আমরা কতটা বাঙালি?
আল-আমীন আপেল
আমরা সগর্বে স্বীকার করি আমরা বাঙালি। নিজের
বাঙালিত্ব প্রকাশে সামান্য
কার্পণ্য করি না আমরা। পহেলা বৈশাখ এলে হালখাতা
করি, লাঠি খেলা দেখি,
মেলায় যাই, বাতাসা আর হাওয়াই-মিঠাই খাই। ইলিশের
সাথে পান্তা ভাত খাই।
এতেই কি বাঙালিপনার সব পর্ব শেষ?
সময়ের ব্যবধানে মুছে যাচ্ছে এসব ব্যাপারও। চর
জাগছে বাঙালি সংস্কৃতির
ছোট্ট নদীটাতে। নদীটা এক সময় বড় ছিল। কিন্তু,
সর্বনাশা কিছু সংস্কৃতি
গ্রাস করে ছোট করে ফেলছে নদীটাকে। ভাষার
ব্যবহারের কথা নাইবা বলি। আর বলে
লাভটা কি?
আমার কথার কি সাধ্য জেগে জেগে ঘুমিয়ে
থাকা মানুষকে ভাষার মান
রক্ষার কথা বোঝায়! রফিক,জব্বার জীবন দিয়ে কি
এই জন্য ভাষাটাকেই রক্ষা
করেছিল? আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস পালন করি মহা সমারোহে।
কিন্তু, অনেক জায়গায় দেখা যায় সেদিন উদযাপনে যে
গান বাজে, নৃত্যানুষ্ঠান
হয় তা এদেশীয় গান নয়, নৃত্য নয়। অন্য সংস্কৃতি থেকে
ধার করা। বড় কষ্ট হয়
যখন দেখি এমনটা হয়। লজ্জিত হই, যখন দেখি
স্বাধীনতা স্মারক কিংবা শহীদ
মিনারে পালা করে অন্য সংস্কৃতির ধার করা গান বাজে।
এই কি আমাদের
বাঙালিত্বের পরিচয়?
ভাষা শহীদ, মুক্তিযোদ্ধারা কি এমন বাঙালি চেয়েছিল?
উত্তরটা জানা নাই আমার। বাংলার সংস্কৃতি যদি না
বাঁচে তবে বাঙালিও বাঁচবে
না। তাই, নিজের দেশকে, সংস্কৃতিকে, ভাষাকে
ভালবাসতে শিখতে হবে। স্বপ্ন
বুনতে হবে। নিজের ভাষা-সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে উচু
মর্যাদার স্থানে নিয়ে
যেতে হবে। বেঁচে থাকুক বাংলা ভাষা, বাঙালি আর
বাংলার সংস্কৃতি।
লেখকঃ
শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর।