
প্রজন্ম ফোরামের মানুশ গুলোকে আর লেখা গুলোকে মিস করছি!
এখন বুঝতে পারছি  প্রবাসী লেখক গুলো এমনি এমনি এসে প্রজন্ম ফোরামে বসে  তারা সময় দিত না!


এই শহরের বাতাস যতই পরিষ্কার হোক মানুশ যতই বলুক, এই শহরের বাতাসও পরিষ্কার না!
মানুশের হাসি-কান্নায় এই শহরের বাতাসও অনেক ভারি হয়ে আছে, অনেক প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির ভীরে!

জেমস-কে অনেক ধন্যবাদ সেই ফেসবুকের চিপা থেকে অবিস্কার করে, ওয়ার্ডপ্রেস থেকে এইখানে টেনে আনার জন্য!
উদাদা আর অরুন দাকে অনেক ধন্যবাদ! কেন সেটা মনে হয় আমার আপনাদের বলতে হবে না!
মেহেদি৮৩ আর রমাকেও ধন্যবাদ  প্রজন্মে টিকে থাকতে অনেক ভাবে সাহায্য করার জন্য!
এর বেঙ্গল বয় আর ছায়ামানব ওদের কথা আর নাই বললাম! ফোরামের বাইরের মানুশ!  smile


নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা সবাইকে!  যে যেখানে থাকুন সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ছোট একটা জীবন, কার-কখন কোথায় দিন শেষ হবে কেউ জানে না! তাও ভাল থাকার চেস্টা করা মাত্র!






বিঃদ্রুঃ বানান ভুলগুলো চোখে ফিল্টার লাগায় পড়ে নেবার জন্য ধন্যবাদ!  cool

কিছু অবাক করা ব্যাপার জানাবেন কি?

$
0
0

কিছু অবাক করা ব্যাপার জানাবেন কি?

    বাংলাদেশে শুধু মাত্র ১ মাসে গুগলে,

        পর্ন শব্দটি সার্চ হয় ০.৮ মিলিয়ন বারের বেশি!
        Sex - সেক্স, শব্দটি সার্চ করা হয়েছে ২ বিলিয়ন বার!

    ঢাকার শুধুমাত্র সাইবার, ও রেষ্টুরেন্টগুলিতে যেখানে বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড মিট করে, এসব ক্যাফের Wifi থেকে পর্ন বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি টাকার মতো!

    বাংলাদেশের বিভিন্ন ফেক্সিলোড/ গানলোড/ দোকানগুলিতে প্রতি মাসে নেকেড মেমোরিতে বিক্রি হয় প্রায় ৮ কোটি টাকার!

    ৭৮ শতাংশ ছেলে মেয়ে গড়ে ৮ ঘন্টা মোবাইল ব্যাবহার করে!

    গড়ে ৯০ জন ছেলে পর্ন নেকেড দেখে!

    গড়ে ৭৫ জন মেয়ে পর্ন নেকেড দেখে!

    স্কুলের ক্লাসে বসে পর্ন নেকেড দেখেছে গত বছর ৬২ শতাংশ ছাত্র ছাত্রী!

    ক্লাসের বান্দবীদের সাথে নিয়ে স্কুল ও কলেজের এরিয়া থেকে নেকেড বিভিন্ন পর্ণ সাইট ভিজিট করেছে প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়ে!

    যে সব মেয়েরা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে জরিপে দেখা গিয়েছে তাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে নেকেড দেখে !

অবাক হয়েছেন? আপনাকে কি জিজ্ঞাস করছি আমি, এগুলো জেনে আমার গা শিউরে উঠেছে। স্কুলে কিছু ছেলের মোবাইল প্রয়োজনে হাতে নিয়েছিলাম। গুগলে গিয়ে আমি থতমত খেয়ে গেলাম।।

একটা মেয়ের খাতায় কিছু বইয়ের নাম দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাস করেছিলাম এগুলা পড়ে পেলেছি কিনা। এরপর আমি ওই লিস্টের মধ্যে কোনগুলো পড়ার জন্য সিল্কেট করেছি তা বললাম। সেখানে ‘মুক্ত বাতাসের খোঁজে। বইটাও ছিলো। সে আমাকে বললো এটা না পড়তে। সে বললো সে এটা একটু পড়ে পেলেছি কিন্তু তার পড়া উচিত হয়নি।একজনকে এটা সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে জানতে পারলাম এটা পর্নে বিরুদ্ধে লেখা কিন্তু এটাতে উল্টো পর্নের প্রচার হয়ে গেছে। ওই মেয়েটা নিজের ক্যারিয়ার বুঝে। ভালো খারপ বুঝে। তার বিবেক বলতে কিছু একটা আছে। যদি বাচ্চাদের ছোট থেকে এমন করে গড়ে তোলা যায় তাহলে সে নিজেকে নিরাপদে রাখতে পারবে।

বারবার শুধু একটাই দুশ্চিন্তা এই ছোট ছোট বাচ্চা, এদেরে কি হবে!?

সবাইকে রিকোয়েস্ট করবো এইযে ছোট ছোট বাচ্চা এদের গোপনে স্মার্ট ফোন ইউজ করতে দিবেন না। তারা যাতে গেমে আসক্ত না হয় সে জন্য একেবারে শুরুটা দেখুন। যখন তারা কান্না করে তখন তাদের হাতে মোবাইল দেওয়া হয়। যদি গেমে আসক্ত এবং দূরে রাখতে পারছেন না তাহরে ইউটিউব, ফেসবুক, ব্রাউজার, প্লে স্টোর.. এসব লক করে দিন। আপনার চোখের সামনে কোনো অর্ধ নগ্ন নারীর ছবি আসলে আপনি স্কিপ করবেন কিন্তু তার সামনে আসলে.. !?

