Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all 15150 articles
Browse latest View live

কদর বেড়েছে অনলাইন সাংবাদিকতার

$
0
0

সংবাদপত্র বিলীন হয়ে যাওয়ার এই উদ্বেগের কারণ নয়া যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষত অনলাইন সাংবাদিকতার বিস্ফোরণ। সংবাদ পরিবেশনায় দ্রুত গতি, স্বল্প ব্যয় এবং মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের কারণে ইন্টারনেটভিত্তিক সাংবাদিকতা এগিয়ে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য রকমের দ্রুত গতিতে। প্রথম দিকে সনাতন বা কাগুজি সাংবাদিকতার ইন্টারনেটভিত্তিক প্রকাশকে অনলাইন সাংবাদিকতা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর সংজ্ঞা, পরিসীমা ও ব্যাকরণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। আজ যাকে ইন্টারনেট সাংবাদিকতা বলা হচ্ছে কালই তাকে নতুন নামে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে অনলাইন সাংবাদিকতা, কাগুজে সাংবাদিকতার চেয়ে অনলাইন সাংবাদিকতা এগিয়ে যাওয়ার কারণকে কয়েকটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়। অনলাইন সাংবাদিকতাকে বলা হচ্ছে তাৎক্ষণিক সাংবাদিকতা। এখানে পাঠককে সংবাদ জানানোর জন্য পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। যখনই ঘটনা সংবাদে রূপ নিচ্ছে, তখনই তা পোস্ট হয়ে যাচ্ছে নিউজ সাইটে। এ কারণে অনলাইন সাংবাদিকতাকে ‘ইনস্ট্যান্ট জার্নালিজম’ও বলা হয়। কিন্তু কাগুজে সাংবাদিকতায় এটি সম্ভব নয়। যখন ঘটনা ঘটে তার একদিন পরে প্রকাশিত হয় সংবাদপত্র। তাই পত্রিকার সাংবাদিকদের জন্য ডেডলাইনের চাপ খুব একটা থাকে না। ঘটনা যখনই ঘটুক না কেন সন্ধ্যায় সংবাদটি অফিসে গিয়ে জমা দিলেই কাজ শেষ। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও ডেডলাইন মেনে চলা হয়। টেলিভিশনে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার খবর ঠিক সাড়ে সাতটায় সম্প্রচারিত হবে। তাই এই সময়ের আগে জমা দেওয়া সংবাদগুলো সাড়ে সাতটার বুলেটিনে যাবে। এর আগে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু অনলাইন সাংবাদিকতা এদিক দিয়ে পুরোপুরি ভিন্ন। কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সাইটে তা পোস্ট করা হয়। ফলে এ ধরনের সাংবাদিকতার কদর বাড়ছে দিন দিন। সংবাদপত্রে তথ্যের হালনাগাদ করা হয় বিভিন্ন সংস্করণের মাধ্যমে। বাংলাদেশে কোনো কোনো পত্রিকা প্রথম, দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় সংস্করণ পর্যন্ত বের করা হয়। এর বাইরে চলে গেলে তারা সাধারণত তথ্যের হালনাগাদ করতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পত্রিকায় হালনাগাদ করতে অনেক অর্থ এবং লোকবলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনলাইন সাংবাদিকতায় অর্থ এবং লোকবল ছাড়াই দ্রুত তা হালনাগাদ করা যায়। সংবাদপত্রে কোনো বড় ঘটনার ক্ষেত্রে একটি বড় স্টোরির পাশাপাশি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কয়েকটি ছোট স্টোরি করা হয়। সেই সঙ্গে ছবি এবং গ্রাফিক্সের মাধ্যমে পাঠককে পুরো ঘটনা জানানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অনলাইন সাংবাদিকতায় প্রত্যেকটি সংবাদই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এখানে বড় কিংবা ছোট স্টোরি বলতে কোনো কথা নেই। সব ধরনের স্টোরিই জুড়ে দেওয়া হয় হাইপার লিংকে। দর্শক-শ্রোতা যেকোনো একটি লিংকে ক্লিক করেই ঘটনাসংশ্লিষ্ট সব ধরনের তথ্য পেতে পারে। অনলাইনে সংবাদের পাশাপাশি ছবি, ভিডিও এবং অডিও ইত্যাদি হাইপার লিংক আকারে দেওয়া হয় যা প্রিন্ট মিডিয়ায় সম্ভব নয়। কাগুজে পত্রিকায় স্থানের সীমাবদ্ধতা আছে। একদিনের পত্রিকায় কখনোই সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সংবাদপত্রের একটা শারীরিক অবয়ব আছে। কিন্তু অনলাইনের ক্ষেত্রে এরকম কোনো শারীরিক অবয়ব নেই। এটি মনিটরের আকারের উপর নির্ভর করে। পত্রিকার সংবাদ বাহন হচ্ছে হকার। কিন্তু অনলাইনে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডেস্কটপ ইত্যাদির স্ক্রিন সংবাদ বাহন হিসেবে কাজ করে।


ICMAB .

$
0
0

ICMAB এ তে কিভাবে ভর্তি হওয়া যায়, কত খরচ লাগবে?কত বছর সময় লাগবে?

নগ্নতা বা উলঙ্গ থাকার মন্সতাত্ত্বিক প্রসঙ্গ

$
0
0

মানুষের উলঙ্গাবস্থার মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম।

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের "মিসির আলীর অমীমাংসীত রহস্য" বইয়ে উল্লেখ্য আছে যে প্রচন্ড ভয় পেয়ে (ভূতের ভয়) একজন লোক তার জামাকাপড় খুলে ফেলেন {তিনি বাথরুমে বন্দি ছিলেন}। কারণ তিনি জানতেন যে উলঙ্গ হলে ভয় অনেকাংশে কমে যায়। --- এটা কি সত্য ?

একা একটা রুমের মাঝে জামাকাপড় খুলে বসে আছেন আপনি, এমন অবস্থায় কি আত্মসম্মানবোধের উপর প্রভাব ফেলে? বা অন্য কোন সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার কি কাজ করে?

-- অগ্রীম ধন্যবাদ!

রুবি vs পাইথনঃ কোনটা শেখা ভালো হবে?

$
0
0

আশা করি ভালো আছেন সবাই।

আমি বেসিক্যালি একজন জাভা প্রোগ্রামার। স্প্রিং ফ্রেমওয়ার্ক এবং অ্যাণ্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করি। একটু আধটু জাভাস্ক্রিপ্ট-জেকুয়েরী এবং অ্যাঙ্গুলার ২ দিয়ে আয়নিক ২ তে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।

কিন্তু ঈদানিং নতুন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখার ইচ্ছা জাগ্রত হল। ভাবলাম জাভাস্ক্রিপ্ট ভালোমত শেখায় সময় ব্যয় করি কিন্তু ফ্রন্টএন্ড আমাকে খুব একটা টানে না।

পিএইচপির দিকে যাওয়ার কোনরকম ইচ্ছা নাই। লারাভেল শিখে একটা প্রোজেক্ট করেছিলাম অনেক আগে। কিন্তু এই একটা ল্যাঙ্গুয়েজকে আমি কোন কারন ছাড়াই হেঁট করি কেন যেন। খারাপ বলবোনা, কিন্তু বাজে লাগে।

পাইথনই আমার চয়েজ ছিল। কিন্তু রেইলসে কাজ করা এক ফ্রেন্ড আমাকে রুবি শিখতে সাজেস্ট করলো। রেইলসে কাজ করার নাকি মজাই আলাদা। যদিও স্প্রিং বুটে কাজ করে মনে হয়েছে এর চেয়ে অসাধারণ কোন ফ্রেমওয়ার্ক দুনিয়াতে হতে পারে না। তবে নতুন কিছু শিখলে দোষ কি। নতুন কিছু শেখা হবে, জবের ক্ষেত্রেও একটা ফিল্ড বেড়ে যাবে।

