Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৪

$
0
0

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
http://i.imgur.com/uY2bhBD.jpg
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।

পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) : পর্ব - ০১, পর্ব - ০২পর্ব - ০৩,
==================================================================================

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৪

কিছু দিন পরে সমরকন্দ থেকে সংবাদ আশে উজবেক সর্দার সাইবানি খান সমরকন্দ দখল করে নিয়েছে। সমরকন্দের বাসিন্দাদের নিবিচারে হত্যা করে সম্পদ লুট করেছে। মাহমুদকে হত্যা করে তার চামরা দিয়ে ঢোল তৈরি করেছে। বাবর বুঝতে পারে এবার সাইবানি খান বাবরকে হত্যা করে ফারগানার কথিত সম্রাট বাবরের সৎ ভাই জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে ফারগানা দখল করে নিবে। তাই বাবর ঠিক করে জাহাঙ্গীর ও তামবাল কে সন্ধির প্রস্তাব দিবে। ওরা যদি বাবরকে সমরকন্দ দখলের জন্য সাহায্য করে তাহলে বাবর ফারগান থেকে নিজের দাবী তুলে নিবে। তামবাল এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে সৈন্য পাঠায়, এবং তখন আয়শার বাবাও বাবরের সুদিন ফিরে আসছে বুঝতে পেরে তার তীরন্দাজ বাহিনী বাবরের কাছে পাঠিয়ে দেয়।


বাবর তার মাঝারি আকারের বাহিনী নিয়ে সমরকন্দের দিকে এগিয়ে যায়। শহরের কাছে পৌছে বাবর বাইসানগারের নেত্রিত্বে অশ্বারোহী বাহীনির অর্ধেক দিয়ে বলে শহরের দূর দিয়ে ওরা পশ্চিম দিকে চলে যেতে থাকবে। সাইবানি খান যখন দেখবে বাবরের দল আক্রমণ না করে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যাচ্ছে তখন সে তার বাহিনী নিয়ে বাবরকে হত্যার জন্য পিছু ধাওয়া করবে। সেই সুযোগে বাবরের মূল দল পিছনে পাহারের আড়ালে লুকানো যায়গা থেকে বেরিয়ে শহরের দেয়ালে মই লাগিয়ে ভিতরে ঢুকে যাবে। আর বাইসানগারের বাহিনী বৃত্তাকারে ঘুরে এসে মূল দলের সাথে যোগ দিবে। প্লান অনুযায়ী বাবর খুব সহজেই শহরে ঢুকে পরে এবং শহর মোটামুটি দখল করে নেয়। সেদিন রাত থেকেই ১৯ বছরের বাবর নিজ হাতে ডাইরি লিখতে শুরু করেন। যা বাবরনামা নামে বিখ্যাত।


একদিন বাবর পাহারের  চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখতে পায় দূরে একদল সৈন্য এগিয়ে আসছে সমরকন্দের দিকে। বাবর বুঝতে পারে সাইবানি খান তার সৈন্য দল নিয়ে ফিরে আসছে সমরকন্দ দখল করার জন্য। বাবর তার লোকদের সাথে পরামর্শ করে এবং ঠিক করে চারটি ভাগে ভাগ হয়ে তারা শহর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে শত্রুদের আচমকা আক্রমণ করবে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে যখন তারা আক্রমণ করে তখন দেখা যায় অল্পতেই শত্রুরা তাদের নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পালটা আক্রমণ করছে। দেখতে দেখতে বাবরের দলের সৈন্যরা গণহারে মারা পরতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে বাবর দেখে পিছন থেকে সাইবানি খানের আরও একদল সৈন্য এগিয়ে আসছে। তাই বাবর সকলকে নির্দেশ দেয় যুদ্ধ ছেড়ে দূর্গে পালিয়ে যেতে। নদী পার হওয়ার সময় ওয়াজির খানের গলায় তীর লেগে মারা পরে। বাবর ফিরে আশে তার অবশিষ্ট সৈন্যদের নিয়ে সমরকন্দ দূর্গে।


সাইবানি খান মাসের পর মাস সমরকন্দ অবরধ করে রাখে। ফলে দেখাদেয় চরম খাদ্যাভাব। মানুষ অনাহারে কঙ্কালসার হয়ে পরে। আর দিন পাঁচেকের খাদ্য রয়েছে মজুদে। এরপর অনাহেরে মরতে হবে সকলকে। এমনি সময় সাইবানি খানের দূত এসে বাবরকে জানায় সাইবানি খান বাবর আর তার পরিবারের লোকদের, সেই সাথে বাবরের অবশিষ্ট সৈন্যদের শহর ছেড়ে চলে যেতে দিবে, যদি ববাবর আগামী ১৪ দিনের ভিতরে শহর ছাড়তে রাজি থাকে। সাইবানি খান কোরানের কসম খেয়ে এই প্রস্তাব পাঠালে বাবর রাজি হয়। বাবর তার বেঁচে থাকা অবশিষ্ট অল্প সংখ্যক সৈন্য ও পরিবারে সদস্য মামা, নানী ও বড় বোন খানজাদাকে নিয়ে শহরের একটি গেইট দিয়ে বের হতে শুরু করে আর অন্য গেট দিয়ে সাইবানি খান ভিতরে ঢুকে। কিন্তু বাবর শহর ছেড়ে বের হওয়ার আগেই সাইবানি খানের সৈন্যদল তাদের ঘেরাও করে এবং দূত জানায় বাবরের বোন খানজাদাকে সাইবানি খান বিয়ে করতে চান। বাবর রাজী না হলে সকলকে এই মুহূর্তে হত্যা করা হবে। বাধ্য হয়ে বাবর তার একমাত্র বোনকে সাইবানি খানের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নিজের সৈন্য ও পরিবারের বাকি সদস্যদের বাঁচাতে অসহাও বাবর তার একমাত্র বড় বোন খানজাদাকে তৈমূর বংশের চিরশত্রু সাইবানি খানের হাতে দিয়ে স্বপ্নের সমরকন্দ ছেড়ে বেরিয়ে আসে।


বাবর তার স্ত্রী আয়শার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয় আর তার মা, নানী ও বাকি দল নিয়ে প্রত্যন্ত এক পাহাড়ি গ্রামে আস্তানা গাড়ে। অতি কষ্টে সেখানে তাদের দিন কাটতে থাকে। একদিন রাতের বেলা বাবর দেখে একটি নেকরে মুখে করে একটি মুরগি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সৈন্যরা জানায়, নেকড়েটি প্রথম দিন ঘোড়ার আস্তাবলে একটি অসুস্থ ঘোরার বাচ্চাকে আক্রমণের চেষ্টা করে, কিন্তু ঘোরার খুরের আঘাতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। দ্বিতীয় রাতে ভেড়ার খোড়ারে হানা দিয়ে একটি ভেড়াকে আহত করে, কিন্তু শব্দ শুনে লোকজন জেগে গেলে পালিয়ে যায়। আজ তৃতীয় দিনে সে একটি মুরগি চুরি করে নিয়ে যেতে সফল হয়েছে। বাবর এই ঘটনা শুনে বুঝতে পারে তার জীবেন সাথে কি করুন ভাবে মিলে গেছে ঘটনাটি। বাবর বুঝতে পারে সামরকন্দ আর ফারগানার মত বড় রাজ্য বাদ দিয়ে তাকে এখন ছোট ছোট গ্রাম আর দূর্গের দিনে নজর দিতে হবে। তাহলেই সফল হবে।


-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------


আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার

তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি

কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরীর

মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>