কি গেম খেলছে সেটাও দেখুন। যেকোনো গেম ডাউনলোড করতে দিবেন না।ছোট ভাইকে অনেক গেম খেলা অবস্থায় দেখেছি যেখানে অশালীন কাপড়..। পাবজি গেমটা আমি দেখেছিলাম অশালীন কাপড়। এক বছর আগে free fire খেলতাম তখন পাবজিতে এসেছিলাম।

১৮ বছরের নিচের কারো নগ্ন ছবি তোলা দন্ডনীয় অপরাধ এবং ইন্টারনেটে আপলোড করাও। এই আইনের প্রয়োগ আছে। এটি সারা পৃথিবীতে নিষিদ্ধ। আমার প্রশ্ন, পর্নও কি এভাবে নিষিদ্ধ করা যায় না?

পর্নের ক্ষতি শেয়ার করতে থাকুন।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-1acb304362ff7d627b901eaccabbc2f0-lq

এই সাইট থেকে কয়েকটা ক্ষতি উল্লেখ্য করছি,,

মস্তিষ্ক গ্রহণ ক্ষমতা

    পর্ন দেখলে প্রথমেই তার প্রভাব পড়ে দর্শকের মস্তিষ্কে। অতিরিক্ত পর্ন দেখা আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়, যা মাদকাসক্তির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।নিয়মিত ও অতিমাত্রায় পর্ন দেখলে ধীরে ধীরে আপনার একাধিক অভ্যাস পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটা সময় হ্যালুসিনেশনের মাত্রা বেড়ে যায় এতে মস্তিষ্কের গ্রহণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব

    পর্নে অনেক কিছুই অতিরিক্ত দেখানো হয়, বাস্তবতার সঙ্গে যার মিল নেই। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে আপনিও আপনার সঙ্গীকে অন্যভাবে কল্পনা করতে শুরু করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার দূরত্ব তৈরি হবে।

স্মৃতিশক্তি

    পর্ন দেখার প্রবণতা আপনার স্মৃতিশক্তির ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে অনেক কিছুই আপনি খুব সহজেই ভুলে যেতে শুরু করবেন।

শরীর ও মন

    নিয়মিত পর্ন দেখার কারণে একটা নির্ভরশীলতা তৈরি করে। ফলে শারীরিক চাহিদা তৈরি হলেও কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনার শরীর উত্তেজিত হতে চাইবে। এটা আপনার মধ্যে এমন একটা অভ্যাস তৈরি করবে, যার ফলে শরীর ও মনকে সহজে বশে রাখতে পারবেন না।

#সংগৃহীত

কিছু অবাক করা সাইকোলজিক্যাল হ্যাক কী?

$
0
0

কিছু অবাক করা সাইকোলজিক্যাল হ্যাক কী?

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-cd0f2d68ad361a61eae9f5f5f08fafdb-lq


১/ আপনি কারো সম্পর্কে ভালো ধারনা পেতে চান তাহলে তার ফেসবুক,কোরা ইত্যাদি আইডি গুলো যাচাই করলেই জানতে পারবেন তার চিন্তাচেতনা কেমন তার পছন্দ।

২/ কারো সাথে গভির বন্ধুর সম্পর্ক গরতে চান দেখা মাত্রই তার নাম ধরে ডাকুন একটি হাসি দিন এবং জড়িয়ে ধরুণ যাওয়ার আগে হেন্ড শেক করে বিদায় দিন।

৩/ পছন্দের কারো কাছ থেকে কিছু শিখতে চান তাহলে তাকে কোরার সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। এবং প্রশ্নের উওর খুজুন তার কাছে।

৪/কেউ সুধু সুধু অপমান করছে একটি ফেক হাসি দিন এবং তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হলেও সবার সামনে তাকে বোকা বানান সে আসলেই বোকা হয়ে যাবে wink

৫/ কারোর উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে চান প্রথম দেখায় তার পা হতে মাথা পর্যন্ত নিখুঁত ভাবে হিংসার নজরে দেখার অভিনয় করুণ।

৬/ কোথাও ঠকেছেন সেটা নিয়ে কষ্ট লাগছে এ থেকে বাচার উপায় সেখান থেকে কি শিখেছেন সেটাকে গুরুত্ব দিন তাকে ঘৃনা করুণ।

৭/ কারো থেকে দুরে থাকতে চান তাকে না চেনার ভান করুন

৮/কোরাতে সব সিক্রেটস শেয়ার করা মানে এই না লেখকরা বোকা। যা লিখছি তা যেন ভালো ভাবে নিজের মস্তিষ্ক কে বুঝাতে পারি।

৯/কোরাতে সব সিক্রেটস শেয়ার করা মানে এই না লেখকরা বোকা। এই লেখার সময় অনেক নতুন বিষয় আবিষ্কার হয় যার বাস্তব প্রমান এগুলো।

(এতোক্ষণে আপনি কী আবিষ্কার করেছেন মন্তব্য করুণ)

১০/ নম্বরটা আপনার জন্য smile

    নিজেকে নির্বোধ মনে করলেই কেবল কেউ বোকা বনে যায় ! আদৌও কোনো ব্যক্তিই সত্যিকার অর্থেই বোকা নয়।

#সংগৃহীত

ভয়ঙ্কর কিছু ছবি শেয়ার করতে পারবেন কি?