এখন সমস্যা হচ্ছে দুটোর মধ্যে একটাতে কিছুতেই মনস্থির করতে পারছি না। কতক্ষণ রুবির টিউটোরিয়াল দেখি, কতক্ষণ পাইথনের। জাভা ডেভেলপার হিসেবে একটাকেও অবশ্য ভাল লাগে না, তবে শিখে ফেললে মজা পেয়ে যাবো সুনিশ্চিত। (প্রোগ্রামিং নিয়ে তীব্র মাত্রায় প্যাশনেট মানুষ আর কি! tongue)

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনটা শিখলে জবের ক্ষেত্রে দরজার সাইজটা একটু বড় হবে বলে আপনি মনে করেন? এবং কেন মনে করেন? একটু দূরদর্শী মতামত আশা করছি।

অনেক ধন্যবাদ।

(মডারেটর মহোদয়ের নিকট সবিনয় প্রার্থনা, আমার অ্যাকাউন্টের নামটা চেঞ্জ করে "সায়েম" রাখা যায় কি? কম বয়সে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম তাই উটকো একটা নাম নিজের নামের শেষে যুক্ত করেছিলাম। দেখলে অস্বস্তি লাগে এখন। বেশ পুরনো অ্যাকাউন্ট তাই আরেকটা অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই না, এই ফোরামে মে বি এটা নিষেধ। আশা করি একটু ভেবে দেখবেন।)

অর্থনীতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে, ফেড বেঞ্চমার্ক সুদের হার বৃদ্ধি করেছে!

$
0
0

অর্থনীতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে, ফেড বেঞ্চমার্ক সুদের হার বৃদ্ধি করেছে!
http://forex-images.mt5.com/prime_news/58ca068d29760.jpg
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ তাদের দুই দিনব্যাপী নীতিমালা পর্যালোচনা শেষে,  তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারেরমত মুদ্রানীতি শক্তিশালী করতে একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফেড এর প্রধান জ্যানেট ইলেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রাতারাতি সুদের হার 0.25 শতাংশ হাইক বাড়ানোর এই পদক্ষেপটি প্রধ্যান্য দেওয়া হয়েচে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দৃঢ়তা এবং সংগতিপূর্ণতা রক্ষায় এবং ক্রমবর্ধমান আস্থা রাখতে যা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে।
কারেন্সিগুলোতে এর প্রভাব ও বিস্তারিত দেখুনঃ https://goo.gl/nTVwDd

স্প্রিং সিকিউরিটিঃ UserDetailsService দিয়ে ইউজার অথেনটিকেশন

$
0
0

স্প্রিং সিকিউরিটি বেসিক অথেনটিকেশন নিয়ে আমার পূর্বের আর্টিকেলটি দেখুন এখানে

এই আর্টিকেলে আমরা UserDetailsService দিয়ে ডেটাবেইজে ইউজারের টেবিল থেকে আমরা ইউজারকে অথেন্টিকেট করব।

এজন্য ইউজারের Entity কে একটু সাজাতে গুছাতে হবে। User class এ ইমপ্লিমেন্ট করে দিন স্প্রিং সিকিউরিটির UserDetails interface।

User Entity টা হবে এরকমঃ

User.java

@Entity
public class User implements UserDetails {
    @Id
    @GeneratedValue(strategy = GenerationType.AUTO)
    private Long id;
    private String name;
    @NotNull
    @Column(unique = true)
    private String email;
    private String password;
    private String token;
    @Embedded
    private Address address;
    private String phoneNumber;
    private boolean enabled = true;
    private boolean accountNonExpired = true;
    private boolean accountNonLocked;
    private boolean credentialsNonExpired = true;
    @ElementCollection(fetch = FetchType.EAGER)
    private Collection<String> roles;


    @Override
    public Collection<? extends GrantedAuthority> getAuthorities() {
        List<GrantedAuthority> authorityList = new ArrayList<>();
        this.roles.forEach(r -> {
            authorityList.add(new SimpleGrantedAuthority(r));
        });
        return authorityList;
    }

    @Override
    public String getPassword() {
        return this.password;
    }

    @Override
    public String getUsername() {
        return this.email;
    }

    @Override
    public boolean isAccountNonExpired() {
        return this.accountNonExpired;
    }

    @Override
    public boolean isAccountNonLocked() {
        return this.accountNonLocked;
    }

    @Override
    public boolean isCredentialsNonExpired() {
        return this.credentialsNonExpired;
    }

    @Override
    public boolean isEnabled() {
        return this.enabled;
    }

    public Long getId() {
        return id;
    }

    public void setId(Long id) {
        this.id = id;
    }

    public String getEmail() {
        return this.email;
    }

    public void setEmail(String email) {
        this.email = email;
    }

    public void setPassword(String password) {
        this.password = password;
    }

    public String getToken() {
        return token;
    }

    public void setToken(String token) {
        this.token = token;
    }

    public Address getAddress() {
        return address;
    }

    public void setAddress(Address address) {
        this.address = address;
    }

    public String getPhoneNumber() {
        return phoneNumber;
    }

    public void setPhoneNumber(String phoneNumber) {
        this.phoneNumber = phoneNumber;
    }

    public void setEnabled(boolean enabled) {
        this.enabled = enabled;
    }

    public void setAccountNonExpired(boolean accountNonExpired) {
        this.accountNonExpired = accountNonExpired;
    }

    public void setAccountNonLocked(boolean accountNonLocked) {
        this.accountNonLocked = accountNonLocked;
    }

    public void setCredentialsNonExpired(boolean credentialsNonExpired) {
        this.credentialsNonExpired = credentialsNonExpired;
    }

    public Collection getRoles() {
        return this.roles;
    }

    public void setRoles(Collection<String> roles) {
        this.roles = roles;
    }

    public String getName() {
        return name;
    }

    public void setName(String name) {
        this.name = name;
    }

}

এখানে @Override অ্যানোটেশন দেয়া মেথডগুলা UserDetails interface এর মেথড যেখানে আমি আমার User এর রেস্পেকটিভ ফিল্ডগুলা রিটার্ন করে দিয়েছি। মানে এখন থেকে স্প্রিং সিকিউরিটি চিনে নেবে কোনটা আমার কোন ফিল্ড।



আপনি যদি স্প্রিং সিকিউরিটিকে আপনার অ্যাপ্লিকেশনের কোডের সাথে জগাখিচুড়ি করতে না চান তবে একটু ভিন্ন অ্যাপ্রোচে এগুতে পারেন। সেটা নিচের দিকে দেখানো হবে। তবে আপাতত এভাবেই আমার ভালো লাগে, কারন স্প্রিং সিকিউরিটি ছাড়া অন্য কোন সিকিউরিটি ফ্রেমওয়ার্ক ভবিষ্যতে ইউজ করার সম্ভাবনা নাই।

এবার একটা সার্ভিস বিন তৈরি করুন। আমি এক্ষেত্রে নাম দিলাম CustomUserDetailsService যেটা স্প্রিং সিকিউরিটির এর UserDetailsService interface ইমপ্লিমেন্ট করবে।

CustomUserDetailsService.java

@Service
public class CustomUserDetailsService implements UserDetailsService {
    @Autowired
    private UserService userService;

    @Override
    public UserDetails loadUserByUsername(String username) throws UsernameNotFoundException {
        User user = this.userService.findByEmail(username);
        if (user == null) throw new UsernameNotFoundException("No user found with this email " + username);
        return user;
    }
}

আমি এখানে UserDetails loadUserByUsername(String username)  মেথডে আর্গুমেন্ট হিসেবে দেয়া ইউজারনেম দিয়ে ইউজারকে খুঁজে বের করে এনে রিটার্ন করে দিয়েছি। ব্যাস কাজ এইটুকুই। স্প্রিং সিকিউরিটি বারকীটা আপনার জন্য হ্যাণ্ডেল করবে।



