Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

নবী রাসূলদের উপর ঈমান

$
0
0

আল্লাহ তাআলা মানবজাতীকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, মানুষ প্রথমে হেদায়েতের উপরই ছিল, অতঃপর মানুষ যখন পরস্পরে বিরোধ করতে শুরু করল, সত্য ও হেদায়েত থেকে দূরে সরে যেতে লাগল, তখনই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে শিক্ষাদীক্ষা ও আখেরাতের ভয় প্রদর্শনের জন্য ধারাবাহিকভাবে নবী রাসুলদেরকে তাঁর শরিয়ত নিয়ে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত। (জুম’আঃ ২)
প্রত্যেক নবী তাঁর স্বীয় সম্প্রদায়ের নিকট একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসেছেন, তাদের যা উপযোগী তা নিয়ে ও তাদেরকে পবিত্র করতে। যে ব্যক্তি কোন একজন রাসুলকে অস্বীকার করল সে যেন সব রাসুলকেই অস্বীকার করল, অতঃএব যে ঈসা (আঃ) এর উপর ঈমান আনলনা, সে মূলত মূছা (আঃ) এর উপরও ঈমান আনেনি, আর মুহাম্মদ (সাঃ) এসেছেন ঈসা ও মূছা (আঃ) এর শরিয়তকে রহিত করতে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। (মায়েদাঃ ৪৮)
হযরত ইদ্রিস (আঃ) থেকে শুরু করে নুহ, ইব্রাহিম, ইসমাইল, মূছা , ঈসা ও মুহাম্মদ (সালাওয়াতুল্লাহি আলাহিম আজমাইন) পর্যন্ত আল্লাহর সব নবী রাসুলরা একের পর এক ধারাবাহিকভাবে এসেছেন।
আল্লাহ তাআলা তাদের কাহিনী আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন। কেননা তাদের কাহিনীগুলোতে জ্ঞানীদের জন্য অনেক উপদেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ রহমত ও হেদায়েত। (ইউসুফঃ ১১১)। বিস্তারিত পড়ার জন্য: bn.islamkingdom.com/s2/47460


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>