$
0
0

ভয়ঙ্কর কিছু ছবি শেয়ার করতে পারবেন কি?
অবশ্যই,,,ভয় পাবেন না কিন্তু, যদিও ভুতের ছবি শেয়ার করবো না।

১) সাইকেলটি আপনার হলে আপনি কী করতেন??
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-95dcb67d5071b1d61c7ce75bb175d1b9-lq

২) ভয় পাওয়ার কিছু নেই,,এরা শুধুই ফল খায়।
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-49c0ff03c1ef74d74304edbc3d7a09e4-lq

৩) সাধারণত এই স্পাইডার গুলো অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়,
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-2d7a02380ca00219ecdcb82c3f78456b-lq

৪) গাছের মধ্যে পাখির বাসা,
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-74539aba93a529e856ee003e3bcfae97-lq

৫) saw fish
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-efc977bd9bf46d1b0bd8d87cfcd50cf8-lq

৬) স্কেলিটন
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-d2ec9506e441d4b115f17126f8916e6c-lq

৭)
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-df6890b8af96ec0124d7781ccbddaf01-lq

৮) ব্যাঙটির চোখ মুখের ভিতরে।
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-6295b6f34d99e4dcce239a3ae876e038-lq

৯) বিদ্যুৎপৃষ্ট সাপ
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-1c0b78b988de7b49cd9e1e49bfe7b2c3-lq

১০) বলছি কি জুতো পরার আগে একবার দেখে নেবেন,,
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-1dcc3be6aa9f2d2b9a8466b546cda6e7-lq

#সংগৃহীত

ইতিহাসের সবচেয়ে উন্নত অস্ত্র কী?

$
0
0

ইতিহাসের সবচেয়ে উন্নত অস্ত্র কী?

আমি মনে করি পৃথিবীর সবচেয়ে বিধ্বংসী অস্ত্র হচ্ছে একে47। পৃথিবীর যে কোন ব্যক্তি তিন চার ঘণ্টার মধ্যে এ রাইফেল চালানো শিখে নিতে পারেন এবং যে কেউ এটি চালাতে পারবেন। পৃথিবীতে একে৪৭ দিয়ে যত মানুষ হত্যা করা হয়েছে অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে তার সিকিভাগও করা হয়নি আমার মনে হয়।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-0a920224edb882bc0cac264a312ee4e4-lq

একে-৪৭ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। এটি একটি গ্যাস পরিচালিত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। এর ডিজাইনার রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) মিখাইল কালাশনিকভ।

সোভিয়েত ইউনিয়নে রেড আর্মিতে একে ৪৭ জনপ্রিয়তা পেলে, সোভিয়েত ইউনয়ন তার বন্ধু দেশ ভিয়েতনাম সহ অন্যন্য দেশ গুলিকে একে ৪৭ হাতিয়ার দেন।

কিন্তু একে-৪৭ তার ভয়ঙ্কর রূপ দেখায় ১৯৫৫ সালে ভিয়েতনাম আমেরিকা যুদ্ধে। আমেরিকার সর্বাধুনিক হাতিয়ার এম-১৬ কে ধুলো চাটিয়ে দেয় একে ৪৭ রাইফেল।

একে-৪৭ এর তীব্র গতি ও মারণ ক্ষমতা যুদ্ধ ক্ষেত্রে রণচন্ডি হয়ে,বিভীষিকা ছড়িয়ে দেয়। প্রতি সেকেন্ড ১০ রাউন্ড ব্রাস্ট ফায়ার আমেরিকার সেনাদের যুদ্ধ ক্ষেত্রে দিশেহারা করে দেয়।

#সংগৃহীত


স্মার্টফোনের স্কিনে হাত দ্বারা টাচ করলে কাজ করে কেন?

$
0
0

স্মার্টফোনের স্কিনে হাত দ্বারা টাচ করলে কাজ করে। অন্য কোন কিছু দ্বারা টাচ করলে কাজ করে না কেন?

স্মার্টফোনের টাচ স্ক্রিন অধিকাংশই ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন হয়। যা অনেক দামি, ও মাল্টিটাচ সনাক্ত করতে পারে।

টাচ সাধারনত ২ প্রকার হয়

১) ক্যাপাসিটিভ টাচ

২)রেজিষ্টিভ টাচ

■ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন:

ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন হল ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জ ধারনে সক্ষম উপাদানের প্রলেপযুক্ত গ্লাস প্যানেল। এটি ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জ ধারন করে রাখে। আমরা জানি মানুষের শরীর ও ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জ ধারন করতে পারে। যখন মানুষের আঙ্গুল ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিনের কোন স্থানে স্পর্শ করে তখন ঐ স্থানের কিছু চার্জ আঙ্গুলে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে কমে যায়। টাচ স্ক্রিনের সাথে সংযুক্ত বিশেষ সার্কিট বুঝতে পারে ঠিক কোন স্থানের চার্জ কমে গেছে। সার্কিটটি সেই স্থানের অবস্থান সিস্টেমকে জানায়। এবং সিস্টেম আঙ্গুলের স্পর্শ করার স্থানের কমান্ডটি এক্সিকিউট করে। এপলের আইফোন, আইপ্যাড ইত্যাদিতে সাধারনত ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিনের সুবিধা/অসুবিধা সমূহ নিম্নরুপ:

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-fc88ed55cc318fdb48946f3f6b392ea0
ছবি সৌজন্যঃ ইউকিপিডিয়া

■সুবিধা:

অত্যন্ত টাচ সেনসিটিভ।

মাল্টিটাচ অর্থাৎ একসাথে একাধিক বিন্দুর টাচ সনাক্ত করতে পারে।

উজ্জ্বল সূর্যালোকে ও ডিসপ্লে ভাল দেখা যায়।

ধুলিকণার দ্বারা টাচ সিস্টেম প্রভাবিত হয় না।

মসৃণ ও চকচকে ডিসপ্লে।

■অসুবিধা:

টাচ কাজ করার জন্য আঙ্গুলে কমপক্ষে ৫ শতাংশ আদ্রতা থাকতে হবে।

রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের তুলনায় ব্যয়বহুল।

বিদ্যুৎ অপরিবাহী বস্তুর সাথে কাজ করে না। যেমন: নখ, দস্তানা ইত্যাদি।

এটি নতুন প্রযুক্তি বিধায় অনেক কিছু উন্নয়ন সাধন বাকি আছে।

■রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিন:

রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিন হল তিন স্তর বিশিষ্ট গ্লাস প্যানেল। এর মধ্যে দুটি স্থর হল কন্ডাকটিভ এবং রেজিষ্টিভ। তৃতীয় এবং উপরেরস্থরটি মূলত অপর দুটি স্তরকে স্ক্রেচ বা আঁচর থেকে রক্ষা করে। যখন মানুষের আঙ্গুল রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের কোন স্থানে স্পর্শকরে তখন ঐ স্থানে কন্ডাকটিভ এবং রেজিষ্টিভ স্থরের মধ্যে সংযোগ ঘটে। এর ফলে ঐ স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য হয়। যা টাচ স্ক্রিনের সাথে সংযুক্ত বিশেষ সার্কিট বুঝতে পারে ঠিক কোন স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য হয়েছে। সার্কিটটি সেই স্থানের অবস্থান সিস্টেমকে জানায়। এবং সিস্টেম আঙ্গুলের স্পর্শ করার স্থানের কমান্ডটি এক্সিকিউট করে। আগের নোকিয়ার টাচ ফোনগুলোতে সাধারনত রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের ব্যবহার বেশি লক্ষকরা যায়। রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের সুবিধা/অসুবিধা সমূহ নিম্নরুপ:

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-fb35a68576c26b37479f8231efff8b39-lq

■সুবিধা:

অপেক্ষাকৃত সস্তা।

যে কোন বস্তু দ্বারা ব্যবহার করা যায়। যেমন: পেন, স্টাইলাস, নখ ইত্যাদি।

আঙ্গুলের যে কোন আদ্রতায় কাজ করতে পারে। এমনকি দস্তানা পরা অবস্থায় ও কাজ করে।

■অসুবিধা:

মাল্টিটাচ অর্থাৎ একসাথে একাধিক বিন্দুর টাচ সনাক্ত করতে পারে না। তবে গবেষনা চলছে।

ধুলিকণার দ্বারা টাচ সিস্টেম প্রভাবিত হয়।

টাচে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে হয়, তাই ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় থাকে।

আঁচরের ফলে কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

#সংগৃহীত

বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় হ্যাকার কে?

$
0
0

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকার হচ্ছে কেভিন ডেভিড মিটনিক
। যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাজা প্রাপ্ত হ্যাকার। এবং সেই সময়কার পুলিশদের নিকট মোস্ট ওয়ান্টেড হ্যাকার। তাকে ফাদার অফ হ্যাকার বলা হয়।

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-3a0a5cadfa3b86d4128f9fc06e818611-lq
চিত্রঃ কম্পিউটারে ব্যস্ত কেভিন মিটনিক

মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি হ্যাকিং নিয়ে কাজ শুরু করে। তিনি প্রাথমিক জীবনে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহার করে লস এঞ্জেলসের বাসে পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং করেন, যাতে অনায়েসে ফ্রী রাইড করা যেত। এর ফলে তাদের ১৬০০০০ ডলার ক্ষতি হয়েছিলো [সূত্র-১]

১৯৭৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার বন্ধুর মাধ্যমে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নেটওয়ার্ক আরপানেটের

অ্যাকসেস পেয়ে যায়। সেটা হ্যাক করে তাদের স্পর্শকাতর ফাইল দেখেন কেভিন মিটনিক।

এরপর তিনি মটোরোলা, নকিয়া, ফুজিৎসুর মতো বড় প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার হ্যাক করেছিলেন [সূত্র-২]

। তার হ্যাকিং বিদ্যার জন্য তাকে গ্লেন কেজ উপাধি দেওয়া হয়।

মিটনিক, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালোলিনার ছাত্র ছিলেন। এফবিআই

১৯৯৫ সালে উপরোক্ত অপরাধ সমূহের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বহু ওয়েবসাইট হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছিলো।

১৯৮৮ সালে ডিইসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করায় তিনি ১ বছর জেল খাটেন। এরপরে আর একটি হ্যাকিং এর ঘটনাতে তার এরেস্ট ওয়ারেন্টি ইস্যু হলে সে ২.৫ বছর পালাতক থাকেন। এরপরে ১৯৯৫ সালে তাকে মটোরোলা, নকিয়া ও পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং এর জন্য গ্রেপ্তার করে ৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়।

২০০০ সালে কেভিন এই বলে মুক্তি পান যে, তিনি ২০০৩ সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার

, সেল ফোন এবং ইন্টারনেট ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

বর্তমানে তিনি নিজের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি মিটনিক সিকিউরিটি কনসালটিং
-এ সিক্যুরিটি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

#সংগৃহীত

দমদমিয়া লেক, চুনারুঘাট (ছোট ভ্রমণ)

$
0
0

০১। https://i.imgur.com/CDtykhI.jpg

ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ বাড়িতে গিয়েছিলাম মাত্র পাঁচ দিনের জন্য। বাড়িতে গেলে কাছে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। তাসীনের পরীক্ষা থাকায় সে যায়নি। তামীম সাথে ছিল। তার এক কথা গ্রামে এসে বিভিন্ন জায়গা দেখবে। তাসীনের বাপ সঙ্গে থাকে না বলে বাড়ী গিয়ে দূরে কোথাও যেমন সিলেটের বিভিন্ন জায়গা, মাধবকুন্ড যাওয়া হয় না। এক হইলো তার ছেলেরে নিয়া যাবো অন্যরকম ভয় কাজ করে (আমার হার্ট খুবই দুর্বল) দুই ফাইন্যান্সিয়াল প্রবলেম। দূরে গেলে অনেক টাকা খরচ হয়। বাড়ীতে গেলে এমনিতে অনেক টাকা খরচ হয়। এসব বিষয়ে আমি ঠিক ভুল যাবো কী যাবো না এমন সিদ্ধান্ত সহজে নিতে পারি না। এই সিদ্ধান্তের জন্য আমি জীবনে অনেক কিছুই পারি নাই। কারো উপর কর্তৃত্বও খাটাতে পারি না।  আচ্ছা প্যাঁচাল থাক গা।

যাওয়ার পরের দিন গেলাম চুনারুঘাটের সায়েদাবাদ চা বাগানে, সেখানে একটা ফাঁকা জায়গা আছে যেমন অনেককককককককক বড় মাঠ, সেই মাঠটা অনেক উঁচুতে । সেখান থেকে চা বাগানের দৃশ্য উফ, কী যে সুন্দর লাগে আলহামদুলিল্লাহ। ভাইবোনেরা গিয়েছিলাম টমটমে করে বিকেলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকেছি। সেখানকার দৃশ্য আরেকদিন দিমু ইংশাআল্লাহ। (বাড়ী থেকে যাওয়া আসা টমটম ভাড়া লেগেছিল ৪০০ টাকা )

আর বাড়িত গেলেই আম্মা খালি চিল্লাইবো, অই বাড়িত আইছস সবার সাথে দেখা কইরা যা, নানাবাড়ি যা, ভাইয়ের শ্বশুররে দেইখ্যা আয়। আজব কারবার, মাত্র দুই একদিনের লাইগা যাই আর আমি নাকি দিনগুলা মাইনসের বাড়ি গিয়া নষ্ট করমু। আম্মারে কইলাম আম্মা কোনানো যাইতাম না। বাড়িত থাকমু, ক্ষেতের আইলে হাঁটমু আর তোমার হাতের রান্না খাইমু। আম্মা বেজার হইছে, মুখ ফিরাইয়া গেলো গা smile

এর পরদিন গেলাম দমদমিয়া লেকে। নিজের ছবিগুলো সেখানকার দৃশ্য। সেখানেও খোলা ইয়া বড় মাঠ। মাঠে একটা বটগাছ আর সামনে মোটামুটি বড় একটা লেক। অবশ্য দমদমিয়া লেকের চারপাশেও চা বাগান আছে। সেদিন গেলাম দুপুর শুরুতে। কী পঁচা রইদ বাপরে।

০২। দমদমিয়া লেক, চুনারুঘাট। এই সেই বটগাছ, বড় মাঠে একটা বটগাছ। কী সুন্দর ছায়া। গাছের নিচে পাতা পড়ে তার সৌন্দর্য আরও বৃষ্টি করেছে। বেশ ভালোই লাগে এখানে বসে থাকতে। সামনে লেক, ফুল ফুটে আছে।

https://i.imgur.com/eKysXz2.jpg

জায়গাটা বেশ সুন্দর । লেকে লাল শাপলা ফুটে আছে, কী অপূর্ব দৃশ্য। পানিতে বাতাসের ঢেউ, শীতের বাতাস দুপুর বেলা মন্দ লাগে নি। অহহো আরেক কান্ড ঘটে গেছে ইতোমধ্যেই। ছোট বোনও তখন বাড়ীতে। সে তার বাড়ীতে গিয়ে আমরারে দাওয়াত দিছে । সকালে না কইরা দিলাম যাবো না। কিন্তু তার বাড়ির রিযিক ছাড়বে কেন আল্লাহ রিযিক রেখেছেন সেখানে। আমরা যখন দমদমিয়াতে ফটো তুলছি। তখন চাচী ফোন করে বলতেছেন আমিও যাবো সুমির বাড়ি তুই আয়। (চাচী ঢাকা থাকে তিনিও বেড়াতে গেছেন, মানে তার বাড়ী তার ঘর বেড়ানো বলে না তবুও তিনি মাঝে মাঝে যান। সেখানে চাচাত ভাই থাকে খালি) এখন চাচীর কথা ফেলমু কেমনে। কইলাম আচ্ছা দেখি আসতেছি।