একটু আগে ভিন্ন অ্যাপ্রোচের কথা বলেছিলাম, যেখানে আপনার অ্য্যাপ্লিকেশনের কোডের সাথে স্প্রিং সিকিউরিটি কোডের কাপলিং হবে না।

এই অ্যাপ্রোচের চেহারাটা হতে পারে এরকমঃ

User.java

@Entity
public class User  {
    @Id
    @GeneratedValue(strategy = GenerationType.AUTO)
    private Long id;
    private String name;
    @NotNull
    @Column(unique = true)
    private String email;
    private String password;
    private String token;
    @Embedded
    private Address address;
    private String phoneNumber;
    private boolean enabled = true;
    private boolean accountNonExpired = true;
    private boolean accountNonLocked;
    private boolean credentialsNonExpired = true;
    @ElementCollection(fetch = FetchType.EAGER)
    private Collection<String> roles;

    public Long getId() {
        return id;
    }

    public void setId(Long id) {
        this.id = id;
    }

    public String getName() {
        return name;
    }

    public void setName(String name) {
        this.name = name;
    }

    public String getEmail() {
        return email;
    }

    public void setEmail(String email) {
        this.email = email;
    }

    public String getPassword() {
        return password;
    }

    public void setPassword(String password) {
        this.password = password;
    }

    public String getToken() {
        return token;
    }

    public void setToken(String token) {
        this.token = token;
    }

    public Address getAddress() {
        return address;
    }

    public void setAddress(Address address) {
        this.address = address;
    }

    public String getPhoneNumber() {
        return phoneNumber;
    }

    public void setPhoneNumber(String phoneNumber) {
        this.phoneNumber = phoneNumber;
    }

    public boolean isEnabled() {
        return enabled;
    }

    public void setEnabled(boolean enabled) {
        this.enabled = enabled;
    }

    public boolean isAccountNonExpired() {
        return accountNonExpired;
    }

    public void setAccountNonExpired(boolean accountNonExpired) {
        this.accountNonExpired = accountNonExpired;
    }

    public boolean isAccountNonLocked() {
        return accountNonLocked;
    }

    public void setAccountNonLocked(boolean accountNonLocked) {
        this.accountNonLocked = accountNonLocked;
    }

    public boolean isCredentialsNonExpired() {
        return credentialsNonExpired;
    }

    public void setCredentialsNonExpired(boolean credentialsNonExpired) {
        this.credentialsNonExpired = credentialsNonExpired;
    }

    public Collection<String> getRoles() {
        return roles;
    }

    public void setRoles(Collection<String> roles) {
        this.roles = roles;
    }
}

CustomUserDetailsService.java

@Service
public class CustomUserDetailsService implements UserDetailsService {
    @Autowired
    private UserService userService;

    @Override
    public UserDetails loadUserByUsername(String username) throws UsernameNotFoundException {
        User user = this.userService.findByEmail(username);
        if (user == null) throw new UsernameNotFoundException("No user found with this email " + username);
        return new SecurityUser(user);
    }

    class SecurityUser extends User implements UserDetails{
        private User user;

        public SecurityUser(User user){
            this.user = user;
        }

        @Override
        public Collection<? extends GrantedAuthority> getAuthorities() {
            List<GrantedAuthority> authorityList = new ArrayList<>();
            this.user.getRoles().forEach(r -> {
                authorityList.add(new SimpleGrantedAuthority(r));
            });
            return authorityList;
        }

        @Override
        public String getPassword() {
            return this.user.getPassword();
        }

        @Override
        public String getUsername() {
            return this.user.getEmail();
        }

        @Override
        public boolean isAccountNonExpired() {
            return this.user.isAccountNonExpired();
        }

        @Override
        public boolean isAccountNonLocked() {
            return this.user.isAccountNonLocked();
        }

        @Override
        public boolean isCredentialsNonExpired() {
            return this.user.isCredentialsNonExpired();
        }

        @Override
        public boolean isEnabled() {
            return this.user.isEnabled();
        }
    }
}

আর্টিকেলটা নিজের ব্লগে অবশ্য পোস্ট করেছি। রেফেরেন্স হিসেবে থাকলো।

চলো চা খাই.........

$
0
0

http://i.imgur.com/9nuM2tY.jpg

আজ না হয় ঠান্ডাই পান করি! দু'দুটো ঠোঁটে কাপে চুমুক তোলা চাট্টিখানি কথা নয়কো!এই অবেলায় মাথায় মাথায় ঠুস খাওয়াটা সমীচীন হবে না মনে হয় অথবা নাকে নাকে ঘর্ষনে শিহরণের ঢেউ সে দূরেই থাক না হয় আজ। শুনো স্ট্র রেখেছি কাপের পাশে প্লেটে-স্ট্রয়ের কালার নীল এবং গোলাপী। আমি জানি তুমি নীল পছন্দ আর আমারটা গোলাপী সেও তুমি জানো। তো! আর দেরী নয়-চলো পান করি ভালবাসার এক অমৃত পানীয়। কিন্তু তবুও থেকে যায় স্বাদে দ্বিধা-মনে দ্বন্দ্ব তাই না-বুঝো নি? বুঝিয়ে দিচ্ছি ধরো তুমি চিনি থেকে দূরে থাকতে চাও কারণ যারা নীলের রঙ আবরণে নিজেকে জড়িয়ে রাখে তারা ঝাল পছন্দ বেশী, তাদের মুখটা থাকে ধূমায়িত কফির পেয়ালা-ঝাঁঝা গরম ধোঁয়ায় তারা নিজেদেরকে জড়িয়ে রাখতে ভালবাসে। আর গোলাপী আহ্ সেতো মিষ্টি রঙ-গোলাপী আভায় অধর রাঙিয়ে নিলে সেতো তুমিই বলো-যেনো মমতার প্রলেপ মেখে আছি। গোলাপী রঙ পছন্দধারীরা মিষ্টিই পছন্দ করে-যেমন আমি। ঝাল আমার দুচোখের বিষ থুক্কু চোখের না জিহ্বার।হালকা আবেশেই আমি মুগ্ধ হই আর তুমি দুনিয়ার সকল সুন্দর তোমার সামনে এনে দিলে বলো এ আর কি সুন্দর! নাক ছিটকানো স্বভাবটা আর গেলো না বাপু তোমার।

চোখে নীল ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন তুমি স্বপ্ন কি শুধু নীলেরই দেখো-নীল ব্যথায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলেছো আমায়। কি কারণে এতো টা দূরে। তোমার মনের ভাব বুঝার সাধ্যি হয়তো আমার নেই। অথচ খুব সহজেই তুমি বুঝতে পারতে আমার মনের ভাবাবেগ। অল্প মুগ্ধতা চোখে ঘোর লাগিয়ে টেনে নিতে পারতে কাছে যতটা তুমি চা্ও। সারাক্ষণ গুমরো মুখে ভেসে বেড়াও নিজ রাজত্বে আচ্ছা তোমার রাজত্বের রানী কেগো? তাকে কি আমি চিনি? সেও কি নীল পছন্দ করে। তুমি তারে নীল শাড়িতে দেখতে ভালবাসো। সেকি ঝাঁঝা রোদ্দুরের দুপুর বেলা হতে পারবে? প্রকট তীক্ষ্ণ তেজ তোমার চোখে ঢেলে দেয়? নাকি প্রেমে জ্**িয়ে পুড়িয়ে করে রাখে তোমার কোণঠাসা?

তোমার সাথে আজো আমার কথা হয়ে উঠেনি! ব্যাকরণের ব-ও যে শিখতে পারিনি। আমার উচিত ছিল ভাষা শিক্ষায় গ্রাজোয়েট করা কিংবা ব্যাকরণের উপরে পিএইডি ডিগ্রি নেয়া হাহাহা তবেই বুঝি তোমার নীল চোখের মণিতে ভাষার আগুনে জ্**িয়ে দিতে পারতাম তুমি হা করে আমার ভাষাজ্ঞান গিলতে। তুমি চাও ভাষা আমি চাই ভালোবাসা-সত্যিই সেলোকাস কি বিচিত্র আমাদের প্রেম। যেখানে নিত্য চলে বিতৃষ্ণার বেসাতি। লেনদেন হয় শুধু ঘৃনা। তোমার পাল্লাটাই ভারি....... আর আমি শূন্য। কি করে এতো উৎসাহ পা্ও মনে একা থাকার মন্ত্রটা না হয় আমাকেও শিখিয়ে দাও। আচ্ছা হাসিগুলো তোমাকে যদি দিয়ে দেই তুমি নেবে? না ফিরিয়ে দিবে? হুম, তোমার মুখে হয়তো হাসি মানাবে না। থাক আমার হাসিগুলো আমার ঠোঁটেই থাক। তুমি নিরস পড়ে থাকো রাণী আর প্রজাহীন তোমার রাজত্বে।

অহহো তা যা বলেছিলাম, প্রসঙ্গ ছিলো তো চা খাওয়া নিয়ে-আর দেখো কতই না বকবক করে যাচ্ছি শুধু তোমাকে ঘাটছি-নো নো এ তো ঠিক নয় বাপু। যার যার স্বাধীনতায় সে বাঁচুক।

শুনো তবে-শ্রীমঙ্গলের একটা চা বানায় তুমি কি জানো-আট/কিংবা দশ কালারে-এক কালার অন্য কালারের সাথে মিক্সড হয় না। ঠিক তেমন করেই আমি চা বানিয়েছি তোমার জন্য দেখো তাকিয়ে একটি বিষন্নতার ঢেউ মাঝে বয়ে গেছে। তোমার জন্য ঝাল চা আর আমার মিষ্টি-চুমুকে চুমুকে তুলো তৃপ্তি । স্ট্র হাতে নাও প্লিজ। আমি কিছু চাইছি নেকো -না ভালবাসা, না মুগ্ধতা, না তোমার নজর।শুধু স্পর্শ লাগুক তোমার আমার দেহের-না তুমি ছুঁয়ো না ধোঁয়ার হাওয়ায় স্পর্শের অনুভব ছুঁয়ে থাকুক মনে। শুধু এক বেলা একসাথে চা খাওয়ার স্বাধ পূর্ণ হোক।

পেয়ালায় পবিত্রতার চিহ্ন রেখেছি। এটা ছুঁয়ে দেখতে পারো, পেলেও পেতে পারো শুদ্ধতার স্পর্শ আলতো। রেশটুকু থেকে যাক... না হয় একটি বসন্ত বেলার গোধূলিয়া তক।

হলুদ নয়, এবার সাদা ভুট্টা

$
0
0

এ দেশে সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাসে চাল আর গমের প্রাধান্য লক্ষণীয়। তবে বিপুল জনসংখ্যা ও ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চাল আর গমের উপর চাপ কমাতে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে চাষ করা হচ্ছে সাদা ভুট্টা। গত তিন বছর ধরে শেকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জাফর উল্লাহ ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সাদা ভুট্টার জাত এনে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উৎপাদনের জন্য গবেষণা চালান। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবার তিনি সফলভাবে উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন এই সাদা ভুট্টা। এই ভুট্টা খেতে সুস্বাদু এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এর তৈরি আটা হলুদ ভুট্টার আটার চেয়ে মিহি। শুধু তাই নয়, এই ভুট্টা থেকে এ পর্যন্ত ৩০টির বেশি খাদ্যদ্রব্য উদ্ভাবন করা হয়েছে। শীঘ্রই দেশব্যাপী নতুন এই জাতটি অবমুক্ত করা হবে। ঢাকা, বরিশাল, দিনাজপুর, নিলফামারী, বান্দরবান, রংপুর অঞ্চলে পরীক্ষামূলক আবাদের পর নতুন জাতটির ভাল ফলন পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য সারা বিশ্বে মানব খাদ্য হিসেবে যে ভুট্টার চাষাবাদ করা হয় তার দানার রং সাদা। পৃথিবীর বহু দেশেই সাদা ভুট্টা অন্যতম প্রধান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। এ ভুট্টার স্বাদ চাল ও গমের মাঝামাঝি। সাদা ভুট্টার আটা মিহি এবং চাল ও গম থেকে যে সব খাবার তৈরি করা হয় সাদা ভুট্টার আটা থেকেও সেই সব খাবার তৈরি করা য়ায়। গমের মেশিনেই সাদা ভুট্টার আটা ভাঙ্গানো যায়। বর্তমানে দেশে যে ভুট্টার চাষাবাদ করা হয় তা হলুদ রংয়ের। এ ভুট্টার প্রায় সবটুকুই পশু-পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাদা ভুট্টার প্রধান বৈশিষ্ট্য প্রচলিত অন্য জাতগুলোর মতো এই ভুট্টা চাষে তিন বা চারটি সেচের প্রয়োজন হবে না। একটি মাত্র সেচ দিয়ে একই রকম ফলন পাওয়া যাবে। এর ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বহুলাংশে কমে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার অসুবিধা ভোগ করতে হবে না কৃষকদের। এছাড়া নতুন এই জাতটির অপর বৈশিষ্ট এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিনসমৃদ্ধ। দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ ধান আর গম উৎপন্ন হয় এবং তা প্রতিবছর যে হারে বাড়ে তাতে ২০৫০ সালের পর স্থিত জনসংখ্যার তুলনায় খাদ্য উৎপাদন অনেক কম হবে বলে ধারণা করা হয়। ধান ও গম সি-থ্রি প্রজাতির হওয়ার এদের উৎপাদনশীলতা ভুট্টার তুলনায় কম। ভুট্টা একটি সি-ফোর প্রজাতির খাদ্য শষ্য যার উৎপাদনশীলতা ধান ও গমের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতি হেক্টরে ধানের ফলন ৫ আর গমের ফলন ৩ টন। অন্যদিকে প্রতি হেক্টরে ভুট্টার ফলন ৭ টনের উপরে। এ জন্য ২০৫০ সালের পর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ভুট্টাকে আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখ হেক্টর জমিতে ২২ লাখ টন হলুদ ভুট্টা উৎপন্ন হয়। হলুদ ভুট্টায় অধিক ক্যারোটিন থাকে। তাই উৎপাদিত ভুট্টার বেশির ভাগই মুরগি ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হলুদ ভুট্টার ক্যারোটিন শরীরে অধিক পুষ্টি চাহিদা মেটালেও তা খাদ্যদ্রব্যের স্বাদ কমিয়ে দেয়। তাই স্বাদপ্রিয় এ দেশের মানুষকে ভাত ও গমের দিক থেকে ফেরাতে খাদ্য হিসেবে পর্যাপ্ত জমিতে সাদা ভুট্টার আবাদ করা গেলে চাপ কমবে চাল ও গমের।


উইন্ডোজ ১০

$
0
0

কারো কাছে উইন্ডোজ ১০ এর ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক থাকলে গোপন বার্তাতে দিলে উপকৃত হতাম।

শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?

$
0
0

ভাল শিক্ষা ভাল মানুষ, এটাই স্বাভাবিক। মুক্ত চিন্তার মানুষ সব সময় স্বাধীন। আর শিক্ষাই মানুষকে মুক্তি এবং স্বাধীনতা এনে দেয়। শিক্ষার আসল সৌন্দর্য হচ্ছে, ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে দেশীয় ও সামাজিক জীবন আলোয় ভরিয়ে তোলা। শিক্ষার সংস্পর্শে মানুষের মন জরাজীর্ণতা, কালিমা, বন্দিত্ব ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়। শিক্ষা লাভ মানুষ বিভিন্নভাবে করতে পারে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সাধারণত পাঠ্যসূচীভিত্তিক শিক্ষা লাভ করে। আর উচ্চ শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ই দেশের প্রথম সারির নাগরিক গড়ে তোলে। দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে শিক্ষা লাভের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অবশ্যই অনস্বীকার্য। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা সে তুলনায় বাড়ছে না বললেই চলে। স্কুল, কলেজের পড়া সমাপ্ত করে শিক্ষার্থীকে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। তাই শিক্ষার্থীর চাহিদানুযায়ী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। অবশ্যই আশাপ্রদ সংবাদ। নয়তো বহু শিক্ষার্থী শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে হয়তো কাজে নেমে পড়ত। উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে পারত অগণিত শিক্ষার্থী। তবে এ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কতটুকু মানসম্পন্ন কার্যকরী শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে- তা গবেষণার বিষয়। শহরের অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে ঠিকই। মুনাফালোভীরা সরলমনা শিক্ষার্থীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঠিকই বড় মাপের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত দিক থাকার কথা তার কানাকড়িও নেই। সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা অনুসরণ করলে শিক্ষার মান নিশ্চিত হত। ঢাকা শহরের মতো দেশের বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে ইদানীং রাস্তার মোড়ে, দেয়ালে এমনকি বিলবোর্ড ভাড়া করেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার, প্লাকার্ড ও বিজ্ঞাপন টাঙ্গানোর চিত্র দেখা যায়। দেশে অবশ্যই বহু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। ক্লাসরুমগুলোতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস প্রদান করছে। কিন্তু তেমন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা নগণ্য। এর বিপরীত চিত্রও অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়। দেখা যায় অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে না। বরং শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত করে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সার্টিফিকেট লাভ করা যেন সহজ হয়ে পড়ছে। কি জ্ঞান অর্জন করলাম তা মুখ্য নয়; বরং যেনতেনভাবে ভাল একটা সার্টিফিকেট লাভ করতে পারলেই হলো। বর্তমানে এমন একটি মনোভাব গড়ে উঠছে, চাকরি পাবার ক্ষেত্রে শিক্ষার আসল যে উদ্দেশ্য ভাল ও যোগ্য মানুষ হওয়া; তার প্রয়োজন নেই বরং সার্টিফিকেটই প্রধান। তাই অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা নামে মাত্র শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট প্রদান করাকেই মুখ্য হিসেবে দেখে থাকে। লজ্জার মাথা খাই, শিক্ষা ও কার্য ক্ষেত্রেও যত দুর্নীতি! সব কিছুর উর্দ্ধে আমাদের যুব সমাজকে মানুষের মত মানুষ হতে হবে। এটাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিৎ।

পৃথিবী

$
0
0

** **
মনোহরী অতলস্পর্শের একখন্ড অরণীয় অর্কিড
পারদহীন আয়নার উপড় উড়ছে বাতাসের ভ্রুণ,
ক্লেদহীন নুয়েপড়া রোদের ঢেউ-খোলাচুলো ফসলের মাঠে-
অন্তহীন জলের গহীনে সহবাসী যাত্রীরা-আমাদের পথচলা ।

নক্ষত্র আকাশের তলে পাখীর নীড়ের মত
কোথাও জলের ঢেউ , বরফের নোনতা স্বাদ-
জীবনের আঁশটে স্বাদ-নিদ্রাহীন প্রকৃতির চোখ ;
স্ফটিক জলের রাজ্যে অন্তহীন সাঁতারে ভেসে চলা .........


ভাসছি পরস্পর – সময় ও সভ্যতার বিম্বিত দ্বীপে
ঘরে ফেরা শালিকের ডানার সুঘ্রাণ ;
শতাব্দী-সভ্যতার আবাস ভুমিতে-
যাওয়া-আসা , রাত আর দিনের মতন ।


আমরা পাখির মত তৃণে গড়ি বাস
কালের খেঁয়ার নোঙর – নুনের সাগরে –
বাতাসে গোলাপ হয়,সাদা সাদা মেঘ হয়- নির্মেঘ কাঁচের দেয়াল
আমরা হাঁটি স্বপ্নে ......সিমানার অতল গহীনে ......


যেখানে থেমে যায় কালের গতি
মুগ্ধ জোছনার সুহাসিনী কম্পিত ঠোঁট ;
ক্ষুয়ে যায় শিকড়েরা শুভ্র মোমের মত
আমরা হয়েযাই বিপন্ন নীলগাই – পৃথিবীর ঝুলানো মানচিত্র ।

** ১৭মার্চ ২০১৭ **

ঘূরে আসি করমজল

$
0
0

‘করমজল’ নামটার মধ্যেই আছে একটি আকর্ষণ। আবার এর সঙ্গে যদি সুন্দরবন নাম জুড়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। যারা একদিনে সুন্দরবন ঘুরে আসতে চান তাদের জন্য ভালো উপায় হলো করমজলে যাওয়া। মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে পশুর নদী দিয়ে ট্রলারে ঘণ্টাখানেক ।দীর্ঘযাত্রা পথের ধকল যেন করমজলেন যাত্রা প্রশান্তি এনে দেয়। বোট মংলা ফেরিঘাট এলাকা থেকে ছাড়ার পর মৃদু বাতাস গায়ে লাগতে থাকবে। বোটের ছাদে গিয়ে বসে নদীর দুই পাশের দৃশ্য  সত্যিই মনোরম। নদীর পারে গোলপাতার ছাউনির ঘরে সোলার প্যানেল। ঘণ্টাখানের মধ্যেই বোর্ট পৌঁছে যাবে করমজলে। নামতেই চোখে পড়বে  সুন্দরবনের বড় একটি মানচিত্র যা কাঁচ দিয়ে ঢাকা। এখানে সুন্দরবন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া আছে।সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগ এখানে ‘ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে। রাস্তার পাশে পসরা সাজানো বিভিন্ন অস্থায়ী দোকান। সেখানে পাওয়া যাবে সাহেবি ক্যাপ, বানর, কুমিরের আকৃতির খেলনা, বিভিন্ন ধরনের খাবার ও মধু। রাস্তা ধরে একটু সামনে এগোলেই চোখে পড়বে বিশাল খোলা জায়গা খাঁচায় ঘেরা। যার ভেতরে রয়েছে অনেকগুলো চিত্রা হরিণ। একটু সামনে এগোতেই চোখে পড়বে কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র। কোনোটিতে ছোট ছোট কুমির, কোনটা আবার মাঝারি। দেয়াল ঘেরা বড় পুকুরে দেখা যাবে বিশাল বিশাল কুমির। কুমিরের ডিম দিয়েও কুমির প্রজনন করা হয়। পুকুরের সামনে দিয়ে এগিয়ে যেতেই কাঠের তৈরি হাঁটার পথ। মাটি থেকে প্রায় চার হাত উপরে। পথটি এঁকেবেঁকে নিয়ে যাবে বনের ভেতর। দুই পাশে সবুজের সমারোহ। দেখা মিলবে বানরের। বনের ভেতরে এঁকেবেঁকে গিয়েছে খাল। খালের দুই ধারে ঘন গাছ। বেশিই বাইন গাছ। শাসমূলও চোখে পড়বে। বেশ একটু হাঁটলে ওয়াচ টাওয়ার সেখানে উঠে এক পলকে দেখা যাবে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য।যারা এখনো সুন্দরবন যাননি তারা একবার ঘুরে আসতে পারেন। ঢাকার সায়দাবাদ বাস স্টেশন থেকে সরাসরি মংলা যায় বিভিন্ন বাস। মংলা ফেরি ঘাট এলাকা থেকে ইঞ্জিন নৌকায় চড়ে যেতে পারেন করমজল। সারাদিন করমজল ঘুরে থাকতে পারেন মোংলায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ‘পশুরে’। এছাড়াও মংলা শহরে কিছু হোটেল আছে।বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ আমাদের জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল এই সুন্দরবন। বাংলাদেশে সুন্দরবনের আয়তন  ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরবনে বাংলাদেশের মোট সংবক্ষিত বনাঞ্চল  ৫১শতাংশ।  বনে আছে ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩৫ প্রজাতির রেপটাইল, ২৯১ প্রজাতির মাছ এবং ৩১৫ প্রজাতির পাখি।বন্যপ্রাণীর মধ্যে বাঘ ১০৬টি, হরিণ এক লাখ থেকে দেড় লাখ। বানর ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার। বন্য শূকর ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার। কুমির ১৫০ থেকে ২০০টি।সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য ভ্রমণের স্থানগুলো হলো করমজর ইকোট্যুরিজম ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র (চাঁদপাই রেঞ্জ), হারবাড়িয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র (চাঁদপাই রেঞ্জ), কটকা ও কচিখালী ট্যুরিস্ট স্পট (খুলনা রেঞ্জ), কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র (সাতক্ষীরা রেঞ্জ)। নিজ দেশের এই প্রাকৃতিক সম্পদ নিজ চোখে একবার দেখে আসতে পারেন আপনিও।

