রাত বারোটার কাছাকাছি। চার রাস্তার মোড়ের
ব্যাস্ত রাস্তাটা একদম নিস্তব্ধ। কোথাও কোন
মানুষ নেই।
হালকা দূরে তাকিয়ে দেখি বৃদ্ধ রহিম
চাচা তার দোকান বন্ধ করছে। রহিম চাচা কোন
বিয়ে করেননি তাই তার কোন সন্তানও নেই।
পরিবারের অার যারা ছিলো সকলেই এক এক
করে না ফেরার দেশে চলে গেছে। দৌড়ে তার
দোকানের সামনে গেলাম। পকেটে হাত দিতেই
দুইটা দশ টাকার নোট বের হলো। চাচার
দিকে একটা দশ টাকার নোক বারিয়ে দিয়ে বললাম
-চাচা একটা বেনসন সিগারেট দেন।
চাচা অামার দিকে ঘুরে বললো,
-কে? ও লাবু। দাড়াও বাবা,,
চাচা অামাকে একটা সিগারেট দিলেন অার
সাথে ম্যাচটা দিলেন। অামি সিগারেটের মাথায়
অাগুন ধরিয়ে ম্যাচটা চাচাকে দিয়ে হাটা ধরলাম
নদীর ধারে।
- বাবা অাজকে বসবা না? মন খারাপ নাকি?
-না চাচা। ক্যালেন্ডারের পাতায় দেখলাম
অাজকে নাকি চাদের অালো সাধারনের
চেয়ে দ্বিগুন। অার এখানে বড় বড় বিল্ডিং এর
ফাকে ফাকে চাঁদটা ভালো দেখা যায় না। তাই নদীর
পাড়টায় যাচ্ছি। অাজকে জোৎস্না স্নান
করতে মন চাইলো। তাই অাজ বসবো না।
অাবার হাটা ধরলাম চাচাকে বিদায় জানিয়ে।
সত্যি বলতে কী কিছু কিছু গল্পের কোন মানে হয়
না। অাবার কিছু কিছু গল্প অল্পতেই বিশাল অাবেগের সৃষ্টি করে।
(ডায়েরির পাতায় ৪ জানুয়ারি, ২০১৫)