তামীম সেখানে গিয়ে তার বন্ধু (ক্লাসমেইট মামাতো ভাই) এর সাথে মাঠে বসে মোবাইল গেইম খেলা শুরু করছে। বললাম বাবা তুমি তো ঘুরতে আসছো রোদে বসে খেলছো। দেখো চোখ ঘুরিয়ে কত সুন্দর চারিদিকে। খেলা রেখে আসলো কতক্ষন তাদের ছবি তুললাম। কিন্তু সেই পিছুটান বইনের বাড়ী যেতে হবে। তার বাড়িও চা বাগানের কান্দাত মানে পাশেই, ঘর থেকে চা বাগান দেখা যায়।

সিএনজি করেই চলে গেলাম সেখানে। সিএনজিকে বললাম বিকেলে এসে নিয়ে যেতে । সারাদিন ৮০০ টাকা দিয়েছি ড্রাইভারকে। বোনের বাড়ী খেয়ে দেয়ে চা বাগানের কান্দাত গিয়ে সবুজ প্রকৃতি দেখে চলে আসলাম বাড়িতে । সময় কেমন করে ফুরিয়ে যায়। এর পরেরদিনই ঢাকা এসে পড়ি। এত কম ছুটিতে মনের ইচ্ছেমত ঘোরা যায় না। না যায় কারো সাথে দেখা করা না যায় কোথাও বেড়ানো। ভাল্লাগে না।  তামীম আসতেই চায় না। বলে মা আর ক'টা দিন থাকি।  ঢাকা এসে ছেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিল্ডিং দেখিয়ে বলে মা, এগুলা দেখার জন্য ঢাকা আসছি.... মন তার খারাপ হয়ে গেল।

০৩। লেক আর লেকের পাড় এই দুটোই এখানকার দেখার বিষয়। লেকে শাপলা ফুটেছে আর মাঠের ঘাস শুকিয়ে লাল হচ্ছে এই যা। নিচেও শাপলার ফুল, ক্যাপশন হবে একই।

https://i.imgur.com/zUFoxOY.jpg

০৪।
https://i.imgur.com/B913z3q.jpg

০৫।
https://i.imgur.com/aHxQ5Qt.jpg

০৬। লেকের ওপারে এমন অনেক মাটির ঘর, ঘরের চালায় দেখলাম সৌর বিদ্যুত। কী তফাত শহর আর গাঁয়ের জীবনযাত্রা। এরা প্রকৃতির রূপ দেখে শুদ্ধ অক্সিজেন নাকে টেনে সুস্থ থাকে। আর আমরা ভেজাল খেয়ে অসুখ খাই বড়ি খাই অজস্র।

https://i.imgur.com/YPCTuRG.jpg

০৭। মাটির ঘর গুলো।

https://i.imgur.com/4L92HA4.jpg

০৮। একদল সাদা হাঁস, অনেক দূরে ছিল লেন্সে যা আসছে তাই

https://i.imgur.com/JnmPWS2.jpg

০৯।
https://i.imgur.com/bEDq446.jpg

১০।
https://i.imgur.com/g0SJVxH.jpg

১১।
https://i.imgur.com/qJZWXkj.jpg

১২।  ©কাজী ফাতেমা ছবি
=জলের আয়নায় কী মুগ্ধতা আছে ছড়িয়ে=
করুণাময়ের সৃষ্টি এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড, মুগ্ধতার অপার মহিমা এখানে আছে ছড়িয়ে,
যেদিকে দৃষ্টি রাখি তাঁরই নিয়ামত ছুঁয়ে থাকি,
জলের উপর তাঁর দয়ায় ফুটে থাকে কত রঙবাহারী ফুল ,
চোখ জুড়ানো এই প্রকৃতি জুড়ে তাঁর রহমত ঝরে অবিরত।

বিষাদ এসে ঝাপটে ধরে যখন, স্মরি তাঁরই সৃষ্টির সৌন্দর্য,
জলের আয়নায় দেখি নিজ মুখোচ্ছবি.... রবের দেয়া এ প্রাণ,
মুহূর্তেই জেগে উঠে বেঁচে থাকার সুখ অনুভূতি,
কৃতজ্ঞতা ঝরে পড়ে জলে আমার প্রভুর তরে কেবল।

যে জলের তলে মানুষের রিযিক,
সে জলের উপর সীমাহীন সৌন্দর্য ডানা মেলে
আমার করুণাময়ের অসীম ক্ষমতায় ঘেরা তাঁর বান্দার কল্যাণ,
কী করে অস্বীকার করি জীবন; এত সুন্দর জীবন যে তাঁরই দান।

কত রঙের ফুল, পাখির ডানা তিনি এঁকে দিয়েছেন রঙের বাহার,
ঘ্রাণ ছড়ানো কত ফুল মানুষকে দিয়ে যাচ্ছে সুখে বেঁচে থাকার শক্তি,
সবুজের বুকে চোখ রাখলেই দৃষ্টির আলো হয় বিস্তির্ণ,
কী করে ভুলে যাই নিত্য আমার প্রভুর ইবাদত করতে।

যে জল মানুষের প্রাণ বাঁচায় সে জলের তলে ভেসে বেড়ায় মানুষের খাদ্য,
যে জল হাওয়ার তোড়ে ঢেউ খেলে, সে জলেই মুখ দেখে আকাশ তার'
একটি প্রশস্ত আকাশ প্রভুর কৃপায়, আকাশপানে তাকিয়ে
তাঁর বান্দা ফিরে পায় মনোবল, বেঁচে থাকার স্বাদ।