শিউলি

$
0
0

ঝরা শিউলি
ফুলের নামা : শিউলি
বৈজ্ঞানিক নাম : Nyctanthes arbor-tristis
প্রচলিত নাম : নাইট ফ্লাওয়ার জেসমিন, কোরাল জেসমিন, হারসিঙ্গার, পারিজাত, পারিজাতা, পারিজাতাকা, শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, রাগাপুস্পি, খারাপাত্রাকা, প্রজক্তা ইত্যাদি।
সংস্কৃত নাম : নালাকুমকুমাকা, হারসিঙ্গারাপুস্পক, সুকলাঙ্গি, রাজানিহাসা, মালিকা, অপরাজিতা, বিজয়া, নিসাহাসা, প্রহার্ষিনী, প্রভোলানালিকা, বাথারি, ভুথাকেশি, সীতামাঞ্জারি, সুবাহা, নিশিপুস্পিকা, প্রযক্তা, প্রযক্তি।

ছবি তোলার স্থান : **িয়াপাড়া জমিদার বাড়ি, আড়াইহাজার, নারায়নগঞ্জ।
তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
http://i.imgur.com/12yGM71.jpg

শিউলি দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিণ -পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে পশ্চিমে বাংলাদেশ, ভারত, উত্তরে নেপাল, ও পূর্বে পাকিস্তান পর্যন্ত এলাকা জুড়ে দেখতে পাওয়া যায়।

শিউলি গাছ নরম ধূসর ছাল বা বাকল বিশিষ্ট হয় এবং ১০ মিটারের মত লম্বা হয়।

শিউলি গাছের পাতা গুলো ৬ -৭ সেন্টিমিটার লম্বা ও সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী থাকে।
https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/5/55/Leaves_of_the_Parijat_plant_%28Nyctanthes_arbor-tristis%29%2C_Kolkata%2C_India_-_20070130.jpg


সুগন্ধি জাতীয় শিউলি ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃতি ও মাঝে লালচে - কমলা টিউবের মত বৃন্ত।

শিউলির ফল চ্যাপ্টা ও বাদামী হৃদপিণ্ডাকৃতির। ফলের ব্যাস ২ সেন্টিমিটার এবং এটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগে একটি করে বীজ থাকে।
https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/b/b2/Fruit_of_the_Parijat_plant_%28Nyctanthes_arbor-tristis%29%2C_Kolkata%2C_India_-_20070130.jpg


শিউলি ফুল শরৎকালে ফোটে। ফুলগুলি রাতে ফোটে এবং সকালে ঝরে যায়। শরৎ ও হেমন্ত কালের শিশির ভেজা সকালে ঝরে থাকা শিউলি অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে।

এই ফুল হলুদ রঙ তৈরী করতে ব্যবহার করা যায়। এই ফুলের বোঁটা গুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে পাউডার করে হালকা গরম পানিতে বা জলে মেশালে চমৎকার হলদে কমলা বা জর্দা রঙ হয়।

এই ফুল পশ্চিমবঙ্গের ও থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের রাষ্ট্রীয় ফুল।
সূত্র উইকি

অপেক্ষা

$
0
0

যাহা কিছু চাই
তাহা নাহি পাই
তুমি যে আমার
তাও যে হারাই ।
মনে রেখো তুমি
বিধি লিপি আছে লেখা,
পৃথিবীটা গোল
একদিন ঠিক
দুজনেতে হবে দেখা ।

ভ্রমণপিয়াসীদের আকর্ষনীয় স্থান ‘মিনি কক্সবাজার’

$
0
0

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের মতোই মৈনট ঘাটের **ু-মাটির বিশাল পাড় প্রথম দেখায় যে কারও মনে হতে পারে বুঝি কক্সবাজারের বিশাল সৈকতের একটি অংশ। ঢাকার নবাবগঞ্জের অদূরেই দোহারের পদ্মা তীরবর্তী মৈনট ঘাট। রাজধানীর কাছাকাছি নতুন এ পর্যটন স্থানটি এরই মধ্যে ভ্রমণপিয়াসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে এটি এখন ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে বেশি পরিচিত। দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায় বলে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষার্থী নিয়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এখানে পিকনিক করতে আসছে। পদ্মার বিশাল ঢেউয়ে মৈনট ঘাটের পাড় এরই মধ্যে ভাঙতে শুরু করেছে। আর সাগরপাড়ের ঢেউয়ে পা ডুবিয়ে একজন পর্যটক যে আনন্দানুভূতি পান মৈনট ঘাটে আগত দর্শনার্থীরাও একই অনুভূতি পেতে পদ্মার ঢেউয়ে পা ডুবিয়ে রাখছেন। শেষ বিকালে সূর্য যখন পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ে মৈনট ঘাটের তীরে সে সময় অসাধারণ দৃশ্যপট দেখা যায়। আর এ সময়টিতে এ ঘাটে সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় হয়। আগতরা সেলফি বা ক্যামেরায় ছবি তুলে সেই সুন্দর সময়টি বন্দী করে রাখেন। মৈনট ঘাটে যাত্রী পারাপার ও পর্যটকের জন্য নৌকা ছাড়াও অনেক স্পিডবোট আছে। দর্শনার্থী চাইলে ঘণ্টা হিসেবে বা দলবেঁধে স্পিডবোটে পদ্মায় ঘুরতে পারেন। আধা ঘণ্টার জন্য রিজার্ভ স্পিডবোটের ভাড়া ২ হাজার আর দলবেঁধে ১০-১২ জন মিলে গেলে জনপ্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা গুনতে হয়। অনেকেই মৈনট ঘাট থেকে স্বল্পসময়ে স্পিডবোট করে ফরিদপুর, মাওয়া ও আশপাশের এলাকায় যান। এ ছাড়া স্থানীয় জেলেরা ঘাটের এক পাশে পদ্মার তাজা ইলিশ, বাঘাইড়, চিতল ইত্যাদি মাছ বিক্রি করেন।ঢাকার গুলিস্তান থেকে সরাসরি মৈনট ঘাটের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়। এ ছাড়া প্রাইভেট কারে গাবতলী-সদরঘাট হয়েও ঘাটে আসা যায়। মোট কথা ভ্রমনপিয়াসীদের জন্য উক্ত স্থানটি সত্যই একটি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার মত স্থান।


পাকিস্তানে ছিল এক জিন্না। আর এখন স্বাধীনবাংলাদেশে অসংখ্য জিন্না!

$
0
0

https://encrypted-tbn1.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQOt9NLo6O73o9T48g-W1PXmwTRvGl64IAD7yh-AYWvuVz4hIT5

পাকিস্তানে ছিল এক জিন্না। আর এখন স্বাধীনবাংলাদেশে অসংখ্য জিন্না!
সাইয়িদ রফিকুল হক

এখন বাংলাভাষার অনেক শত্রুও লোকদেখানো ও স্বার্থসিদ্ধির-আনুষ্ঠানিক ভাষাপ্রেম দেখানোর জন্য শহীদমিনারে গিয়ে বেদীতে ফুল দেয়। তারপর ছবি তুলে কিংবা বিশাল একটা ভিডিও করে বাসায় ফিরে আসে। তারপর এগুলো দিয়ে ব্যবসা করে খায়। অনেক ভণ্ড এখন শহীদমিনারে গিয়ে ফুল দিচ্ছে। অথচ, এদের মনের মধ্যে বাংলাভাষার প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ নাই। এদের মনে যদি বাংলাভাষার প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকতো—তাহলে, বাংলাভাষা কি এতোদিনেও বাংলাদেশে উপেক্ষিত থাকতো?

পাকিস্তানীজালিমগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইসংগ্রাম করে আমরা ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছি। এখানে, আমরা মানে—আমাদের পূর্বপুরুষ—শহীদ রফিক, বরকত, জব্বার, সালাম, শফিউর প্রমুখ। ভাষাআন্দোলনের ৬৫ বছর পার হয়ে গেছে। তবুও আমরা বাংলাদেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বমহিমায় ও আপন-মর্যাদায় আজও প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।

বাংলাদেশে এখনও পাকিস্তানীদের ভূত চেপে বসে আছে। পাকিস্তানীদের মতোই এখনও শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বাংলাভাষার প্রতি বিমাতাসুলভ-আচরণপ্রকাশ করা হচ্ছে। দেশের শাসকগোষ্ঠী তথা সরকার বাংলাভাষাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোণঠাসা করে রেখেছে। আর সবাই মুখে-মুখে কিংবা লোকদেখানোভাবে বাংলাভাষার জন্য মায়াকান্নাপ্রদর্শন করে নিজেদের ইমেজবৃদ্ধি করার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে যাচ্ছে।

১৯৭১ সালে, দেশস্বাধীনের পর কোনো সরকারই বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে অগ্রাধিকার ও বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য কোনোপ্রকার কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণ করেনি। আজ পর্যন্ত কেউই বাংলাভাষাকে ভালোবেসে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাধ্যতামূলকভাবে বাংলা ব্যবহারের ও প্রচলনের কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি। সবাই শুধু সান্ত্বনার বাণী শুনিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করার অপকৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে। দেশস্বাধীনের পর একজন স্বৈরশাসক—এরশাদ দেশে সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলনের জন্য সর্বপ্রথম ১৯৮৭ সালে আইনপ্রণয়ন করেন। তারপর আবার সবকিছু থেমে যায়। আর বর্তমান আওয়ামীলীগসরকারও ২০১৩ সালে সর্বস্তরে বাংলা ব্যবহারের এক নির্দেশ জারী করে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এসব শুধু কাগজে-কলমে। এদেশে বাংলাভাষার পক্ষে আজও কোনো বাঘ তৈরি হয়নি। আছে শুধু লোকদেখানো কতকগুলো কাগুজেবাঘ। আর এদের হাতে বাংলাভাষা প্রতিদিন আর প্রতিনিয়ত কেবল নিঃগৃহীতই হচ্ছে! তাহলে, আমাদের রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাভাষার ভবিষ্যৎ কী? কীভাবে এটি রাষ্ট্রভাষা বলে বিবেচিত হবে? আর সবকিছুই কি শুধু কাগজে-কলমে?

এই দেশে ২১-এ ফেব্রুআরি এলে কত-শত ভাষাপ্রেমিক দেখা যায়! আর তাদের কী চেহারা! এরা একেকজন বাংলাভাষার জন্য কেঁদে-কেঁদে একেবারে অন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগার! আর ২১-এ ফেব্রুআরির প্রথম প্রহরে অর্থাৎ, রাত বারোটা একমিনিটে শহীদমিনারে ফুল দেওয়ার জন্য কত যুদ্ধংদেহীমনোভাব! কিন্তু জানি, এসবই লোকদেখানো আর ভয়ানক ভণ্ডামি।

এখন আগের মতো হৃদয়নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আর প্রভাতফেরিও হয় না। হয়তো কোথাও-কোথাও হয়। তা হয়তো আমার জানা নাই। কিন্তু চোখের সামনে আজকাল যা দেখছি তা সম্পূর্ণ ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়। একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দেওয়ার জন্য যুদ্ধ করা যায়—কিন্তু বাংলাদেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে সর্বস্তরে প্রচলনের জন্য সামান্য একটু লড়াই করা যায় না?

এই দেশে ভণ্ডামি আর কত দেখবো! ইচ্ছা করে এখন সমাজের কথিত-এলিটশ্রেণী বাংলাকে দাবিয়ে রেখেছে আর নিয়মিত রাখছে। আর এদের সর্বপ্রকার সমর্থন দিচ্ছে এদেশেরই সরকার! এই দেশে আজও বাংলাভাষাপ্রেমিক-সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সবখানে আজ মোনাফেকি। শহীদদের রক্তের সঙ্গে সবাই বেঈমানী করছে হাসিমুখে। আর সবসময় শুনছি মিথ্যাআশ্বাস। কিন্তু ভরসা নাই কোথাও!

আজ বাংলাদেশের আদালতে (উচ্চ, মধ্য, নিম্ন সবখানে) ইংরেজি-ভাষার সীমাহীন দাপট! আর উচ্চ-আদালতে তো বাংলাভাষার প্রতি রীতিমতো অবজ্ঞাই করা হচ্ছে। সমস্ত সরকারি-অফিসে ইংরেজি-ভাষার একচ্ছত্র আধিপত্য আর নগ্ন-দাপট। বেসরকারি-প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও ভয়াবহ দাপট দেখা যায়। পারলে এরা বাংলাভাষাকে তাদের অফিসে নিষিদ্ধ করে আরকি!
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ইংরেজি-ভাষার দাপট বাড়ছে। এখানেও ইংরেজি-ভাষার নগ্ন-হস্তক্ষেপ! আর দেশের প্রাইভেট-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো বাংলাভাষাকে নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর দেশের সরকার-বাহাদুর তা-ই দেখে আনন্দে উদ্বেলিত।
সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে বাংলাভাষার অমর্যাদা করা হচ্ছে। এখানে, সরকারের কতকগুলো দালাল আর চামচা নিজেদের সবজান্তা মনে করে বাংলাভাষার বিরুদ্ধে রীতিমতো আগ্রাসন শুরু করেছে। এরা নরঘাতক-পাকিস্তানীদের চেয়েও এককাঠি সরেস!
এখন দেশের প্রশাসনের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে বসে আছে একেকটা জিন্না! এরা সবসময় নিজেদের শয়তানীশক্তির প্রভাব খাটিয়ে বাংলাভাষার বুকে ছুরি চালাচ্ছে। এরা পাকিস্তানীদের চেয়েও এখন বেশি হিংস্র।

পাকিস্তানআমলে একজন জিন্না, একজন খাজা নাজিমউদ্দিন ছিল। আর এখন বাংলাদেশে জন্মলাভ করেছে অসংখ্য জিন্না, অসংখ্য খাজা নাজিমউদ্দিন! এদের সীমাহীন আগ্রাসনে স্বদেশে বাংলাভাষা আজ একেবারে কোণঠাসা! বাংলাভাষার কণ্ঠচেপে ধরেছে এখন এদেশীয় জিন্না আর খাজা নাজিমউদ্দিন, লিয়াকত আলীগং! এদের আগ্রাসন ও শয়তানী ঠেকানোর কোনো বন্দোবস্ত এদেশের সরকারের নাই। এখন দেশের সরকার থেকে শুরু করে একশ্রেণীর চূড়ান্ত-ভণ্ড বাংলাভাষার বুকে ইংরেজি-পেরেক ঠুকে বাংলার প্রতি দরদপ্রর্দশন করছে! এরা জিন্নার চেয়েও খারাপ।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৩/০২/২০১৭