এই পথ ধুলোবালি, নদীর জল, আলো হাওয়া সবই তাঁর সৃষ্টি
প্রতিটি সৃষ্টিই রবের বান্দার কল্যাণে নিয়োজিত
তবুও মুখ ফিরিয়ে থাকি তাঁর দয়া পেয়েও তাঁর ইবাদতে,
কখনো কৃতজ্ঞতা রাখি তাঁর কাছে, কখনো ভুলে যাই
পুষি অহম মনে।
https://i.imgur.com/nsgv8N7.jpg

১৩। স্থানীয়রা রোদ পোহাচ্ছে। কী সুন্দর তাদের জীবন। রোদও পোহাচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখছে। তবে এরা ফুলগুলো ছিঁড়ছে না বা পানি নষ্ট করছে না বলে বেশী ভালো লাগে।

https://i.imgur.com/nVhI8zh.jpg

১৪।
https://i.imgur.com/nnhwGI8.jpg

১৫। ঝরা পাতাদের গান বাজে পথিক হাঁটলেই। কেউ করুণসুর শুনে কানে কেউ শুনে সুখ নূপুরের কুচকাওয়াজ।

https://i.imgur.com/xJp1C8x.jpg

১৬। ভেড়া ছিলো মাঠে অনেক। বোনের বাড়ীতে যেতে হবে তাড়াহুড়ায় ছবি তুলতে পারিনি ইচ্ছেমত।

https://i.imgur.com/kHqhm2I.jpg

১৭। রাস্তায় এই সবুজ বাড়িটির দেখা পাই। চারিদিকের প্রকৃতি মরতে শুরু করেছে। ধুঁধু খাঁখা করবে মাঠ ঘাট গাছপালা।

https://i.imgur.com/qB3DKKj.jpg

১৮। ঝরা পাতাদের গান।
https://i.imgur.com/zCHZQAM.jpg

১৯।
https://i.imgur.com/ixYRNhU.jpg

২০। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=সেই তো জায়গা হবে মাটির ঘরে=
এত হা হুতাশ, এত সুখ জীবনজুড়ে, উঁচু প্রাসাদে করি বসবাস,
তবুও কী সুখ ছুঁয়ে থাকি, দুশ্চিন্তায় ফেলি এক দলা দীর্ঘশ্বাস,
কোথায় আছে শান্তি আছে রাখা,
ভিতরবাড়ীতে তাকালেই দেখি সেথায় রোদ্দুর নেই,
অন্ধকার ফাঁকা।

কার শান্তি কোথায়, কেউ মাটির ঘরে থেকেও কী সুখ পায় খুঁজে,
ধনী গরীব কে না বিষাদের ঢেউ এলে কাঁদে বালিশে মুখ গুঁজে;
কে না ফেলে ধুলায় বিষাদের জল
কে না হারায় বিষণ্ণতার তল।

জীবনে দুঃখের তীর বুকে বিঁধবার জন্য একটি স্বজনই যথেষ্ট,
তোমাকে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে ফেলবে এই যেন তার অভীষ্ট;
শান্তি আর সুখ অথবা আনন্দ অট্টালিকাতেও থাকে,
কিংবা এক জানালার মাটির ঘরে, কত স্বস্তি লুকানো থাকে জীবন বাঁকে।

যদি সুখ তোমার না থাকে কপালে, প্রাসাদে সোনার খাঁটে শুয়েও সুখ কী পাবে?
যদি সন্তুষ্টি থাকে লিখা কপালে তুমি মাটির ঘরে শুয়েও তুষ্টিতে ভেসে যাবে,
সুখ নষ্ট করে অন্যের, কেউ টাকার পাহাড় গড়ে, তার মনেই কী শান্তি বিরাজমান?
সুখের সাগরে হাবুডুবু খাওয়া যায় অন্যকে করে অপমান?

এতই অহঙ্কার মানুষের মনে, এতটাই হিংসা, ঈর্ষা বিদ্বেষ,
অন্যের শান্তি হরণ করে সে নিজেও তিলে তিলে নিঃশেষ,
সুখের সংজ্ঞা কারো অনুভূতিতে রয় না, সুখ কী সে চিনে না,
তাই অন্যেকে হাসিয়ে সে নিজের জন্য এমন সুখ কিনে না।

সে জানে যেতে হবে মাটির ঘরে, যেখানে নেই দরজা জানালা,
তবুও মেলে ধরে দুনিয়ার বুকে তার স্বার্থের ডালা,
অনুভব ছুঁয় বিত্ত বৈভব, টাকা কড়ি,
নিজের বুলি তিতে করে অন্যকে রাখে তুচ্ছতায় আর ভাসায় নিজের সুখের তরী।

শান্তি স্বস্তি গাছের তলায় যে থাকে তারও আছে,
আর সেই সুখ তুচ্ছ হয় বড় মার্বেল পাথরের মেঝে প্রাসাদের কাছে,
সুখ পেতে হলে অন্যকে সুখী করতে হয়, সুখের অনুভূতি জাগাতে হয় মনে,
সুখ ছেড়ে হাওয়ায় আবার সেই সুখ পেতে ব্যস্ত হতে হয়
জীবনের বাঁকে বাঁকে ভালো কাজ আহরণে।
https://i.imgur.com/ZMdRqjl.jpg

২১।
https://i.imgur.com/cGUD2fY.jpg

২২। শাপলা হাঁস সবুজ, বাড়ী ঘর কী সুন্দর না সব মিলিয়ে ?

https://i.imgur.com/lWfy6mQ.jpg

(ছবিগুলো ক্যানন ৬০০ডি ক্যামেরায় তোলা )

মেসার্স/ট্রেডার্স/ব্রাদার্স/এন্টারপ্রাইজ দিয়ে কী বুঝায়?