ব্যালকনির উদাসী এবং বিধুর আমি

$
0
0

তখনও সাঁঝবাতিগুলি জ্বলে নি;
আকাশ ভরা মেঘের কালোয়
নিভু নিভু আলোর সন্ধ্যা।
থমকে দাঁড়িয়ে পড়ি –
ব্যালকনির বিষন্ন কোণে আত্মগত একাকী
এক দুঃখ উদাসী – দুচোখে তার
যেন না-বলা হাজারো ব্যথার বন্যা।

তখনও পাখিদের ঝাঁক নীড়ে ফেরে নি
বৃক্ষের বুক বসন্ত-দোলা -
রাত্রির কালো তাতে
নিভে যাবার নিঃশ্বাস ফেলে নি।
অথচ সে উড়িয়েছে যেন আঁচল
ফুরিয়ে যাবার অশ্রুত রাগে,
গভীর গোপন রোদনের বাতাসে।

অতঃপর সাঁঝবাতিগুলো রাঙ্গালো চোখ
আঁধারের অদম্য শীতল অধরে।
আর বৃষ্টি নেমে এলো।
ভিজে গেল বৃক্ষের বুক, পাখিদের আবেগী নীড়।
তবুও ব্যালকনির দুঃখটুকু নড়ল না!
যেন নীরব প্রতিবাদ, যাবতীয় লব্ধ বঞ্চনার।
ভিজে চলল অবিরাম…
আর ভিজলাম আমি, এক ঠাঁয়, নির্বাক।
জগতের তাবত হাহাকারে যে আমি
আমার নিষন্ন বিধুর আমিকে দেখি!

-----------------------------------
উদাসীন
১৯/০৩/২০১৭

ক্যামেরা কিনবো

$
0
0

৪০ হাজারের মধ্যে ভালো মানের একটা ভিডিও ক্যামেরা কিনবো । যুমের দিকে খেয়াল রেখে কি ক্যামেরা কেনা যায় ।

বৃষ্টি কাব্য..........

$
0
0

নেট কালেকটেড এনিমেশন ছবিটি
https://lh3.googleusercontent.com/-mH1y0HLA4C0/WM9p3JWtdlI/AAAAAAABLxI/Kf0Xkk3hI0Y7--5FnO_0KzDVYW6uSxQCwCJoC/w551-h356-rw/book-in-rain.gif
©কাজী ফাতেমা ছবি

মেঘলা আকাশ-মেঘলা দিনে
বসে জানলার পাশে
বইয়ের পাতায় তোমার ছবি
চোখে কেবল ভাসে।

এসে দেখো এখান'টাতে
ঝরছে বৃষ্টি অঝোর
জোড়া শালিক বৃষ্টি দেখছে
আমি কেবল বেজোড়!

জানলার পর্দা নড়ে চড়ে
ফাঁকে আসে হাওয়া
বৃষ্টির ছিটায় ভিজল পাতা
ভিজল দখিন দাওয়া।

গাছের পাতায় বৃষ্টির কান্না
থিরথিরিয়ে কাঁপে
এসো চলে কাটবে ভালো
উষ্ণ চায়ের তাপে।

যেয়ো নাকো ঘরের বাইরে
বৃষ্টি দেখবো সাথে
ইচ্ছে হলেই রাখতে পারো
হাতটা আমার হাতে।

হিমেল হাওয়ার শিহরণে
কাঁপবে যখন তুমি
ছুঁয়ে দিলে তোমায়-হবে
সুখের মনোভূমি।

এমন দিনে একলা একা
ভাল্লাগে না আমার
চলে যাচ্ছো হনহনিয়ে
হৃদয় যেনো তামার!

২।
রিনিঝিনি বৃষ্টির নুপূর
বাজে আমার প্রাণে
সময় কাটুক এমন দিনে
মৃদু সুরের গানে।

বইয়ের পাতায় মন ডুবিয়ে
পড়ব প্রেমের গল্প
ভাসবো সুখে উথাল পাতাল
গাইবো সুরে অল্প।

অফিস কামাই করবো আমি
হবো বৃষ্টির সঙ্গী
বৃষ্টির জলে পা ছুঁয়ায়ে
ইচ্ছের পাখি ঢঙ্গী।

ফাগুন গেলো চৈত্র এলো
অবেলার এই বৃষ্টি
বন্ধু তুমি চলে এসো
হয়ে আজকে ইষ্টি।

দু'জন মিলে বৃষ্টি বেলায়
প্রেমে হবো সিক্ত
আর হবো না তুমি আমি
ভালবাসায় রিক্ত।

https://scontent-hkg3-1.xx.fbcdn.net/v/t1.0-9/17308815_1567592479935162_632521708439805220_n.jpg?oh=a0f79911ec8f28c283c4c7e04c1e948f&amp;oe=5928232E


৩।
বৃষ্টির জলে ধুয়ে দিবো
মনের যত কষ্ট
যাবো নাকো সে পথে আর
যে পথ ছিলো ভ্রষ্ট।

মন'টা যেনো হয় গো আমার
বৃষ্টির মতন স্বচ্ছ
এই দুনিয়ার যত মোহ
লাগে যেনো তুচ্ছ।

প্রভুর রহমত বৃষ্টির ধারায়
ভাসিয়ে দিব পাপ
ক্ষমা চাইবো প্রার্থনাতে
প্রভু করো পাপ মাফ।

শীতল জলের ছায়ায় বসে
আসবে মনে শান্তি
কেটে যাবে মনমাঝারের
অশুভ সব ভ্রান্তি।

শোকর গুজার করি প্রভু
বসে বৃষ্টির ছায়ায়
কি অপরূপ বৃষ্টির ফোঁটা
টানে স্নিগ্ধ মায়ায়।

ভালবাসি প্রভু তোমায়
বৃষ্টি ভালবাসি
বৃষ্টির জলের ছোঁয়ায় মনে
শান্তি রাশি রাশি।

লাল শাপলা বা রক্ত কমল

$
0
0

ফুলের নাম : লাল শাপলা বা রক্ত কমল।
বৈজ্ঞানিক নাম: Nymphaea Pubescens [নিম্ফিয়া পিউবেসেন্স]
ইংরেজী নাম : Red Water Lily, Nymphaea Rubra
ছবি তোলার স্থান : **িয়াটি জমিদার বাড়ি, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ
তারিখ : ২৫/১১/২০১৬ ইং

https://c1.staticflickr.com/4/3692/33545341435_7c2f26309d_o.jpg

লাল শাপলা বা রক্ত কমল শাপলা পরিবারের একটি জলজ উদ্ভিদ। এই প্রজাতির জলজ উদ্ভিদকে বাংলা ভাষায় শাপলা, হিন্দিতে কোকা এবং সংস্কৃত ভাষায় কুমুদা বলা হয়।


লাল শাপলা বা রক্ত কমল নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার স্বল্প গভীর জলের হ্রদ ও পুকুরে জন্মে। সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চীনের ইউনান প্রদেশ, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে শাপলা ফুটতে দেখা যায়।


এই ফুলের অনেকগুলি লাল রং এর পাপড়ি থাকে। এরা সাধারণত রাতে ফোটে। এদের গোলাকার ফল হয়, ফলে অনেকগুলো ছোট ছোট বীজ হয়। বীজ গুলি পরিপক্ক হলে বাচ্চাদের কাঁচা খেতে দেখা যায়। শোনা যায় এই বীজগুলি থেকে এক ধরনের খৈ তৈরি করা হত। খাওয়া যায়। 
সূত্র : উইকি

Viewing all 15150 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>