$
0
0

মেসার্স বা ট্রেডার্স শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। কোনো দোকান বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে মেসার্স, ট্রেডার্স, এন্টারপ্রাইজ শব্দগুলো লেখা থাকে। কিন্তু আমরা প্রায় অনেকেই জানি না যে আসলে এই শব্দগুলো কেন লেখা থাকে। যার কারণে সর্বত্রই দেখা যায় ভুল ব্যবহার। চলুন জেনে নিই মেসার্স, ট্রেডার্স, এন্টারপ্রাইজ শব্দের অর্থ।

মেসার্স:

ফরাসি শব্দ মসিয়ার এর অর্থ হচ্ছে জনাব/মহোদয়। আর মসিয়ার এর বহুবচন মেইসিয়ারস যার সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মেসার্স(Messrs)। মেসার্স শব্দের অর্থ হচ্ছে সর্বজনাব, ভদ্রমহোদয়গণ। আবার ইংরেজি মিস্টার শব্দের বহুবচন হচ্ছে মেসার্স। তাই কোন প্রতিষ্ঠান যদি একের অধিক ব্যক্তি মালিকাধীন হয় তবে তার পূর্বে মেসার্স লেখা যায়। যেমন মেসার্স রবিন এন্ড কোং।

যেসব প্রতিষ্ঠান একক ব্যক্তির নামে বা মানুষের নামে নয় তাদের নামের পূর্বে মেসার্স লেখা উচিত নয়। যেমন: মেসার্স রানা ট্রেডার্স, মেসার্স ফুলকলি এন্ড কোং। আমাদের দেশে এই ভুলটি সবাই করে থাকে। সবাই মেসার্স লিখে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। কিন্তু এটি উচিত নয়।

ট্রেডার্স:

ইংরেজি trade শব্দের অর্থ ব্যবসায়। trader শব্দের অর্থ ব্যবসায়ী। আর trader এর বহুবচন হলো ট্রেডার্স, অর্থাৎ ট্রেডার্স শব্দের অর্থ ব্যবসায়ীগণ।

ট্রেডার্স বলতে একাধিক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান বোঝায় যারা নিজেরা ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনে এবং বিক্রি করে। কিন্তু তারা যদি নিজেরা পণ্য উৎপাদন করে বিক্রি করে তাহলে তা কিন্তু ট্রেডার্স এর আওতাভুক্ত নয়। যেমন: মেসার্স কাজল এন্ড করিম ট্রেডার্স।

এন্টারপ্রাইজ:

ইংরেজি এন্টারপ্রাইজ শব্দের অর্থ উদ্যোগ। কোন ব্যবসায় সংগঠন চালানো এবং ঝুঁকি নেওয়াকে এন্টারপ্রাইজ বলে। প্রকৃতপক্ষে এন্টারপ্রাইজ এক ধরনের উচ্চাভিলাষী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যেমন: হানিফ এন্টারপ্রাইজ।

ব্রাদার্স:

ব্রাদার্স বলতে পেশা বা সমিতিভুক্ত ব্যক্তিবর্গকে বুঝায়। এটি আমাদের দেশে ঠিকভাবেই ব্যবহৃত হয়। যেমন: মেসার্স কাজল এন্ড ব্রাদার্স।

শেষ কথা,

একা কোনো উদ্যোগ নিলে এন্টারপ্রাইজ নাম দিতে পারেন। একাধিক ব্যক্তি হলে মেসার্স নাম দিবেন। আবার কোনো সমিতি গঠন করলে ব্রাদার্স নাম দিবেন। আর যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কেনা বেচা করেন তাহলে ট্রেডার্স নাম দিবেন।

আশা করি, আমার আলোচনা থেকে টেড্রার্স, এন্টারপ্রাইজ, ব্রাদার্স, মেসার্স শব্দের অর্থ কী বুঝায় এবং কোথায় ব্যবহার করা যায় তা বুঝতে পেরেছেন।

আর প্রোপাইটার মানে তো জানেন।

@সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে অদ্ভুত ভাস্কর্য কোনটি? কেন?

$
0
0

এই ভাস্কর্যটি আমার কাছে সবচেয়ে অদ্ভুত ও হাস্যকর মনে হয়েছিল যেখানে ম্যানহোল থেকে একজন উঠে পা টেনে ধরতে দেখা যাচ্ছে।
এটি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে নির্মান করেন De Vaartkapoen

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-279b17d4ef5e20a3edb8e719e1adfaa2-lq





কোনও মহিলার হ্যান্ডব্যাগের স্মৃতিস্তম্ভ,( ইতালি)
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-166846c3293faba4e94bed7c5aeed280-lq

কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদ স্মৃতি (ক্র্যাশনায়ারস্ক, রাশিয়া)
https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-c0255705c1d5c960394c383be6184ba6-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-98500fa7f174516b0d8ef31abe8f9d00-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-0bf69fd4f44d7b0cf0565a4c5b0a6b80-pjlq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-ae4190a551949e4d6be87627b3fc60b7-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-8081100535a652fb67ae32ac3c3bbdf4-lq

https://qph.fs.quoracdn.net/main-qimg-906cc73d2a6d0d483b8eb2e4d7607210-lq

#সংগৃহীত

Viewing all 15150 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>